পিঁপড়ে অমিয় চক্রবর্তী প্রশ্ন উত্তর

                   পিঁপড়ে 

                    অমিয় চক্রবর্তী


১) পিঁপড়ে কবিতার রচয়িতা কে ?

👉অমিয় চক্রবর্তী


২) কেমন যেন চেনা লাগে -  কি চেনা লাগে ?

👉 ছোট পিঁপড়ের চলা 


৩) কে জানে প্রাণ আনলো কেন ওর _______।

👉 পরিচয় কিছু 


৪) স্তব্ধ শুধু চলায় ____________।

👉 কথা বলা 


৫) তার স্মরণে সবাইকে আজ ঘিরেছে________

👉 আদরে 


৬) পিঁপড়ে কবিতায় কাদের কথা বড় হয়ে উঠেছে ?

👉 পিঁপড়েদের কথাই বড় হয়ে উঠেছে।


৭) পিঁপড়েদের চলাফেরা কবির কেমন লাগে ? 

👉 পিঁপড়েদের চলাফেরার মধ্যে সর্বদা ব্যস্ততা থাকে। তাদের এই ব্যস্ত মধুর চলাফেরা কবির যেন চেনা চেনা লাগে।


৮)" আহা পিঁপড়ে ছোট পিঁপড়ে" সম্বোধনটি কবিতায় মোট কতবার আছে ?

👉 তিনবার 


৯) গাছের তলায় পিঁপড়েরা কি করে ?

👉 গাছের তলায় ভোরের হাওয়ায় পিঁপড়েরা গর্ত করে  ক্রমশ মাটির গভীরে নেমে যায়। 


১০) পিঁপড়েদের জন্য কবি কি প্রার্থনা করেছেন ?

👉 আলোর গন্ধ ছুঁয়ে তার ভুবন ভরে রাখুক, ধুলোর রেণু মাখুক।


১১) মাটির বুকে যারাই আছি _________ঘরে।

👉 এই দু-দিনের 


১২) দু-দিনের ঘর বলতে কী বোঝো?

👉 দু-দিনের ঘর বলতে ক্ষণস্থায়ী অবস্থাকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে মানুষ এবং পিঁপড়ে উভয়ই বসবাস করে কিছুদিনের জন্য।


১৩) পিঁপড়ে কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ?

👉 পারাপার কাব্যগ্রন্থ


১৪) সেই অতলে ডাকুক - কে, কাকে এই ডাক দেয়  ?

👉 ধরিত্রী মাতা ছোট পিঁপড়েদের মাটির অনেক নিচে চলে যাওয়ার ডাক দেয়।


১৫) পিঁপড়ে কবিতায় কবি কাকে দুঃখ দিতে চাননি?

👉 পিঁপড়ে কবিতার কবি হলেন অমিয় চক্রবর্তী। তিনি পিঁপড়েদের প্রতি গভীর সহানুভূতি দেখিয়েছেন। তাদের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে কবি পিঁপড়েদের দুঃখ দিতে চান না।


১৬) স্তব্ধ শুধু চলায় কথা বলা -পিঁপড়ে কবিতায় এই পঙক্তিটির পরের পঙক্তি কোনটি ?

👉 আলোর গন্ধ ছুঁয়ে তার ওই ভুবন ভরে রাখুক।


১৭) পিঁপড়েরা চলার মধ্যে কিসের রেনু মাখে ?

👉 ধুলোর রেণু 


B) নিজের ভাষায় উত্তর দাও 

১) "মাটির বুকে যারাই আছি এই দুদিনের ঘরে"- এই দুদিনের ঘরে বলতে কী বোঝো? কে সবাইকে কিভাবে এই দুদিনের ঘরে আদর করেন ঘিরে রাখে ?

👉  দুদিনের ঘর বলতে অল্প সময়কে বোঝানো হয়েছে।এই পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থায়ী হয় না। এই পৃথিবীতে ক্ষুদ্র এবং বৃহৎ উভয় প্রাণীর সমান অধিকার আছে। ক্ষুদ্র প্রাণী পিঁপড়ের ঘর যেমন স্থায়ী নয়, বৃষ্টিতে তাদের ঘর ডুবে যায়। ঠিক তেমনি মানুষকেও একদিন সব ঘর ফেলে রেখে চলে যেতে হয়। তাই দুটো প্রাণীর বানানো ঘর দুদিনের বা অল্প সময়ের জন্য এ কথা বলা হয়েছে।

  পিঁপড়ে অতি ক্ষুদ্র প্রাণী। তারা মাটির নিচে বাস করে। আর মানুষ হলো উন্নত প্রাণী। এরা বুদ্ধি দিয়ে মাটির উপরেই বসবাস করে। কিন্তু উভয়ের বসবাস এই পৃথিবীতে অল্প দিনের জন্য। তাই এই পৃথিবীতে যারা ক্ষণস্থায়ী তাদের সকলকে আদর করে ঘিরে রাখে স্মৃতি।

২) পিঁপড়াদের ভাষাহীন চলাচলের মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি কেমন ?

উঃ এই পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম জীব হলো পিঁপড়ে। এরা ভাব বিনিময়ের জন্য কথা বলতে পারে না। কিন্তু এরা একে অপরের শুঁড়ে শুঁড় মিলিয়ে ভাব বিনিময় করে থাকে। এরা সর্বদাই ব্যস্ত থাকে। আকার আকৃতিতে ছোট হলেও  এদের জীবন গতিময়। এরা ক্ষুদ্র হলেও ভাষাহীনভাবে  এরা ভাব বিনিময় করতে পারে।

৩) পিঁপড়ে কবিতায় কবি কিরূপ মনোভাব ব্যক্ত করেছেন ?

উঃ এই বিচিত্র পৃথিবী হল সকল জীবের আশ্রয়স্থল। এই পৃথিবীর সকল বস্তুর মধ্যেই সকলের সমান অধিকার আছে। সকলে ই এই পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ স্পর্শ নিয়ে বেঁচে থাকে। পিঁপড়ে কবিতায় তিনি এক সহানুভূতিশীল মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

       পিঁপড়েরা অতি ক্ষুদ্র প্রাণী। এরা মাটির দিকে মুখ নিচু করে ব্যস্ততার সঙ্গে চলাচল করে। সেই চলাচল কবিকে মুগ্ধ করেছে। তাই তাদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটিয়ে তিনি তাদের দুঃখ দিতে চান না। পিঁপড়েরা মাটির নিচে থাকে আর উন্নত প্রাণী মানুষ মাটির উপরে বাসা বাঁধে। কিন্তু উভয়েরই জীবন ক্ষণস্থায়ী। এই কালের নিয়মে উভয়কেই এই দুদিনের ঘর ছেড়ে আবার চলে যেতে হয়। এভাবেই করি পিঁপড়ে কবিতায় এক সহানুভূতিশীল, দরদী মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)