প্রচলিত শক্তি ও অপ্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা লেখ
প্রশ্নঃ প্রচলিত শক্তি কাকে বলে? প্রচলিত শক্তির সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি লেখ।
উত্তরঃ প্রচলিত শক্তিঃ যে সকল শক্তিগুলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে তাকে প্রচলিত শক্তি বলে। যেমন- তাপবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ।
প্রচলিত শক্তির সুবিধাঃ
ক) সহজলভ্যতাঃ উৎপাদনের সাজ-সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি অতি সহজেই পাওয়া যায়।
খ) উৎপাদন পদ্ধতিঃ এই শক্তি উৎপাদন পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত সহজ ও সরল প্রকৃতির।
গ) চাহিদাঃ এই শক্তি বিপুল মাত্রায় উৎপাদন করা যায় এবং অধিক চাহিদা পূরণে সমর্থ।
প্রচলিত শক্তির অসুবিধাঃ
ক) গচ্ছিত সম্পদঃ কয়লা ও খনিজ এগুলি গচ্ছিত সম্পদ হওয়ায় একদিন শেষ হয়ে যাবে।
খ) অধিক দূষণঃ এই শক্তিগুলি ধোঁয়া, ছাই, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, তাপ, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ দ্বারা জল,বায়ু ও মাটিকে দূষিত করে।
গ) অধিক ব্যয়ঃ উৎপাদন ব্যয় অত্যাধিক।
প্রশ্নঃ অপ্রচলিত শক্তি কাকে বলে? অপ্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখ।
👉 অপ্রচলিত শক্তিঃ যে সকল শক্তি সমূহের ব্যবহার বর্তমানে শুরু হয়েছে এবং ব্যবহার তুলনামূলকভাবে অনেক কম তাকে অপ্রচলিত শক্তি বলে। যেমন- সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জোয়ার ভাটা শক্তি ইত্যাদি।
অপ্রচলিত শক্তির সুবিধাঃ
ক) অফুরন্ত ও সহজলভ্যঃ প্রকৃতিতে অপ্রচলিত শক্তি অফুরন্ত এবং খুব সহজেই ইহা পাওয়া যায়।
খ) দূষণঃ এই শক্তিগুলি পরিবেশ বান্ধব। তাই দূষণ একেবারেই করে না।
গ) স্বল্প ব্যয়ঃ উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ার চাহিদা ব্যাপক।
অপ্রচলিত শক্তির অসুবিধাঃ
ক) উন্নত প্রযুক্তির অভাবঃ এই শক্তি উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োজন আছে, তা না হলে শক্তি উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি হয়।
খ) স্বল্প মাত্রায় উৎপাদনঃ এই শক্তি অধিক মাত্রায় উৎপাদন করা যায় না, যা অত্যন্ত সমস্যা।
গ ) পরিবহনঃ হিমমন্ডলে এই শক্তির পরিমাণ কম। উষ্ণমন্ডলের দেশগুলি থেকে পরিবহনের মাধ্যমে তার স্থানান্তর অসম্ভব।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.