জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর

 

                   জ্ঞানচক্ষু 


**সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লিখ::--

 1. “না কি অতি আহ্লাদে বাক্য হরে গেল?”—এখানে ‘হরে গেল এই শব্দবন্ধটির অর্থ হল—

[A] হারিয়ে যাওয়া [B] হৃষ্ট হওয়া [C]হেরে যাওয়া [D] হরণ করা

উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া

2. তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন-

[A] তপনের বাবা [B] তপনের ছোটোমেসো [c] তপনের ছোটো মামা [D] তপনের ছোটো মাসিা

উত্তরঃ  তপনের ছোটো মেসোমশাই

3. যাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেলের মতন হয়ে গেল-

 [A] বাবাকে [B] দিদিকে [C] নতুন পিসেমশাইকে [D] নতুন মেশোমশাইকে

উত্তরঃ নতুন মেশোমশাইকে

4. তপনের চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার অর্থ- 

[a] অবাক হয়ে যাওয়া [B] চোখ পাকানো [C] রেগে যাওয়া [D] চোখ লাল হয়ে যাওয়া

উত্তরঃ অবাক হয়ে যাওয়া

5. নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন-

[A] গায়ক [B] বই প্রকাশক [C] লেখক [D] শিক্ষক

উত্তরঃ  লেখক

6. “কথাটা শুনে _________ চোখ মার্বেল হয়ে গেল!” (শূন্যস্থানে শব্দ বসাও)

[A] তপনের [B] নতুন মেশোমশাইয়ের [C] নতুন পিশেমশাইয়ের [D] রমেনের

উত্তরঃ তপনের

7. “আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।”—কথাটি বলেছেন-

[A] ছোটো মাসি [B] ছোটো মেসো [C] মেজো কাকু [D] বড়ো মামা

উত্তরঃ মেজো কাকু

8. জ্ঞানচক্ষু গল্পে, জহুরি বলতে যাকে বোঝানো হয়েছে তিনি হলেন-

[A] নতুন মেসো [B] ছোটো মেসো [C] মেজোকাকু [D] ছোটো মাসি

উত্তরঃ নতুন মেসো

9. ছোটোমেসো তপনদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন সঙ্গে নিয়ে-

[A] সন্ধ্যাতারা পত্রিকা [B] চাঁদমামা পত্রিকা [C] আনন্দমেলা পত্রিকা [D] শুকতারা পত্রিকা।

উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা পত্রিকা

10. তপনের লেখা গল্প তার মেসোমশাইকে দিয়েছিল—

[A] ছোটোমাসি [B] তপনের বন্ধু [c] তপনের বাবা [D] তপনের মা

উত্তরঃ ছোট মাসি 


**অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর:--

1."বাবা, তোর পেটে পেটে এত।”—এটি কোন প্রকার বাক্য?
 উত্তরঃ “বাবা, তারে পেটে পেটে এত।”—এটি একটি বিস্ময়বােধক বাক্য।

2. “বাবা, তোর পেটে পেটে এত”-কে কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছিলেন ?
 উত্তরঃ আশাপূর্ণাদেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপন যে একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলেছে এবং তার ছোটো মেসো ছাপিয়ে দেবেন—তা বাড়ির কেউ বিশ্বাস করেননি, বরং তাকে নিয়ে নানারকম ঠাট্টা-তামাশা হয়েছে। অবশেষে তপনের গল্প প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় তার মা তাকে উপরোক্ত কথাটি বলেছিলেন।

3. “আর তোমরা বিশ্বাস করবে কিনা জানি না…”—এখানে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
 উত্তরঃ এক জায়গায় বসে তপনের একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলার প্রসঙ্গে উপরোক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে।

4. “যেন নেশায় পেয়েছে!”—এখানে কোন্ নেশার কথা বলা হয়েছে?
 উত্তরঃ তপনের গল্প লেখার নিরলস চেষ্টার কথা এখানে বলা হয়েছে। হোম টাস্ক ফেলে রেখে, লুকিয়ে লুকিয়েও সে গল্প লিখে গেছে।

5. “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”—তপনের সংকল্প কী ছিল ?
 উত্তরঃ তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কখনো লেখা ছাপাতে হয়, তাহলে তপন নিজে গিয়ে তা পত্রিকার অফিসে জমা দেবে।

6. কেন তপন হঠাৎ একটা ভয়া নক উত্তেজনা অনুভব করেছিল ?
 উত্তরঃ গ্রীষ্মের নিথর দুপুরে সিঁড়িতে নিরিবিলিতে একাসনে বসে একটা আস্ত গল্প শেষ করে তপন। সেটা পড়ার পরে ভয়ানক উত্তেজনায় তপন লেখক হয়ে ওঠার। অনুভূতি অনুভব করেছিল।

7. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।”—কোন্ কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
 উত্তরঃ তপন তার বালক বয়সে কোনোদিন কোনো লেখককে স্বচক্ষে দেখেনি। কবি-লেখকরাও যে আমাদের মতো সাধারণ বাস্তব জগতের প্রাণী এ কথাই তপন জানত না। তাই সে যখন শুনল যে,তার সদ্যবিবাহিতা ছোটোমাসির স্বামী অর্থাৎ তার নতুন মেসো একজন লেখক—তখন বিস্ময়ে তার চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গেল।

৪. লেখালেখি ছাড়া তপনের নতুন মেসোর পেশা কী ?
 উত্তরঃ লেখালেখি ছাড়া তপনের নতুন মেসসা কলেজের একজন অধ্যাপক।

9. “তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন” —দিনটিতে কোন্ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল?
 উত্তরঃ তপনের জীবনে প্রথমবার তার লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ নামক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। কিন্তু ছাপার পর দেখা যায় যে, তার গল্পের অনেকাংশই লেখক মেসো সংশোধনের নামে নতুন করে লিখেছিলেন। এই ঘটনায় ব্যথিত তপনের মনে হয়েছিল, আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।

**ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন উত্তর:--


1. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।”—কোন বিষয়ে কেন তপনের সন্দেহ ছিল ?
 উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু নামক গল্প থেকে  গৃহীত হয়েছে। তপন জানত না যে, লেখকরা তার বাবা, কাকা কিংবা মামার মতো একজন সাধারণ মানুষ। তার সন্দেহ দূর হয় ছোটো মেসোমশাইকে দেখে।কারণ তিনি ছিলেন একজন লেখক। তিনিও অন্য সাধারণ মানুষের মতো দাড়ি কামান, সিগারেট খান আবার খাবার অতিরিক্ত হলে ফিরিয়ে দেন, স্নান করেন, ঘুমোন প্রভৃতি। এমনকি আর সকলের মতো খবরের কাগজের খবর নিয়ে গল্প করেন কিংবা তর্ক করেন। অবসর সময়ে সিনেমা দেখেন আবার বেড়াতেও যান। এসব দেখেই তপনের সন্দেহ দূর হয় এবং সে বিশ্বাস করে লেখকরাও সাধারণ মানুষ।

2." রত্নের মূল্য জহুরির কাছে"- রত্ন এবং জহুরি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
 উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু নামাঙ্কিত গল্পের অন্তর্গত। এখানে রত্ন বলতে তপনের লেখা গল্পটিকে বোঝানো হয়েছে আর জহুরি বলতে তপনের ছোটো মেসোকে বোঝানো হয়েছে।
তপন যে গল্পটি লিখেছিল, তা দেখে তার ছোটো মাসি যথেষ্ট ভালো বললেও প্রকৃত বিচারকের রায় দরকার ছিল তপনের। আর এই বিষয়ে লেখক হিসাবে পরিচিত তার ছোটোমেসো যে যোগ্য ব্যক্তি তাতে কারোর সন্দেহ থাকতে পারে না। তাই রত্নের মূল্য ও গুরুত্ব যেমন একজন জহুরি সবথেকে ভালো বোঝেন। তেমনই তপনের গল্পের কদরও ছোটোমেসোই বুঝতে পারবে।

3. তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন"- কী কারণে তপনের এরূপ মনে হয়েছিল ?
 উত্তরঃ  তপনের "প্রথম লেখা" গল্পটি নতুন মেসোমশাই-এর সুপারিশে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।কিন্তু ছাপা গল্পটি পাঠ করে তপন অবাক হয়ে যায়। কারণ তার নতুন মেসোমশাই গল্পটিকে কারেকশান করতে গিয়ে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন।তাই ছাপানো গল্পের মধ্যে তপন নিজেকে খুঁজে পায় না।তখন তার মনে হয় অন্য কারোর লেখা ছাপা হয়েছে শ্রী তপন কুমার রায় নাম দিয়ে। নিজের সৃষ্টিকে পরিবর্তিত হতে দেখে তপনের মন বেদনায় ভরে ওঠে।

4. ‘শুধু এ দুঃখের মুহর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।” কোন দুঃখের মুহুর্তের কথা বলা হয়েছে। তপন কী সংকল্প নিয়েছিল ?
 উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় নিজের ছাপা গল্প পড়তে গিয়ে যখন তপন বুঝল গল্পটি ছোটো মেসোমশাই আগাগোড়া কারেকশান করে দিয়েছেন। নিজের গল্পে নিজেকে না পেয়ে তপন খুব দুঃখ পেয়েছিল।
           এই দুঃখের মুহূর্তে তপন সংকল্প করে, যদি কখনো নিজের লেখা ছাপতে দেয়, তবে কারো মাধ্যমে নয়, নিজে গিয়ে পত্রিকা অফিসে দিয়ে আসবে।  তাতে তার গল্প ছাপা হোক আর না হোক । কারণ কেউ সুপারিশ করে তার লেখা ছেপে দিয়েছে এমন কথা যেমন অপমানের, তেমনই কষ্টের। নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া খুবই কষ্টকর।

5. ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।”—কোন কথা, ওই কথা ছড়িয়ে পড়ায় কী ঘটেছিল?
 উত্তরঃ তপনের প্রকাশিত গল্পটি আসলে ছোটো মেসোমশাই কিছুটা কারেকশান করে দিয়েছেন—এই কথাটা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে বাড়িতে।
ছোট মেসোমশাই-এর কারেকশানের কথা বাড়ির সবাই জেনে গেলে তপনের গল্প লেখার কৃতিত্ব খানিকটা কমে যায়। তপনের বাবা, কাকা, ছোটো মেসোমশাই-এর হাতের ছোঁয়াকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান। সেদিন পারিবারিক আলোচনায় তপনের গল্পের কথা উঠলেও নতুন মেসোর মহত্ত্বের কথা ঘুরে ফিরে আসে।

6. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের”—কখন এবং কেন তপনের এরকম অনুভূত হয়েছিল?
 উত্তরঃ পুজোর ছুটির অনেকদিন পর ছোটোমাসি আর মেসোমশাই হাতে একখানা সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেই দিন তপনের এইরকম অনুভূতি হয়েছিল।
সাহিত্য রচনা এবং প্রকাশ সম্পর্কে তপনের দারুণ কৌতুহল ছিল তাই ছােটো মেসোমশাই তার লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানোর জন্য যখন নিয়ে গিয়েছিলেন তখন তপন উৎসাহিত হয়। তবে অপেক্ষা করতে করতে তপন গল্প। প্রকাশের আশা ছেড়ে দিয়েছিল। ঠিক এই সময় ছোটো মাসি আর মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসায় তার গল্প প্রকাশের আবেগ উৎকণ্ঠায় তপনের এরকম অনুভূতি হয়েছিল।

7. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে, কার মধ্যে কেন এমন ভাবনার উদয় হয়েছিল ?
 উত্তরঃ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের মধ্যে এমন ভাবনার উদয় হয়েছিল। তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়ে প্রকাশিত হবে। এটা ছিল তপনের কাছে কল্পনার অতীত। ফলে মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। তবে কী সত্যিই তার গল্প ছাপা হয়েছে এবং সে লেখা হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে। তপনের কাছে এটা একটা অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়।

8. ‘যেন নেশায় পেয়েছে’-কীসের নেশা, কীভাবে তাকে নেশায় পেয়েছে?
 উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের গল্প লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।
  তপন একজন সাহিত্য প্রেমী বালক। গল্প লেখা ও সেগুলি ছাপা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে তার প্রচণ্ড কৌতূহল ছিল। মাসির বিয়ের পর লেখক মেসোমশাইকে খুব কাছ থেকে দেখতে পায় এবং গল্প লেখার রহস্যও তার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। তপন একটি গল্প লিখে ছোটোমাসিকে দেখালে মাসি সেটা মেসোমশাইকে দেখায়। তখন তিন সেটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে আরও উৎসাহিত হয়ে তপন একের পর এক গল্প লেখার নেশায় মগ্নহয়ে ওঠে।

9. ‘সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়’—সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ কী?
 উত্তরঃ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তপনের লেখা গল্প। ছেপে বেরোলে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায়—তপনের কাচা হাতের গল্পটিকে মেসো সংশোধন করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে সন্ধ্যাতারা সম্পাদককে দিয়ে প্রকাশ করিয়েছেন। জীবনের প্রথম গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হলে অনাবিল উত্তেজনায় তপন আনন্দে মাতোয়ারা হয়। আর সেই খবরে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।














Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)