সুভা গল্পের প্রশ্ন উত্তর
সুভা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অষ্টম শ্রেণি
১) নিচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১.১) সুভার প্রকৃত নাম কি?
উঃ সুভাষিনী
১.২) সুভা কোন গ্রামে বাস করত?
উঃ চণ্ডীপুর গ্রামে
১.৩) গল্পে কোন কোন বন্ধুর কথা রয়েছে?
উঃ গাভী ,সর্বশী ও পাঙ্গুলির কথা রয়েছে।
১.৪) সুভাকে সু বলে ডাকত কে?
১.৫) গোঁসাইদের ছোট ছেলে প্রতাপ
২) নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
২.১) সে নির্জন দ্বিপ্রহরের মত শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন সম্পর্কে এরকম উপমা লেখক ব্যবহার করেছেন কেন?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সুভা গল্পের মূল চরিত্র বোবা বালিকা সুভাষিনী সম্পর্কে উপমাটি ব্যবহার করেছেন।
জন্ম থেকেই বোবা বালিকা সুভার ভাব বিনিময়ের ভাষা বলতে ছিল তার বড় বড় কালো চোখের দৃষ্টি । সেই সঙ্গে তার মুখে ফুটে উঠত নানা অনুভূতি। সুভার চোখের ভাষা ছিল অসীম, উদার এবং অতল স্পর্শ । গভীর একটা স্বচ্ছ আকাশের মত প্রকৃতির মত নির্জনতা ও গভীরতা লক্ষ্য করেই বালক-বালিকারা তাকে ভয় করত এবং তার খেলার সাথী হতে চাইত না। তাই সে ছিল সঙ্গীহীন আবার নির্জন দুপুর যেমন নিস্তব্ধ সে রকমই ছিল শব্দহীন। সেই কারণেই তাকে নির্জন দুপুরের মত শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন বলেছেন।
২.২) চন্ডিপুর গ্রামের বর্ণনা দাও।
উঃ পিতা বাণীকন্ঠের বাড়ি বাংলাদেশের চণ্ডীপুর গ্রামে। গ্রামের এক পাশ দিয়ে দ্রুত বয়ে চলেছে একটি ছোট্ট নদী। নদীর দু'পাশে গাছের ছায়ায় ঘেরা উঁচু ভূমি। ধনী মানুষের কোলাহল, মাঝির গান, পাখির ডাক, গাছের মর্মর ধ্বনি এসবই গ্রাম থেকে সদাচঞ্চল করে রেখেছে।
২.৩) এইজন্য প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝে তো প্রতাপ এর কাছে শুভা কিভাবে মর্যাদা পেত তা গল্প অবলম্বনে লেখ চন্ডিপুর গ্রামের অকর্মণ্য ছোট ছেলেটির নাম প্রতাপ ছেলে মাছ ধরে ছিল তার প্রধান সহজে সময় কাটানোর জন্য প্রায়ই বিকেলে যখন নদীর তীরে প্রথম মাছ ধরত তখন সঙ্গে তার দেখা হতো প্রতাপ সব কাজেই সংযোজিত তার কাছে মাছ ধরার সঙ্গী হিসাবে বোবা মেয়ে সভায় শ্রেষ্ঠ ছিল এজন্য প্রতাপ এর কাছে মর্যাদা ছিল তাই সে আদর করে তাকে সু বলে ডাকত
তাহাদের জাতি ও পরকাল রক্ষা হইল কাদের সম্পর্কে একথা বলেছেন লেখক তার এরূপ মন্তব্যের কারন বিশ্লেষণ করো আলোচ্য অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সুভা নামক ছোট গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে এখানে তাহাদের বলতে সুবহার পিতা বাণীকন্ঠ ও মায়ের কথা বোঝানো হয়েছে লেখক এর এরূপ মন্তব্যের কারন হল এই যে সুভাষ ছিল পিতা-মাতার ভয়ানক দুশ্চিন্তার কারণ সে বোব হলেও তার যে অনুভব করার শক্তি রয়েছে এই কথাটাই অনেকে বুঝতে পারতো না তার সামনে সবাই তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করত বাণীকন্ঠ অবশ্য তাকে তার অন্য মেয়েদের চেয়ে একটু বেশি ভালোবাসতেন
সোহার বয়স বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পিতা-মাতার দুশ্চিন্তা ও বাড়তে থাকে লোকনিন্দা শুরু হয় এমনকি মেয়ের বিয়ে দিতে না পারলে গ্রামে তাদের একঘরে করা হবে এমনও কথা শোনা যায় সুবহার প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার অভিভাবকরা তাকে গ্রাম ত্যাগ করতে বাধ্য করলেন এবং কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিলেন
লেখক তাহাদের জাতি ও পরকাল রক্ষা হইল বলতে সামাজিক অসম্মানের হাত থেকে সুবহার পিতা-মাতার মুক্তি পাওয়ার প্রসঙ্গটি নির্দেশ করেছেন এই বাক্যে গ্রামের অন্ধকারাচ্ছন্ন রীতিনীতির প্রতি লেখক এর তীব্র প্রতিবাদ ও ব্যঙ্গ প্রকাশ পেয়েছে
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.