গঙ্গাস্তোত্রম্ শঙ্করাচার্য প্রশ্ন
শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম কবিতা
শঙ্করাচার্য ( দ্বাদশ শ্রেণী)
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
১) শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম কবিতার রচয়িতা কে ?
👉 শ্রী শংকরাচার্য
২) শংকরাচার্য কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
👉 কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কালাডি গ্রামে।
৩) শংকরাচার্য কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
👉 ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে নম্বুদ্রি ব্রাহ্মণ পরিবারে।
৪) শংকরাচার্য কে ছিলেন ?
👉 অদ্বৈত বেদান্ত প্রতিষ্ঠাতা
৫) গম্ভাস্তোত্রম কি জাতীয় কবিতা ?
👉 ভক্তিমূলক স্তোত্র জাতীয় কবিতা।
৬) গঙ্গাস্তোত্রমে মোট কয়টি শ্লোক আছে ?
👉 ১৪ টি
৭) গঙ্গাস্তোত্রম কবিতার কয়েকটি শ্লোক তোমাদের পাঠ্য ?
👉 ১০ টি
৮) গঙ্গাস্তোত্রম কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত ?
উঃ পজঝটিকা
৯) নিগমে কথার অর্থ কি ?
👉 বেদাদী শাস্ত্র
১০) গঙ্গার তরঙ্গ কিরকম ?
👉 তুষার চন্দ্র মুক্তার মতো শুভ্র
১১) গঙ্গাকে হরিপাদপদ্মতরঙ্গিনী বলা হয়েছে কেন ?
👉 গঙ্গা বিষ্ণুর চরণকমল থেকে নির্গতা হয়েছেন বলে।
১২) শংকরমৌলিবিহারিনী পদটিতে কোন বিভক্তি আছে ?
👉 সম্বোধনে প্রথমা
১৩) গঙ্গার দুটি প্রতিশব্দ লেখ।
👉 ভাগীরথী, ভীষ্মজননী, সুরেশ্বরী
১৪) জঠোর শব্দের অর্থ কি ?
👉 মাতৃগর্ভ
১৫) তব কৃপয়া চেন্মাতঃ স্রোতঃ স্নআতঃ"- কার কৃপায় ?
উঃ গঙ্গার
১৬) মুনিবরকন্যেঃ - মুনিবর কে ?
👉 জহ্নুমুনি
১৭) অলকানন্দে কোন বিভক্তি আছে ?
👉 সম্বোধনে প্রথমা
১৮) শ্বপচঃ পদের অর্থ কি ?
👉 চন্ডাল
১৯) গঙ্গা জলের মহিমা কোথায় বর্ণিত আছে ?
👉 নিগমে
২০) শংকর আচার্য কোন ধর্ম প্রচার করেছিলেন ?
👉 ব্রাম্ভণ্য
২১) মৌলি পদের অর্থ কি ?
👉 মস্তক
রচনাধর্মী প্রশ্ন
১) গঙ্গাকে ভাগীরথী ভীষ্মজননী ও মুনিবরকন্যে বলার তাৎপর্য লেখ।
উঃ দার্শনিক শংকরাচার্য "শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম" কবিতায় গঙ্গার মহিমা বর্ণনায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন। সেই প্রসঙ্গে গঙ্গার মহিমার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি গঙ্গাকে একাধিক বিশেষণে ভূষিত করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো- ভাগীরথী,ভীষ্মজননী, মুনিবরকন্যে। এই সকল বিশেষণে ভূষিত করার কারণগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো-
ভীষ্মজননীঃ ঋষি বশিষ্ঠ কর্তৃক অষ্টবসু অভিশাপগ্রস্ত হন। সেই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অষ্টবসু গঙ্গার আশ্রয়প্রার্থী হন। তাদের মুক্তির জন্য গঙ্গা মর্ত্যভূমিতে শান্তনুর মহিষী রূপে অবস্থান করেন। তখন তিনি শর্ত দিয়েছিলেন যে ,কোনদিন তার কোন কাজের প্রতিবাদ করা চলবে না। যদি কোনদিন প্রতিবাদ করেন তাহলে সেই মুহূর্তে তিনি শান্তনুকে ত্যাগ করবেন। এরপর গঙ্গা তার সাতটি পুত্র সন্তানকে জন্মানোর পরেই জলে নিক্ষেপ করেন। অষ্টমপুত্রটিকে নিক্ষেপের সময় শান্তনু বাধা দেওয়ায় গঙ্গা সেই পুত্র সন্তানকে দিয়ে চলে যান। সেই সন্তান পরবর্তীকালে ভীষ্ম নামে পরিচিত হন। তাই গঙ্গাকে ভীষ্মজননী বলা হয়।
মুনিবরকন্যেঃ ভগীরথ যখন গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে এই মর্তভূমিতে নামিয়ে আনছিলেন তখন তার জলধারায় জহ্নু মুনির আশ্রম এবং যজ্ঞের সরঞ্জাম প্লাবিত হয়ে যায়। এর ফলে তিনি রেগে যান এবং গঙ্গাকে পান করেন। পরে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে গঙ্গাকে তার জানু দিয়ে বের করে দেন। সেই জন্য গঙ্গাকে মুনিবর কন্যা জহ্নু তনয়া বলা হয়।
২) গঙ্গাকে সুরেশ্বরী বলা হয়েছে কেন ?
উঃ পুরান অনুযায়ী গঙ্গা- ১) ব্রহ্মার কমন্ডলু থেকে উৎপন্না।২) শ্রীহরির পাদস্পর্শে ধন্যা এবং ৩) গঙ্গা দেবাদিদেবের জটাজাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই তিন প্রধান দেবতার সঙ্গে গঙ্গা সম্পর্ক যুক্তা হওয়ায় তাকে সুরেশ্বরী বলা হয়েছে।
৩) গঙ্গাকে হরিপাদপদ্মতরঙ্গিনী বলার কারণ কি ?
👉 পুরানে কথিত আছে, গঙ্গা ও শ্রীকৃষ্ণ উভয়ে পরস্পর প্রেমাসক্ত হন। এতে রাধা রেগে গিয়ে কৃষ্ণকে ভৎসনা করেন এবং গঙ্গাকে পান করতে উদ্যত হন। গঙ্গা তা জানতে পেরে শ্রীকৃষ্ণের চরণে আশ্রয় নেন। তাতে পৃথিবীর জলশূন্য হলে দেবগনের অনুরোধে কৃষ্ণ গঙ্গাকে তার পায়ের নখের অগ্রভাগ থেকে বের করে দেন। তাই গঙ্গাকে হরিপাদপদ্মতরঙ্গিনী বলা হয়।
৪) গঙ্গাকে পতিতোদ্ধারিণী বলার কারণ কি ?
উঃ দার্শনিক কবি শংকরাচার্য শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম কবিতায় গঙ্গার মহিমা বর্ণনা দিতে গিয়ে গঙ্গাকে তিনি নানা সম্মোধনে ভূষিত করেছেন। সেই বর্ণনা প্রসঙ্গেই তিনি বলে সম্বোধন করেছেন তা আলোচনা করা হল-
পতিত কথার অর্থ অবহেলিত , বঞ্চিত বা নিচ। আর উদ্ধারিনী শব্দের অর্থ মুক্তিদান কারিনী।পতিতোদ্ধারিনী শব্দের অর্থ হলো নীচ বা অবহেলিত ব্যক্তিদের মুক্তিদানকারিনী।
গঙ্গা হল ত্রিপথ গামিনী। এই গঙ্গা স্বর্গে প্রবাহিত হয়েছে মন্দাকিনী নামে, পাতালে ভগবতী, আর মর্ত্যে ভাগীরথী, পদ্মা নামে প্রবাহিত হয়েছে। পর্বত শিখরে সঞ্চিত বরফ গলিত জলধারা সমগ্র ভারতবর্ষকে শীতল জল ও পলি দ্বারা উর্বর করেছে। ভারত ভূমিকে করেছে পুর্ণ্য তীর্থে। শুধু তাই নয়, তার প্রবাহিত জলধারায় নামলে পুণ্যলাভ করে মানুষ শান্তি পায়। কোন শ্রাদ্ধাদিকর্মে, পূজা- পার্বণে গঙ্গার জল একান্ত প্রয়োজন। তার জলে স্নান করলে পুনরায় মাতৃগর্ভে জন্ম নিতে হয় না। সেই জল পান করলে শ্রেষ্ঠ পদ লাভ করা যায়। এক কথায় গঙ্গার ভক্তদের যমরাজও স্পর্শ করতে পারেনা। গঙ্গা তার পবিত্র জল দ্বারা পতিত অর্থাৎ নিচ ব্যক্তিদের পাপকর্ম থেকে মুক্তি দান করে মোক্ষলাভের পথকে ত্বরান্বিত করে। তাই কবি গঙ্গাকে পতিতোদ্ধারিনী বলে সম্বোধন করেছেন।
👉 পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও
১) মুনিবর কন্যে - মুনিবর কে ?
উঃ জহ্নুমুনি
২) অলকানন্দে কোন বিভক্তি ?
উঃ সম্বোধনে প্রথমা
৩) শ্বপচঃ পদের অর্থ কি ?
উঃ চন্ডাল
৪) গঙ্গা জলের মহিমা কোথায় বিখ্যাত ?
উঃ নিগমে
৫) ইহলোকে কে পতিত হয় না?
উঃ কি হলো কে যারা গঙ্গাকে প্রণাম করে তারা পতিত হয় না।
৬) গঙ্গাস্তোত্রম এর রচয়িতা কে ?
উঃ শংকরাচার্য
৭) গঙ্গাস্তোত্রম কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত ?
উঃ পজঝটিকা
৮) জঠর শব্দের অর্থ কি ?
উঃ মাতৃগর্ভ
৯) গঙ্গাবাচক শব্দের কয়েকটি প্রতিশব্দ লেখ।
উঃ জাহ্নবী, ভাগীরথী, ত্রিপথগা
১০) ত্বমসি গতির্মম"- এখানে ত্বম পদের দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে ?
উঃ গঙ্গাকে
১১) পৃথিবীর কল্পলতা কে ?
উঃ গঙ্গা
১২) "শংকরমৌলীবিহারিনি" পদটিতে কোন বিভক্তি আছে ?
উঃ প্রথমা বিভক্তি
১৩) অপাঙ্গ শব্দের অর্থ কি ?
উঃ কটাক্ষ
১৪) মৌলি পদের অর্থ কি ?
উঃ মস্তক
উঃ স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল এই তিন ভুবনকে গঙ্গা পরিত্রাণ করেন।
১৮) গঙ্গাকে কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
উঃ কল্প বৃক্ষের সঙ্গে
১৯) গঙ্গার অবস্থান কোথায় ?
উঃ মহাদেবের মস্তক
২০) শংকরাচার্য কোন রাজ্যের অধিবাসী ?
উঃ কেরল
২১) ভগবতী পদের বুৎপত্তি লেখো।
উঃ ভগবৎ + মতুপ + টাপ।
২২) গঙ্গাস্তোত্রম পাঠ্যাংশ কয়টি স্তোত্র আছে ?
উঃ দশটি
২৩) গঙ্গাকে জাহ্নবী বলা হয় কেন ?
উঃ গঙ্গা জহ্নুমুনির কন্যা বলে গঙ্গাকে জাহ্নবী বলা হয়।
২৪) গঙ্গার দুটি মহিমা উল্লেখ কর।
উঃ
২৫) দেববধূগণ গঙ্গাকে কিভাবে দেখেন ?
উঃ সাগরের সাথে মিলিত হওয়ায দেববধূগন গঙ্গাকে কটাক্ষ করেন।
২৬) গঙ্গা কার জননী ?
উঃ ভীষ্ম
২৭) তব জলমহিমা নিগম খ্যাত- এখানে নিগম শব্দের অর্থ কি ?
উঃ বেদাদি শাস্ত্র
২৮) গঙ্গার শুভ্রতা কার মত ?
উঃ হিমচন্দ্র ও মুক্তার মত
২৯) শংকরমৌলীবিহারিনী- কোন বিভক্তি হয়েছে ?
উঃ প্রথমা
৩০) বিধু কথার অর্থ কি ?
উঃ চন্দ্র
৩১) বৈকুণ্ঠে কারা বাস করেন ?
উঃ গঙ্গার তটের কাছাকাছি যাদের বাস তারাই বৈকন্ঠে বাস করেন।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.