একাদশ শ্রেণী বাংলা গুরু নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
১) মহাপঞ্চক এর সঙ্গে আচার্য অদীনপুণ্যের বিরোধ বাধার কারণ কি? কে কোথায় অদীনপুণ্যকে নির্বাসন দিয়েছিলেন?
উঃ গুরুর আগমনের পটভূমিকায় মহাপঞ্চকের সঙ্গে আচার্য অদীনপুণ্যের বিরোধের সূচনা হয়। আচার্য হওয়া সত্বেও গুরুর আগমন নিয়ে অদীনপুণ্যের মনে সংশয় জন্মেছিল। দিনরাত্রি এক নিয়মে বাঁধা অচলায়তনে তিনি যে শান্তি খুঁজে পান তা নিশ্চল শান্তি। মহাপঞ্চককে হতচকিত করে দিয়ে তিনি বলেন যে, উত্তর দিকে জানালা খোলার জন্য সুভদ্রের কোন প্রায়শ্চিত্ত করার দরকার নেই, যদি কোন অপরাধ ঘটে তা আমার। সুভদ্রকে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন যে, সে কোন অপরাধ করেনি, যারা বিনা অপরাধে মুখ বিকৃত করে তাকে হাজার হাজার বছরের ভয় দেখাচ্ছে'পাপ করছে তারাই।
উঃ গুরুর আগমনের পটভূমিকায় মহাপঞ্চকের সঙ্গে আচার্য অদীনপুণ্যের বিরোধের সূচনা হয়। আচার্য হওয়া সত্বেও গুরুর আগমন নিয়ে অদীনপুণ্যের মনে সংশয় জন্মেছিল। দিনরাত্রি এক নিয়মে বাঁধা অচলায়তনে তিনি যে শান্তি খুঁজে পান তা নিশ্চল শান্তি। মহাপঞ্চককে হতচকিত করে দিয়ে তিনি বলেন যে, উত্তর দিকে জানালা খোলার জন্য সুভদ্রের কোন প্রায়শ্চিত্ত করার দরকার নেই, যদি কোন অপরাধ ঘটে তা আমার। সুভদ্রকে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন যে, সে কোন অপরাধ করেনি, যারা বিনা অপরাধে মুখ বিকৃত করে তাকে হাজার হাজার বছরের ভয় দেখাচ্ছে'পাপ করছে তারাই।
এই কথা শুনেই আচার্যের উদ্দেশ্যে মহাপঞ্চক স্পষ্ট বিদ্রূপ করেন। মহাপঞ্চক এই ঘটনাকে সনাতন ধর্মের বিনাশ বলে চিহ্নিত করেন। তার কাছে এটা হল আচার্যের বুদ্ধি বিকাশ এবং এজন্য মহাপঞ্চক স্পষ্ট ঘোষণা করেন-"এ অবস্থায় ওকে আচার্য বলে গণ্য করা চলবে না।"এভাবেই প্রধানত সুভদ্রের উত্তর দিকের জানালা খোলাকে কেন্দ্র করে অদীনপুণ্যের সঙ্গে মহাপঞ্চকের বিরোধ বেঁধেছিল।
স্থবিরপতনের রাজা মন্থরগুপ্ত অদীনপুণ্যকে অচলায়তনের প্রান্তে দর্ভকপল্লীতে নির্বাসন দিয়েছিলেন।

Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.