Class nine geography পশ্চিমবঙ্গ

           পশ্চিমবঙ্গ 

        পশ্চিমবঙ্গ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 

পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ

১) একনজরে পশ্চিমবঙ্গঃ


• আয়তন - ৮৮ হাজার ৭৫২ বর্গকিমি।

• রাজধানী - কলকাতা

• প্রধান নদী - গঙ্গা 

• সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গ - সান্দাকফু( ৩৬৩০ মিঃ)

• অঙ্গরাজ্য - ২৯ টি

• কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল - ৭ টি 

২) ভারতের পূর্ব ভাগে পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত হলেও আমাদের রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ হল কেন ?

উঃ 1947 সালে ১৫ ই আগস্ট যখন ভারত স্বাধীন হয় তখন পশ্চিমবঙ্গ নামে কোন রাজ্য ছিল না সেই সময় এই অঞ্চলটি বঙ্গদেশ নামে একটি প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল স্বাধীনতার সময় ইংরেজরা ওই বঙ্গদেশ কে দুটি ভাগে ভাগ করে তার মধ্যে পশ্চিম ভাগ নিয়ে গঠিত হয়, পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্বভাগ নিয়ে গঠিত হয় পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তান যা করে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে সুতরাং অবিভক্ত বঙ্গদেশের পশ্চিমভাগ নিয়ে গঠিত বলে আমাদের রাজ্যের নাম হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। 

৩) পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলার ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গেছে ?

উঃ পুরুলিয়া বাঁকুড়া পশ্চিম বর্ধমান ও নদীয়া।


৪) পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশগুলির নাম লেখ নেপাল বাংলাদেশ ভুটান ত্রিপুরা 

৫) আয়তন অনুসারে ভারতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান কত ?

উঃ ১৩ তম 

৬) পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম রাজ্যের নাম কি ?

উঃ রাজস্থান 

৭) পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্রতম রাজ্যের নাম কি?

উঃ গোয়া 

   প্রতিবেশী দেশগুলি 

১) নেপালের রাজধানী কোথায়?

উঃ কাঠমান্ডু

২) নেপালের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম কি?

উঃ মাউন্ট এভারেস্ট (৮,৮৪৮ মিটার)

৩) পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম কি?

উঃ মাউন্ট এভারেস্ট

৪) কোন দেশে কোন সামুদ্রিক বন্দর নেই ?

উঃ নেপাল 

৫) ভুটানের রাজধানীর নাম কি?

উঃ থিম্পু 

৬) ভুটানের সরকারি ভাষার নাম কি ?

উঃ জোঙ্কা 

৭) ভুটানের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম কি ?

উঃ কুলাকাংড়ি (৭,৫৫৪ মিটার)

৮) ভুটানের দীর্ঘতম নদীর নাম কি ?

উঃ মানস 

৯) কোন দেশকে ঝড় বৃষ্টিপাতের দেশ বলা হয়?

উঃ ভুটান 

১০) কোন দেশকে ড্রাগনের দেশ বলা হয় ?

উঃ ভুটানকে 

১১) ভুটানকে ড্রাগনের দেশ বলা হয় কেন ?

উঃ ভুটান দেশের দক্ষিণ অংশে এত বেশি বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টিপাত হয়, তাই এই দেশের নাম হয়েছে ভুটান। যার ইংরেজি নাম ল্যান্ড অফ থান্ডার ড্রাগন।

১২) বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কি ?

উঃ ঢাকা 

১৩) বাংলাদেশের সরকারি ভাষার নাম কি ?

উঃ বাংলা 

১৪) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম কি ?

উঃ ক্রেওক্রাডং (১২৩০ মিটার) 

১৫) বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীর নাম কি ?

উঃ পদ্মা -মেঘনা 

১৬) বাংলাদেশের প্রধান সম্পদ কি কি ?

উঃ পাট,চা,প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি।

১৭) বাংলাদেশ কবে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে?

উঃ 1971খ্রীঃ 16 ডিসেম্বর

১৮) বিহার রাজ্যের রাজধানীর নাম কি ?

উঃ পাটনা 

১৯) বিহারের প্রধান ভাষা কি?

উঃ হিন্দি 

২০) বিহারের প্রধান নদী নাম কি? 

উঃ গঙ্গা 

২১) বিহারের প্রধান সম্পদ কি কি ?

উঃ গম,আখ, তৈলবীজ, ধান প্রভৃতি 

২২) ঝাড়খণ্ডের রাজধানীর নাম কি?

উঃ রাঁচি 

২৩) ঝাড়খণ্ডের প্রধান ভাষা কী?

উঃ হিন্দি 

২৪) ঝাড়খণ্ডের উল্লেখযোগ্য নদী নাম কি? 

উঃ দামোদর, শোন 

২৫) ঝাড়খন্ডের প্রধান সম্পদ কি কি ?

উঃ খনিজ দ্রব্য,বনজ দ্রব্য  

২৬) ঝাড়খন্ড রাজ্য কবে গঠিত হয় ?

উঃ ২০০০ সালের ১৫ই নভেম্বর। 

২৭) ওড়িশা রাজ্যের রাজধানীর নাম কি ?

উঃ ভুবনেশ্বর 

২৮) উড়িষ্যার উল্লেখযোগ্য নদীর নাম লেখ 

উঃ মহানদী 

২৯) ওড়িশার প্রধান সম্পদ কি কি ?

উঃ ধান ,আকরিক লোহা, কয়লা ,বক্সাইট ,চুনাপাথর প্রভৃতি 

৩০) অসাম রাজ্যের রাজধানীর নাম কি ?

উঃ দিসপুর 

৩১) অসমের প্রধান ভাষা কি ?

উঃ অসমীয়া, 

৩২) অসমের উল্লেখযোগ্য নদীর নাম লেখ।

উঃ ব্রহ্মপুত্র 

৩৩) সিকিমের রাজধানীর নাম কি ?

উঃ গ্যাংটক 

৩৪) সিকিমের প্রধান ভাষা কি ?

উঃ লেপচা, ভুটিয়া, নেপালি 

৩৫) সিকিমের উল্লেখযোগ্য নদীর নাম কি ?

উঃ তিস্তা 

৩৬) সিকিমের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম কি ?

উঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা, 

৩৭) পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গের নাম কি ?

উঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা, ৮৫৯৮ মিটার 

৩৮) ত্রিপুরার রাজধানীর নাম কি? 

উঃ আগরতলা 

৩৯) ত্রিপুরার প্রধান ভাষা কি ?

উঃ বাংলা 

৪০) ত্রিপুরার সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম কি? 

উঃ বেটলিং ৯৩৯ মিটার 

৪১) ত্রিপুরার প্রধান নদীর নাম কি ?

উঃ মনু 

৪২) পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক বিভাগ গুলির নাম লেখ।

উঃ পশ্চিমবঙ্গের প্রধানত চার ধরনের প্রশাসনিক বিভাগ আছে - সবার উপরে ডিভিশন বা বিভাগ, এরপর জেলা, জেলার নিচে মহকুমা এবং মহকুমার নিচে সি ডি ব্লক।

৪৩) SDO- এর পুরো কথাটি কি?

উঃ সাব ডিভিশনাল অফিসার

৪৪) DM - এর পুরো কথাটি কি?

উঃ ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট 

৪৫)BDO - এর পুরো কথাটি কি?

উঃ ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার 

৪৬) পূর্ব ভারতের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম কি?

উঃ কলকাতার কাছে দমদমে অবস্থিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

৪৭) পূর্ব ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য কেন্দ্রের নাম কি ?

উঃ পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা 

৪৮) ভারতবর্ষে গড়ে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে কতজন লোক বাস করে?

উঃ ৩৮২ জন 

৪৯) পশ্চিমবঙ্গে গড়ে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে কতজন লোক বাস করে?

উঃ ১০২৯ জন 

৫০) ভারতের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান কত?

উঃ চতুর্থ

৫১) ভারতবর্ষের আয়তন কত ?

উঃ ৩২ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গ কিলোমিটার 

৫২) ভারতের প্রথম পাতাল রেল কোন রাজ্যে চালু হয়?

উঃ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় 

৫৩) পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?

উঃ কলকাতা

৫৪) চুখা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কোথায় গড়ে উঠেছে ?

উঃ ভারতের সহযোগিতায় ভুটানের ওয়াংচু ও তিজো নদীর সংযোগস্থলে।

৫৫) ভুটানের প্রবেশদ্বার বলা হয় কাকে ?

উঃ বক্সা দুয়ার 

৫৬) তিস্তা নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়েছে ?

উঃ সিকিমের জেমু হিমবাহ 

৫৭) অযোধ্যা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি ?

উঃ গোর্গাবুরু( ৬৭৭ মিটার) 

৫৮) দামোদর নদের উৎপত্তিস্থল কোথায় ? 

উঃ খামারপাত পাহাড় 

৫৯) কংসানদীর উপনদীর নাম কি? 

উঃ কুমারী নদী 

৬০) তরাই কথার অর্থ কি?

উঃ ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে ভূমি

৬১) দোয়াব বলতে কী বোঝো ?

উঃ দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে দোয়াব বলে। 

৬২) সিন্ধু নদের পাঁচটি উপনদী কি কি ?

উঃ শতদ্রু, বিপাশা, ইরাবতী,চন্দ্রভাগা ও বিতস্তা 

৬৩) তাল কথার অর্থ কি?

উঃ নিম্নভূমি বা হ্রদ 

৬৪) রাঢ় শব্দের অর্থ কি? 

উঃ পাথুরে জমি 

৬৫) সুন্দরবনের অবস্থিত সবচেয়ে বড় দ্বীপের নাম কি ?

উঃ সাগর দ্বীপ 

৬৬) খাঁড়ি কি ?

উঃ চওড়া নদী মোহনার নাম খাঁড়ি।

৬৭) পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কি প্রকৃতির ?

উঃ উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির 

৬৮) পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কোন জলবায়ুর অন্তর্গত ?

উঃ ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু 

৬৯) লু কি ? 

উঃ পশ্চিম দিক থেকে আগত গরম বাতাস 

৭০) মৌসুমী শব্দের অর্থ কি ?

উঃ ঋতু 

৭১) পশ্চিমবঙ্গের প্রধানত কয় ধরনের মৃত্তিকা দেখা যায় ও কি কি? 

উঃ চার ধরনের - পার্বত্য মাটি, ল্যাটেরাইট মাটি, পলিমাটি এবং নোনা মাটি।

৭২) পশ্চিমবঙ্গে কোথায় ল্যাটেরাইট মাটি দেখা যায়?

উঃ পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান জেলার মালভূমি অঞ্চলে এই মাটি দেখা যায়। 

৭৩) ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার রং লাল কেন ?

উঃ এতে লোহার ভাগ বেশি থাকে বলে।

৭৪) স্বাভাবিক উদ্ভিদ কাকে বলে? 

উঃ যেসব উদ্ভিদ মানুষের প্রচেষ্টা ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতির বুকে জন্মায় এবং বেড়ে ওঠে তাদের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে। 

৭৫) শ্বাসমূল দেখা যায় কোন উদ্ভিদের ?

উঃ সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া 

৭৬) ঠেসমূল দেখা যায় কোন উদ্ভিদের ? 

উঃ কেয়া গাছ 

৭৭) ম্যানগ্রোভ বনভূমি কোথায় অবস্থিত ?

উঃ সুন্দরবন 





 পশ্চিমবঙ্গের প্রাকৃতিক              পরিবেশ 

পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি ও নদ নদী 


১) পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতিকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়, তাদের নাম লেখ এবং যেকোনো একটি ভাগের বিবরণ দাও।

উঃ পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । এগুলি হল - ১) উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল, ২) পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল এবং ৩) সমভূমি অঞ্চল।

 উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলঃ 

                 এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি পর্বতসংকুল এবং অত্যন্ত বন্ধুর প্রকৃতির। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একমাত্র এই অঞ্চলেই সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী দেখা যায়। তিস্তা নদী দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সমগ্র অঞ্চলটিকে দুটি অংশে ভাগ করেছে - তিস্তা খাতের পশ্চিমভাগ এবং তিস্তা খাতের পূর্বভাগ।

                    তিস্তা খাতের পশ্চিম ভাগে সিঙ্গলীলা পর্বতশ্রেণী এবং দার্জিলিং পর্বতশ্রেণী উত্তর থেকে দক্ষিনে বিস্তৃত। এর মধ্যে সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণী নেপাল ও দার্জিলিং সীমান্তে অবস্থিত। এই পর্বত শ্রেনীর কয়েকটি উঁচু শৃঙ্গ দার্জিলিং জেলায় আছে। যেমন সান্দাকফু( ৩৬৩০ মিটার), ফালুট, সবরগ্রাম প্রভৃতি।

                   তিস্তার পশ্চিম ভাগের অপর উল্লেখযোগ্য পর্বতশ্রেণী হলো টাইগার হিল। এই পার্বত্য ভূমির উচ্চতা অনেকটাই কম। এখানকার সবচেয়ে উঁচু পর্বতের নাম ঋষিলা। এই অঞ্চলেই বক্সা দুয়ার নামে একটি গিরিপথ আছে। এর মধ্য দিয়ে ভুটানে প্রবেশ করতে হয়।

২) তিস্তার কয়েকটি উপনদীর নাম লেখ।

উঃ তিস্তার ডান তীরে অবস্থিত উপনদী গুলি হল রঙ্গিত,রিয়াং এবং বাম তীরে অবস্থিত উপনদী গুলি হল রংপো, রিলিং প্রভৃতি ।

৩) কোন নদীকে ত্রাসের নদী বলে এবং কেন ?

উঃ তিস্তা নদীকে ত্রাসের নদী বলে।

                তিস্তা নদী হিমালয়ের বরফগলা জলে পুষ্ট বলে সারা বছর জল থাকে এবং এই নদীর খরস্রোতা অত্যন্ত বেশি। তাই মাঝে মাঝে এতে প্রবল বন্যা হয়। এইজন্য তিস্তাকে ত্রাসের নদী বলে।

৪) পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি অঞ্চল কে কয় ভাগে ভাগ করা যায় কি কি? যে কোন একটি ভাগের বর্ণনা দাও।

উঃ পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ সমতল ভূমিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়-১) উত্তরবঙ্গের সমভূমি অঞ্চল ২) রাঢ় সমভূমি অঞ্চল এবং ৩) বদ্বীপ সমভূমি অঞ্চল।

 উত্তরবঙ্গের সমভূমি অঞ্চলঃ 

                  উত্তরবঙ্গের সমভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির মধ্যে কিছু বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায় ।সেই জন্য এই অঞ্চলকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-ক) তরাই বা ডুয়ার্স সমভূমি এবং গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র দয়াব অঞ্চল।

ক) তরাই বা ডুয়ার্স সমভূমিঃ

              পশ্চিমবঙ্গের তরাই অঞ্চল বলতে হিমালয়ের পাদদেশকে বোঝায়। হিমালয়ের খরস্রোতা নদীগুলি, নুড়ি বালি কাকর প্রভৃতি বয়ে এনে এই ভূমিরূপের সৃষ্টি করেছে। এখানে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় বলে গভীর বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের ভূমিভাগ স্যাঁতস্যাঁতে হয়।

খ) গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র দোয়াবঃ 

                গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদের মধ্যবর্তী অঞ্চল গঙ্গা ব্রম্ভপু্ত্র দোয়াব নামে পরিচিত। ভূপ্রকৃতির স্থানীয় বৈচিত্র অনুসারে এই অঞ্চলটিকে তিনটি উপভাগে ভাগ করা যায় - তাল বরেন্দ্রভূমি এবং দিয়ারা। 









Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)