গাছের কথা অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্য

         গাছের কথা

             জগদীশচন্দ্র বসু 

উৎসঃ জগদীশচন্দ্র বসু রচিত "অব্যক্ত" গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

হাতে কলমের সমাধান 

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও 

১) জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখ।

উঃ অব্যক্ত 

২) জগদীশচন্দ্র বসু কি আবিষ্কার করেছিলেন ?

উঃ কেসকোগ্রাফ 

৩) লেখক কবে থেকে গাছেদের অনেক কথা বুঝতে পারেন ?

উঃ "গাছের কথা" রচনাংশে লেখক জগদীশচন্দ্র বসু যেদিন থেকে গাছ, পাখি ও নানা কীটপতঙ্গকে ভালবাসতে শিখেছেন সেদিন থেকেই তিনি তাদের অনেক কথা বুঝতে পেরেছেন। 

৪) "ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়"_ কি দেখা যায় ?

উঃ মানুষের মধ্যে যে সৎ গুন আছে গাছেদের মধ্যেও তার কিছু কিছু দেখা যায় বলেই লেখক মন্তব্য করেছেন।

৫) জীবিদের লক্ষণ কি তা রচনা অনুসারে উল্লেখ করো।

উঃ জীবিতের যে দুটি বিশেষ লক্ষণের কথা লেখক বলেছেন তা হল, গতি ও বৃদ্ধি।

৬)" বৃক্ষ শিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়"-বৃক্ষ শিশু কোথায় নিদ্রা যায় ?

উঃ  বীজের উপরের কঠিন ঢাকনার ভেতরে বৃক্ষ শিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়।

৭) অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন ?

উঃ অঙ্কুর বের হওয়ার জন্য উত্তাপ, জল এবং মাটির প্রয়োজন। 

৮) "আগে এসব কিছুই জানতাম না "-কোন বিষয়টি লেখকের কাছে অজানা ছিল ?

উঃ বিজ্ঞানমনস্ক প্রাবন্ধিক জগদীশচন্দ্র বসু 'গাছের কথা' নামক রচনাংশে প্রত্যক্ষ করেছেন যে, মানুষের মতোই গাছেদেরও জীবন আছে। গাছেরাও মানুষের মতো আহার করে , একটু একটু করে বৃদ্ধি পায়। এসব তিনি আগে জানতেন না। তাদের সঙ্গে মিশে তাদেরকে ভালোবাসতে শিখে লেখক যেন সত্য আবিষ্কারের পাশাপাশি তাদের ভাষাও অনেকখানি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

৯) "ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায়"- কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের মধ্যে কি লক্ষ্য করা যায় ?

উঃ "গাছের কথা" শীর্ষক রচনাংশে লেখক জগদীশচন্দ্র বসু আলোচ্য অংশের মধ্যে গাছের কথা বলেছেন।

                     মানুষের মধ্যে যেমন দয়া, উদারতা, সহনশীলতা প্রভৃতি সৎগুন গুলির অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় তেমনি গাছেদের মধ্যেও লেখক সেই গুণগুলি প্রত্যক্ষ করেছেন।

১০)" গাছের জীবন মানুষের ছায়া মাত্র"- লেখকের এমন উক্তির অবতারণার কারণ বিশ্লেষণ করো।

উঃ" গাছের কথা" রচনাংশে লেখক জগদীশচন্দ্র বসু বলেছেন যে, গাছের মধ্যে তিনি এমন অনেক গুন লক্ষ্য করেছেন যা মানুষের মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়। মানুষের মধ্যে যেমন দুঃখ- কষ্টের অনুভূতি আছে গাছেদের মধ্যেও সেরকম অনুভূতি লক্ষ্য করা যায়। মানুষের মতোই গাছেরাও কখনো কখনো অসৎ উপায় অবলম্বন করে থাকে। মানুষেরা যেমন একে অপরের সাহায্য করার জন্য বন্ধুত্ব হয়ে ওঠে তেমনি কাছেদের মধ্যেও এই বন্ধুত্ব লক্ষ্য করা যায়। এসব কারণ লক্ষ্য করেই লেখক গাছেদের জীবনকে মানুষের জীবনের ছায়া বলে উল্লেখ করেছেন।

১১)" নানা উপায়ে গাছের বীজ ছড়াইয়া যায়"- উপায় গুলি পাঠ্যাংশ অনুসরণে আলোচনা কর।

উঃ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু "গাছের কথা" রচনাংশে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন। গাছেদের বীজ ছড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি যে উপায় গুলি বলেছেন সেগুলি হল - মানুষ কার্যের স্বার্থে গাছের বীজ ছড়িয়ে থাকে। এছাড়া পাখিরা ফল খেয়ে যেখানে সেখানে বীজ ছড়িয়ে ফেলে। অনেক সময় দূর দেশে বয়ে নিয়ে যায়। অনেক বীজ বাতাসে উড়ে অনেকদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে গাছেদের বীজ দূর দূরান্তে ছড়িয়ে যাওয়ার কথা তিনি বলেছেন।

১২) "তখন সব খালি খালি লাগিত"- কখন কার অনুভূতির কথা বলা হয়েছে ? কেন তখন সব খালি খালি লাগত? ক্রমশতা কিভাবে অন্য চেহারা পেল তা পাঠ্যাংশ অনুসরণে বুঝিয়ে দাও।

উঃ জগদীশচন্দ্র বসু রচিত "অভ্যক্ত" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "গাছের কথা" শীর্ষক প্রবন্ধে তখন বলতে, লেখক তার বালক বয়সের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। 

                অল্প বয়সে লেখক জগদীশচন্দ্র বসু যখন একা একা মাঠে যেতেন তখন প্রকৃতির সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তাই প্রকৃতি রাজ্যে সমস্ত কিছুই তার কাছে খালি খালি লাগত। তারপর যখন তিনি গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গকে ভালবাসতে শিখলেন তখন প্রকৃতি সম্পর্কে তার এই অনুভূতি বদলে গিয়েছিল। উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা মানবিক অনুভূতি এবং গুণাবলী লেখককে চমৎকৃত করে তুলেছিল।


Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)