Skip to main content

ইতিহাস প্রকল্প (History Project)class9

       ইতিহাস প্রকল্প (History Project)


১) বর্তমানকে শিল্প বিপ্লবের যুগ বলব না শিল্প বিবর্তনের যুগ?- তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

ভূমিকাঃ বর্তমান যুগের শিল্পের গঠনগত এবং চারিত্রিকগত বৈশিষ্ট্যের বদল প্রক্রিয়া দেখে এই বর্তমান যুগে শিল্প বিপ্লবের যুগ না শিল্প বিবর্তনের যুগ বলা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করার আগে শিল্প বিপ্লব ও বিবর্তন কি তা আগে জানতে হবে।

শিল্প বিপ্লবঃ দৈনিক শ্রমের পরিবর্তে উন্নতি প্রযুক্তি বিদ্যার সাহায্যে অল্প সময়ে অল্প খরচে ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদনকে বলা হয় শিল্প বিপ্লব। কোন ক্ষেত্রে দ্রুত এবং আমূল পরিবর্তনকে সাধারণভাবে শিল্প বিপ্লব বলা হয়।

শিল্প বিবর্তনঃ বিবর্তন হলো এমন একটি ধারণা যা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে গঠনগত ও চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরির্তন। কোনো শিল্প প্রথম সৃষ্টির অবস্থায় যেরকম ছিল পরবর্তীকালে সেই শিল্পের গঠনগত ও চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরির্তনকে শিল্প বিবর্তন বলে।

শিল্প বিপ্লব না শিল্প বিবর্তন ঃঃ 

        বর্তমান যুগে শিল্প বিপ্লব না শিল্প বিবর্তন বলা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হয়। পূর্বে হস্তচালিত শক্তির বদলে  বর্তমানে শিল্প বিপ্লবের ফলে তার চরিত্র বদলে বাষ্প চালিত শক্তির দ্বারা নানা যন্ত্র চালিত হচ্ছে। ফলে এর উৎপাদন ব্যবস্থা বপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। কুটির শিল্পের পরিবর্তে যন্ত্রচালিত শিল্পের প্রাধান্য বহুগুণ বেড়ে গেছে। আসলে অষ্টাদশ শতাব্দি ছিল বিপ্লবের যুগ। এই যুগের এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হলো শিল্প বিপ্লব। এই শিল্প বিপ্লবকে এক যুগান্তকারী ঘটনা হিসাবে উল্লেখ করে ইংল্যান্ডের জনজীবনে গভীর পরিবর্তন এসেছিল। তাই বেশিরভাগ ঐতিহাসিক মনে করেন শিল্প বিপ্লব অপেক্ষা শিল্প বিবর্তন কথাটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য কারণ শিল্প বিপ্লব যে পরিবর্তন এনেছিল তা অত্যন্ত ধীরগতি সম্পন্ন।

উপসংহারঃ আমি বিবর্তনবাদী পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন করি। ইতিহাস অধ্যয়ন করে আমি একক ব্যাখ্যার কারণ সম্পর্কে দ্বিধাগ্রাহী শিখেছি। এর অর্থ এই নয় যে, একক কারণে ঘটনার ঘটনা ঘটে না,।শুধু যে পৃথিবী সাধারণত আরও জটিল হয়, এবং বিবর্তন পদ্ধতিটি সবসময়ই আমার মনের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী।

২) এই মুহূর্তে যদি ইউরোপে মন্দা দেখা দেয় তাহলে কিভাবে তুমি মন্দার মোকাবেলা করবে ?


উঃ ইউরোপীয় অর্থনীতিকে মন্দার কবল থেকে রক্ষা করার জন্য নানা পুনর্গঠনিক উদ্যোগ নিতে হবে। যার মধ্যে থাকবে - 
১) অর্থবিল ও শস্য সংরক্ষণ বিল পাস করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।

২) ইউরোপীয় যে সকল বেতন কাঠামো আছে সেগুলিকে কার্ড ছাঁট করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।

৩) সমস্ত কৃষি সংক্রান্ত ক্রেডিট বিষয়কে একজনের হাতে কেন্দ্রীভূত করে একটি ফার্ম ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠন করব। 

৪) যে সকল যুদ্ধ কর্মী আছেন তাদের পেনশন কেটে কমিয়ে দেব।

৫) সোনা রপ্তানি ও তার প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে ফলে আন্তর্জাতিক স্বর্ণমান এর ওপর ইউরোপীয় সরকারের প্রভাব পরিলক্ষিত হবে।

৬) সমস্ত উৎপাদক শ্রেণীর সঙ্গে পূর্ববর্তী সব চুক্তি বাতিল করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সাহায্যের জন্য কৃষি সমঝোতা আইন পাস করতে হবে।

৭) নিরাপত্তা আইন দ্বারা সঞ্চিত দ্রব্য বিক্রি ও তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

৮) রেল পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি জন্য নানা ব্যবস্থা নিতে হবে।

৯) আর্থিক মন্দার প্রভাবে ইউরোপীয় অর্থনীতি রাজনীতি ও জাতীয় জীবন যাতে বিপর্যস্ত হয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য নজর দেব।
         এইভাবে আমি ইউরোপীয় অর্থনীতিকে মন্দার হাত থেকে রক্ষা করতে চাই। 













Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)