সৃষ্টিশীল রচনা (ক্রিয়েটিভ রাইটিং) creative writing project
সৃষ্টিশীল রচনা প্রকল্প
বাংলা প্রকল্প সৃষ্টিশীল রচনা
প্রশ্নঃ আফ্রিকা কবিতা এবং পথের দাবী রচনাংশের মধ্যে নিহিত ভাবগত ঐক্যের তুলনামূলক আলোচনা কর।
অথবা
আফ্রিকা কবিতায় এবং পথের দাবী রচনাংশে সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বর্বর অত্যাচার শোষণ ও নির্লজ্জতার প্রকাশে কবি ও লেখকের মানসিকতার মধ্যে যে সামঞ্জস্য খুঁজে পাও তা কবিতা এবং রচনাংশটি অবলম্বনে নিজের ভাষায় আলোচনা কর।
প্রকল্পঃ সৃষ্টিশীল রচনা (Creative writing)
পাঠ্যাংশঃ কবিতা - আফ্রিকা
কবি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আলোচনার বিষয় - আফ্রিকা কবিতা ও পথের দাবী রচনা দুটির মধ্যে ভাবগত ঐক্যের তুলনামূলক আলোচনা করা।
১) creative writing বাহ সৃষ্টিশীল রচনা বলতে কী বোঝায়?
👉সৃষ্টিশীল রচনা বলতে বোঝায় কোন শিক্ষার্থীর নিজস্ব প্রতিভার বিষয়টি দেখা এখানে শিক্ষার্থীর মৌলিক ভাবনার প্রতিফলন ঘটে ফলে কয়েকটি বিষয় এখানে দেখতে হয়। যেমন -
ক) সহজাত চিন্তন প্রক্রিয়া
খ) নতুন বিষয় সম্পর্কে ধারণা
গ) সম্প্রসারণ ক্ষমতা
ঘ) শিক্ষার্থীর ভাবনার মৌলিকতা
ঙ) নতুন লিখন ঐতিহ্য সৃষ্টি করা
২) উদ্দেশ্যঃ
👉 সৃষ্টিশীল রচনার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর প্রতিভার বিকাশ সাধন করা। এই সৃজনশীলতা বলতে বোঝায় একজন শিক্ষার্থীর মন মনন ও মেধার যথার্থ পরিচয় তুলে ধরা। আমাদের পাঠ্য "আফ্রিকা" কবিতা অবলম্বনে আমাদের দৃষ্টিকোণকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।
৩) পরিকল্পনাঃ
👉 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত "আফ্রিকা" কবিতাটি বেশ কয়েকবার পড়ে নিই। তারপর আমাদের বাংলার শিক্ষক-শিক্ষিকার পরামর্শ অনুযায়ী সৃষ্টিশীল রচনা নামাঙ্কিত প্রকল্প করার সময় আমি আফ্রিকা কবিতাটিকেই নির্বাচন করি।
প্রকল্প রূপায়ণ পদ্ধতি ঃ
ভূমিকাঃ মাধ্যমিক স্তরে দশম শ্রেণীর জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত অন্তর্বর্তী প্রস্তুতকালীন মূল্যায়নে প্রকৃতি পাঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়টিকে গ্রহণ করবার অভিপ্রায়ে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত "আফ্রিকা" কবিতাটিকে গ্রহণ করেছি। এই কবিতায় দেখা যায়, আফ্রিকা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার উপর কিভাবে বিভিন্ন উপনিবেশ শক্তি প্রভাব বিস্তার করে তা দেখাতে প্রয়াসী হয়েছি।
২) পদ্ধতিগত দিকঃ
👉 এই সৃষ্টিশীল রচনা নামক প্রকল্প প্রস্তুত করবার সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার পরামর্শ মত "আফ্রিকা" কবিতাটির সরব ও নীরব পাঠ থেকে এর বিষয়গত দিকটি উপলব্ধি করতে সচেষ্ট হয়েছি। অতঃপর রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের সাহায্য গ্রহণ করেছি। যেমন -
ক) দেবদাস জোয়ারদারঃ তোমার সৃষ্টির পথ
খ) জ্যোতির্ময় ঘোষঃ রবীন্দ্রকবিতালোক
গ) বিমল কুমার মুখোপাধ্যায়ঃ রবীন্দ্র নন্দনতত্ত্ব
ঘ) উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যঃ রবীন্দ্র কাব্য -পরিক্রমা
ঙ) ক্ষুদিরাম দাসঃ রবীন্দ্র প্রতিভার পরিচয়
আফ্রিকার কবিতার সঙ্গে আমাদের পাঠ্য "পথের দাবী" রচনাংশের সাদৃশ্যের বিষয়টিও এই প্রসঙ্গে আলোচনায় আসে। যেমন-
১) অপরিচিত ছিল তোমার মানব রূপ উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে সেরকমই পথের দাবী রচনা অপূর্ব প্রথম শ্রেণীর যাত্রী তাহার কামরায় আর কেহ লোক ছিল না।
২) এলো ওরা লোহার হাত করে নিয়ে, এল মানুষ ধরার দল ।সেরকমই বর্মা সাব-ইন্সপেক্টর সাহেব কটুকণ্ঠে জবাব দেয়, তুমি তো ইউরোপিয়ান নও।
৩) সভ্যের বর্বর লোভ নগ্ন করলো আপন নির্লজ্জ অমানুষতা। আর "পথের দাবী" রচনাংশে দেখি আমি পুলিশ; ইচ্ছে করলে আমি তোমাকে তানিয়া নিচে নামাইতে পারি।
এই বইগুলি পড়ার পাশাপাশি আমার অবক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী আমি প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে প্রয়াসী হলাম।
৩) পরীক্ষামূলক উপাদানঃ
👉 এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ইন্টারনেট, ইউকোপিডিয়া ও রবীন্দ্র বিষয়ক পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাগুলো নিয়ে পড়াশোনা করেছি। এর পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ অন্য কোন কোন লেখায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিয়ে আলোকপাত করেছেন, সে বিষয়ে খেয়াল রেখেছি।
৪) বিশ্লেষণঃ
👉 এই প্রকল্পটি তৈরি করার সময় যে বিষয়টি দেখাতে চেষ্টা করেছি, তা হলো- উভয় লেখার মধ্যেই সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বর্বর অত্যাচারের স্বরূপটি উঠে এসেছে। আসলে ঔপনিবেশিক শক্তি সব সময় বিশ্বে দুর্বল দেশগুলির উপর কিভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল সেই বিষয়টি তুলে আনাই হল আমাদের এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
৫) উপসংহারঃ আফ্রিকা কবিতায় রবীন্দ্রনাথ যে বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তার সঙ্গে শরৎচন্দ্রের পথের দাবী রচনার কিছু কিছু অংশে সাদৃশ্য রয়েছে। যা থেকে প্রমাণিত হয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নির্মমতা সর্বত্রই সমান।
।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.