কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি।। কর্ভাস।। সত্যজিৎ রায়

সত্যজিৎ রায় রচিত প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরির অন্তর্গত অংশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর সহ আলোচনা করা। 

প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি (গল্প) সত্যজিৎ রায়– নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali professor shankur diary Question and Answer

 Question and Answer: প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি (গল্প) সত্যজিৎ রায়– নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Professor shankur Dairy Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBBSE Class 9th Bengali Professor shankur Dairy Question and Answer, Suggestion, Notes | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি (গল্প) সত্যজিৎ রায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 9th Nine IX Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন (প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি (গল্প) সত্যজিৎ রায়– নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Professor shankur Dairy hQuestion and Answer) গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

 তোমরা যারা কর্ভাস (প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি) সত্যজিৎ রায়– নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Corvas Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

রাজ্য (State)পশ্চিমবঙ্গ ,(West Bengal)বোর্ড (Board),WBBSEশ্রেণী (Class)নবম শ্রেণী (WB Class 9)বিষয় (Subject)নবম শ্রেণীর বাংলা (Class 9 Bengali) গল্প (golpo) কর্ভাস  (corvus)লেখক (Writer) সত্যজিৎ রায় (বাংলা গল্প) সত্যজিৎ রায়– নবম শ্রেণী, নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 9th Bengali Professor shankur Dairy CORVUS Question and Answer 

MCQ | কর্ভাস (গল্প) সত্যজিৎ রায়– নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Professor shankur Dairy- CORVUS Question and Answer :

                                                       কর্ভাস 


১) কর্ভাস কি ?

উঃ কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম হল কর্ভাস

২) শঙ্কুর তৈরি পাখি পড়ানোর যন্ত্রের নাম কি ?

উঃ অরনিথন যন্ত্র 

৩) অরনিথন যন্ত্র-- টীকা লেখ।

উঃ প্রফেসর শঙ্কুর তৈরি পাখি পড়ানোর যন্ত্র বিশেষ হল অরনিথন যন্ত্র। এই যন্ত্রের দুটি অংশ ছিল- একটি অংশ খাঁচার মতো, যেখানে পাখি থাকবে আর একটি অংশ খাঁচার সঙ্গে বৈদ্যুতিক যোগাযোগ থাকবে। সেই দ্বিতীয় অংশ থেকেই পাখির মস্তিষ্কে জ্ঞান ও বুদ্ধি চালিত হবে। কাকটিকে অরনিথন যন্ত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে যন্ত্রের বোতাম টিপলেই কাকটির চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসত এবং নড়াচড়া বন্ধ করে স্থির হয়ে থাকতো।

 ৪) অরনিথন যন্ত্রের কাজ কবে শেষ হয়েছিল ?

উঃ 27 শে সেপ্টেম্বর 

৫) আর্গাস কে ছিলেন ?

উঃ একজন বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর ।

৬) আর্গাসের চশমার পাওয়ার কত ছিল ?

উঃ মাইনাস কুড়ি 

৭) ম্যানিফিকো শব্দের অর্থ কি ?

উঃ চমকপ্রদ বা অসামান্য 

৮) আর্গাসের হাতে কোন রঙের নেলপালিশ ছিল ?

উঃ রুপালি রঙের 

৯) আর্গাসের আসল নাম কি ছিল ?

উঃ দ্যেমিনগো বার্তেলেমে সারমিয়েনতো 

১০) আর্গাস কত বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করে ?

উঃ ১৯ বছর বয়স থেকে 

১১) "যেন জিনিসটার মূল্য সে ভালোভাবেই জানে"-- কে কোন জিনিসের মূল্য জানে ?

উঃ কর্ভাস আর্গাসের -20 পাওয়ারের সোনার চশমার কথা ভালোভাবেই জানে ।

১২) কর্ভাস কোন গাছের উপর বসেছিল ? 

উঃ এ্যাকেসিয়া 

১৩) আর্গাস কত টাকা দিয়ে কর্ভাসকে কিনতে চেয়েছিল ? 

উঃ 10000 এসকুডো অর্থাৎ প্রায় 15 হাজার টাকা 

১৪) এসকুডো কি ?

উঃ চিলির মুদ্রার নাম 

১৫) কর্ভাস কিভাবে আর্গাকে জব্দ করেছিল ?

উঃ কর্ভাস আর্গাসের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা ঠোঁটে করে নিয়ে গাছের উঁচু ডালে উঠে পড়েছিল। ফলে প্রায় অন্ধ আর্গাস পুলিশসহ শঙ্কুর হাতে ধরা পড়েছিল।

১৬) আর্গাসের চেহারার বর্ণনা দাও।

উঃ জাদুকর আর্গাসের নাক ছিল পাখির মতো, মাঝখানে সিঁথি করা চুল পিছনে আঁচড়ানো, চোখে মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা দিয়ে মনিগুলোকে দেখাতো বিন্দুর মতো এবং উচ্চতা ছিল প্রায় সাড়ে ছয় ফুট।

১৭) "কর্ভাস যে এখন সাধারণ সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়"--- কি করে বোঝা যায় কর্ভাস সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায় ? 

উঃ সেদিন ছিল ২২শে অক্টোবর। দুপুরে হঠাৎ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল। বেলা তিনটে নাগাদ একটা কান ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ শুনে জানালার কাছে গিয়ে প্রফেসর শঙ্কু দেখলেন যে, তার বাগানের শিমুল গাছের মাথা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থামার পর, সেই তল্লাটে যত কাক ছিল সব ওই মরা শিমুল গাছটার জড়ো হয়ে কোলাহল করছিল। তখন তিনি চাকর প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠালেন।  সে ফিরে এসে জানালো একটা কাক মরে পড়ে আছে গাছটার নিচে। তাই সমস্ত কাক সেখানে হল্লা লাগিয়েছে। কিন্তু কর্ভাস ঘর থেকে বের হবার কোনো আগ্রহ দেখালো না। সে একমনে পেন্সিল মুখে দিয়ে প্রাইম নাম্বার লিখে যাচ্ছিল। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে,কর্ভাস এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়।

১৮) পাখি সম্পর্কে প্রফেসর শঙ্কুর কৌতুহলের পরিচয় দাও।

উঃ প্রত্যেক প্রাণীরই কিছু নির্দিষ্ট সহজাত ক্ষমতা থাকে। প্রফেসর শঙ্কুর ধারণায়, অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় পাখির ক্ষমতা আরো বেশি বিস্ময়কর। একটা বাবুই পাখির বাসা হাতে নিয়ে দেখলে অবাক হতে হয়। একজন মানুষকে যদি ঐরকম একটা বাসা তৈরি করতে বলা হয় সেই কাজটা আদৌ করতে পারা যাবে না আর করা গেলেও অনেক পরিশ্রম লেগে যাবে।

             অস্ট্রেলিয়ার ম্যানিফাউল পাখি মাটিতে বাস করে। তারা ডিম পাড়ে বাসার ভেতরে কিন্তু ডিমে তা দেয় না। তারা এক আশ্চর্য অজ্ঞাত কৌশলে বাসার ভেতরে তাপমাত্রা 78 ডিগ্রী ফারেনহাইটের 1 ডিগ্রীও এদিক ওদিক হতে দেয় না। তারা নিজেদের পালক নিজেরাই ছিঁড়ে খায় এবং শাবকদের খাওয়ায়। এরা জলে ভাসমান অবস্থায় কোন শত্রুর আগমনের ইঙ্গিত পেলে নিজের দেহে ও পালক থেকে বায়ু বের করে দিয়ে শরীরে স্পেসিফিক গ্রাভিটি বাড়িয়ে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকতে পারে। এছাড়াও যাযাবর পাখির দিক নির্ণয় ক্ষমতা, ঈগল,বাজের শিকার ক্ষমতা, শকুনের ঘ্রাণশক্তি প্রভৃতি সম্পর্কে প্রফেসর শঙ্কুর এরকম ধারনা ছিল। 

১৯)  "ওই পাখি আমার চাই প্রফেসর"-- বক্তা কে ? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি ? শেষ পর্যন্ত তিনি কী করেছিলেন?

উঃ সত্যজিৎ রায় রচিত "প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি" গল্পের অন্তর্গত কর্ভাস" অংশের আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস।

                   আর্গাস পাখি নিয়ে ম্যাজিক দেখাতেন। তিনি খবরের কাগজে কর্ভাসের সংবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই তিনি হোটেলে প্রফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় ভদ্রতাবশত শঙ্কু তাকে ঘরে ডেকে পাঠান। কর্ভাস বিরক্ত হয়ে খাঁচা থেকে বেরিয়ে ঠোঁট দিয়ে আলো নিভিয়ে আবার খাঁচায় ঢুকে ঠোট দিয়ে খাঁচার দরজা বন্ধ করে দেয়। আর্গাস সামান্য পাখির এই কান্ড দেখে অবাক হয়ে যায়। তাই তিনি যে কোন প্রকারে কর্ভাসকে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।

                  আর্গাস কিছুক্ষণের মধ্যে বুঝতে পারেন যে শঙ্কু এবং কর্ভাস কেউই তার প্রস্তাবে রাজি নন। তখন তিনি শঙ্কুকে লোভ দেখিয়ে কর্ভাসকে নিতে চান। কিন্তু তাতে কোনরকম ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। তাই তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তিনি পরেরদিন দুপুরে অনুপস্থিতিতে সুযোগে রুমবয়দের সুযোগ নিয়ে কর্ভাসকে চুরি করেছিলেন।

২০) কর্ভাস গল্প অবলম্বনে আর্গাস চরিত্রটি সম্পর্কে যা জানো লেখ ।

উঃ প্রখ্যাত সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায় " কর্ভাস" নামক ছোট গল্পে আর্গাস চরিত্রটিকে সৃষ্টি করেছেন। আলোচ্য গল্পের খলচরিত্র হিসেবে আর্গাস চরিত্রটি এক অনন্য নিদর্শন। তিনি চিলির সান্তিয়াগোর অধিবাসী ছিলেন। তার সম্পূর্ণ নাম দ্যেমিনগো বার্তেলেমে সারমিয়েনতো । তিনি পেশাগতভাবে জাদুকর হিসেবে পরিচিত ।

                  মাত্র ১৯ বছর বয়স থেকে সে জাদু প্রদর্শন করে । এককালে জিপসিদের সঙ্গে সে বেশকিছু সময় অতিবাহিত করে। কর্ভাসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সে পাখিটিকে লাভের আকাঙ্ক্ষায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে। সে প্রফেসর শঙ্কুকে কোন ভাবে করায়ত্ত করতে না পেরে সে নিজের প্রচুর সম্পদশালীর কথা তাকে জানাতে দ্বিধা বোধ করে না। সে প্রফেসর শঙ্কুকে জানায় তার 50 কামরা বিশিষ্ট অট্টালিকা ও চারখানা ক্যাডিলাক গাড়ি আছে এবং সে একজন ক্রোড়পতি। সুতরাং সে যা পেতে চায় তার জন্য খরচ করতে পিছপা হয় না। সে অনাদায়ী কাজ আদায়ের জন্য বারবার তার শক্তির আশ্রয় নিয়েছে।

              আর্গাস ছিল ছয় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট , টিয়া পাখির মত নাকযুক্ত, শীর্ণকায় একজন বিপদজনক মানুষ। চোখে তার মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা থাকলেও কালো কোটের আস্তিনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা শীর্ণ হাত দুটি দর্শকে মুগ্ধ হয়। তারমধ্যে আছে শিল্পীসুলভ, লোকরঞ্জনের মানসিকতার পরিবর্তে বাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষা। বাস্তবিক ক্ষেত্রে কৃপণ স্বভাবের আর্গাস কর্ভাসকে পাওয়ার বাসনায় প্রায় 15 হাজার টাকা প্রফেসর শঙ্কুকে দিতে চায়। কিন্তু প্রফেসর শঙ্কুকে কোনভাবেই সম্মত না করাতে পাড়ায় নিজের সম্মোহিনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গোপনে কর্ভাসকে চুরি করে। এবং তাকে নিয়ে চলেও যেতে চায়। কিন্তু কর্ভাসের বুদ্ধিদিপ্ততা তাকে নিরস্ত্র করে।  



Comments

Post a Comment

Haven't doubt please let me know.

Popular posts from this blog

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)