দাঁড়াও কবিতার বিষয়বস্তু ও অনুশীলনী
দাঁড়াও কবিতার বিষয়বস্তু ও অনুশীলনী।। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দাঁড়াও কবিতার বিষয়বস্তু লেখ।
দাঁড়াও
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
সারসংক্ষেপঃ
শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার "শ্রেষ্ঠ কবিতা" গ্রন্থের অন্তর্গত দাঁড়াও কবিতায় মানুষের অসহায় রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন। 'মানুষ বড় কাঁদছে' কথাটির মধ্য দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরবর্তীকালে যে নানা হিংসাত্মক ঘটনা প্রতি মুহূর্তে মানুষকে অপমান, অত্যাচার এবং মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছিল তার প্রতি কবি ইঙ্গিত করেছেন। মানুষের বিপদের দিনে এই একলা হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে মানুষকে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন। মানুষের চিরন্তন মনুষ্যত্ববোধ ও মানবিকতার কাছে কবি আহ্বান জানিয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এইভাবে একে অন্যের পাশে দাঁড়ালে সকলের দুঃখ লাঘব হবে। অসহায় মানুষ অবলম্বন পেলে আবার বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাবে । মানুষকেই মানুষের অবলম্বন হয়ে উঠতে হবে এটি দাঁড়াও কবিতার মূল বিষয়।
অনুশীলনী
১) শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?
উঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
২) শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটি উপন্যাসের নাম লেখ।
উঃ অবনী বাড়ি আছো ?
১) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
১.১) মতো শব্দ ব্যবহার করা হয় কখন? তোমার যুক্তির পক্ষে দুটি উদাহরণ দাও ।
উঃ কোন জিনিসকে অপর কোনো জিনিসের সাথে তুলনা করা বোঝাতে মত শব্দ ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণঃ মেয়েটির মুখ চাঁদের মতো।
শিশুটি ফুলের মতো সুন্দর ।
১.২) কবি পাখির মতো পাশে দাঁড়াতে বলেছেন কেন ?
উঃ পাখির মনের মধ্যে কোন কূটনৈতিক বুদ্ধি থাকে না। তারা ঠক বা ধূর্ত লোকের মতো আচরণ করে না। তারা মুক্ত মনের অধিকারী। তাই কবি পাখির মতো মুক্ত মন নিয়েই মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
২.৩)" মানুষই ফাঁদ পাতছে"- কবি একথা কেন বলেছেন? মানুষ শব্দের সঙ্গে ই ধ্বনি যোগ করেছেন কেন ? তোমার কি মনে হয় ?
উঃ মানুষ হিংসার বশবর্তী হয়ে আর একজন মানুষের ক্ষতিসাধন করার জন্য নানা পথ অবলম্বন করে থাকে, তাই কবি একথা বলেছেন।
মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণী এরকম হিংসার বশবর্তী হয়ে তাদের নিজেদের ক্ষতি করতে চায় না। কেবল মানুষই ক্ষতি করার জন্য নানারকম ফাঁদ পেতে থাকে।এ কথাকে জোর দিয়ে বোঝাতেই কবি মানুষ শব্দের সঙ্গে ই ধ্বনি যোগ করেছেন ।
২.৪)" তোমার মত মনে পড়েছে"- এই পঙক্তির অন্তর্নিহিত অর্থ কি ?
উঃ আলোচ্য অংশে কবি তোমার মতো বলতে, মানুষের কথাই বুঝিয়েছেন। আসলে কবির মানুষের কথা মনে পড়েছে বলেই তিনি এমন উক্তিটি করেছেন।
২.৫) " মানুষ বড় কাঁদছে" - কি কারনে কবি একথা বলেছেন?
উঃ মানুষ বড়ো বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সমাজে কিছু স্বার্থপর, লোভী মানুষ সমস্ত সম্পদকে নিজেদের হাতের মুঠোয় করে রেখেছে। আর অন্যদিকে সমাজের অধিকাংশ মানুষই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তাদের খাদ্য নেই, তাদের বাসস্থান নেই ,তারা যেন সমাজে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও হারিয়েছে। তাই কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
৬) কবি কাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন বলে তোমার মনে হয় ?
উঃ আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় 'দাঁড়াও' কবিতায় বিপন্ন মানুষের অসহায়তার দিকটি তুলে ধরেছেন। কবিতার শুরুতেই তিনি বলেছেন,' মানুষ বড় কাঁদছে ' এই কান্নার ছবি আসলে মানুষের বিপন্নতার দিকটিই আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মানুষ মানুষের জন্য এই বাক্যের মধ্য দিয়ে সমাজ গঠনের দিকটিই আমাদের কাছে ধরা পড়ে। একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজ গড়ে ওঠে। তাই কবি মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। সেই মানুষ হবে বিবেকবান, শুভচিন্তা, শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। তাদের মধ্যে থাকবে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সমাজের প্রতি অত্যন্ত সচেতনতা। সেই রকম মানুষকেই কবি আন্তরিকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন।
৭) "মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও"- এখানে মানুষ হয়ে বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উঃ দাঁড়াও কবিতায় মানুষ হয়ে বলতে কবি মানবিক গুনসম্পন্ন হতে বলেছেন । একজন সুস্থ স্বাভাবিক সমাজবদ্ধ মানুষের মধ্যে কিছু গুণ আশা করা যায়। সেই গুণগুলি হল দয়া, পরোপকার, সহানুভূতিবোধ। কবি সমাজের বিপন্ন মানুষের কান্না শুনেছেন। তাই প্রকৃত মানুষই পারবে বিপন্ন মানুষের ব্যথার প্রলেপ দিতে। এই বিশ্বাস থেকেই তিনি মানুষ হয়ে কথাটি ব্যবহার করেছেন।
Thanks 👍👍
ReplyDeleteWelcome
ReplyDelete(ᎮᏒᎥᏖᏗᎷ ᎴλᏧ𐒅𐒜Ꮵ𐒅λ𐒐) -- Thanks 👍👍
ReplyDelete