Class-6, History ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস
দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
Second Submative Evaluation
Class- 6 (ষষ্ঠ শ্রেণী)
আমাদের YouTube channel হল Bright Bangla Point. উপকৃত হলে subscribe করে রাখতে পারেন।
১) কোন সময়ে বৈদিক সাহিত্য রচিত হয়?
উঃ খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দ।
২) ঋকবেদে জন গণ বিষ প্রভৃতি শব্দের মাধ্যমে কি বোঝানো হতো?
উঃ গ্রামের থেকে বড় একটি জনগোষ্ঠীকে।
৩) কোন সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে অনেকগুলি জনপদের কথা জানা যায় ?
উঃ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের গোড়ার দিকে।
৪) গণ রাজ্যগুলোতে কিভাবে জনগণ নিজেদের কর্তব্য ঠিক করতো ?
উঃ জনগণ সবাই মিলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কর্তব্য ঠিক করতো।
৫) মগধে হর্ষঙ্ক বংশের শাসন কখন শুরু হয়েছিল ?
উঃ ৫৪৫ খ্রিস্টপূর্ব।
৬) ঋকবেদের যুগে পশুপালনের ওপর সমাজ বেশি নির্ভর করত বলেই ____________ পশুর এত গুরুত্ব ছিল।
উঃ গবাদি।
৭) হরপ্পার সমাজের মতো _______ ক্ষমতা ঋকবৈদিক সমাজে ছিল না ।
উঃ নারীদের।
৮) সূর্য দেবতা _______ উদ্দেশ্যে গায়ত্রী মন্ত্র রচিত হয়েছিল ।
উঃ সাবিতৃ।
৯) _______গৌতম বুদ্ধের মূল কয়েকটি উপদেশের আলোচনা ।
উঃ আর্য সত্য।
১০) গোত্র বলতে কী বোঝো ?
উঃ বৈদিক যুগে গোষ্ঠীর গবাদি পশু রাখার জায়গাকে গোত্র বলা হত।
১১) বৈদিক সমাজে পরিবারের প্রধান ছিলেন - (রাজা/ বিসপতি/ বাবা)।
উঃ বাবা।
১২) প্রাচীন ভারতের প্রথম -(হরপ্পা সভ্যতার/ মেহেরগড় সভ্যতার/ মৌর্য সভ্যতার) নগর দেখা গিয়েছিল।
উঃ হরপ্পা সভ্যতার।
১৩) ঋকবেদে রাজা ছিলেন - (গোষ্ঠীর প্রধান/ রাজ্যের প্রধান/ সমাজের প্রধান)
উঃ সমাজের প্রধান।
১৪) কোন রাজার আমলে নালন্দা মহাবিহার স্থাপিত হয়?
উঃ ধর্মপাল।
১৫) সমুদ্রগুপ্তের কথা জানা যায় কোন শিলালিপি থেকে?
উঃ এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে।
১৬) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে কোন ধর্ম গ্রহণ করেন ?
উঃ জৈন ধর্ম।
১৭) একটি রাজতান্ত্রিক মহাজনপদের নাম লেখ।
উঃ মগধ।
১৮) দমঅর্ত' উপাধি কোন রাজা নিয়েছিলেন ?
উঃ বিম কদফিসেস।
১৯) তাম্র ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতার নাম কি ?
উঃ সিন্ধু সভ্যতা।
২০) বৈদিক সাহিত্য মূলত কি ধরনের সাহিত্য ?
উঃ ধর্মীয় সাহিত্য।
২১) কোন শিলা লেখ থেকে ভারত বর্ষ শব্দটি পাওয়া যায় ?
উঃ খারবেলের হাতি গুম্ফা শিলালেখ থেকে।
২২) ঋকবেদ ও জেন্দাবেস্তায় কোন ভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় ?
উঃ ইন্দো ইরানিয়।
২৩) আর্য কোনো______ বাচক শব্দ নয়।
উঃ জাতি।
২৪) বেদ শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে? এর অর্থ কি?
উঃ বিদ শব্দ থেকে। এর অর্থ জ্ঞান।
২৫) আদি বৈদিক যুগের ইতিহাস জানার একমাত্র উপাদান ______।
উঃ ঋকবেদ।
২৬) সংহিতা শব্দের অর্থ কি ?
উঃ সংকলন করা।
২৭) কোন বেদ সুর করে গানের মতো গাওয়া হয়?
উঃ সামবেদ।
২৮) যজুর্বেদ থেকে কি জানা যায়?
উঃ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের দরকারই মন্ত্রগুলি জানা যায়।
২৯) অথর্ব বেদ থেকে কি জানা যায়?
উঃ জাদুমন্ত্র , মায়াবিদ্যা।
৩০) সংহিতা গুলি ব্যাখ্যা করবার জন্য তৈরি হয়েছিল_________।
উঃ ব্রাহ্মণ।
৩১) মহাকাব্য কথার অর্থ কি ?
উঃ মহৎ কাব্য বা কবিতা।
৩২) প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় মহাকাব্যের নাম কি ?
উঃ রামায়ণ ও মহাভারত।
৩৩) দশ রাজার যুদ্ধ কোথা থেকে জানতে পারি ?
উঃ ঋকবেদ।
৩৪) ভরত গোষ্ঠীর রাজার নাম কি ?
উঃ সুদাস।
৩৫) বৈদিক যুগের দুটি মুদ্রার নাম লেখ।
উঃ নিস্ক, শতমান।
৩৬) বৈদিক যুগে সমাজ ছিল________।
উঃ পিতৃতান্ত্রিক।
৩৭) বৈদিক সমাজের প্রধান ছিল কে ?
উঃ পিতা।
৩৮) ঋক বৈদিক যুগে যে চতুর বর্ণের কথা জানা যায় তা লেখ।
উঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র।
৩৯) বেদের অপর নাম কি ?
উঃ শ্রুতি।
৪০) বেদের অপর নাম শ্রুতি কেন ?
উঃ বৈদিক সাহিত্যকে প্রধানত শুনে শুনে মনে রাখতে হতো বলে বেদের অপর নাম শ্রুতি।
৪১) বৈদিক যুগে শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন ছিল ?
উঃ বৈদিক যুগে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান ছিলেন গুরু। ছাত্র বা শিক্ষা নেওয়ার জন্য গরুর কাছে আবেদন করত। বেদ পাঠ করানোর মধ্য দিয়েই ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়া হতো। সেই সঙ্গে গণিত, ব্যাকরণ ও ভাষা শিক্ষার উপরেও জোর দেওয়া হত। এছাড়া অস্ত্র চালনা, চিকিৎসা, নাচ ও গানের চর্চা চলতো। বারো বছর ধরে এই শিক্ষা গ্রহণ চলতো। সেই বারো বছর শেষে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতো। শেষে তাদের স্নাতক বলে ঘোষণা করা হতো।
৪২) মহাপঞ্চগব্রত বলতে কী বোঝো ?
উঃ জৈন ধর্মের চারটি মূলনীতি হল - ক)কোন প্রাণী হত্যা না করা, খ)মিথ্যা কথা না বলা, গ)অন্যের জিনিস ছিনিয়ে না নেওয়া, ঘ)নিজের জন্য কোনো সম্পত্তি না করা। মহাবীর এই চারটি নীতির সঙ্গে আরও একটি নীতি যোগ করেন ঙ)ব্রহ্মচর্য নীতি জৈনদের মেনে চলা উচিত। এই পাঁচটি নীতিকে মহাপঞ্চব্রত বলা হয়।
৪৩) ধর্মচক্র প্রবর্তন কি?
উঃ গৌতম বুদ্ধ সারনাথে প্রথম পাঁচজন সঙ্গীর মধ্যে তার উপদেশ প্রচার করেছিলেন। তাদের কাছেই তিনি মানুষের জীবনে দুঃখের কারণগুলি ব্যাখ্যা করেছিলেন। এই ঘটনাকেই ধর্মচক্র প্রবর্তন বলা হয়েছে।
৪৪) আদি বৈদিক সমাজে কবাধি পশু ছিল প্রধান সম্পদ।
উঃ সত্য।
৪৫) পরবর্তী বৈদিক সমাজে নারীদের অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল।
উঃ মিথ্যা।
৪৬) বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান প্রচারক কে বলা হতো তীর্থঙ্কর ।
উঃ মিথ্যা।
৪৭) ভাগ্ ও বলি এক ধরনের মুদ্রা ।
উঃ মিথ্যা।
৪৮) যারা মনে থাকে তারা আটোবিক।
উঃ সত্য।
৪৯)বৈদিক সাহিত্যের কয়টি ভাগ ও কি কি?
উঃ সমগ্র বৈদিক সাহিত্যকে চার ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- ক)সংহিতা, খ) ব্রাহ্মণ, গ)আরণ্যক, এবং ঘ)উপনিষদ।
৫০) বৌদ্ধ ধর্মের ত্রিরত্ন কি কি?
উঃ বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান ব্যক্তি হলেন গৌতম বুদ্ধ। তার প্রচার করা ধর্মই হল বৌদ্ধ ধর্ম। বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের দায়িত্ব ছিল বৌদ্ধ সংঘের। এই তিনের মিলনে হয় বুদ্ধ - ধর্ম - সংঘ। এই তিনটি হল বৌদ্ধ ধর্মের ত্রিরত্ন।
৫১) জৈন ধর্মের ত্রিরত্ন কি কি?
উঃ ক)সৎ বিশ্বাস, খ) সৎ জ্ঞান, গ) সৎ আচরণ।
৫২) বৈদিক সাহিত্যের ভাগ গুলি কি কি? এদের সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ?
উঃ সমস্ত বৈদিক সাহিত্যকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল - সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ। সংহিতা আবার চারটি ভাগে বিভক্ত - ঋক, সাম, যজু ও অথর্ব। সংহিতা গুলিকে ব্যাখ্যা করার জন্য তৈরি হয়েছিল ব্রাহ্মণ। ইহা গদ্যে রচিত। ব্যাখ্যা ও নানা চিন্তা ভাবনা আরণ্যক সাহিত্যে দেখা যায়। আর বেদের নানা তত্ত্বের বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও চিন্তা ভাবনা উপনিষদে আছে।
৫৩) মেগালিথ কি? প্রাচীন ভারতে কি কি ধরনের পাথরের সমাধি পাওয়া গেছে ?
উঃ মেগালিথ হলো বড় পাথরের সমাধি।
প্রাচীন ভারতে মৃত ব্যক্তিদের বড় বড় পাথর দিয়ে সমাধি করা হতো। সেগুলি নানা রকমের দেখতে হতো। কোথাও আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা বড় একটি পাথর। কোথাও বৃত্তাকারে সাজানো অনেক পাথর। কোথাও অনেকগুলো পাথর ঢাকা দেওয়া রয়েছে একটি বড় পাথর। কোথাও পাহাড় কেটে গুহার ভেতরে থাকা সমাধি।
৫৪) চতুরাশ্রম টীকা লেখ?
উঃ পরবর্তী বৈদিক যুগে জীবনযাপনের চারটি ভাগ ছিল। সেগুলি হল - ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ, বানপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস।
ছাত্র অবস্থায় গুরুর গৃহে থেকে শিক্ষা লাভ করা ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রম। শিক্ষা লাভের পর বিয়ে করে সংসার জীবন যাপনকে বলা হত গার্হস্থ্যাশ্রম। সংসার থেকে দূরে বনের মধ্যে কুটির বানিয়ে ধর্মচর্চা করাকে বলে বানপ্রস্থাশ্রম এবং সবকিছু ভুলে ঈশ্বরের চিন্তায় শেষ জীবন কাটানো কে বলা হতো সন্ন্যাস আশ্রম। এই চারটি পর্যায় কে বলা হতো চতুরাশ্রম।
৫৫) মহাবীর কোথায় দেহত্যাগ করেন ?
উঃ ৭২ বছর বয়সে পাবা নগরীতে।
৫৬) দ্বাদশ অঙ্গ বলতে কী বোঝো ?
উঃ জৈন ধর্মের মূল উপদেশ গুলিকে বারোটি ভাগে সাজানো হয়েছিল। এই ভাগগুলিকে অঙ্গ বলা হত। সংখ্যায় বারটি বলে এদের একসঙ্গে দ্বাদশ অঙ্গ বলা হয়।
৫৭) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে কোন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
উঃ জৈন ধর্ম।
৫৮) দিগম্বর কাদের বলা হয় ?
উঃ চন্দ্রগুপ্তের শাসনের শেষ দিকে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়। তখন অনেক জৈন সন্ন্যাসী দাক্ষিণাত্যে চলে যায়। তখন তাদের নেতা ছিলেন ভদ্রবাহু। মহাবীরের মতোই ভদ্রবাহু ও তার অনুগামীরা কোনো পোশাক পড়তেন না। তাই তাদেরকে দিগম্বর বলা হত।
৫৯) শেতাম্বর কাদের বলা হত ?
উঃ চন্দ্রগুপ্তের শাসনের শেষ দিকে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়। তখন স্থূল ভদ্রের নেতৃত্বে তারা পার্শ্বনাথের মতো একটা সাদা কাপড় ব্যবহারের পক্ষপাতী ছিলেন। এইসব জৈন সন্ন্যাসীদের শেতাম্বর বলা হত।
৬০) গৌতম বুদ্ধের প্রথম নাম কি ছিল ?
উঃ সিদ্ধার্থ।
৬১) গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
উঃ কপিলাবস্তুর শাক্য বংশে।
৬২) গৌতম বুদ্ধ কবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
উঃ খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৬ অব্দে।
৬৩) বুদ্ধের প্রচারিত ধর্মকে কি বলা হয়?
উঃ বৌদ্ধ ধর্ম।
৬৪) সিদ্ধার্ত কোথায় বসে জ্ঞানলাভ করেছিলেন?
উঃ গয়ার কাছে একটি পিপুল গাছের নিচে বসে তপস্যা করে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। তাই এই গাছটিকে বোধ বৃক্ষ বলা হয়।
৬৫) গৌতম বুদ্ধ কবে কোথায় মারা গিয়েছিলেন?
উঃ খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৬ অব্দে কুশিনগড়ে ৪৫ বছর বয়সে মারা যান।
৬৬) বুদ্ধের পায়ের ছাপ এর মাঝে_________ রয়েছে।
উঃ ধর্মচক্র।
৬৭) শেষ নন্দ রাজার নাম কি?
উঃ ধননন্দ।
৬৮) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ পাটলিপুত্র।
৬৯) কার সময়ে কলিঙ্গ যুদ্ধ হয়েছিল?
উঃ অশোক।
৭০) অশোক কোন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
উঃ বৌদ্ধ।
৭১) অশোক কি উপাধি ধারণ করেন?
উঃ প্রিয়দর্শী।
৭২) ইন্ডিকা বইটি কার লেখা?
উঃ মেগাস্থিনিস।
৭৩) গৌতম বুদ্ধ মারা যান কোথায়?
উঃ কুশিনগড়ে।
৭৪) ভারতের জাতীয় প্রতীক কোনটি? এটি কোথায় পাওয়া গেছে ?
উঃ অশোক স্তম্ভ ।এটি সারনাথে পাওয়া গেছে।
৭৫) ভারতের প্রথম সাম্রাজ্যের নাম কি?
উঃ মৌর্য সাম্রাজ্য।
৭৬) কার রাজত্বকালে আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেছিলেন?
উঃ ধননন্দ।
৭৭) কোন শিলা লেখে ভারত বর্ষ কথাটি ব্যবহার ছিল?
উঃ হাতিগুম্ফা।
৭৭) মহা ক্ষত্রপ উপাধি কে ধারণ করেছিল ?
উঃ রুদ্রদামন।
৭৯) দমঅর্ত কথার অর্থ কি ?
উঃ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কর্তা।
৮০) কবে থেকে গুপ্তাব্দ শুরু হয়?
উঃ ৩১৯ - ২০ ।
৮১) হর্ষবর্ধন কোন রাজ্যের রাজা ছিলেন?
উঃ কনৌজ।
৮২) হর্ষবর্ধনের বোনের নাম কি?
উঃ রাজ্যশ্রী।
৮৩) হর্ষবর্ধন কবে সিংহাসনে বসেছিলেন?
উঃ ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে।
৮৪) সি ইউ কি গ্রন্থের লেখক কে?
উঃ সুয়ান জাং।
৮৫) নাসিক প্রশস্তি কার লেখা?
উঃ গৌতমীপুত্র সাতকর্ণী।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.