রাধারানী
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
A. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
প্রতিটি প্রশ্নের মান -৫
১."তাহারা দরিদ্র কিন্তু লোভী নহে"- তাৎপর্য লেখ।
উঃ সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত "রাধারাণী" নামক গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে।
পূর্বে রাধারাণীদের অবস্থা ভালো ছিল। কিন্তু এক জ্ঞাতির সঙ্গে মোকদ্দমায় হেরে গিয়ে তাদের অবস্থা একেবারে দারিদ্র্যতার চরম শিখরে পৌঁছায়।সেই পরিস্থিতিতে মায়ের গুরুতর অসুস্থ হলে রাধারানী বনফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে যায়। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় অন্ধকারে বাড়ি ফেরার পথে এক অচেনা লোকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
রাধারাণীর মুখ থেকে তাদের দারিদ্র্যতার কথা জানতে পেরে, তিনি বেশি দাম দিয়ে তার কাছ থেকে মালা কেনেন। তারপর একের পর এক তাকে শাড়ি কিনে দেওয়া,নোটে নাম লেখা টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। সেই টাকা পেয়েও তারা করেনি।কারণ তাদের অর্থের প্রয়োজন ছিল ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত নয়। অতিরিক্ত অর্থের প্রতি তাদের কোনো লোভ ছিল না তাই সেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তারা তার সন্ধান করেছিল।
২) রাধারানী গদ্যাংশ অনুসরণে রাধারানীর চরিত্রটি পরিস্ফুটন কর।
উঃ যেকোনো গদ্যাংশের মধ্য দিয়ে বা যেকোনো বিষয়ের মধ্য দিয়ে লেখক জীবনের সামগ্রিক রূপের সন্ধান করেন। সেই সন্ধানী যাত্রায় লেখক যে সমস্ত ঘটনা বা চরিত্রের উল্লেখ করে থাকেন সেগুলি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মূল বিষয়ের সাথে যুক্ত করে থাকেন। আলোচ্য "রাধারানী" গল্পের প্রধান চরিত্র হলো রাধারানী। এই গল্পে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি কিভাবে উদ্ভাসিত হয়েছে, তা আলোচনা করা হলো।
বুদ্ধিমত্তাঃ রাধারানী ও তার মা অত্যন্ত দারিদ্রতাবশত কায়িক পরিশ্রম করে দিন যাপন করত। কিন্তু তার মা হঠাৎ পিড়িতা হলে রাধারানী ঔষধ কেনার জন্য বনফুলের মালা গেঁথে রথের হাটে বিক্রি করে সেই অর্থে ঔষধ কিনবে বলে স্থির করেছিল। এদিক থেকে তার চরিত্রের সুবুদ্ধিমত্তার দিকটি প্রতিফলিত হয়।
সহানুভূতিশীলঃ সহানুভূতিশীল হল রাধারানী চরিত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সমভিবাহারীকে মালা বিক্রি করে , মালার দাম তার কাছ থেকে কিভাবে নেবে সেটিও সে মনে মনে চিন্তা করেছে। এদিক থেকে তার চরিত্রের সহানুভূতিশীলের দিকটি প্রস্ফুটিত হয়েছে।
নির্লোভীঃ রাধারানী নতুন শান্তিপুর কুঞ্জদার কাপড় পেয়ে এবং ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে নাম লেখা টাকা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই কাপড় বা টাকা গ্রহন করেনি। এদিক থেকে তার চরিত্রের নির্লোভের দিকটিই ফুটে উঠেছে।
পরিশেষে বলা যায়, রাধারানী অত্যন্ত বালিকা হলেও তার চারিত্রিক দৃঢ়তার গুনে সে কেবল বালিকাই ছিল না সে একজন মা হয়ে উঠেছে। তার মাকে সুস্থ করার জন্য সে নিজেই সমস্ত দায়িত্ব মাথায় নিয়েছে। তাই এইসব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলির নিরিখে বলা যায় রাধারানী চরিত্রটি যথার্থই একটি সার্থক চরিত্রে পরিণতি হয়েছে।
৩) "অগত্যা রাধারানী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল"- রাধারানীর কান্নার কারণ কি ?
উঃ
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.