Geography madhyamik suggestion 2024
West Bengal Board Of Secondary education.
বায়ুমণ্ডল
১) জেট বায়ু কাকে বলে ?
উঃ বায়ুমন্ডলের ট্রপোপজ অংশে এক প্রবল গতিবেগ সম্পন্ন বায়ু সংকীর্ণ আঁকা বাঁকা পথে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়,একে জেট বায়ু বলে।
২) আপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে ?
উঃ নির্দিষ্ট উষ্ণতায় ও নির্দিষ্ট চাপে, নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে প্রকৃত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ এবং ওই নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুর সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতার অনুপাতকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে।
৩) insulation বা সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বলতে কী বোঝো ?
উঃ পৃথিবীতে আগত সৌরশক্তিকে সংক্ষেপে ইনসোলেশন বলা হয়। অর্থাৎ সূর্যের দেহ থেকে নির্গত শক্তি ক্ষুদ্র তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ রূপে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় একে ইনসোলেশন বলে।
৪) জেট বায়ুর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
ক) ইহা ট্রপোজের প্রবল গতিবেগ সম্পন্ন পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত বায়ু।
খ) এর দৈর্ঘ্য কয়েক হাজার কিমি, প্রস্থ কয়েকশো কিমি এবং বেধ মাত্র কয়েক কিমি।
৫) অ্যালবেডো কাকে বলে ?
উঃ সূর্য থেকে আগত মোট সৌরশক্তির 66% বিভিন্ন পদ্ধতিতে বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে। বাকি ৩৪% বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যায়। ইহা বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না। একে পৃথিবীর অ্যালবেডো বলে।
৬) গর্জনশীল চল্লিশা কাকে বলে ?
উঃ দক্ষিণ গোলার্ধে মহাদেশ অপেক্ষা মহাসাগরের বিস্তার বেশি থাকার খোলা সমুদ্রের উপর দিয়ে পশ্চিমা বায়ু ঝড়ের বেগে প্রবাহিত হয় বলে ৪০⁰ দক্ষিণ অক্ষরেখাকে গর্জনশীল চল্লিশা বলা হয়।
৭) কার্যকরী সৌরবিকিরণ কাকে বলে ?
উঃ সূর্য থেকে আগত মোট সৌরশক্তির 66% বিভিন্ন পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে, একে কার্যকরী সৌর বিকিরণ বলে। এর দ্বারা পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয়।
৮) এরোসলের গুরুত্ব লেখ।
উঃ বায়ুমণ্ডলের বায়বীয় কণাকে এরোসল বলে। আরোসল বিকিরিত তাপ শক্তিকে শোষণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। জলীয় বাষ্প এরোসলের কণাগুলোকে আশ্রয় করে ভেসে বেড়ায় বলে মেঘ, কুয়াশা, বৃষ্টি প্রভৃতি সৃষ্টি হয়।
৯) অশ্ব অক্ষাংশ কাকে বলে ?
উঃ কর্কট ও মকরক্রান্তি অঞ্চলে শীতল ও ভারী বাতাস বায়ুস্রোত রূপে নেমে আসে। নিরক্ষীয় অঞ্চলের মতো এখানেও ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ু প্রবাহ ঘটে না। ফলে এই দুটি অঞ্চল শান্ত বলয় নামে পরিচিত ।
পালতোলা জাহাজের যুগে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ থেকে আমেরিকা ও পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলে ঘোড়া ভর্তি জাহাজ যাওয়ার সময় আটলান্টিকের ওপর কর্কটীয় শান্ত বলয়ে জাহাজগুলি থেমে যেত। দাঁড় টেনে জাহাজ নিয়ে যেতে হতো বলে জাহাজের ভার কমানো ও পানীয় জলের ব্যয় সংকোচের কারনে ঘোড়াগুলিকে সমুদ্রের জলে নিক্ষেপ করা হতো। তাই এই অঞ্চল অশ্ব অক্ষাংশ নামে পরিচিত।
১০) পৃথিবীর অ্যালবেডো কিভাবে মহাকাশে প্রতিফলিত হয় ?
উঃ পৃথিবীতে আগত সৌর শক্তির ৩৪% এর মেঘ, মহাকাশে বিচ্ছুরিত হয়ে ভূপৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যায়
১১) ক্যাটাবেটিক বায়ু ও অ্যানাবেটিক বায়ুর মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
উঃ ক) ক্যাটাবেটিক বায়ু শীতল কিন্তু অ্যানাবেটিক বায়ু উষ্ণ প্রকৃতির হয়।
খ) ক্যাটাবেটিক বায়ু পর্বতের শিখরদেশ থেকে নিচের দিকে নেমে আসে। কিন্তু অ্যানাবেটিক বায়ু পর্বতের গা বেয়ে উপরের দিকে ওঠে।
১২) সীমান্ত বৃষ্টি কাকে বলে ?
উঃ নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে উষ্ণ-আর্দ্র এবং শুষ্ক- শীতল দুটি বিপরীতধর্মী বায়ু মিলিত হলে শীতল বায়ুর ঢাল বরাবর উষ্ণ-আর্দ্র বায়ু উপরে ওঠে এবং ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়, একে সীমান্ত বৃষ্টি বলে।
১৩) হোমোস্ফিয়ার বলতে কী বোঝো ?
উঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে 44 কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় বায়ুমন্ডলের উপাদান গুলির অনুপাত মোটামুটি একই রকম বলে একে হোমস্ফিয়ার বলে। গ্যাস, ধূলিকণা, জৈব ও অজৈব কণা দ্বারা এই স্তর গঠিত।
১৪) বায়ুচাপ কক্ষ কি ?
উঃ মহাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র বেশি বলে বায়ুর চাপ বলয় গুলি ভেঙে ছোট ছোট কোষ আকারে অবস্থান করে, এদের বায়ুচাপ কক্ষ বলে।
১৫) সিজিগি কি ?
উঃ পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে, একে সিজিগী বলে। এই সময় জোয়ার অতি প্রবল হয় এবং সাধারণ জোয়ার অপেক্ষা ২০% জল বেশি ফুলে ওঠে।
১৬) চিনুক কি ?
উঃ রকি পর্বতের পূর্বঢালে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় অঞ্চলে প্রবাহিত উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ু হল চিনুক। এই বায়ুপ্রবাহে প্রেইরী অঞ্চলের বরফ গলে ও বন্যা হয় বলে রেড ইন্ডিয়ানরা একে তুষার ভক্ষক বলে।
১৭) লু কি ?
উঃ ভারত ও পাকিস্তানের থর মরুভূমি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে দুপুরে প্রবাহিত গরম বাতাসকে লু বলে।
১৮) বৈপরীত্য উত্তাপ কাকে বলে ?
উঃ সাধারণভাবে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুমন্ডলে উচ্চতা বাড়লে উষ্ণতা কমে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটে অর্থাৎ উচ্চতা বাড়লে উষ্ণতা না কমে বেড়ে যায়। এই অবস্থাকেই বৈপরীত্য উষ্ণতা বলা হয়।
১৯) শিলাবৃষ্টি কি ?
উঃ প্রবল ঊর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহে কিুমুলোনিম্বাস মেঘের জলকনাগুলি আরো উপরে উঠে বরফ কনায় পরিণত হয়। ঝরের প্রভাবে বরফ কণা মেঘের মধ্যে বারবার ওঠানামা করে বলে বরফ কনার গায়ে প্রলেপ পড়ে।ফলে বরফকণা আরো বড় হয়। বরফকনাগুলি বড় হলে বা ঝড় থেমে গেলে তা সজোরে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে, একেই শিলাবৃষ্টি বলে।
২০) ঘূর্ণবাতের চক্ষু কাকে বলে ?
উঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের মাঝখানের চক্রাকার অংশ মেঘহীন থাকে এবং বায়ুর গতিবেগও এখানে কম থাকে।এই অংশকে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বলে।
২১) ডোলড্রাম কি ?
উঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলের উষ্ণ, আর্দ্র হালকা বায়ু সর্বদা ঊর্ধ্বগামী হয়। ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে এখানে কোন বায়ুপ্রবাহ ঘটে না বলে শান্ত থাকে। তাই জাহাজ চলাচলের অসুবিধা হয়। সেই জন্য নাবিকগণ এর নাম দিয়েছেন ডোলড্রামস।
২২) basket of egg topography কি ?
উঃ
২৩) নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টি হয় কেন ?
উঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলে সমুদ্রের বিস্তার খুব বেশি এবং সারা বছর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে উষ্ণতা বেশি হয়। প্রবল উষ্ণতায় জল বাষ্পীভূত হয়ে প্রায় প্রতিদিন বিকেলে পরিচালন পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তাই একে 4 o'clock shower region বলে।
২৪) কোরিওলিস বল কি ?
উঃ পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে প্রবাহিত বায়ুর উপর যে শক্তি কাজ করে তাকে কোরিওলিস বল বলে। ইহা বায়ু প্রবাহের দিকের সাথে সমকোণে কাজ করে। বায়ুর বেগ যত বাড়ে এই বলের প্রভাবে দিক বিক্ষেপ তত বাড়ে।
২৫) প্রতীপ ঘূর্ণবাতের বৈশিষ্ট্য লেখ ।
উঃ ক) প্রতিপ ঘূর্ণবাতে কেন্দ্র থেকে মৃদুমন্দ বাতাস চক্রাকারে উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে বেরিয়ে যায়।
খ) বৃষ্টি হয় না, আকাশ পরিষ্কার থাকে ও শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করে।
২৬) সমবর্ষণ রেখা কি ?
উঃ ভূপৃষ্ঠে সমবৃষ্টিপাতের স্থানগুলিকে মানচিত্রে মে যুক্তকারি রেখা হল সমবর্ষণ রেখা।
২৭) ITCZ কী ?
উঃ উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলে মিলিত হয়। তাই এটি আন্তঃক্রান্তীয় অভিসৃতি অঞ্চল বা ইন্টার ট্রপিক্যাল কনভার্জেন্স জোন নামে পরিচিত।
২৮) স্ট্যাটোস্ফিয়ার শান্ত মন্ডল কেন ?
উঃ এখানে বায়ু পাতলা, স্বচ্ছ ,শীতল ও শুষ্ক এবং ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প নেই বলে আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন ঘটে না। তাই ইহা শান্তমন্ডল নামে পরিচিত।
২৯) বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল কাকে বলে ?
উঃ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সেই পর্বত অতিক্রম করে যখন পর্বতের অনুবাত ঢালে পৌঁছায় তখন তাতে জলীয় বাষ্প বিশেষ থাকে না। ফলে বৃষ্টিপাত কম হয়।এই অঞ্চলকে বলা হয় বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল।
যেমন - পশ্চিমঘাটের পূর্বঢাল ও শিলং
৩০) ওজন গহবর কি ?
উঃ যেখানে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজনের ঘনত্ব ২০০ ডবসন ইউনিটের কম এবং যেখান দিয়ে অতি বেগুনি রশ্মি প্রবেশ করে তাকে ওজন গহ্বর বলে।
৩১) এল নিনো কি ?
উঃ সাধারণ অবস্থায় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে পেরু, ইকুয়েডর উপকূল বরাবর শীতল হামবোল্ড স্রোত আছে। কোন কোন বছর এই অঞ্চলে উত্তর দিক থেকে গরম জলের স্রোত এসে অঞ্চলটিকে ঢেকে ফেলে উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় । এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে নিম্নচাপ এবং পশ্চিমে উচ্চচাপ। এই অবস্থায় পেরু, ইকুয়েডর প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা দেখা দেয় এবং পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া খরা হয়। এই অবস্থাকে এল নিনো বলে।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.