লিখন ও গ্রহণদক্ষতা(Education)

   প্রথম ভাষাঃ বাংলা

শিক্ষা বিজ্ঞান শিখন ও গ্রহণ দক্ষতা 

Child pedagogy Bengali question and answer.

    শিশুশিক্ষা বিজ্ঞান 


১) প্রাথমিক স্তরে ভাষা শিক্ষা দানের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি আলোচনা কর।

উঃ ভাষা শিখনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। এই পর্যায়ে মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তিতে শিক্ষাদান করতে হয়। শিশু মনস্তত্ত্বকে ভিত্তি করে নিম্নলিখিত শিক্ষা পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করা উচিত। পদ্ধতিগুলি হল-- 

১) বর্ণক্রম পদ্ধতি ( Alphabetic method ) বা প্রবিধি পদ্ধতি ( phonic method)

২) শব্দক্রম পদ্ধতি (word method)

৩) গল্পবলা পদ্ধতি (storytelling method)

৪) দেখা ও বলা পদ্ধতি (look & say method)

৫) আবৃত্তি পদ্ধতি (recitation method)

৬) লিঙ্গাফোন পদ্ধতি (lingaphone method)

৭) বাক্যক্রম পদ্ধতি(sentence method)

৮) ধ্বনি সাম্য পদ্ধতি(phonetic method) 

২) বর্ণক্রম পদ্ধতি বা সারবিধি পদ্ধতি সম্পর্কে যা জানো লেখো ।

উঃ ভাষা শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বর্ণক্রম পদ্ধতি একটি দীর্ঘ প্রচলিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শিশু শিক্ষার্থীকে একের পর এক বর্ণ শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রথমে স্বরবর্ণ এবং পরে ব্যঞ্জনবর্ণ। এরপর মাত্রা চিহ্নগুলি উদাহরণ সহযোগে শিক্ষা দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে শিক্ষাদান অবৈজ্ঞানিক ও মনস্তত্ত্ব বিরোধী হলেও এই পদ্ধতির প্রচলন সর্বাধিক। এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার সময় মে বিষয়গুলি একান্ত জরুরী সেগুলি হল--

 ক) স্বরবর্ণমালা থেকে 'লি'-কে বর্জন করতে হবে।

খ) প্রত্যেকটি বর্ণের যথাযথ উচ্চারণ করতে হবে। 

     যেমন -হ্রস্ব-ই কার, দীর্ঘ-ঈ কার দন্ত্য- ন প্রভৃতি 

গ) সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণগুলির যথাযথ উচ্চারণ শেখাতে হবে।

যেমন- জ্ঞ= ও+ও(বিজ্ঞান) 

৩) শব্দক্রম পদ্ধতিগুলি আলোচনা কর।

উঃ একেবারে পরিচিত শব্দ ধরে ধরে ধীরে ধীরে পরিচিত করাতে হবে। 

যেমনঃ অ দিয়ে কিছু শব্দ- অমল, অজয়, অভয়,

           আ দিয়ে আমরা, আম, আনারস,

খ) শুধু শব্দ জানালেই হবে না, শব্দের অর্থ জানাতে হবে।

গ) একই শব্দের অনেক অর্থ হয়, সেগুলো জানানো উচিত।

ঘ) শব্দের ব্যবহার ব্যাপারটা জানালে ভালো

৪) বাক্যক্রম পদ্ধতিগুলি লেখ। 

উঃ এই পদ্ধতিতে শিশুর পরিচিত শব্দগুলি নিয়ে ছোট ছোট বাক্য গঠন করার কৌশল শেখাতে হবে।

 যেমন-আমরা ভাত খাই। আমি স্কুলে যাব। সে মামা বাড়ি যাবে। 

খ) শিক্ষার্থী ঠিক ঠিক লিখছে কিনা দেখতে হবে।

গ) প্রত্যেকটি বর্ণ যথাস্থানে বসেছে কিনা দেখতে হবে।

ঘ) লেখার ব্যাপারে কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা দেখতে হবে।

ঙ) শেষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পড়তে, লিখতে পারছে কিনা দেখতে হবে।

৫) গল্পবলা পদ্ধতিতে কীভাবে শিশুদের শিক্ষা দান করবেন?

উঃ গল্প শোনার প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন। শিশুরাও গল্প শুনতে ভালোবাসে। তাদের এই গল্প শোনার অভ্যাসকে কাজে লাগাতে হবে। গল্পগুলি হবে শিক্ষামূলক, হবে সহজ ও সরল। তাতে থাকবে চিত্রধর্মিতা। গল্পের বিষয়বস্তু ও আয়তন শিশুদের বয়সের উপযোগী হবে। গল্প নানা ধরনের হতে পারে। গল্পটির শোনার সময় তাদের প্রতিক্রিয়া জানা যেতে পারে। 

৬) দেখা ও বলা পদ্ধতিতে কিভাবে শিশুদের শিক্ষাদান করবেন?

উঃ দেখা ও বলা পদ্ধতিতে নানা রকম ছবির সাহায্যে শিক্ষার্থীদের বাংলা শিক্ষা দেওয়া হয়। শিশুকে কোনো ছবি দেখানো হয়। ছবি দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে সেগুলোর নাম বলতে হয়। তারা না পারলে শিক্ষক সহযোগিতা করবেন। 

৭) আবৃত্তির সাহায্যে শিক্ষা দান কিভাবে করবেন ?

উঃ ছড়া সহজেই শিশুদের আকর্ষণ করে। শিক্ষার্থীদেরও ধীরে ধীরে আবৃতি শেখাতে হবে। শিক্ষকদেরও আবৃত্তিকা খুব দরকার। ছন্দ, যতিচিহ্ন লক্ষ্য রেখে আবৃত্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে সহজপাঠ খুবই উপকারী। শিক্ষকদের স্পষ্ট ও যথার্থ উচ্চারণ শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে। 

৮) লিঙ্গাফোন পদ্ধতিতে শিশুদের শিক্ষাদান পদ্ধতি আলোচনা কর।

উঃ কিছু কিছু বিশুদ্ধ পাঠ পরিকল্পনা রেকর্ড করে রাখা হয়। এতে শব্দের ও বর্ণের বিশুদ্ধ উচ্চারণ থাকে। শিক্ষার্থীদের বারবার ওইগুলি শোনালে তারা বিশুদ্ধ উচ্চারণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চাহিদা, রুচি, বয়স ও সাম্যর্থ্য অনুযায়ী তাদের শিক্ষা দেবেন। পাঠদান করাকালীন পাঠ পরিকল্পনা ও শিশু সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। শিক্ষা সহায়ক উপকরণ তৈরি ও প্রয়োগ ব্যাপারে যে বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে সেগুলি হল--

ক) প্রস্তুত ছবি ও চার্টগুলি যেন যত্ন করে তৈরি করা হয়।

খ) একটু বড় আকারের হবে।

গ) লেখাগুলি হবে নির্ভুল অর্থাৎ তাতে কোন বানান ভুল থাকবে না।

ঘ) কোন প্রতিকৃতি আঁকতে হলে তা যথাসম্ভব মূলের কাছাকাছি থাকবে। 

ঙ) যুক্ত ব্যঞ্জনগুলি ভেঙে লিখতে হবে।

চ) রঙের ব্যবহার যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় 

ছ) অনেকক্ষণ ধরে এই ছবি টাঙিয়ে রাখা যাবে না 

৯) মাধ্যমিক স্তরে পঠন পাঠন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর ।

উঃ সাধারণভাবে নবম দশম শ্রেণীকে মাধ্যমিক স্তরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়ঃক্রম ১৪ থেকে ১৫ বছর। শিক্ষার্থীরা এই সময় কৈশোর অবস্থা অতিক্রম করে। এই স্তরে তারা সাধারণভাবে ভাষা ব্যবহারে দক্ষ হয়ে ওঠে। তবুও ভাষা অনুশীলন ব্যাপারে তাদের দক্ষ ও সক্রিয় করে তোলার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করা প্রয়োজন-- 

 ক) কেবল বিষয়ের অর্থ জানলে চলবে না। সেগুলি প্রকাশ ভঙ্গির মাধুর্য ও সাহিত্যরস উপলব্ধির চেষ্টা করতে হবে। 

খ) সাহিত্য পাঠের মধ্য দিয়ে যাতে ছাত্ররা সাহিত্যরসের আস্বাদন করতে পারে, সেদিক নজর নিতে হবে।

গ) নিজেরা যাতে কিছু বানিয়ে লিখতে পারে সেদিকে শিক্ষক মহাশয়রা নজর দেবেন।

ঘ) ব্যাকরণ পাঠ দিতে হবে পুরোপুরি ইন্ডাক্টিভ পদ্ধতিতে।

ঙ) সন্ধি, সমাস, কারক, প্রত্যয় সম্পর্কিত সূত্রগুলি যাতে বুঝে প্রয়োগ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।

চ) অনুবাদ শেখানোর মধ্য দিয়ে শব্দ ব্যবহার ও প্রয়োগ কৌশল শেখাতে হবে। 

ছ) শুদ্ধ বানান ও সঠিক জ্যোতিচিহ্ন ব্যবহার সম্পর্কে নজর দিতে হবে।

জ) নীরব পাঠে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।

ঝ) শিক্ষার্থীদের উচ্চারণে কোন বিকৃতি বা আঞ্চলিকতার দোষ না থাকে সেটা শিক্ষক মহাশয় নজর রাখবেন।

ভাষা শিক্ষণের নীতি সমূহ 

১) শিখন কি ?

উঃ শিখন হল, অতীত অভিজ্ঞতা এবং প্রশিক্ষণের প্রভাবে আচরণের ধারা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া। 

২) থর্নডাইকের মতবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উঃ মনো বিজ্ঞানীরা নানা তত্ত্ব প্রকাশ করলেও থর্নডাইকের সংযোজনবাদেরর ওপর ভিত্তি করে, যে মতবাদ গুলি গড়ে উঠেছে সেগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো--

 ক) প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বঃ 

              এই তত্ত্ব অনুযায়ী যেকোনো প্রাণী শেখে বারবার চেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে। কোন কিছু শিখতে হলে উদ্দীপকের উপযোগী নির্ভুল প্রতিক্রিয়াটি অনেকগুলি ভুল প্রতিক্রিয়ার মধ্যে থেকে খুঁজে বার করতে হয়। পরপর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর এই তত্ত্বের মূল লক্ষ্য। ভুল প্রতিক্রিয়া বাতিল করে সঠিক বা সফল প্রতিক্রিয়া নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাণীর শিখন সম্ভব হয়।

খ) প্যাভলভের অনুবর্তনবাদঃ 

                 প্রত্যেকটি প্রাণীর কতগুলি বিশেষ উদ্দীপকের সাপেক্ষে বিশেষভাবে প্রতিক্রিয়া করার ক্ষমতা রয়েছে। যেমন- খাবারের গন্ধে বা উপস্থিতিতে ক্ষুধার্ত প্রাণীর লালা ক্ষরণ, শব্দের প্রাণীর মধ্যে সজাগ ভাব। এই ধরনের নানা প্রতিক্রিয়া প্রাণীর সহজাত। মানব শিশুও এরকম কতগুলি স্বভাবজ আচরণ করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। এগুলোকে বলে সহজাত আচরণ। 

                 প্যাভলপ কুকুরের লালা ক্ষরণের উপর পরীক্ষা করেছিলেন। সেটি এরকম, কোন ক্ষুধার্ত কুকুরের সামনে কোন খাদ্যবস্তু রাখলে তার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হবে লালা ক্ষরণ। লালাক্ষরণ খাদ্যবস্তু জিহার সংস্পর্শে এলে হতে পারে, বস্তুর গন্ধ বা সংবেদনজনিত কারণ থেকেও হতে পারে। তাহলে লালা ক্ষরণ হলো বস্তুর বা উদ্দীপকের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। যেহেতু অনুবর্তনের দ্বারা কোন উদ্দীপকের সাহায্যে কৃত্রিম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা যায়, সেহেতু এই তথ্যের সাহায্যে মানুষের শিখনকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের অভ্যাস ,শিক্ষা, শৃঙ্খলাবোধ সবকিছুই অবিচ্ছন্ন অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম পর্যায়ের আচরণকে এই প্রক্রিয়ার দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। এই প্রক্রিয়ার প্রয়োগ ভাষা শিক্ষাকে সহায়তা করে। তবে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের ক্ষেত্রে আমরা সুসংযত ভাবে অনুবর্তনের ব্যবস্থা না করলেও কিছু শিক্ষা অনুবর্তন এর দ্বারা ঘটে থাকে।শুধু তাই নয়, শিশুর ভুল সংশোধনের মাধ্যমেও অনুবর্তন কাজ করে। এছাড়া কিছু কিছু অভ্যাসগত কাজ যেমন- সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসা, মুখ হাত ধোওয়া, নির্দিষ্ট সময় স্কুলে যাওয়া প্রভৃতি অনুবর্তনের ফলেই ঘটে থাকে। 

২) ভাষা শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে কিভাবে অনুবর্তন ক্রিয়া কাজ করে তা লেখ।

উঃক) শিশুর কথা বলা ও শব্দ উচ্চারণও ভাষা শিক্ষাদানের ব্যাপারে অনুবর্তন ক্রিয়ার কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে। 

খ) তথাকথিত সু-অভ্যাস গঠনের জন্য এই প্রক্রিয়া বিশেষ ফলদানকারী। 

গ) কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোভাব গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষক মহাশয় এই নীতির সাহায্য নিতে পারেন।

ঘ) কোন সামাজিক ঘটনার যথাযথ মনোভাব গঠনের জন্য এই প্রক্রিয়া বেশ উপকারী।

ঙ) বিদ্যালয়ে শিশুদের বানান শেখানো, নামতা শেখানো, ছড়া শেখানো প্রভৃতির ব্যাপারে এটি উপকারী।

চ) শিক্ষার্থীদের প্রক্ষোভমূলক অস্থিরতা দূর করার জন্য শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন।

ছ) শিক্ষার্থীদের কু- অভ্যাস দূর করার জন্য ঋণাত্মক অনুবর্তন কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৩) Gestalt শব্দের কী ?

উঃ অবয়ব 

৪) Gestalt-দের শিখন সম্পর্কে মূল বক্তব্য কি ?

উঃ প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রাণীরা প্রচেষ্টা ভুলের মাধ্যমে শেখে না। শিখন বিচার বিবেচনাহীন যান্ত্রিক ক্রিয়ার ফল নয়। সমস্যা মূলক পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপ উপলব্ধি হওয়ার ফলেই প্রাণীরা সমস্যার সমাধান করতে পারে। এই উপলব্ধি হঠাৎ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আসে। সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিকতায় হঠাৎ এই প্রত্যক্ষণকে গেস্টাল্ট বাদিগণ বলেছেন অন্তর্দৃষ্টি। এই অন্তর্দৃ্ষ্টিকে এক ধরনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা গ্রহণের প্রক্রিয়া বলে মনে করা হয়। 

৫) কার্ট লিউইনের ফিল্ড থিয়োরি কী ?

উঃ ফিল্ড থিওরির বিশেষত্ব হলো, শিখনের ক্ষেত্রে দু প্রকার শক্তি কাজ করে-সদর্থক এবং ণঞর্থক। কতগুলি শক্তি শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে সেগুলিকে সদর্থক বলে। আর কতগুলি শক্তি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবার পক্ষে শিক্ষার্থীকে বাধার সৃষ্টি করে,সেগুলিকে ণঞর্থক বলে। এই উভয় প্রকার শক্তির সমন্বয়ে যে মনোবিজ্ঞানমূলক ফিল্ড তৈরি হয়, সেটি শিক্ষার্থীর শিখনমুলক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। 

৬) মনোবৈজ্ঞানিক উপায়ে শিক্ষাদান পদ্ধতির উপাদান গুলি আলোচনা কর।

উঃ শিক্ষণীয় বিষয়গুলি শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় ও সহজবদ্ধ করে তোলার জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে কতগুলি মৌলিক নীতি গ্রহণ করা হয়। ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রেও সেগুলো সমান ভাবে প্রযোজ্য। শিক্ষা দানের বিষয়কে-

 ক) জানা থেকে অজানা (from known to unknown)

খ) মূর্ত থেকে বিমুর্ত (from concrete to abstract)

গ) সমগ্র থেকে আংশিক (from whole to parts) 

ঘ) বিশেষ থেকে সাধারণ (from particular to general)

ঙ) সরল থেকে জটিল (from simple to complex)

চ) বিশ্লেষণ থেকে সংশ্লেষণ(from analysis to synthesis)

৭) কয়েকটি শিক্ষা সহায়ক উপাদানের নাম বলো।

উঃ মডেল,চার্ট,ছবি,প্রজেক্টার ইত্যাদি। 

৮) পদ্ধতিভিত্তিক পাঠদানের বিষয়গুলি লেখ।

উঃক) শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ হবে অনুকূল।

খ) পাঠ্যক্রম হবে শিক্ষার্থীদের উপযোগী ।

গ) পাঠ্যপুস্তক হবে উন্নত মানের ও নির্ভুল ।

ঘ) শিক্ষকের ভূমিকা হবে বন্ধুর মত ।

ঙ) পাঠ পরিকল্পনা রচিত হবে যথেষ্ট মনন ও চিন্তনের ভিত্তিতে ।

চ) শিক্ষার্থীদের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিতে হবে  ।

ছ) সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর ভূমিকা থাকবে ।

জ) নিয়মিত পরীক্ষা ও মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

ঝ) গৃহ কাজের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। 

ঞ) প্রশ্নোত্তর পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চলবে।



Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)