কোনটি গল্পের প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণী
১) বারুণী কি? বারুন এর দিনে গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখ। 1+4
উঃ কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে পুণ্যস্নানের দ্বারা পালনীয় ব্রতকে বলা হয় বারুণী। এই তিথিতে মনস্কামনা পূরণের জন্য গঙ্গা দেবের উদ্দেশ্যে কাঁচাফল দান করা হয়।
বারুণী ব্রতকে কেন্দ্র করে গঙ্গার ঘাটে প্রচন্ড ভিড় জমে উঠেছিল।এদের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সদ্য ওঠা কাঁচা আম মাথার ওপরে ধরে, ডুব দিয়ে কেউ কাছে বা দূরে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিল। সেই সময়ে মহা উৎসবের সমারোহে ছোট ছোট ছেলেরা সেই আম কুড়াচ্ছিল। কেউ এক গলা জলে দাঁড়িয়ে, কেউ বা দূরে ভেসে ছিল। আম দেখলেই দু-তিনজন চিৎকার করতে করতে জল তোলপাড় করে এগিয়ে যাচ্ছিল। সেই আমগুলি কুড়িয়ে তারা প্যান্টের পকেটে রেখে দিচ্ছিল। আর পকেট ভর্তি হলে ঘাটের কাছে কোন জায়গায় তারা রেখে আসছিল।
ভাটায় জল ঘাট থেকে সরে যাওয়ায় কাদামাখা পায়ে ফেরা লোকেদের মুখে বিরক্তির আভাস উঠে আসছিল।তারপর অনেকেই সেই গঙ্গায় স্নান করার জন্য বামুনদের কাছে পয়সা দিয়ে জামাকাপড় জমা রেখে গায়ে মাখা সরষের তেল দেয় এবং কপালে চন্দনের ছাপ আঁকে। তাদের মধ্যে অনেকেই ছোট ছোট দেবদেবীর দুয়ারে এবং শিব লিঙ্গের মাথায় গঙ্গা জল ঢেলে পাশাপাশি অবস্থিত দোকানগুলো থেকে কিছু কিনে বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়। এভাবেই বারনির দিনে লোকজনদের ভিড় ও তাদের ক্রিয়া-কলাপ গল্পাংশে ফুটে উঠেছে।
২) চার বছরের মধ্যেই প্রজাপতির ডানা মেলে দিয়েছে--প্রজাপতি বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার আগে কি নাম ছিল? প্রজাপতি কিভাবে ডানা মেলেছিল? 1+1+3
উঃ আলোচ্য অংশটি মতি নন্দীর রচিত কোনি উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ থেকে নেওয়া হয়েছে।এখানে প্রজাপতি বলতে ক্ষিতীশ সিংহ এবং লীলাবতীর যে টেলারিং এর দোকান ছিল লীলাবতী সেই দোকানটির দায়িত্ব নিয়ে তার নামকরণ করেছিল প্রজাপতি অর্থাৎ প্রজাপতি বলতে এখানে সেই দোকানটির কথাই বলা হয়েছে।
এই দোকানটির আগের নাম ছিলো সিনহা টেলারিং।
সিনহা টেলারিং নামক দোকানটি চালাত সিংহ। তিনি দিনে দু ঘন্টা ও দোকানে বসতেন না। দুপুর বাদে তাকে সর্বদাই পাওয়া যেত জুপিটার সুইমিং ক্লাবে।এইভাবে চলতে চলতে একদিন দেখা যায় আলমারির কাপড় অর্ধেকেরও বেশি অদৃশ্য হয়ে গেছে। দোকানের ভাড়া চার মাস বাকি পড়ে গেছে। ফলে লাভের বোতলে লোকসান শুরু হচ্ছে।
এইরকম অবস্থায় লীলাবতী সেই দোকানের দায়িত্ব নেয়। তিনি নিজের গহনা বন্ধক দিয়ে সেই দোকানটি ঢেলে সাজান। টেলারিং ডিপ্লোমা পাওয়া দুটি স্ত্রীলোককে সেই দোকানে রাখেন। পুরুষদের পোশাক তৈরি করা বন্ধ করে, কেবলমাত্র মেয়েদের এবং বাচ্চাদের পোশাক তৈরি করতে থাকেন। তিনি সেই দোকানে পুরুষ কর্মচারী রাখেন না। আগে তিনদিনের মধ্যেই ব্লাউজ তৈরি করে দেয়া হতো। কিন্তু এখন 10 দিনের আগে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। আবার অন্যদিকে দেখা যায়, লীলাবতী তার বাধা দেওয়া গহনার অর্ধেকেই বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে। এখন জায়গা বেশি না থাকার জন্য বড় ঘর খুঁজছেন। এভাবেই প্রজাপতি ডানা মেলে ছিল।
৩) ক্ষিতীশ এর বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ উঠেছিল? 5
উঃ মতি নন্দী রচিত কোনি গল্পে লেখক সুইপারদের এক অপূর্ব বর্ণনা দিয়েছেন। আলোচ্য গল্পের তৃতীয় পরিচ্ছেদে জুপিটার নামক সুইমিং ক্লাবে একটি মিটিংয়ের বর্ণনা পাওয়া যায়। ক্ষিতীশ ছিলেন সেই ক্লাবেরই এক অন্যতম সদস্য। সেদিন মিটিংয়ে ক্ষিতীশ এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় তাকে ক্লাব ছাড়তে হয়। তার সম্পর্কে যে অভিযোগগুলি উঠেছিল তা আলোচনা করা হলো।
ক্ষিতীশ জুনিয়ার ছেলেদের সামনে শ্যামলকে তার টাইম আর আমেরিকার 12 বছরের মেয়েদের টাইম এর তুলনা করে তাকে অপমান করেছেন। গোবিন্দ ব্রেস্ট স্ট্রোকে বেঙ্গল রেকর্ড হোল্ড করেছে, লাস্ট ইয়ারেও বোম্বাই ন্যাশনালে গিয়েছিল, তাকেও বলেছেন কান ধরে ক্লাব থেকে বের করে দেবে। সুহাস ইনফুলেঞ্জায় পড়ে দিন দশেক আসতে পারেনি । তিনি তার বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে যা-তা কথা বলে এসেছেন। অমিয়া ও বেলা জুপিটার ছেড়ে অ্যাপেলোয় গিয়েছিল শুধুমাত্র ক্ষিতীশ এর জন্য। কারণ উনি তাদের চুল কাটতে চেয়েছিলেন। পুরুষদের মত ওদেরও বারবেল নিয়ে এক্সারসাইজ করার জন্য ঝগড়া করতেন। ওদের ড্রেস ,ওদের সাজ নিয়ে রোজ খিটখিট করতেন। তাছাড়া সুইমার-রা ক্লাবের প্রাণ হলেও তিনি সুইমার দের সঙ্গে আধুনিকতায় তাল রেখে চলতে পারেননি। তাদের মন মেজাজ বোঝার মত ক্ষমতা ক্ষিতিশের নেই। এইসব নানান অভিযোগ থাকার জন্যই ক্ষিতিশকে ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল।
৪)" হাঁড়িতে ভাত ফোটার শব্দ টা শুধু সেই মুহূর্তে একমাত্র জীবন্ত ব্যাপার"--প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ভাত ফোটার শব্দটিকে জীবন্ত ব্যাপার বলার তাৎপর্য লেখ।5
উঃ বিখ্যাত সাহিত্যিক মতি নন্দী রচিত কোনি নামক গল্প গ্রন্থ থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। এখানে দরিদ্র অভাবগ্রস্ত কিছু মানুষের পরিবারে যেন প্রাণের পদধ্বনি প্রকাশিত হয়েছে।কনির পরিবারের দারিদ্রতা এবং তাদের চোখে কনির বড় হওয়ার স্বপ্নের বর্ণনা প্রসঙ্গেই লেখক আলোচ্য প্রসঙ্গটির উল্লেখ করেছেন।
কনির নিরলস অধ্যবসায় ও সমস্যার সাথে মোকাবিলা করে জয়ী হওয়ার পিছনে যে যে চরিত্রের অবদান আছে তারা হলেন ক্ষিতীশ ও তার দাদা কমল। কমল নিজেই একজন ভালো সাঁতারু ছিল। কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর সংসারের ভার এসে পড়ে তার ওপর। ফলে সে তার লক্ষ্য থেকে বঞ্চিত হয়।কিন্তু কোনি ভালো সাঁতারু হলেও তার খরচ চালানো কমলের পক্ষে অসম্ভব ছিল। কমলও চেয়েছিল যে কোনি তার স্বপ্নকে পূরণ করবে। কমলের সেই স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখিয়েছিল ক্ষিতীশ।যক্ষা রোগ আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী কমল ক্ষিতীশ এর কাছে জানতে চেয়েছিল যে কোনি বড় সাঁতারু হতে পারবে কিনা?তখন কোনিকে অনেক বড় সাঁতারু হওয়ার কথা বললে কোনি কিছুটা হতভম্ব হয়ে যায় এবং নিজের অজান্তেই দাদাকে কথা দিয়ে ফেলে। তখন সকলেই স্তব্ধ হয়ে যায় এবং নিজেদের চিন্তায় মগ্ন থাকে। এই নিস্তব্ধতার মধ্যে হাঁড়িতে ভাত ফোটার শব্দটি একমাত্র জীবন্ত বলে মনে হয়।
৫)" কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটিতো আমার পা ধোয়া জল খাবে"প্রসঙ্গ নির্দেশ করে বক্তার মনোভাবের পরিচয় দাও। ২+৩
উঃ ক্ষিতীশ এর চেষ্টায় অ্যাপেলো ক্লাবের জলাশয়ে কোনের সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু হয়। নানা পদ্ধতি ও নানা উপদেশে কনিকে একজন ভালো ছাত্র তৈরি করার চেষ্টা করেন তিনি। ঠিক সেই সময়েই তাকে নানা ব্যঙ্গোক্তি শুনতে হয়। অ্যাপেলো ক্লাবের অমিয়া ছিল দক্ষ সাঁতারু এবং বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন। ক্ষিতীশ এর কঠিন ব্যবহারে ক্ষুব্দ হয়ে সে জুপিটার ক্লাব ছেড়ে ছিল। ক্ষিতীশ ও কনিকে এপোলোকে দেখে এবং কনের প্রশিক্ষণ লক্ষ্য করে অমিয়া আলোচ্য কথাটি বলেছে।
এই উক্তি থেকে বক্তার ঔদ্ধত্য ও অহংকার প্রকাশিত হয়েছে। সে ছিল বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন। বাংলার সাঁতারুদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু যারা সেরা হয় তাদের কেবল মাত্র আত্মবিশ্বাস থাকলেই চলবে না, অবশ্যই মাটিতে পা ফেলে চলাটাও জরুরী। কিন্তু আমি আর ক্ষেত্রে তা হয়নি।সাফল্যের চূড়ায় বসে সে নিজেকে নিয়ে চরম অহংকার প্রকাশ করতে থাকে। জীবনে কাউকে ছোট করে দেখতে নেই। আর সেই ভুলটাই করেছিল অমিয়া। এখানে কনিকে পা ধোয়ার জল খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে শুধু কনিকে এই অপমান করা হয়নি, সে নিজেকে অত্যন্ত নিম্ন স্তরে নামিয়ে এনেছিল, মা তার সংকীর্ণ মনেরই পরিচায়ক।
৬) "এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক"---কার উক্তি? কার সম্পর্কে উক্তি? তা বুকের মধ্যে পুষে রাখার কারণ কি?
উঃ মতি নন্দী রচিত "কোনি "গল্পের অন্তর্গত আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন ক্ষিতীশ। কোন সম্পর্কে নিজের মনে তিনি আলোচ্য কথাটি বলেছেন।
ক্ষিতীশের চেষ্টায় অ্যাপেলো ক্লাবের জলাশয়ে কোনির সাঁতার শিক্ষণের প্রশিক্ষণ চলছিল। প্রতি রবিবার প্রজাপতি ও কোনীর শিখন প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকায় ক্ষীতিশ কোনীকে নিয়ে চিড়িয়াখানা বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘন্টা তিনেক ঘুরে পুকুর ধারে ঘাসে বসে কাগজের মোড়কে আনা রুটি আলু ছেঁচকি, সেদ্ধ ডিম আর কলা খেয়ে জলের খোঁজ করছিল। তখন কিছুদূরে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা ছেলে মেয়েদের দেখে তাদের কাছে কোনী জলের জন্য গিয়েছিল। কিন্তু তাদের কাছ থেকে জল না পেয়ে কোনি অপ্রতিভ অবস্থায় ফিরে আসে। আর বলে বড়লোকেদের মেয়েদের স্কুল। বড়লোকরা গরীবদেরকে ঘৃনা করে। তাই তারা জল না দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, তাদের মধ্যে হিয়া মিত্র নামে একটি মেয়ে জলভরা প্লাস্টিকের গ্লাস এনে তাদেরকে দিতে যায়। তখন সে সেই গ্লাসটিকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়।এই রাগের বর্ণনা প্রসঙ্গেই আলোচ্য প্রসঙ্গটি এসেছে। কারণ হিয়া মিত্র ছিল কোনির ভবিষ্যতের প্রতিদ্বন্দ্বী। ক্ষিতীশ বুঝেছিলো যে, এই রাগটিকে কোনটি বুকের মধ্যে পুষে রাখলে যেকোনো সময়ে কোনি উত্তেজিত হয়ে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। তাই এটিকে বুকের মধ্যে পুষে রাখার কথাই বলা হয়েছে।
৭) "অবশেষে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল"---কোনি কিভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল তা সংক্ষেপে লেখ।
উঃ মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো কোনি। কঠোর দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে করতে কোনি বাংলা সাঁতার দলে জায়গা করে নেওয়ার পথটা সহজ ছিল না। একজন দারিদ্র পরিবারের কোন না হয়েও কোনি কিভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা করে নিয়েছিল, তা আলোচনা করা হলো।
মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় বালিগঞ্জ ক্লাবের হিয়া মিত্রের সাঁতার প্রশিক্ষণ বিশ্বাস করে রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরো নবেন্দুর এই প্রস্তাব জুপিটার ক্লাবের সদস্যরা মেনে নেয়নি। কনের পক্ষ নিয়ে যে প্রণবেন্দু লড়াই করবেন তা তারা ভাবতে পারেনি। তাই তার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ধীরেন ঘোষ স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে পনির কীর্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চান। সেখানে তিনটি আলাদা আলাদা ইভেন্টের দুটি তে কনিকে অকারণে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়েছিল এবং একটি ইভেন্ট প্রথম হওয়া সত্ত্বেও তা মেনে নেওয়া হয়নি। প্রণবেন্দু এই কথা বলায় ধীরেন ঘোষ টেবিলে ঘুসি মেরে চিৎকার করে কণিকের দলে নেয়ার বিরুদ্ধে জানান যে কোন এর টাইমিং জানা নেই বলে তাকে দলে নেয়া সম্ভব নয়। একথা শুনে প্রণবেন্দু ঘোষণা করেন যে তাহলে বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাব এর সুইমার দর বাদ দিয়েই বাংলার দল গঠন করতে হবে। তাই বাধ্য হয়েই প্রণবেন্দুর প্রস্তাবে রাজি হতে হয় সকলকে। তবে ধীরেন ঘোষ এতে প্রণবেন্দু স্বার্থ খুঁজলে তিনি জানান যে মহারাষ্ট্রের রমা যোশীকে আটকানো ছাড়া তার আর কোন স্বার্থ নেই। এভাবেই কোনি বাংলা সাঁতার দলে স্থান পেয়েছিল।
৮) "জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে এখন ঠেকায় পড়ে এসেছো আমার কাছে"---কনের এই অভিমানের কারণ কি? এর পরবর্তী ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উঃ প্রখ্যাত সাহিত্যিক মতি নন্দীর রচিত কোনি উপন্যাস থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিতে গৃহীত হয়েছে। মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হলেও অনেকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বাংলা সাঁতার দলে পরিচালন সমিতি নিজেদের রাজনীতির দকে নির্বাচন করেননি। তাছাড়া সাঁতারু দলের ভিতরে রাজনীতি সাঁতারু কোণে কে বারবার অপমানিত হতে হয়। এসকল নানা কারণেই কনের মনে অভিমানের সৃষ্টি হয়।
মাদ্রাজের জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে ছিল কোন এর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাদ্রাজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেন থেকে শুরু করে হোটেলের ঘর পর্যন্ত সমস্ত অপমানের উত্তর দিয়ে কোনির সাফল্যের শিরোপা লাভ করে। প্রতিযোগিতার শেষ পর্বে তিন পয়েন্টে এগিয়ে থাকা মাদ্রাজ কে পরাজিত করতে বাংলার দল পয়েন্ট দরকার হয়। সেই মুহূর্তে বাংলা দলের সাঁতারু অমিয়ার পেটে ক্র্যাম্প ধরায় প্রণবেন্দু বিশ্বাসের নামানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সমস্ত অবহেলা ও অপমানের প্রতিশোধ নিতে কোন জলে নামতে চায় না। কিন্তু তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হিয়া মিত্র তাকে অপমান করলে কোন প্রবন্ধে জলে নামার সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্রের সাতারা রমা জোশী জলে নামার তিন সেকেন্ড পরে জলে নামলেও প্রবল দক্ষতা এবং হৃদয়ের তীব্র আক্রোশে সে রমা জোশীকে পরাজিত করে। কোনীর সাফল্য বাংলা চ্যাম্পিয়নশিপ লাভ করে।
৯) "ফাইট কোনি ফাইট"- কে কোন প্রসঙ্গে আলোচ্য উক্তিটি করেছিল?
উঃ মতি নন্দী রচিত "কোনি" গল্পের নবম পরিচ্ছেদে আলোচ্য উক্তিটি ক্ষিতীশ নিজের মনে মনে বলেছিল।
ক্ষিতীশ ছিলেন জুপিটার ক্লাবের একজন সাঁতার প্রশিক্ষক। পরে তিনি অপমানিত হয়ে, সেই ক্লাব ত্যাগ করে অ্যাপেলো ক্লাবের জলাশয়ে কণিকের সাঁতার শেখার প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা সঙ্গে সাঁতারু তৈরি করাই ছিল তার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য। কোনির মধ্যে তিনি ভবিষ্যতে সাঁতারু তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে তাকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। রুটিন অনুযায়ী একদিন যখন সাঁতার কাটছিল তখন সে প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে জল থেকে উঠে পড়তে চেয়েছিল। কিন্তু ক্ষিতীশ তাকে প্রহারের ভয় দেখিয়ে যখন সাঁতার কাটছিল তখন তার মনে হচ্ছিল কোনির হাত দুটো যেন কেউ জল থেকে ট্রেনে তুলে আবার নামিয়ে রাখছে। তার কষ্টকে উপলব্ধি করে তিনি আপন-মনে বলেছিলেন, যন্ত্রণাকে ঠেলে এগিয়ে যেতে হবে। মার খেয়ে ইস্পাত হয়ে উঠতে হবে। যন্ত্রণাকে বুঝে তাকে কাজে লাগাতে হবে। তাকে হারিয়ে দিতে হবে। তার সাথে যুদ্ধ করতে হবে, এই প্রসঙ্গেই আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.