Pather dabi - Sarat Chandra chattopadhyay
পথের দাবী
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
১) গিরীশ মহাপাত্রের সাথে অপূর্বর প্রথম দেখা হয়েছিল কোথায় ?
উঃ পুলিশ স্টেশনে
২) "ইহা যে কত বড় ভ্রম, তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল" - ভ্রমটি কি ?
উঃ অপূর্ব ভেবেছিল যে, ভামো যাওয়ার পথে ট্রেনে প্রথম শ্রেণীর যাত্রী হওয়ায় সকাল পর্যন্ত তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না। কিন্তু রাতে পুলিশ এসে তিনবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল,এ ঘটনাকেই ভ্রম বলা হয়েছে।
৩) গিরিশ মহাপাত্রের ট্যাঁকে কি পাওয়া গিয়েছিল ?
উঃ একটি টাকা ও গন্ডাছয়েক পয়সা।
৪) "লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল" - লোকটির পরিচয় দাও।
উঃ আলোচ্য অংশে লোকটি বলতে গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশী সব্যসাচী মল্লিককে বোঝানো হয়েছে।
৫) "কিন্তু বুনো হাঁস ধরাই যে এদের কাজ"- বক্তা কে ?
উঃ রামদাস তলোয়ারকর
৬) "তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?"- কোন বস্তুটি পকেটে ছিল ?
উঃ আলোচ্য অংশে গাঁজার কলিকার কথা বলা হয়েছে।
৭) "তোমার মত সাহস আমার নেই, আমি ভীরু"- উদ্ধৃত অংশে আমি কে ?
উঃ অপূর্ব
৮) পলিটিক্যাল সাসপেক্ট বলতে কী বোঝো ?
উঃ পলিটিক্যাল শব্দের অর্থ রাজনৈতিক, আর সাসপেক্ট কথার অর্থ সন্দেহভাজন। সুতরাং পলিটিক্যাল সাসপেক্ট কথার অর্থ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি।
৯) "আমি বাবু ধর্মভীরু মানুষ"- ধর্মভীরু মানুষটি কে ?
উঃ গিরীশ মহাপাত্র
১০) অপূর্বর পিতার বন্ধু কে ?
উঃ নিমাইবাবু
১১) অপূর্ব ট্রেনের কোন শ্রেণীর যাত্রী ছিলেন ?
উঃ প্রথম শ্রেণীর
১২) তেওয়ারি কোথায় কোন উদ্দেশ্যে গিয়েছিল ?
উঃ বর্মা নাচ দেখতে ফয়ায় গিয়েছিল।
১৩) "আপাতত ভামো যাচ্ছি"- বক্তা কে ?
উঃ অপূর্ব
১৪) লোহার কম্পাসটি মহাপাত্রের কোন জায়গা থেকে বার করা হয়েছিল ?
উঃ পকেট থেকে
১৫) "বড়বাবু হাসিতে লাগিলেন"- বড়বাবুর হাসির কারণ উল্লেখ কর।
উঃ গিরীশ মহাপাত্র মাথার চুলে নেবুর তেল মেখেছিল। সেই প্রসঙ্গে জগদীশ বাবু বলেন যে, লেবুর তেলের উগ্র গন্ধে ব্যাটা থানাসুদ্ধ লোকের মাথা ধরিয়ে দিয়েছে।একথা শুনে বড়বাবু হাসতে থাকেন।
১৬) "ইত্যবসরে এই ব্যাপার"- কোন ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ অপূর্বর ঘরে চুরি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
১৭) ভামো যাত্রায় ট্রেনে অপূর্বর সঙ্গী ছিল কে কে ?
উঃ আরদালি এবং অফিসের একজন ব্রাম্ভণ পেয়াদা।
১৮) গিরিশ মহাপাত্রের পকেট থেকে কি কি পাওয়া যায় ?
উঃ একটি লোহার কম্পাস,একটি কাঠের ফুটরুল, কয়েকটি বিড়ি, একটি দেশলাই ও একটি গাঁজার কলিকা।
১৯) "পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল"- কি দেখা গেল ?
উঃ সামনের হলঘরে জনা ছয়েক বাঙালি মোটঘাট নিয়ে বসে আছে।
২০) গিরিশ মহাপাত্রের বয়স কত ?
উঃ ৩০-৩২ বছর
২১) "কেবল এই জন্যই যেন সে আজও বাঁচিয়া আছে" - এই জন্যই বলার কারণ কি ?
উঃ গিরিশ মহাপাত্রের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টি দেখে মনে হয় অত্যন্ত গভীর জলাশয়ের মত তার চোখ। সেখানে সহজে খেলা চলে না।তাই সাবধানে দূরে দাঁড়ানোই প্রয়োজন। একথা বোঝানোর জন্য আলোচ্য কথাটি বলা হয়েছে।
২২) "ও নিয়ম শুধু রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য"- এখানে কোন নিয়মের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ আলোচ্য অংশের বক্তা হলেন রঙ্গুনের এক পুলিশ। রেলের প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের রাত্রে কেউ ঘুমের বিঘ্ন ঘটাতে পারে না ,এই নিয়মের কথা বলা হয়েছে।
২৩) রাত্রিতে অপূর্বকে কতবার জাগানো হয়েছিল ?
উঃ তিনবার
২৪) "মিথ্যাবাদী কোথাকার"- কে কাকে মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেছেন ?
উঃ জগদীশবাবু গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশধারী সব্যসাচীকে মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেছেন।
২৫) "দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি নিজে খাই নে"- বক্তা কে ?
উঃ জগদীশবাবু
২৬) সে যে বর্মায় এসেছে একথা খবর সত্য" - সে কে ?
উঃ সব্যসাচী
#প্রতিটি প্রশ্নের মান - ৩
১) বাবুজি, এসব কথা বলার দুঃখ আছে"- বক্তা কে ? কোন প্রসঙ্গে সে একথা বলেছে ?
উঃ আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন রামদাস তলোয়ারকর।
এখানে বাবুজি বলতে অপূর্বকে বোঝানো হয়েছে। রামদাসের সাথে কথোপকথনকালে অপূর্ব জানায় যে, পুলিশকর্তা নিমাইবাবু তার কাকা এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু অপূর্বর কাছে ভারতবর্ষের মুক্তিকামী বিপ্লবীরা অনেক বেশি নিজের। বিপ্লবীদের প্রতি অপূর্বর শ্রদ্ধা এবং পুলিশ বাহিনীর প্রতি বিতৃষ্ণা জানতে পেরে রামদাস অপূর্বকে একথা বলেছেন।
২) "এত বড় বন্ধু"- কাকে কেন এতবড়ো বন্ধু বলা হয়েছে ?
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "পথের দাবী" উপন্যাসের অন্তর্গত আলোচ্য প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে বড় বন্ধু বলতে খ্রিস্টান মেয়েটির কথা বলা হয়েছে।
অপূর্ব এবং তেওয়ারির অনুপস্থিতির সুযোগে তার ঘরে চোর ঢুকে টাকা- কড়ি চুরি করে নেয়। খ্রিস্টান মেয়েটির সক্রিয়তায় চোর অন্যান্য জিনিস চুরি করতে সক্ষম হয়নি । খ্রিষ্টান মেয়েটি অপূর্বর ঘরের জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করে দেয়। ফলে চুরি যাওয়া জিনিসগুলিকে চিহ্নিত করা সহজ হয়। অপূর্বর বিপদে মেয়েটি সাহায্য করে বন্ধুর মতো আচরণ করেছে।
৩)" বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো"- বুড়ো মানুষটি কে ? তার কোন কথা শুনতে বলা হয়েছে ?
উঃ আলোচ্য প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "পথের দাবী" উপন্যাসের অন্তর্গত। এখানে বুড়ো মানুষটি হলো নিমাইবাবু ।
রাজ বিদ্রোহী সন্দেহে আটকে রাখা গিরিশ মহাপাত্রের কাছ থেকে একটি গাঁজার কলকে পাওয়া যায়। নিমাইবাবু বলেন, আর ক'দিনই বা বাঁচবেন, গাঁজা না খেলেই পারতেন। উত্তরে সে গাঁজা খাওয়ার কথা অস্বীকার করে। যদিও তার আঙুলে গাঁজা তৈরির স্পষ্ট প্রমাণ আছে। অসুস্থ দুর্বল চেহারা গিরীশ মহাপাত্রের প্রতি স্নেহবশত প্রবীণ নিমাইবাবু আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।
৪) "তার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নীচে কম জ্বলে না তলোয়ারকর"- এখানে কার কোন লাঞ্ছনার কথা বলা হয়েছে? লাঞ্ছনা শুনে তলোয়ারকরের কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ?
উঃ অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "পথের দাবী" রচনাংশে আলোচ্য প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে লাঞ্ছনার কথা বলতে ফিরিঙ্গি যুবকরা অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে।
অপূর্বর মুখ থেকে এরকম কথা শুনে রামদাসের সুশ্রী গৌরবর্ণ মুখ ক্ষণকালের জন্য আরক্ত হয়ে উঠেছিল। ক্ষণকালের মধ্যেই তার দুই চোখ ছল ছল করে উঠেছিল।তারপর কোন কথা না বলেই হঠাৎ হাত বাড়িয়ে অপূর্বর ডান হাতটা টেনে নিয়ে একটা চাপ দিয়ে নিঃশব্দে নিজের ঘর থেকে চলে গিয়েছিল।
৫) "সাবধানে দূরে দাঁড়ানো প্রয়োজন";- এমন মনে হওয়ার কারণ কি ?
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী শীর্ষক রচনাংশ থেকে আলোচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে।
এখানে সব্যসাচী মল্লিকের বিবরণ দিতে গিয়ে প্রথমেই ধরা পড়ে তার সেই আশ্চর্য রোগা মুখের অদ্ভুত চোখের দৃষ্টি। গভীর জলাশয়ের মত তার চোখ। সেখানে খেলা চলে না বরং সাবধানে দূরে দাঁড়ানোই প্রয়োজন। তার সেই দৃষ্টির কোনো অতল তলে ক্ষীণ প্রাণশক্তিটুকু যেন লুকানো আছে। মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে সাহস করে না
৬) "অপূর্ব রাজি হইয়াছিল"- অপূর্ব কোন বিষয়ে রাজি হয়েছিল ? ১+২=৩
উঃ রামদাসের স্ত্রী অপূর্বকে একদিন অনুরোধ করেছিলেন যে, যতদিন না তার মা কিংবা বাড়ির কোন আত্মীয়া বর্মায় গিয়ে বাসার উপযুক্ত ব্যবস্থা না করেন ততদিন তারই হাতের তৈরি সামান্য পরিমাণ মিষ্টান্ন অপূর্বকে গ্রহণ করতেই হবে। এই বিষয়ে অপূর্ব রাজি হয়েছিল।
#প্রতিটি প্রশ্নের মান - ৫
১) "বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে কিন্তু শখ ষোল আনাই বজায় আছে"- বাবুটি কে ? তার সাজসজ্জা পরিচয় দাও। ১+৪=৫
উঃ অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত "পথের দাবী" রচনাংশে আলোচ্য প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিতে বাবু বলতে গিরিশ মহাপাত্রকে বোঝানো হয়েছে।
আলোচ্য পাঠ্যাংশ গিরিশ মহাপাত্রের যে সাজসজ্জা বর্ণনা পাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো- গিরিশ মহাপাত্রের স্বাস্থ্য ভগ্ন হলেও মন থেকে শখ কোনভাবেই দূর হয়নি বলা যায়। তার মাথায় সামনের দিকে বড় বড় চুল কিন্তু ঘাড় বা কানের দিকে নেই বললেই চলে এমন ছোট্ট করে ছাঁটা। তার মাথায় ছিল চেরা সিঁথি, গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি, তার বুক পকেট থেকে বাঘ আঁকা রুমালের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছিল। উত্তরীয়ের কোন ব্যবহার ছিল না। তার পরনে ছিল বিলিতি মিলের কালো মকমল পাড়ের সূক্ষ শাড়ি, পায়ে সবুজ রঙের ফুল মোজা হাঁটুর উপরে লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা বার্নিশ করা পামসু ,তলাটা মজবুত ও টেকসই করতে লোহার নাল বাঁধানো ছিল। আর তার হাতে ছিল হরিণের শিং এর হাতল দেওয়া একটি বেতের ছড়ি ছিল। এইভাবে রচনাংশে গিরীশ মহাপাত্রের পোশাক ও পরিচ্ছদের বর্ণনা পাওয়া যায়।
২)" যাকে খুঁজছেন সে যে এ নয় তার আমি জামিন হতে পারি"- বক্তা কে ? কার সম্পর্কে এই উক্তি ? তার এমন উক্তির কারণ কি ? ১+১+৩=৫
উঃ অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত "পথের দাবী" রচনাংশে আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন অপূর্ব।
পুলিশ স্টেশনে অপূর্ব গিরিশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশধারী সব্যসাচীর সম্পর্কে নিমাইবাবুকে উদ্দেশ্য করে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
অপূর্বর মনে দেশপ্রেমের স্রোত চির প্রবহমান। তাই একজন দেশ প্রেমিক হিসাবে সব্যসাচীর কালচার সম্বন্ধে তার ধারণা ছিল। কিন্তু গিরিশ মহাপাত্রের পোশাক পরিচ্ছদ এবং তার কালচারের সঙ্গে কোন মতেই সব্যসাচীর মিল থাকতে পারে না। গিরিশ মহাপাত্র একজন সাধারণ মানুষ। বাস্তবে সে তেলের খনির মজুরের কাজ করে। তার রুচি উৎকৃষ্ট ধরনের নয়। তাই তার মনে হয় গিরিশ মহাপাত্র এবং সভ্যসাচী মল্লিক এই দুটি চরিত্রের কালচারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই সে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই নিমাইবাবুকে আলোচ্য কথাটি বলেছে।
,
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.