Class 11 bengali(একাদশ শ্রেণীর বাংলা)
সুয়েজ খালে : হাঙ্গর শিকার
স্বামী বিবেকানন্দ
(১) মনটা বড়ই ক্ষুন্ন হলো কারণ কি?
উঃ হাঙ্গর মিঞারা একটু সরে গেছে।
(২) "তার তো উৎসাহের সীমা নেই"- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উঃ জাহাজের সেকেন্ড ক্লাসের একজন ফৌজি লোকের কথা বলা হয়েছে।
(৩) "বনিট মাছ শুটকি রূপে আমদানি হয়"- কোথা থেকে ?
উঃ মালদ্বীপ থেকে।
(৪) খালাসিরা কিভাবে জাহাজের মাল নামিয়ে দিচ্ছিল?
উঃ খালাসিরা কুলি হয়ে ক্রেনে করে আলটপকে জাহাজের মাল নামাচ্ছিল।
(৫) "কিন্তু নিহাত হতাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই"- কারণ কি?
উঃ টোপ লক্ষ্য করে বাঘার গা ঘেঁসেই এক থ্যাবড়া মুখো আসছে।
(৬) "দোতরফা ছোঁয়াছুঁয়ির ভয়"- দোতরফা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উঃ মিশরের প্লেগ আক্রান্ত রোগী এবং ভারতের প্লেগ আক্রান্ত রোগীর কথা বলা হয়েছে।
(৭) পাইলট ফিস কোন মাছকে বলা হয়?
উঃ আড়কাটি মাছকে।
(৮) রেড সি কোন সাগরকে বলা হয়?
উঃ লোহিত সাগর।
(৯) "আহা কি নিষ্ঠুর"- কথাটি কে বলেছেন?
উঃ জাহাজের মহিলা যাত্রীরা।
(১০) হাঙ্গর চোষক বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ?
উঃ হাঙ্গরের গায়ের পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকা মাছেদের হাঙ্গর চোষক বলা হয়েছে।
(১১) হাঙ্গরের সামনে ও আশেপাশে চলা মাছেদের কি বলে?
উঃ সামনের দিকে থাকে পাইলট ফিস বা আড়কাটি মাছ এবং আশেপাশে থাকে হাঙ্গর চোষক।
(১২) হাঙ্গরের মাথায় কি দিয়ে আঘাত করতে বলা হয়েছে?
উঃ কড়িকাঠ।
(১৩) হাঙ্গরের লেজের ছাপটায় কার ঠ্যাং ভেঙে যেতে পারে?
উঃ ঘোড়ার।
(১৪) "আমি একাই ঠকবো"- আমি কে?
উঃ বাঘা হাঙ্গর।
(১৫) "স্বর্গে ইঁদুর বাহন প্লেগ পাছে উঠে"- স্বর্গ কি ?
উঃ ইউরোপ।
(১৬)আফ্রিকা বেড়ে ভারতে আসার নতুন পথ কারা আবিষ্কার করে ?
উঃ পর্তুগিজরা।
(১৭) ফরাসিদের পরামর্শে কাদের অর্থে সুয়েজ খাল খনন করা হয় ?
উঃ ফরাসিদের অর্থে।
(১৮) সুয়েজ খাল এখন কাদের হাতে?
উঃ ফরাসিদের হাতে কিন্তু বর্তমানে এর অধিকাংশ শেয়ার ইংরেজদের থাকে।
(১৯)সুয়েজ বন্দর ছাড়া অন্য কোথায় বেশি হাঙ্গর দেখা যায় ?
উঃ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বন্দরে।
(২০) "নিশ্চিত পেটের খবর দিয়ে তাকে সাবধান করে দিল"- কাকে?
উঃ থ্যাবড়া মুখো হাঙ্গর কে।
(২১) সুয়েজ বন্দরের তিনদিকে কি অবস্থিত?
উঃ বালির ঢিবি ও পাহাড়।
(২২)"এটি রাজনৈতিক মীমাংসা"- কোন ঘটনাকে রাজনৈতিক মীমাংসা বলা হয়েছে?
উঃ সুয়েজ খাল ফরাসিদের হাতে থাকলেও সুয়েজ খালের অধিকাংশ শেয়ার বর্তমানে ইংরেজদের। তবুও এই খালের উঃ সমস্ত কাজ ফরাসিরা করে থাকে। এটাই রাজনৈতিক মীমাংসা।
(২৩) "একথা ইউরোপীয়রা স্বীকার করতে চায় না"- কোন কথা?
উঃ আমেরিকা প্রভৃতি দেশে ভারতের জিনিসপত্র অনেক জায়গায় ভারতের চেয়ে ভালো উৎপন্ন হচ্ছে। তাই ভারতের আর কদর নেই। এই কথাটাই ইউরোপীয়রা স্বীকার করতে চায় না।
(২৪)"সে কুয়োর ঘটি তলার ঠাকুর দাদা"- সে বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উঃ বড়শির কথা।
(২৫) কত তারিখে জাহাজ রেড সি পার হয়ে সুয়েজ বন্দরে পৌঁছেছিল?
উঃ ১৪ ই জুলাই।
(২৬) "আমরা তাড়াতাড়ি উপস্থিত হলাম"- কারণ কি ?
উঃ জাহাজের পিছনের দিকে বড়ো বড়ো হাঙ্গর ভেসে বেড়াচ্ছে। এটা দেখার জন্যই লেখকরা তাড়াতাড়ি উপস্থিত হলেন।
(২৭)"ওর মাংস লাল বড় সুস্বাদু"- কিসের মাংস?
উঃ বনিটো মাছের।
(২৮)প্রথম হাঙরটি দ্বিতীয় হাঙরকে কি বলেনি?
উঃ শিকার ধরার বিষয়ে সাবধান হতে বলেনি।
(২৯) সুয়েজ বন্দর একটি কি বন্দর ?
উঃ প্রাকৃতিক বন্দর।
(৩০)কারাটিন শব্দের অর্থ কি?
উঃ আবদ্ধ।
(৩১) "তোমাদের প্রণাম করি"- কে কাদের প্রণাম করেছে?
উঃ লেখক স্বামী বিবেকানন্দ ভারতের চিরপদদলিত শ্রমজীবীদের প্রণাম জানিয়েছেন।
(৩২) "সেদিন আমার খাওয়া দাওয়ার দফা মাটি হয়ে গিয়েছিল"- সেদিন লেখকের খাওয়া-দাওয়ার দফা মাটি হয়ে গিয়েছিল কেন? ঘটনার বর্ণনা দাও।
উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত 'সুয়েজ খালে হাঙ্গর শিকার' নামক গদ্যাংশের অন্তর্গত আলোচ্য অংশে লেখকরা যে জাহাজে ছিলেন সেই জাহাজে সব জিনিস এই হাঙ্গরের গন্ধবোধ করছিলেন। তাই লেখকের খাওয়া-দাওয়ার দফা মাটি হয়ে গিয়েছিল।
লেখকদের জাহাজের পিছনের দিকে হাঙ্গর ভেসে বেড়াচ্ছে দেখে সেকেন্ড ক্লাসের একজন ফৌজি লোক হাঙ্গর শিকারের জন্য খুব উৎসাহী হয়ে ওঠেন। তিনি সেই জাহাজ থেকেই একটি বড়শি, শের খানেক মাংস ও একটা মোটা কাছি জোগাড় করে বরশিতে টোপ লাগিয়ে জলে ফেলে দেন। ঘটনাক্রমে থ্যাবড়া মুখো হাঙ্গর টি ওই টোপ গিলে নেয়। তারপর সকলে মিলে জল থেকে হাঙ্গরটিকে তোলা হলে, ফৌজি লোকটি একটি কড়িকাঠ দিয়ে হাঙ্গর এর মাথায় ঘা মেরে জখম করতে থাকে।অবশেষে তার পেট চিরে অস্থি,চর্ম, মাংস এবং একরাশ কাঠকুটো বেরোলো। ফলে হাঙ্গরের রক্তে যেন নদীর স্রোত বইতে লাগলো। তাই লেখক বলেছেন সেই জাহাজে সব জিনিসের মধ্যে হাঙরের গন্ধে সেদিন তার খাওয়া দাওয়ার দফা মাটি হয়ে গিয়েছিল।
(৩৩) সুয়েজ খালে হাঙ্গর শিকার গল্প অবলম্বনে লেখক ভারতের শ্রমজীবী সম্পর্কে যা বলেছেন তা লেখ।
উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজ খালে হাঙ্গর শিকার গল্পাংশে সুয়েজ খালে হাঙ্গর শিকারের পাশাপাশি ভারতের শ্রমজীবী সম্পর্কে একটি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন এই শ্রমজীবীরা আবহমান কাল ধরে নিরবে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু তাদের পরিশ্রমের ফল তারা পাচ্ছে না ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক নিয়মে এই পৃথিবীতে নানা পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু এই শ্রমজীবীদের কোন পরিবর্তন হয়নি।
তাই তিনি ভারতের শ্রমজীবী সম্পর্কে বলেছেন, হে ভারতের শ্রমজীবী, তোমরা নীরব , তোমরা নিদিত তোমাদের পরিশ্রমের ফলেই এই সভ্যতার ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কে ভাবে এই কথা। তোমাদের পিতৃপুরুষ দুখানা দর্শন লিখেছেন, দশখানা কাব্য বানিয়েছে, দশটি মন্দির করেছেন। তাদের ডাকের চটে গগন ফাটে। আর যাদের কঠোর পরিশ্রমে এই মনুষ্য জাতির সব উন্নতি তার গুনগান কেউ করে না। লোক জয়ী ধর্মবির সকলের পুজো হয়। কিন্তু এই শ্রমজীবীদের কেউ দেখে না। কেউ বাহবা দেয় না। সেখানে বাস করে অপার সহিষ্ণুতা, অনন্ত প্রীতি ও নির্ভীক কার্যকারিতা। বড়ো কাজ হাতে আসলে অনেকেই বীর হয়। ১০ হাজার লোকের বাহবার সামনে কাপুরুষও অক্লেসে প্রাণ দেয়। কিন্তু অতি ক্ষুদ্র কাজে সকলের অজান্তে যারা নিঃস্বার্থভাবে কর্তব্য করে যাচ্ছে তারাই ধন্য। তারা হলেন ভারতের চিরপদদলিত শ্রমজীবী।এই ভাবেই লেখক ভারতের শ্রমজীবীদের সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।
(৩৪) "তাই ভারতের আর ততো কদর নেই"
অথবা
"এ কথা ইউরোপীয়রা স্বীকার করতে চায় না "
---তাৎপর্য লেখ।
উঃ আলোচ্য অংশটি স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজ খালে হাঙ্গর শিকার গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
ভারতবর্ষে উৎপন্ন দ্রব্য সামগ্রীর চেয়ে বাইরের দেশে আরো ভালো উৎপন্ন হচ্ছে ।এবং এই ভারতবর্ষের শ্রমজীবীরা যে সকলের অজান্তে পরিশ্রম করে সভ্যতার উন্নতি ঘটাচ্ছে তারই বর্ণনা প্রসঙ্গে আলোচ্য প্রসঙ্গটি এসেছে।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.