Cbsc board Bengali kobita question answer
প্রলয়োল্লাস
কাজী নজরুল ইসলাম
A. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
প্রশ্নের মান ৫
১) "ওই নুতনের কেতন করে কালবৈশাখীর ঝড়"- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ আলোচ্য অংশটি সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলামের "অগ্নিবীণা" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "প্রলয়োল্লাস" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কবি প্রলয়ের মধ্য দিয়ে ধ্বংসের কথা উল্লেখ করেছেন। কবি পুরাতনের ধ্বংসের মধ্য দিয়ে নতুনের আবির্ভাব কামনা করেছেন। তারই বর্ণনা প্রসঙ্গে আলোচ্য প্রসঙ্গটি এসেছে।
কালবৈশাখীর ঝড় বলতে, গ্রীষ্মকালের বিকেলবেলায় যে ভয়ংকর ঝড়ের আবির্ভাব ঘটে তাকে বোঝানো হয়েছে। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে প্রকৃতি ও জীবকুলকে কিছুটা আরাম দানের জন্যই ধ্বংসাত্মক শক্তি বহন করে কালবৈশাখী ঝড়ের আগমন ঘটে। গ্রীষ্মের খরতাকে ধ্বংস করে শান্তির বার্তা বহন করে আনে। আসলে এই ধ্বংসের মধ্য দিয়েই নতুনের সৃষ্টি হয়।আর তার উপর জন্মগ্রহণ করে নবচেতনার নবারুন। প্রকৃতি নতুন রূপে সজ্জিত হয়। তাই কবি কালবৈশাখীকে নতুনের কেতন বলেছেন।
২) "দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু চাঁদের কর"- ব্যাখ্যা কর।
উঃ আলোচ্য অংশটি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত "অগ্নিবীণা" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "প্রলয়োল্লাস" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কবি প্রলয়ের মধ্য দিয়ে ধ্বংসের কথা উল্লেখ করেছেন। কবি পুরাতনের ধ্বংসের মধ্য দিয়ে নতুনের আবির্ভাব কামনা করেছেন। তারই বর্ণনা প্রসঙ্গে আলোচ্য প্রসঙ্গটি এসেছে।
দিগম্বর বলতে কবি মহাদেবকে বুঝিয়েছেন। কবি মহাদেবকে সমাজ পরিবর্তনের কারিগর রূপে দেখেছেন। বিপ্লবে বিশ্বাসী কবি মনে করেন মহাদেবের ধ্বংসাত্মক শক্তির দ্বারা জীর্ণ পুরাতন শক্তি লুপ্ত হয়ে নতুন শক্তির প্রতিষ্ঠা হবে। তারই ইঙ্গিত রয়েছে মহাদেবের জটায় থাকা শিশু। তাদের উপস্থিতিতে ওই চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় ঘর ভরে উঠবে বলে কবি আশা প্রকাশ করেছেন। সমাজের অন্ধকার কেটে গিয়ে নূতনের প্রতিষ্ঠা হবে।
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি
শঙ্খ ঘোষ
1)" আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি"- তাৎপর্য লেখ।
উঃ কবি শঙ্খ ঘোষের আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি, কবিতা থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক শোষণে সাধারণ মানুষ বিপন্ন। তাদের চলার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের ডান দিকে, বাম দিকে, উপরে, নিচে সর্বত্রই বিপদ কিংবা বাধা। বিপন্ন মানুষের মাথার উপর থেকে চাল উড়ে গেছে। যে শিশুদের মধ্যে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাবে, সেই শিশুদের শব তাদের চারিদিকে ছড়ানো আছে। নিজেদের শিশুদের এভাবে মরতে দেখে তাদের মনে সংশয় জাগে - "এ মুহূর্তে মরে যাব নাকি"? এভাবে উপায়হীনভাবে বিপন্ন মানুষরা এই সংকটের মোকাবিলা করার জন্যই কবি আরো বেঁধে বেঁধে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.