আমাদের পরিবেশ সাজেশন Class 5,amader poribesh class-5 suggestion

   দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন 

  আমাদের পরিবেশ সাজেশন

                 পঞ্চম শ্রেণী

প্রতিটি প্রশ্নের মান ৪ 

১) গঙ্গা নদীর গতিপথ আলোচনা কর।

উঃ গঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য ২৫২৫ কিমি।ইহা গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে উৎপন্ন হয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহারের মধ্য দিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রবেশ করেছে। তারপর দুটি ভাগে ভাগ হয়ে একটি ভাগ পদ্মা নাম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অপর ভাগটি ভাগীরথী, হুগলি নামে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।

২) নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে ?

উঃ পুরনো যুগে নদীর ধারেই সভ্যতা গুলি গড়ে উঠত। নদীর বন্যায় অনেক সময় সেখানকার বাসিন্দাদের ক্ষতিও হত। তবুও নদীর ওপর নির্ভর করেই সেখানকার মানুষ বেঁচে থাকত। নদী ছিল তাদের কাছে মায়ের মত। তাই এইসব সভ্যতাকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলে।

 যেমন -  সিন্ধু সভ্যতা, হরপ্পা সভ্যতা, চীন সভ্যতা ইত্যাদি।

৩) সবুজ বিপ্লব কাকে বলে ?

উঃ আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির আবিষ্কার এবং অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, উন্নত বীজ ব্যবহারের ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনে আমুল পরিবর্তন ঘটে। এই ঘটনাকে সবুজ বিপ্লব বলে।

৪) গান্ধীবুড়ি কাকে বলা হয় ও কেন ? 

উঃ মাতঙ্গিনী হাজরাকে গান্ধী বুড়ি বলা হয়।

             মাতঙ্গিনী হাজরা অসংখ্য মানুষকে একজোট করে লড়াই করেন। ইংরেজরা তাকে ভয় দেখিয়েছিল কিন্তু তাতে মাতঙ্গিনী হাজরা লড়াই ছাড়েননি। গান্ধীজীর মতোই তিনি লড়াই করেছিলেন। তাই লোকে তাকে শ্রদ্ধা করে গান্ধীবুড়ি নাম দিয়েছিলেন।

৫) পশ্চিমের পাহাড়ে মালভূমি অঞ্চল সম্পর্কে লেখ।

৬) জগদীশচন্দ্র বসু বিখ্যাত কেন ?

উঃ জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালি বিজ্ঞানী। উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে তা তিনি সর্বপ্রথম প্রমাণ করেছিলেন। কেস্কোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে তিনি উদ্ভিদের বৃদ্ধি নির্ণয় করেন। তিনি বেতার যন্ত্রের আবিষ্কার করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।এসব কারণে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন।

৭) ভগিনী নিবেদিতা ইতিহাসে স্মরণীয় কেন ?

উঃ বেদান্ত ধর্ম প্রচারের কাজে ভগিনী নিবেদিতা সচেষ্ট হয়েছিলেন। ভারতবর্ষের তথা ভারতের নারী সমাজের উন্নতি সাধনে তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। প্লেগ রোগীদের সেবায় তিনি নিযুক্ত ছিলেন। সর্বোপরি তার শিক্ষা, ঐকান্তিকতা, তেজস্বীতার গুণে তিনি আজও ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন।

৮) টীকা লেখঃ সহমরণ প্রথা ।

উঃ সহমরণ প্রথা হলো সমাজের একটি অভিশাপ। অতি প্রাচীনকালে সমাজে এই প্রথা চালু ছিল। স্বামী মারা গেলে দাহ করার সময় স্ত্রীকে জীবন্ত অবস্থায় সেই চিতায় পুড়িয়ে মারা হতো। ইহা সহমরণ প্রথা নামে পরিচিত। রাজা রামমোহন রায় বেন্টিঙ্কের সহায়তায় এই সহমরণ প্রথা রোধ করেছিলেন।

৯) ডি ভি সি-র পুরো কথা কি ? ডি ভি সি কেন তৈরি করা হয়েছিল ?

উঃ dvc এর পুরো কথা হল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন।

                প্রধানত বন্যা রোধ করার উদ্দেশ্যেই ডিভিসি নির্মাণ করা হয়েছিল। বৃষ্টি হলে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে সেই বৃষ্টি নিম্ন অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি করত। সেই বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডি ভি সি তৈরি হয়েছিল। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে জল ব্যবহার করার জন্য সেই জলকে ধরে রাখার উদ্দেশ্যে ডি ভি সি তৈরি করা হয়েছিল।




.

Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)