জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী madhyamik bengali ganchokkhu

  পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বাংলা সিলেবাসের অন্তর্গত মহাশ্বেতা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে।       

            ‌ জ্ঞানচক্ষু

              আশাপূর্ণা দেবী


(১) জ্ঞানচক্ষু শব্দের অর্থ কি?

উঃ অন্তর্দৃষ্টি বা জ্ঞানরূপ দৃষ্টি।

(২) কাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?

উঃ নতুন মেসোমশাই কে দেখে।

(গ) তপনের মেসোমশাই কে ছিলেন?

উঃ একজন লেখক ও প্রফেসার।

(ঘ) "এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের"- কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?

উঃ লেখকরা যে তপনের বাবা ছোট মামা বা মেজ কাকুর মত মানুষ হতে পারে সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।

(ঙ) মেসোমশাই কোন পত্রিকার সম্পাদক কে চিনতেন?

উঃ সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদককে।

(চ) তপন কটা গল্প লিখেছিল?

উঃ দুটো।

(ছ) সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সূচিপত্রে তপনের নাম কি লেখা ছিল?

উঃ শ্রী তপন কুমার রায়।

(জ) তপনের লেখা গল্পটির নাম কি ছিল?

উঃ প্রথম দিন।

(ঝ) "শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন"- তপনের সংকল্প কি ছিল?

উঃ যদি কখনো লেখা ছাডপতে হয় তপন নিজে গিয়ে তা পত্রিকায় দেবে। এটাই ছিল তপনের সংকল্প।

(ঞ) "তপন আর পড়তে পারে না"- কেন তপন করতে পারে না?

উঃ সন্ধ্যা তারা পত্রিকায় প্রকাশিত নিজের গল্প পড়তে গিয়ে যখন তপন দেখে যে, মেসোমশাই তার পুরোটাই কারেকশন করে দিয়েছে তখনই সে আর পড়তে পারে না।

(ট) বুকের রক্ত ছোলকে ওঠে তপনের কারন কি?

উঃ তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোট মাসি আর মেসোমশাই এর কাছে সন্ধ্যা তারা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। কারণ তাতেই তার গল্প প্রকাশের কথা ছিল।

২.(ক) জ্ঞানচক্ষু গদ্যাংশে নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর।

উঃ      কোন গল্পাংশের নামকরণ বা কোন শিল্পের নামকরণের পিছনে লেখকের মানসিক অভিপ্রায় লুকিয়ে থাকে কখন তিনি গল্পংশের প্রধান চরিত্রের নামে নামকরণ করে থাকে কখন কোন বিশেষ বস্তু বা ঘটনাকে নামকরণের জন্য বেছে নেন আবার কখন নামকরণ করে থাকেন তাই এদিক থেকে বিচার করে আলোচ্য গল্পের নাম কতখানি সার্থকতা লাভ করেছে তা আলোচনা করা হলো। 

            জ্ঞানচক্ষু শব্দের অর্থ হল অন্তর্দৃষ্টি বা জ্ঞান রূপ দৃষ্টি। আলোচ্য গল্পাংশে তপন চরিত্রটির জ্ঞানচক্ষুর উম্মীলন ঘটেছে। তপনের বই পড়ার নেশা ছিল প্রবল। সে লিখতেও যথেষ্ট ভালোবাসতো। তপনের ছোট মেসো বই লিখতেন আর সেই বই ছাপাও হত। এক কথায় বলা হয় তপনের ছোট মেসো ছিলেন একজন লেখক সেই ছোট মেসোকে সামনে থেকে দেখে যেন তার স্বপ্নপূরণ হলো ছোট মেসোর সঙ্গে যেহেতু সন্ধ্যা তারা পত্রিকার সম্পাদকের চেনাশোনা ছিল সেহেতু তপনের লেখা গল্পটিও সেই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল তখন লজ্জায় অপমানে দুঃখে সে মাটিতে মিশে গিয়েছিল তার লেখা থেকে সম্পূর্ণ সংশোধন করে দিয়েছেন।

          পরিশেষে বলা যায় লেখক এর মনে ভাব প্রকাশক  বক্তব্যগুলিকে প্রকাশ করাই লেখকের সার্থকতা, তার মধ্য দিয়েই তিনি জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান। আর সেই লেখা যখন অন্যের দ্বারা সংশোধিত হয় তখন তার নিজস্বতা বলে আর কিছুই থাকে না। তপনের লেখা গল্পটি যে তার নিজেরই লেখা। কিন্তু সংশোধন হওয়ার পর সে নিজেই বুঝতে পারে না। তাই তার মতে এটি নিজের ব্যর্থতা। এভাবে তপনের অন্তর্দৃষ্টি জেগে উঠেছে।তাই গল্পের নামকরণ জ্ঞানচক্ষু যথার্থই স্বার্থক ও ব্যঞ্জনাধর্মী হয়ে উঠেছে।



Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)