গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্র
প্রশ্নঃ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্র তৎকালীন সমাজে কি প্রভাব ফেলেছিল ?
ভূমিকাঃ
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ঔপনিবেশিক শাসনকালে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রগুলি সমকালীন সমাজে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর আঁকা ব্যঙ্গচিত্রগুলিতে তৎকালীন সমাজের সমালোচনা ও বিদ্রুপ লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে বঙ্গীয় ঘরানার এক বিশিষ্ট চিত্রকর ও ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথের অবদান অনস্বীকার্য। এ কারণে তাঁকে আধুনিক চিত্রশিল্পের পথিকৃৎ বলা হয়।
তৎকালীন সামাজিক প্রতিচ্ছবিঃ
গগনেন্দ্রনাথ তাঁর কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে তৎকালীন সামাজিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। ঔপনিবেশিক সমাজের শিক্ষাব্যবস্থার অসারতা, মন্দিরে পাণ্ডাদের দৌরাত্ম্য, ব্রাহ্মণশ্রেণির অত্যাচার, বাল্যবিধবাদের দুরবস্থা, বাঙালি মধ্যবিত্ত বাবুদের ইংরেজপ্রীতি প্রভৃতি ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। তিনি ‘জাতাসুর’ নামক ব্যঙ্গচিত্রে দেখিয়েছেন সমাজের বর্ণবৈষম্যের ভয়াবহতা।
বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্রঃ
গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে ‘অদ্ভূত লোক’, ‘বিরূপ বজ্র’ এবং ‘নয়া হুল্লোড়’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিদ্যা কারখানা, জাতাসুর, বাগযন্ত্র প্রভৃতিও তৎকালীন সমাজে জাগরণ সৃষ্টি করেছিল।
পাশ্চাত্য ভাবধারার সমালোচনাঃ
গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে বাংলায় ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির কঠোর সমালোচনা করেন। গগনেন্দ্রনাথ তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে।
মূল্যায়নঃ
কেবলমাত্র বাংলায় নয় সমগ্র ভারতবর্ষেই গগনেন্দ্রনাথ একজন চিত্রশিল্পী হিসেবে ব্যঙ্গচিত্রের মর্যাদা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আসলে তিনি ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সমাজের কুরুচি সম্পন্ন মানুষ এবং নারীদের প্রতি কুদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.