প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি professor shanku r diary

   

     ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি 

            প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি গ্রন্থ থেকে প্রশ্নোত্তর

         সত্যজিৎ রায় 

১) প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি গ্রন্থের রচয়িতা কে ?

উঃ সত্যজিৎ রায় 

২) টাফায় কি ধরনের লোক বেশি বাস করত ?

উঃ সৌরজগতের প্রথম সভ্য লোকেরা বাস করে। এখানে বুদ্ধিমান লোক বেশি বাস করে।

৩) প্রফেসর শঙ্কুর সঙ্গীদের মধ্যে কে মঙ্গল গ্রহে নামতে চায়নি ? 

উঃ বিধুশেখর 

৪) প্রফেসর শঙ্কুর নিরুদ্দেশ সম্পর্কে কি কথা প্রচলিত ছিল ?

উঃ প্রফেসর শঙ্কুর নিরুদ্দেশ প্রসঙ্গে যে কথাটি প্রচলিত আছে সেটি হল- তিনি নাকি একটা ভীষণ পরীক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আবার কেউ বলেন যে, তিনি কোন অজ্ঞাত অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়ে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন, সময় হলেই আত্মপ্রকাশ করবেন।

৫) আমি সুযোগটি ছাড়তে পারলাম না- কে কেন সুযোগটা ছাড়তে পারলেন না ?

উঃ 

৬) খাতাটা পড়ে শেষ করলাম - রাত কটা পর্যন্ত জেগে ?

উঃ রাত তিনটে

৭) গামছা দিয়ে অ্যাসিডটা মুছে ফেলল - এসিডটার নাম কি ?

উঃ বাইকর্নিক অ্যাসিড 

৮) মঙ্গল গ্রহে ঘাস ও গাছপালার রং কেমন ?

উঃ নীল

৯) মঙ্গল গ্রহে লাল নদীর জলের স্বাদ কেমন ?

উঃ অমৃতের মতো 

১০) ডাইরিটার রং প্রথমে কি ছিল ?

উঃ সবুজ

১১) ডায়েরির লেখা সবুজ থেকে লাল হওয়ার পর কি বর্ণ হয়েছিল ?

উঃ নীল

১২) প্রফেসর শঙ্কুর আসল নাম কি ?

উঃ প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু

১৩) প্রফেসর শঙ্কুর পিতার নাম কি ?

উঃ ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু

১৪) প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি গল্পটি কি জাতীয় গল্প ?

উঃ কল্প বিজ্ঞান

১৫) আজ থেকে ডাইরি লেখা বন্ধ করব - কত তারিখের ডাইরিতে এটি লিখেছেন প্রফেসর শঙ্কু ?

উঃ ২৫ শে জানুয়ারি 

১৬)টাফার অবস্থা যে পৃথিবীর তুলনায় আদিম - প্রফেসর শঙ্কুর এমন মনে হয়েছিল কেন ?

উঃ প্রফেসর শঙ্কু টাফার অবস্থা দেখে পৃথিবীর তুলনায় অনেক আদিম বলে মনে করছেন। সে বিষয়ে তিনি বলেছেন, সেখানকার ঘরবাড়ি বলে কিছু নেই। এমনকি গাছ পালাও নেই। এরা গর্ত দিয়ে মাটির ভিতর ঢুকে যায় এবং সেখানেই বাস করে । সেখানে কোন ল্যাবরেটরিও নেই। তাই লেখকের এরূপ মনে হয়েছে।

১৭) এই ছিল ডাইরির বিশেষত্ব - ডায়েরির বিশেষত্ব গুলি লেখ।

উঃ প্রফেসর শঙ্কু যখন প্রথম ডাইরিটা দেখেছিলেন তখন কালীর রঙ ছিল সবুজ তারপর সেই কালির রং পর্যায়ক্রমে লাল নীল হলুদ বর্ণে পরিবর্তিত হচ্ছিল। কুকুরের কামড়েও দাঁত বসে না।হাতে করে টানলে রবারের মতো বেড়ে যায়। আগুনে মধ্যে ফেলে দিলেও পুড়ে না। এই ছিল ডায়েরির বিশেষত্ব।

১৮) আমরা দু'ঘণ্টা হল মঙ্গল গ্রহে নেমেছি - আমরা কারা ? তারা মঙ্গল গ্রহে নেমে কি করেছিল ?

উঃ আলোচ্য অংশে আমরা বলতে প্রফেসর শঙ্কু এবং তার সঙ্গী প্রহ্লাদ, ও নিউটনকে বোঝানো হয়েছে। 

       মঙ্গল গ্রহে নেমে একটা হলদে রঙের নরম পাথরের ঢিপির উপরে বসে ডায়েরি লিখছিলেন। সেখানকার গাছপালা, মাটি, পাথর সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল।

১৯ টাফার ভূপ্রকৃতি ও প্রাণীদের সম্পর্কে আলোচনা কর।

উঃ টাফা হল একটা ঝলমলে সাদা নির্মল নিষ্কলঙ্ক গ্রহ। এখানে গাছপালা নেই, ঘর বাড়ি নেই ।

        এখানকার প্রাণীরা গর্ত দিয়ে মাটির ভেতরে ঢুকে যায় এবং সেখানেই বাস করে। এখানকার প্রাণীরা মোটেই মানুষের মত নয়। অতিকায় পিঁপড়ে জাতীয় একটা কিছু কল্পনা করতে পারলে এদের চেহারার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাবে। বিরাট মাথা আর চোখ কিন্তু সেই অনুপাতে হাত, পা সরু- যেন কোন কাজেই লাগে না।

২০) প্রফেসর শঙ্কুর পোষা বিড়ালটির নাম কি ?

উঃ নিউটন 

২১) শঙ্কুর চাকরের নাম কি ?

উঃ প্রহ্লাদ

২৩) শংকুর তৈরী রোবটের নাম কি ? 

উঃ বিধুশেখর

২৪) রকেটটি কত ওজনের জিনিস নির্ভয়ে নিয়ে যেতে পারে?

উঃ ২০ মণ

২৫) চলন্তিকা কি ?

উঃ একটি পত্রিকা 

২৬) প্রফেসর শঙ্কু কত তারিখে মঙ্গল যাত্রা করেছিলেন ?

উঃ ১৩ই জানুয়ারি ভোর পাঁচটায়।

২৭) প্রহ্লাদকে কেন প্রফেসর শঙ্কু তার রকেটযাত্রার সঙ্গী করেছিলেন ?

উঃ যাদের বুদ্ধি কম হয় তাদের সাহস বেশী হয় বলে।

২৮) ভাগ্যে বাংলাটা শিখেছিল আমার কাছে - কে কাকে বাংলা শিখিয়েছিল?

উঃ প্রফেসর শঙ্কু প্রহ্লাদকে বাংলা শিখিয়েছিল 

২৯) আজ দিনের শুরুতেই একটা বিশ্রী কান্ড ঘটে গেল - কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? বিশ্রী কান্ডটি কী?

উঃ আজ বলতে ১লা জানুয়ারির কথা বলা হয়েছে।

        প্রতিদিনের মতোই প্রফেসর শঙ্কু ঐদিন নদীর তীরে মর্নিং ওয়াক সেরে ফিরেছেন। শোবার ঘরে ঢুকতেই একটা বিদঘুটে চেহারার লোককে দেখতে পেলেন। চমকে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন যে,  আসলে ওটা আয়না ছিল। লোকটি অন্য কেউ নয়--তারই ছায়া। এই ক'বছরে তার চেহারা ওই রকম হয়েছে। তার আয়নার প্রয়োজন হয় না বলে আয়নার উপরে ক্যালেন্ডার রেখেছিলেন। কিন্তু সকালে প্রহ্লাদ বছর শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে ওটাকে নামিয়ে রেখেছে। ফলে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখেই তিনি চিৎকার করে উঠেছিলেন। এই ঘটনাকেই বিশ্রী কান্ড বলা হয়েছে। 

৩০) লেখক প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরিটা কার কাছ থেকে পেয়েছিলেন ?

উঃ তারক চাটুজ্যের কাছ থেকে 

৩১) শঙ্কু বড়ি তৈরির আইডিয়া কোথা থেকে পেয়েছিলেন?

উঃ মহাভারতের জৃম্ভনাস্ত্র থেকে।

৩২) টাফা কি ? টাফা সম্পর্কে যা জানো লেখো। 

উঃ টাফা হল সৌরজগতের একটি সাদা, ঝলমলে, নির্মল, নিষ্কলঙ্ক চাঁদের মত একটি গ্রহ। 

          মহাকাশে যাত্রাকালে রকেট থেকে প্রফেসর শঙ্কু এই টাফা গ্রহের মুখোমুখি হয়েছিলেন। রকেটের জানালা থেকে এই টাফা গ্রহকে দেখে এক অপূর্ব দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। এর সর্বাঙ্গে জোনাকির মতো আলো জ্বলছে আর নিভছে। এই টাফা গ্রহেই নাকি সৌরজগতের প্রথম সভ্য লোকেরা বাস করে। এই গ্রহের প্রত্যেকটি লোক নাকি বৈজ্ঞানিক। এত বুদ্ধিমান লোক একসঙ্গে থাকার জন্য অনেকদিন থেকে তাদের অসুবিধা হচ্ছে। তাই কয়েক বছর থেকে তারা নাকি অন্য গ্রহ থেকে একটি করে কম বুদ্ধির লোক বেছে নিয়ে টাফায় বাস করাচ্ছেন। 

         সেই টাফা গ্রহে নামতেই তারা পিঁপড়ে জাতীয় চেহারার কিছু প্রাণীর সন্ধান পেয়েছিলেন। বড় মাথা আর চোখ কিন্তু সেই অনুপাতে হাত পা সরু। সেখানে ঘরবাড়ি বলতে কিছু নেই, গাছপালাও নেই। এরা গর্তের ভিতর ঢুকে যায় এবং সেখানেই বাস করে।



,



Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)