আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ইতিহাস অষ্টম শ্রেণী প্রশ্ন উত্তর
অধ্যায় অনুসারে অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের প্রশ্ন-উত্তর বিষয়ে আলোচনা
History( class--viii) question and answer
১) আঞ্চলিক শক্তির উত্থান
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১) ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু হয় কত সালে?
উঃ ১৭০৭ খ্রীঃ
২) পলাশির যুদ্ধ কবে হয়েছিল?
উঃ ১৭৫৭ খ্রীঃ
৩) ব্রিটিশ শক্তির উত্থান কবে হয়েছিল?
উঃ 1757 খ্রিস্টাব্দে
৪) নাদির শাহ কতবার ভারত আক্রমণ করেছিলেন?
উঃ 17 বার
৫) বণিক রাজা নামে কারা পরিচিত ছিল?
উঃ মুর্শিদাবাদের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যেসকল বণিকদের প্রভাব ছিল,তারা বণিক রাজা নামে পরিচিত ছিল।এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো--উমিচাঁদ,জগৎ শেঠ,প্রমুখ।
৬) জগৎ শেঠ কার উপাধি?
উঃ। ফতেহ চাঁদ
৭) মুর্শিদকুলি খাঁ কবে মারা যান?
উঃ ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে
৮) মুর্শিদকুলি খাঁ এর সেনাপতির নাম কি?
উঃ আলিবর্দি খাঁ
৯) আলীবর্দী খাঁ কবে মারা যান?
উঃ 1756 খ্রিস্টাব্দের
১০) আলীবর্দী খাঁর দৌহিত্রের নাম কি?
উঃ সিরাজউদ্দৌলা
১১) বাংলায় বর্গী হানা বলতে কী বোঝো?
উঃ নবাব আলীবর্দীর সময়ে বাংলার এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল মারাঠা বর্গী আক্রমন। 1742 থেকে 1751 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মারাঠারা বাংলা ও ওড়িশার বিভিন্ন অঞ্চলে লুটতরাজ ও আক্রমণ চালিয়েছিল। সেই ঘটনাই বাংলায় বর্গী হানা নামে পরিচিত।
১২) চিল কুলিচ খান উপাধি কে কাকে দিয়েছিলেন?
উঃ সম্রাট ঔরঙ্গজেব মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকীকে এই উপাধি দিয়েছিলেন।
১৩) নিজামুল আসফ ঝাঁ উপাধি কার?
উঃ মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকী
১৪) হায়দ্রাবাদ রাজ্য কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকী ১৭২৪ খ্রীঃ
১৫) স্বাধীন হায়দ্রাবাদ রাজ্য কবে আত্মপ্রকাশ করে?
উঃ ১৭৪০ খ্রীঃ
১৬) বক্সারের যুদ্ধ কবে হয়েছিল?
উঃ ১৭৬৪ সালে
১৭) আলীবর্দী খাঁর সেনাপতির নাম কি?
উঃ মীরজাফর
১৮) কলকাতা জয়ের পর সিরাজ কলকাতার কি নাম রেখেছিলেন?
উঃ আলিনগর
১৯) অন্ধকূপ হত্যা কে অতিরঞ্জন বলে কে প্রমাণ করেছিলেন?
উঃ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়ী
২০) আলিনগরের সন্ধি কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ 1757 খ্রিস্টাব্দে সিরাজউদ্দৌলা ও ব্রিটিশদের সঙ্গে হয়েছিল।
২১) ইংরেজরা কবে, কার কাছ থেকে দেওয়ানি লাভ করেছিলেন?
উঃ 1765 খ্রিস্টাব্দের মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ আলমের কাছ থেকে।
২২) ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কবে হয়েছিল?
উঃ 1770 খ্রিস্টাব্দের (1176 বঙ্গাব্দ)
২৩) দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তক কে?
উঃ লর্ড ক্লাইভ
২৪) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে চালু করেন?
উঃ লর্ড ওয়েলেসলি
২৫) স্বত্ববিলোপ নীতির প্রবর্তক কে?
উঃ লর্ড ডালহৌসি
২৬) কে স্বেচ্ছায় অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেছিলেন?
উঃ হায়দ্রাবাদের নিজাম
২৭) চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ 1793 খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি ও টিপু সুলতানের মধ্যে
২৮) শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ 1799 খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ও টিপু সুলতানের মধ্যে
২৯) বন্দিবাসের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ 1760 খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি ফরাসিদের মধ্যে
৩০) সলবাইয়ের সন্ধি কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ 1782 খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ও মারাঠাদের মধ্যে
৩১) বেসিনের সন্ধি কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ 1802 খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ও পেশোয়ার দ্বিতীয় বাজিরাও
৩২) লাহোরের চুক্তি কবে হয়েছিল?
উঃ 1846 খ্রিস্টাব্দে
৩৩) ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে বাংলার নবাব কে ছিলেন?
উঃ মুর্শিদকুলি খাঁ
ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নের উত্তর দাও
আঞ্চলিক শক্তির উত্থান (অষ্টম শ্রেণি) অধ্যায়
১) ফারুকশিয়ারের ফরমান এর গুরুত্ব কি?
উঃ ফারুকশিয়ার ছিলেন একজন মুঘল সম্রাট।তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক অধিকার দেয়ার জন্য 1717 খ্রিস্টাব্দে একটি আদেশনামা জারি করেছিলেন সেটি ফারুকশিয়ারের ফরমান নামে পরিচিত ছিল।
ফরমানের গুরুত্ব ঃ
ক) ব্রিটিশ কোম্পানি বছরে মাত্র 3000 টাকার বিনিময়ে বাংলায় বাণিজ্য করতে পারবে।
খ) কোম্পানিকে কোন শুল্ক দিতে হবে না।
গ) কোম্পানির পণ্য কেউ চুরি করলে বাংলার নবাব তার শাস্তি দেবেন এবং কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দেবেন।
ঘ) ইংরেজ কোম্পানি কলকাতার কাছাকাছি অঞ্চলে 38 টি গ্রামের জমিদারি কিনতে পারবে।
ঙ) কোম্পানির জাহাজের সঙ্গে অনুমতি পত্র থাকলেই সেই জাহাজ অবাধে বাণিজ্য করতে পারবে।
ছ) বাংলার নবাবের মুর্শিদাবাদ প্রয়োজনমতো কোম্পানি ব্যবহার করতে পারবে।
২) কে কিভাবে ও কবে হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উঃ হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মির কামার উদ্দিন খান সিদ্দিকী।
হায়দ্রাবাদ ছিল মোঘল সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা একটি রাজ্য । এই রাজ্যের শাসক ছিলেন মুবারিচ খান। 1723 খ্রিস্টাব্দে মির কামার উদ্দিন খান সিদ্দিকী তাকে পরাজিত করেন। 1724 খ্রিস্টাব্দে তিনি দাক্ষিণাত্যের সুবাদার হয়ে হায়দ্রাবাদে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।
৩) পলাশীর লুণ্ঠন কাকে বলে?
উঃ 1757 খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পরে রবার্ট ক্লাইভ মীরজাফরকে বাংলার সিংহাসনে বসান। তার বিনিময়ে মীর জাফরের সঙ্গে কতগুলি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলায় অবাধে বাণিজ্য চালু করেন। ফলে কলকাতার উপরে নবাবের যাবতীয় অধিকার হারিয়ে যায়।
নবাব মীর জাফর কে সাহায্য করার বিনিময়ে ব্রিটিশ কোম্পানির অবাধে সম্পদ অধিকার করতে থাকে। পলাশীর যুদ্ধের পর সিরাজের কলকাতা আক্রমণের অজুহাতে এক কোটি 77 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নেয়। তার উপরে ক্লাইভ সহ কোম্পানির উচ্চ পদাধিকারীরা মীরজাফরের থেকে প্রচুর সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার সম্পদ কম্পানি মীরজাফর এর কাছ থেকে আদায় করেছিলেন। কোম্পানির তরফ এ এই অর্থ আত্মসাৎকে পলাশীর লুণ্ঠন বলা হয়।
৪) দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?
উঃ লর্ড ক্লাইভ বাংলায় দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। 1765 খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি বাংলায় দেওয়ানী অধিকার পাওয়ার ফলে যে নতুন শাসন ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন তা দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা নামে পরিচিত।
বাংলায় দুজন শাসক তৈরি হয়--একদিকে রাজনৈতিক ও নিজামত এর দায়িত্ব ছিল বাংলার নবাবের হাতে যাবতীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব হয়ে গিয়েছিল নবাব নিজাম
৫) পলাশীর যুদ্ধের কারণগুলি লেখ।
উঃ 1757 খ্রিস্টাব্দে 23 জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল তা পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধের পিছনে ছিল একাধিক কারণ
ইংরেজ কোম্পানির ষড়যন্ত্র ঃ
সিরাজ উদ্দোল্লা যখন বাংলার নবাব হন তখন তার আত্মীয় স্বজনেরা তার বিরোধিতা করেছিলেন। সেই সুযোগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সিরাজ বিরোধী ঘষেটি বেগম ও শওকত জং এর সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সিরাজ এই কথা জানতে পেরে ইংরেজ কোম্পানিকে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়ে ছিলেন।
দস্তকের অপব্যবহারঃ
মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ারের ফরমান অনুযায়ী ইংরেজ কোম্পানি বিনাশুল্কে বাণিজ্যের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছিল। কিন্তু কোম্পানির কর্মচারীরা এই সুযোগ নেওয়ার ফলে সিরাজ কোম্পানির উপর ক্ষুব্ধ হন।
নবাবের দুতকে অপমানঃ
নবাবের সঙ্গে ইংরেজ কোম্পানি দুর্গ নির্মাণ সংক্রান্ত মীমাংসার জন্য সিরাজ দূত হিসাবে নারায়ন দাসকে কলকাতায় পাঠান। কিন্তু ইংরেজরা তাকে অপমান করলে সিরাজ ইংরেজদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়।
আলিনগরের সন্ধি ভঙ্গ ঃঃ
এই সকল নানা কারণে সিরাজ কলকাতা আক্রমণ করেন এবং দখল করেন। কলকাতার নাম রাখেন আলিনগর আর যাতে যুদ্ধ না হয় সেই জন্য তিনি ইংরেজদের সঙ্গে আলিনগরের সন্ধি স্থাপন করেছিলেন। এই সন্ধির শর্ত অনুসারে ঠিক হয় যে সিরাজ ফরাসিদের সাহায্য করবেন না কিন্তু চন্দননগরে ফরাসিরা আশ্রয় লাভ করে। ইংরেজরা এই সন্দীপ ভঙ্গের অপরাধে নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
৬) ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের তিনটি কারণ লেখ।
উঃ 1764 খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ এক দুর্ভিক্ষ হয়েছিল ইহা ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত। এর পিছনে ছিল একাধিক কারণ, তাদের মধ্যে তিনটি কারণ হল-ক) অনাবৃষ্টিঃ
বাংলার চাষবাস ছিল প্রকৃতি নির্ভর। অতি অল্প বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ধান নষ্ট হয়ে যায়। তার পরের বছর অনাবৃষ্টি হওয়ায় চাষবাস একদম বন্ধ হয়ে যায়।সদস্য সত্য খ্রিস্টাব্দে কম বৃষ্টিপাত এর জন্য স্বল্প খরচে হলেও কোম্পানি এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা খাদ্য মজুদ করে। এর ফলে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
খ) চড়াসুদে রাজস্ব আদায়ঃ
মুঘল নবাবী আমলে ভূমি রাজস্ব হাঁটছিল উৎপাদনের ১/৩ অংশ। দেওয়ানি লাভের পর কোম্পানি নানারকম অত্যাচার চালিয়ে রাজস্ব আদায় করতে থাকে।ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় দুর্ভিক্ষের বছরের বেশি রাজস্ব আদায় হয়।
গ) রোগ ব্যাধি ঃ
খাদ্য সংকট ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ গাছের পাতা মরা পশুর মাংস এমনকি মানুষের মাংস খেয়েও ক্ষুধা নিবারণ করতে থাকে। পুকুরের জল দূষিত হয়ে যায়। ফলে কলেরা গুটিবসন্ত নানাপ্রকার মহামারীর রূপ ধারণ করে।
৭) ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা কি? রেসিডেন্স দের কাজ কি?
উঃ রেসিডেন্স বলতে বোঝায় প্রতিনিধি। ব্রিটিশ রেসিডেন্ট বা প্রতিনিধিরা যে স্থানে থাকতেন সেই স্থান বা বাসভবনকে বলা হতো রেসিডেন্সি। কোম্পানির রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান পরিণত হলেনানা দেশের শাসকদের সঙ্গে কোম্পানির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে কোম্পানি সেইসব শাসকদের দরবারে একজন করে প্রতিনিধি রাখতেন।কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার জন্য গড়ে তোলা এই ব্যবস্থা রেসিডেন্সি ব্যবস্থা নামে পরিচিত।
রেসিডেন্সদের কাজঃ
দেশীয় নানা রাজ্যগুলিতে কোম্পানি ও ইংরেজদের সঙ্গে নবাবদের কাজ কর্মের ওপর নজরদারি চালাতে এই রেসিডেন্সরা। ফলে স্বাধীনভাবে নবাবদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
লর্ড ওয়েলেসলি অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি চালু করলে রেসিডেন্সি ব্যবস্থার প্রসার ঘটে। এইসব রেসিডেন্স রা দেশীয় শাসকদের আর্থিক ও সামরিক শক্তি সম্বন্ধে কোম্পানিকে তথ্য সরবরাহ করতো। প্রতিবেশী শাসক বা বিদেশী শক্তির ব্যাপারে খোঁজখবর নিত। কোন রাজ্য সরকারি ভাবে দখল করা উচিত কিনা সে সম্পর্কে কোম্পানিকে পরামর্শ দিত এই রেসিডেন্টরা।
৮) অন্ধকূপ হত্যা বলতে কি বোঝ?
উঃ ইংরেজ কর্মচারী হলওয়েলের বিবরণ থেকে জানা যায় যে,নবাবের ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দখল এরপর নবাব বাহিনীর হাতে কোম্পানির 146 জন কর্মচারী বন্দি হয়েছিল। ওই রাত্রিতেই 18 ফুট লম্বা এবং 14 ফুট 10 ইঞ্চি চওড়া একটি ঘরে তাদের রাখা হয়েছিল। পরের দিন সকালে তাদের মধ্যে 123 জন মারা যায়, এই ঘটনা ইতিহাসে অন্ধকূপ হত্যা নামে পরিচিত।
৯) টীকা লেখঃ অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি
উঃ লর্ড ওয়েলেসলি 1789 খ্রিস্টাব্দে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রবর্তন করেন।ভারতে ইংরেজদের সাম্রাজ্য বিস্তারের ঘটনার লক্ষ্যে এই শর্ত তিনি চালু করেছিলেন।
সন্ধির শর্তাবলী ঃঃঃ
ক) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করি রাজ্যকে অভ্যন্তরীণ বিপদ থেকে ও বৈদেশিক আক্রমণ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রক্ষা করবে।
খ) ইংরেজ সেনাবাহিনীর ব্যবহার এই নীতি গ্রহন কারী রাজ্যকে বহন করতে হবে।
গ) ক্ষুদ্র রাজ্যগুলিকে সেনাবাহিনীর ব্যয়ের জন্য জমির পরিবর্তে কোম্পানিকে নগদ টাকা দিতে হবে।
ঘ) কোম্পানির অনুমতি ছাড়া কোন ইউরোপীয় কে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা যাবে না।
১০) টীকা লেখঃ
স্বত্ববিলোপ নীতি
উঃ 1784 খ্রিস্টাব্দে লর্ড ডালহৌসি ভারতে এসে এই নীতি প্রয়োগ করেন। এই নীতি অনুযায়ী কিছু শর্ত আরোপিত হয়
ক) কম্পানি সৃষ্ট কোন দেশীয় রাজ্যের রাজারপুত্র সন্তান না থাকলে সেই রাজা কোন দত্তক পত্র গ্রহণ করতে পারবে না এবং রাজ্যটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে
খ) দেশীয় রাজ্যগুলির ব্যাপারে কোম্পানি নিরপেক্ষ থাকবে।
গ) দত্তক নিতে চাইলে ইংরেজ আশ্রিত দেশীয় রাজ্যগুলিকে কোম্পানির অনুমতি নিতে হবে ।
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বিষয়ে তৃতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা
History class 8 question and answer
তৃতীয় অধ্যায়
ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আদতে ছিল একটি-----------সংস্থা।
উঃ বণিক
২) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কোথায় ঘাঁটি গেড়েছিল?
উঃ মাদ্রাজ ,বোম্বাই, কলকাতা
৩) ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল কোন কোন অঞ্চল নিয়ে?
উঃ মাদ্রাজ বোম্বাই ও কলকাতা
৪) মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কোন কোন অঞ্চল নিয়ে তৈরি হয়েছিল?
উঃ তামিলনাড়ু কেরালা অন্ধ্রপ্রদেশ কর্ণাটক এবং উড়িষ্যার কিছু অঞ্চল নিয়ে
৫) মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি প্রশাসনিক কেন্দ্র কয়টি ও কি কি?
উঃ দুটি গ্রীষ্মকালে ওটাকামুন্ড এবং শীতকালে মাদ্রাজ
৬) বোম্বাই প্রেসিডেন্সি কোন কোন অঞ্চল নিয়ে তৈরি হয়েছিল?
উঃ সুরাট ,পশ্চিম ও মধ্য ভারতের সিন্ধু প্রদেশ এবং আরব সাগরের তীরবর্তী অঞ্চল
৭) ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির অন্যতম প্রধান ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উঃ কলকাতা
৮) বাংলা প্রেসিডেন্সি কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গঠিত?
উঃ বাংলা-বিহার-উরিষ্যা আসাম ত্রিপুরা পাঞ্জাব প্রভৃতি অঞ্চল
৯) বাংলা প্রেসিডেন্সি কি নামে পরিচিত?
উঃ ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ
১০) রেগুলেটিং অ্যাক্ট কবে প্রবর্তিত হয়?
উঃ 1773 খ্রিস্টাব্দে
১১) ভারত শাসন আইন কে কবে প্রবর্তন করেন?
উঃ উইলিয়াম পিট 1784 খ্রিস্টাব্দে
১২) দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার লোপ ঘটে কত খ্রিস্টাব্দে?
উঃ 1772 খ্রিস্টাব্দে
১৩) মহলওয়ারি বন্দোবস্ত কার আমলে চালু হয়েছিল?
উঃ। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
১৪) ঠোগি দস্যুদের দমন করেন কে?
উঃ বেন্টিং এর সহায়তায় স্নিম্যান
১৫) পুলিশি ব্যবস্থা কে কবে চালু করেছিল?
উঃ 1793 খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস
১৬) দারোগা ব্যবস্থার বিলোপ ঘটে কবে?
উঃ 1812 খ্রিস্টাব্দে
১৭) সিপাহী বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
উঃ 1857 খ্রিস্টাব্দে
১৮) ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ 1800 খ্রিস্টাব্দে
১৯) কে কবে বেনারস সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উঃ 1791 খ্রিস্টাব্দে জনাথন ডানকান
২০) এশিয়াটিক সোসাইটি কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ 1784 খ্রিস্টাব্দে স্যার উইলিয়াম জোন্স
২১) কলকাতা মাদ্রাসা কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ ওয়ারেন হেস্টিংস 1781 খ্রিস্টাব্দে
২২) উডের প্রতিবেদন কবে পেশ করা হয়?
উঃ 1854 খ্রিস্টাব্দে
২৩) বাংলার নদীপথ গুলি জরিপ করেন কে?
উঃ জেমস রেনেল
২৪) পাঁচশালা বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?
উঃ 1772 খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস
২৫) দশসালা বন্দোবস্ত কবে চালু করেন?
উঃ 1790 খ্রিস্টাব্দে
২৬) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে কবে চালু করেন?
উঃ লর্ড কর্ণওয়ালিশ 1793 খ্রিস্টাব্দে
ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১) উডের প্রতিবেদনে কি বলা হয়েছে?
উঃ 1854 খ্রিস্টাব্দে জুলাই মাসে চার্লস উডের নেতৃত্বে শিক্ষাসংক্রান্ত যে প্রতিবেদন পেশ করা হয় তা উডের প্রতিবেদন বা উডের ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত।
প্রাথমিক থেকে বিদ্যালয়ের স্তর পর্যন্ত একটি সুগঠিত শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যম হিসাবে ইংরেজি ও ভারতীয় দুই ধরনের ভাষা চর্চার কথা বলা হয়েছে।
২) উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক কি কি সংস্কার করেছিলেন?
উঃ গভর্নর জেনারেল হিসেবে উইলিয়াম বেন্টিংক প্রশাসনিক ব্যয় কমাতে চেয়ে ছিলেন। তাই তিনি বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। সেগুলি হল
এলাহাবাদ টু বারানসি অঞ্চলে ভূমি রাজস্ব ও বন্দোবস্ত বিষয়ে তিনি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ওই অঞ্চলে তিনি মহলওয়ারি বন্দোবস্ত চালু করেছিলেন।ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি কালেক্টর পদে ভারতীয়দের নিয়োগ শুরু করেছিলেন। কোম্পানি কর্মচারী নিয়োগ করতে চাইলে জাতি ধর্ম ও বর্ণের মাপকাঠি ছেড়ে কেবল যোগ্যতার বিচার করে নিয়োগ করার কথা বলেছিলেন।তিনি ঠোগি দস্যুদের দমন করার জন্য একটি বিশেষ বিভাগ তৈরি করেছিলেন এবং ঠোগী দস্যুদের দমন করেছিলেন।
৩) ওয়ারেন হেস্টিংস ও কর্নওয়ালিসের বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের তুলনামূলক আলোচনা করো।
উঃ ওয়ারেন হেস্টিংসের বিচার বিভাগীয় সংস্কারঃ
ক) ওয়ারেন হেস্টিংস এর আমলে বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন দেখা যায়। তিনি প্রতিটি জেলাতে একটি দেওয়ানী ও একটি ফৌজদারি আদালত তৈরি করেন।দেশীয় আইন গুলি ব্যাখ্যা করার জন্য ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও মুসলিম মৌলবাদীদের রাখেন।
খ) বিচার বিভাগের সমস্ত আদেশ লিখে রাখার কথা বলা হয়।
গ) বিচারের সমতা আনার জন্য প্রচলিত আইনগুলির অভিন্ন বার্তা প্রবর্তন করেন।
ঘ) সমস্ত দেওয়ানী আদালত গুলিকে একই নিয়ম এর অধীনে আনার জন্য ওয়ারেন হেস্টিংস 11 জন পন্ডিত হিন্দু আইন গুলির একটি সারসংকলন তৈরি করেছিলেন।ফলে দেশীয় আইনের ব্যাখ্যার জন্য ইউরোপীয় বিচারকদের উপর নির্ভর করতে হয় না।
কর্নওয়ালিশের সংস্কারঃ
ক) 1793 খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্ণওয়ালিশ আইন গুলিকে সংহত করে কোড বা বিধিবদ্ধ আইন চালু করেন।ফলে দেওয়ানী সংক্রান্ত বিচার ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব আলাদা করা হয়।
খ) জেলা থেকে সদর পর্যন্ত আদালত ব্যবস্থাকে তিনি ঢেলে সাজান।
গ) নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদনের অধিকার স্বীকার করা হয়। তবে সমস্ত আদালতেই প্রধান বিচারপতি হতেন ইউরোপীয়রা।
৪) কোম্পানি শাসনে জরিপের ক্ষেত্রে জেমস রেনেল- এর কি ভূমিকা ছিল?
উঃ 1764 খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর এবং কোম্পানি দেওয়ানি অধিকার পাওয়ার ফলে বাংলায় জমি জরিপ করা হয়। রাজস্ব নির্ণয় বিষয়ে ব্রিটিশ কোম্পানি তৎপর হয়ে ওঠে।রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয় দেখাশোনা করার জন্য বোর্ড অফ রেভিনিউ গঠন করেন। ইজারাদাররা গ্রাম সমাজের বাইরের লোক হওয়ার জন্য ঠিকমতো রাজস্ব নির্ণয় করতে পারেননি। ফলে ধার্য রাজস্ব বাস্তব রাজস্ব আদায়ের থেকে বেশি হয়ে যায়।তাই ইজারাদাররা অনেকেই রাজস্ব শোধ করতে ব্যর্থ হয়। তাই তিনি 1790 সালে 10 সালা বন্দোবস্ত চালু করেন।
৫) চার্লস উডের প্রতিবেদন কি জানা যায়?
উঃ 1854 খ্রিস্টাব্দে বোর্ড অফ কন্ট্রোল এর সভাপতি চার্লস উডের নেতৃত্বে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়, সেটাই উডের প্রতিবেদন বা উডের ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত। তাতে বলা হয় যে-----
ক) সরকারকে প্রাথমিক থেকে বিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত একটি সুগঠিত শিক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
খ) পাশ্চাত্য শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ইংরেজি ও ভারতীয় দুই ধরণের ভাষা চর্চা করতে হবে।
গ) সেই জন্যই সরকারের তরফ থেকে কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, 1857 খ্রিস্টাব্দে তিনটি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়, উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়। তাছাড়া এই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেকগুলি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হয়।
৬) মেকলের প্রতিবেদন এ কি বলা হয়েছে?
উঃ 1835 খ্রিস্টাব্দে টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ভারতবর্ষে শিক্ষা প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন বা মিনিটস পেশ করেন, ইহা মেকলে প্রতিবেদন নামে পরিচিত।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়,ভারতবর্ষে ইংরেজি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি করাই ঔপনিবেশিক প্রশাসনের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।শিক্ষিত মধ্যবিত্ত জন্মগতভাবে ভারতীয় হলেও রুচি আদর্শ ও নৈতিক আচরণের দিক থেকে তারা ব্রিটিশ হবে।যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতীয় ভাষায় শিক্ষাচর্চা করবে তারা কোন রকম সরকারি অনুদান পাবে না। তিনি ভাবতেন ব্রিটিশরাই জন্মগতভাবে উন্নত এবং তাদের হাত ধরেই ভারতে আধুনিকতা আসবে। সেই কারণেই তিনি ভারতের প্রচলিত জ্ঞানচর্চাকে হেয় করেছিলেন।
৭) কোম্পানির সিপাহী বাহিনী বলতে কী বোঝো?
উঃ ইংরেজদের শাসন কালে যেকোন বিরোধিতার মোকাবিলা করতে পুলিশ বাহিনী।তবে পরিস্থিতি ঘোরতর হয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হতো।ফলে ভারতে ইংরেজ সাম্রাজ্যঃ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি সেবা বাহিনীর বেশি প্রয়োজন হয়ে ওঠে। তাই প্রথম থেকেই তারা স্থায়ী সেনাবাহিনী তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উত্তর ভারতের কৃষকদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হতো। এমনকি সাধারণ মানুষদের থেকে তাদেরকে আলাদা করে রাখা হতো। এইভাবে কোম্পানি সিপাহী বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন।
৮) বেমানান শব্দটি খুঁজে লেখ
ক) মুম্বাই ,মাদ্রাজ ,কলকাতা ,বাংলা
উঃ বাংলা
খ) ক্লাইভ ,হেস্টিংস ,ডুপ্লে ,কর্নওয়ালিস
উঃ ডুপ্লে
গ) বাংলা, বিহার, সিন্ধুপ্রদেশ, ওড়িশা
উঃ সিন্ধু প্রদেশ
ঘ) ডেভিড হেয়ার, উয়িলিয়াম কেরি, জনাথন ডানকান, উইলিয়াম পিট
উঃ উইলিয়াম পিট
অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস বিষয়ে চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
History question and answer class -8
ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১) বাংলায় মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল কবে?
উঃ 1770 খ্রিস্টাব্দের
২) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে কবে চালু করেন?
উঃ 1793 খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস
৩) মহলওয়ারি ব্যবস্থা কোথায় চালু হয়েছিল?
উঃ উত্তর ও পশ্চিম ভারতে
৪) মহল কথার অর্থ কি?
উঃ কয়েকটি গ্রামের সমষ্টি
৫) ভারতীয় উপমহাদেশের রাজস্ব বিষয়ে কোম্পানি কত রকমের বন্দোবস্ত চালু করেছিল ও কি কি?
উঃ তিন রকমের
ক) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত--------জমিদারদের সঙ্গে
খ) রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত-----_-কৃষকদের সঙ্গে
গ) মহলওয়ারি বন্দোবস্ত-----গ্রাম সমষ্টির সঙ্গে
৬) রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত প্রবর্তন এর অন্যতম উৎসাহী ব্যক্তি কে ছিলেন?
উঃ টমাস মনরো
৭) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন এর অন্যতম উৎসাহী দুজন ব্যক্তির নাম লেখ।
উঃ জন শোর, ফিলিপ ফ্রান্সিস
৮) অর্থনীতির আধুনিকীকরণ বলতে কী বোঝো?
উঃ ঔপনিবেশিক ভারতীয় অর্থনীতিতে রেলপথ বানানো, রপ্তানির হার বাড়ানো এবং কৃষিতে বাণিজ্যিকীকরণের প্রক্রিয়াকে একসঙ্গে অর্থনীতির আধুনিকীকরণ বলা হয়
৯) বাংলায় নীল বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
উঃ 1859 খ্রিস্টাব্দে---60 খ্রিস্টাব্দে
১০) দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা কবে হয়েছিল?
উঃ 1875 খ্রিস্টাব্দে
১১) প্রথম সুতির কাপড় তৈরীর কারখানা কবে কোথায় চালু হয়েছিল?
উঃ 1853 খ্রিস্টাব্দে বোম্বাইতে
১২) প্রথম পাটের কারখানা কবে কোথায় চালু হয়েছিল?
উঃ হুগলির রিষড়ায় 1855 খ্রিস্টাব্দে
১৩) ভারতে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয় কার আমলে?
উঃ লর্ড ডালহৌসির আমলে
১৪) ভারতে কবে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়?
উঃ 1853 খ্রিস্টাব্দে
১৫) সম্পদের বহির্গমন বলতে কী বোঝো?
উঃ ঔপনিবেশিক ভারতের সম্পর্কে ব্রিটেনে নানাভাবে স্থানান্তরিত করা হতো। তার বিনিময় ভারতে অর্থনৈতিক উন্নতি হতো না।এইভাবে দেশের সম্পদ বিদেশে চালান হওয়াকে সম্পদের বহির্গমন বলা হয়।
১৬) দাদন শব্দের অর্থ কি?
উঃ অগ্রিম টাকা
ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১) ভারতে কোম্পানি শাসনের বিস্তারের প্রেক্ষিতে রেলপথ ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো।
উঃ ভারতের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অন্যতম প্রতীক ছিল রেলপথ ব্যবস্থা। ভারতের উন্নতির জন্য আদৌ রেলপথ বানানোর পরিকল্পনা ছিলনা। ঔপনিবেশিক শাসনকে গতিশীল করাই ছিল রেলপথ নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য।
লর্ড ডালহৌসির আমলে 1853 খ্রিস্টাব্দে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল এক অঞ্চল থেকে অন্য একটি অঞ্চলে দ্রুত সেনাবাহিনীর যাতায়াত নিশ্চিত করা। এছাড়া বন্দর, শহর ও বিভিন্ন বাজার এবং কাঁচামাল উৎপাদনের জায়গাগুলিকে রেলপথ দিয়ে যুক্ত করা।
রেলপথ নির্মাণের ব্যয়বহুল প্রকল্পে ব্রিটিশ মূলধন বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।যেসব কোম্পানিগুলো রেলপথ বানানোর দায়িত্ব পেয়েছিল তাদের 99 বছরের চুক্তিতে জমি দেওয়া হয়েছিল। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে রেলপথ ব্রিটিশ সরকারের দখলে চলে যাবে।1858 খ্রিস্টাব্দে থেকে 1869 খ্রিস্টাব্দে এর মধ্যে সাত কোটি পাউন্ডের বেশি মূলধন ভারতের রেলপথ নির্মাণের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল।
১) বেঙ্গল গেজেট নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা কে প্রকাশ করেন?
উঃ অগাস্টাস হিকি
২) বাংলা ভাষায় প্রথম মাসিক পত্রিকার নাম কি?
উঃ দিগদর্শন
৩) বাংলা ভাষায় প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকার নাম কি?
উঃ সমাচার দর্পণ
৪) দিগদর্শন পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উঃ মার্শম্যান
৫) কে কবে সাগরে কন্যাশিশু ভাসিয়ে দেওয়ার প্রথা নিষিদ্ধ করেছিলেন?
উঃ 1803 খ্রিস্টাব্দে, লর্ড ওয়েলেসলি
৬) সতীদাহ প্রথা কে কবে বন্ধ করেন?
উঃ 1829 খ্রিস্টাব্দে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
৭) ভারতের আধুনিক মানুষ কাকে বলা হয়?
উঃ রাজা রামমোহন রায়
৮) বিধবা বিবাহ চালু করেন কে?
উঃ 1856 খ্রিস্টাব্দে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৯) নব্যবঙ্গ ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী কে গড়ে তোলেন?
উঃ ডিরোজিও
১০) প্রার্থনা সমাজ কে গড়ে তোলেন?
উঃ আত্মারাম পান্ডুরং
১১) মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে কার নেতৃত্বে বিধবা বিবাহ আন্দোলন শুরু হয়?.
উঃ বীরেশলিঙ্গম পান্তুলু
১২) কে কবে আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ 1815 খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায়
১৩) কে কবে ব্রাহ্মসমাজ গড়ে তোলেন?
উঃ 1828 খ্রিস্টাব্দে ,দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪) আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন কে?
উঃ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী
১৫) হিন্দু মেলা কে গঠন করেন?
উঃ নবগোপাল মিত্র
১৬) কত সালে বিবেকানন্দ শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন?
উঃ 1893 খ্রিস্টাব্দে
১৭) কে কবে আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ 1875 খ্রিস্টাব্দে, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান
১৮) সাঁওতাল বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
উঃ 1855 খ্রিস্টাব্দে
১৯) সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখ।
উঃ সিধু ,কানহু
২০) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক কে?
উঃ হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
২১) মোপলা বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল?
উঃ মালাবার অঞ্চলে
২২) ফরাজি আন্দোলনের নেতার নাম কি?
উঃ হাজী শরীয়ত উল্লাহ।
২৩) মুন্ডা বিদ্রোহের নেতার নাম কি?
উঃ বিরসা মুন্ডা
২৪) ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতার নাম কি?
উঃ তিতুমীর
২৫) তিতুমীরের প্রকৃত নাম কি?
উঃ মীর নিসার আলী
২৬) কোথায় ওয়াহাবি আন্দোলন শুরু হয়েছিল?
উঃ নারকেলবেরিয়া অঞ্চলে
২৭) বাঁশের কেল্লা কে তৈরি করেছিল?
উঃ তিতুমীর
২৮) বাংলায় নীল বিদ্রোহ কবে শুরু হয়েছিল?
উঃ 1859 থেকে 60 খ্রিস্টাব্দ
২৯) নীল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখ।
উঃ বিষ্ণুচরন বিশ্বাস ও দিগম্বর বিশ্বাস
৩০) নীলদর্পণ নাটকের রচয়িতা কে?
উঃ দীনবন্ধু মিত্র
৩১)
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.