Class-9 geography chapter first summetiv evaluation
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
ভূগোল (নবম শ্রেণী)
First summetiv evaluation
Geography
১) বৃহস্পতির উপগ্রহের সংখ্যা কয়টি?
উঃ ৬৭
২) গোধূলির স্থায়িত্বকাল সব থেকে কম কোন অঞ্চলে?
উঃ অরুনাচল প্রদেশ
৩) পৃথিবীর নিরক্ষীয় তল কক্ষতলের সঙ্গে কত কোণে অবস্থিত ?
উঃ 66½
৪) বসন্তকালীন বিষুব রেখা বলা হয় কোন দিনকে?
উঃ ২১ মার্চ
৫) আর্যভট্ট মনে করতেন পৃথিবীর আকৃতি ___________।
উঃ গোলাকার
৬) নেপচুনের একবার পরিক্রমণের সময়_________ বছর।
উঃ ১৬৫ বছর
৭) ভারতের মহাকাল একটি _____________শ্রেণীর পর্বতের উদাহরণ।
উঃ
৮) ক্যালডেরা লক্ষ্য করা যায় কোন পর্বতে ?
উঃ
৯) ভারতের পূর্ব উপকূল কোন প্রকার সমভূমির অন্তর্গত ?
উঃ
১০) পশ্চিমবঙ্গের একটি ভূমিকম্পপ্রবণ জেলার নাম কি ?
উঃ
১১) মহীভাবক আলোড়ন ব্যাবচ্ছিন্ন মালভূমি, পর্যায়ন অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বাঘেল খন্ড পর্বত বেষ্টিত মালভূমি। লাদাখ বহির্জাত প্রক্রিয়া
১২) শুদ্ধ অশুদ্ধ লেখো।
ক) এরাটোস্থেনিসের মতে পৃথিবীর পরিধি ৪৬,২৫০ কিলোমিটার।
উঃ শুদ্ধ
খ) শুক্র গ্রহ পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে ।
উঃ মিথ্যা
গ) বহির্জাত প্রক্রিয়া এক প্রকার পার্থিব ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ।
উঃ
খ বিভাগ
B. প্রশ্নগুলির অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
১) GPS কি ?
উঃ জিপিএস এর পুরো কথা হল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। ইহা কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে দূর সংবেদনের মাধ্যমে পৃথিবীর কোন স্থানের অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র।
২) অভিগত গোলক কাকে বলে ?
উঃ যে গোলকের উত্তর দক্ষিণ দিক সামান্য চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিম দিক সামান্য ফোলা, তাকে অভিগত গোলক বলে।
৩) টলেমিএবং কপারনিকাস পৃথিবীর গতি সম্পর্কে কি ধারণা করতেন ?
উঃ
৪) কোরিওলিস বলের দুটি প্রভাব লেখ।
উঃ ক) করিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্র স্রোত প্রভৃতি গতিশীল পদার্থের গতিপথ উত্তর গোলার্ধের ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।
খ) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ শান্ত বলয়ের দিকে প্রবাহিত আয়ন বায়ু ফেরেলের সূত্র মেনে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে বেঁকে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়।
৫) ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি কাকে বলে ?
উঃ কোন প্রাচীন বিস্তীর্ণ মালভূমি অঞ্চল যখন ছোট বড় নদী উপত্যকার দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে মালভূমির আকারে অবস্থান করে তখন তাকে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলে।
যেমনঃ পূর্ব ভারতের ছোটনাগপুর মালভূমি, কর্ণাটক মালভূমির মালনাদ মালভূমি অঞ্চল ইত্যাদি।
৬) হড়পা বান কাকে বলে ?
উঃ
C. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
১) পৃথিবীর আকার সম্পর্কিত প্রাচীন ধারণাগুলোর বর্ণনা দাও।
উঃ পৃথিবীর আকৃতি কেমন এই নিয়ে বহুদিন থেকেই নানা বিজ্ঞানীদের মধ্যে নানা মতবাদ প্রচলিত ছিল। কেউ বলতেন পৃথিবীর সমতল, কেউ বলতেন পৃথিবী গোল।
যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগে পিথাগোরাস ঘোষণা করেন পৃথিবীর মোটেই চ্যাপ্টা নয়, পৃথিবীর আকৃতি গোলকের মতো গোল। যিশুখ্রিস্টের জন্মের ২০০ বছর আগে গ্রিক দার্শনিক এরাটোস্থেনিস বলেছিলেন যে পৃথিবী আসলে গোলাকার।
গোলাকার ছায়াতত্ত্বঃ গোলাকার পদার্থের ছায়াও গোলাকার হয়। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের উপর পৃথিবীর গোলাকার ছায়া পড়ে। কোন গোলাকার বস্তুর ছায়াই একমাত্র গোলাকার হয় অর্থাৎ পৃথিবীর আকৃতি গোল।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তঃ পৃথিবীর আকৃতি চ্যাপ্টা সমতল হলে পৃথিবীর সর্বত্রই একই সময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হতো কিন্তু পৃথিবীর গোলাকার বলে অবস্থান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন স্থানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়।
দিগন্ত রেখাঃ সমুদ্র বা বড় মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে দূরে তাকালে মনে হয় আকাশটা যেন গোল হয়ে পৃথিবীর পৃষ্ঠের সাথে মিশে গেছে। এই রেখাকে দিগন্ত রেখা বলে। পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির জন্যই এরকম হয়।
ভূপ্রদক্ষিণঃ ম্যাগেলান,কুক প্রমুখ ভূ পর্যটকগণ একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে নির্দিষ্ট দিকে প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে ফিরে আসায় প্রমাণিত হয় পৃথিবীর আকৃতি সমতল নয় বরং গোলাকার।
প্রত্যক্ষ প্রমাণঃ পৃথিবীর নানা মহাকাশচারীগণ মহাকাশে অভিযান করে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখেছেন পৃথিবী গোলাকৃতি বা গোলীয় আকৃতির ।
২) আমরা পৃথিবীর আবর্তন গতি অনুভব করি না কেন ?
উঃ আমরা পৃথিবীপৃষ্ঠের যেখানে আছি তার পারিপার্শ্বিক গাছপালা, জীবজন্তু যাবতীয় জিনিসপত্র পৃথিবীর সঙ্গে একই গতিতে এবং একই সঙ্গে আবর্তন করছে।ফলে প্রতিটি সচল বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান একই থাকে বলে আমাদের চোখে তার স্থানগত পরিবর্তন ঘটে না। তাই আমরা পৃথিবীর আবর্তন গতি বুঝতে পারি না।
৩) পৃথিবীর প্রধান প্রধান আগ্নেয় বলয় গুলির বর্ণনা দাও।
উঃ
৪) দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের তিনটি পার্থক্য লেখ।
উঃ
বিভাগ - ঘ
D. ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাও।
১) পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলাফলগুলি বর্ণনা করো।
উঃ পরিক্রমণ গতির ফলাফল গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো-
ক) দিনরাত্রির হ্রাসবৃদ্ধিঃ পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষতলের সঙ্গে কিছুটা হেলে অবস্থান করে। তাই পৃথিবীও কিছুটা হেলানোভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। ফলে কক্ষপথের এক একটা জায়গায় পৃথিবীর এক একটা গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে। যখন পৃথিবীর যে গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে তখন সেই গোলার্ধ ক্রমশ দিন বড় এবং রাত ছোট হয়। অন্য গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা ঘটে।
খ) ঋতু পরিবর্তনঃ পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির ফলে উভয় বোলারথে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধির ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উত্তাপের তারতম্য ঘটে এই উত্তাপের তারতম্যের ফলে দুই গোলার্ধের বিভিন্ন অংশে ঋতুর পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ঘটে।
২) পৃথিবীর দিনরাত্রের দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধির কারণ গুলি লেখ।
উঃ এই পৃথিবীতে বছরের বিভিন্ন সময়ে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হারাস বৃদ্ধি ঘটে থাকে। এর প্রধান কারণ গুলি হল-
ক) পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতি খ) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ গ) পৃথিবীর অবিরাম আবর্তন ও পরিক্রমণ গতি ঘ) পৃথিবীতে মেরু রেখার সর্বদা এক মুখে অবস্থান এবং ঙ) সূর্য প্রদক্ষিনের সময় পৃথিবীর মেরু রেখা, তার কক্ষতলের সঙ্গে সাড়ে ৬৬ ডিগ্রি হেলে থাকে বলে বছরের বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীতে দিন রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধির ঘটে।
৩) পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তনের কারণগুলি আলোচনা কর।
উঃ
৪) পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলাফল গুলি আলোচনা করো।
উঃ পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে ক) পৃথিবীতে দিন ও রাত্রি হয় খ) পৃথিবীর জলভাগে অর্থাৎ নদী সমুদ্র বা হ্রদে জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয়।গ) বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্র স্রোতের নানা রকমের গতিবিক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় ঘ) সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়। এছাড়াও ঙ) পৃথিবীতে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সৃষ্টিতে এবং চ) সময় গণনার ক্ষেত্রে পৃথিবীর আবর্তন গতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
।।।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.