ব্যাকরণ শিক্ষা দানের পদ্ধতি
ব্যাকরণ শিক্ষাদান করা হয় কিভাবে
১) ব্যাকরণ শিক্ষাদান কিভাবে সার্থক করে তোলা যায় তা আলোচনা কর।
উঃ শিক্ষার্থীদের ব্যাকরণ শিক্ষাদান সফল ও সার্থক করে তুলতে হলে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলিকে সচেতন ভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
উপযুক্ত শিক্ষকঃ
ব্যাকরণ শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত শিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের প্রয়োজন।যাতে খুব সহজসাধ্য পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা ব্যাকরণ শিখতে পারে - তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে। মনস্তাত্ত্বিক উপায়ে শিক্ষকমহাশয় শিক্ষার্থীদের মানসিকতা যেমন বিচার করবেন অন্যদিকে বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত হবেন।
পাঠ্যক্রমঃ
ব্যাকরণ শিক্ষণের ক্ষেত্রে পাঠ্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, বিচার,বুদ্ধি ও শক্তি অনুযায়ী সঠিক ভাষা ব্যবহারের ওপর দক্ষতা না জন্মালে ব্যাকরণ পাঠ দেওয়া ঠিক নয়।প্রতিটি শ্রেনীর জন্য সুনির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম থাকা একান্ত প্রয়োজন।সেই পাঠ্যক্রম রচিত হবে শিক্ষার্থীদের মানসিক বয়স,রুচি ও সামর্থ্য অনুযায়ী।
পাঠ্যপুস্তকঃ
অধিকাংশ বাংলা ব্যাকরণে সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুসরণে রচিত। সংস্কৃত ব্যাকরণের পদ্ধতি পরিত্যাগ করে খাঁটি বাংলা ব্যাকরণ রচনা করতে হবে। প্রথমে সংজ্ঞা না বলে উদাহরণ সহযোগে বিষয়টিকে বুঝিয়ে পরে সংজ্ঞায় নিয়ে যেতে হবে।
শিক্ষা সহায়ক উপকরণঃ
সঠিকভাবে ব্যাকরণ পাঠদানের জন্য শিক্ষা সহায়ক উপকরণ গুলির উপযোগিতা যথেষ্ট। ব্যাকরণের ক্লাসে নানা রকম চার্ট সুন্দর ও সুসজ্জিতভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা ওইসবের প্রতি আকৃষ্ট হয়।ব্ল্যাকবোর্ডের সাহায্যে ব্যাকরণের প্রতিটি সূত্র লিখে লিখে উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দিতে হবে। এর ফলে ছাত্ররা ব্যাকরণ পাঠের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণঃ
নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণে পাঠটিকা রচনা করে সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পাঠ দিতে হবে। পাঠ পরিকল্পনায় আরোহী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং পাঠটিকাটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে রচিত হবে।
পরিশেষে বলা যায় ব্যাকরণ এমনভাবে শিক্ষা দিতে হবে যাতে ভাষা ও সাহিত্যের আনন্দ পরিবেশ যেন ব্যাহত না হয়। ব্যাকরণ যেন ভাষাকে অতিক্রম না করতে পারে।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.