মাধ্যমিক বাংলা
বাংলা
দশম শ্রেণী
১) সাজিছে রাবণরাজা বীরমদে মাতি- রাবণ রাজা কে ? তার রণসজ্জার পরিচয় দাও।
উঃ লঙ্কার রাজা রাবণ হলেন মনে বিশ্বস্রবা ও নিকোষা দানবীর পুত্র এবং কুবেরের ভাই ও দেবাদিদেব মহাদেবের প্রিয় শিষ্য।
ভগ্ন দুধের নিকট প্রিয় আত্ম জোর বাহুর মৃত্যু সংবাদ শুনে রাবণ রাজা প্রথমে শোক সাগরে নিমজ্জিত হন। তারপর মন্ত্রী সারণের পরামর্শক্রমে প্রকাশ শুরু কে প্রতিশোধের অগ্নিতে পর্যবসচিত করেন। প্রিয় পুত্রের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে তিনি বীর মদে মত্ত হয়ে যুদ্ধযাত্রায় সজ্জিত হয়ে ওঠেন। রাক্ষসসৈন্য সজ্জিত হতে থাকলে তাদের প্রচন্ড গর্জনে হস্তি, অশ্ব, রথ ও পদাতিক সৈন্যের মিলিত দাপটে আসমুদ্র লঙ্কা টলমল করে ওঠে।
২) তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায় "- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য লেখ।।
উঃ আলোচ্য অংশটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের লেখা বহুরূপী নামক গল্পংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
হরিদা ছিলেন একজন হতদরিদ্র মানুষ। বহুরূপ ধারণ করে যে অল্প পয়সা তিনি রোজগার করতেন তাতেই তার চাহিদা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন। তিনি অনেক উপার্জনের কথা ভাবলেও কার্যক্ষেত্রে তা করেননি। এর কারণ হলো অন্যকে না ঠকানো। তার এই আচরণের জন্য সবথেকে দায়ী ছিল তার শিল্পী সত্তা । শুধু পয়সা উপার্জন নয় বহুরূপী পেশায় এক একটি চরিত্রের উপযোগী যে মানসিকতা দেখাতে হয় তা পুরোপুরি দেখাতে পেরেছিলেন হরিদা। তাই জগদীশ বাবুর বাড়িতে বিরাগি সেজে গিয়ে তিনি প্রকৃত বিরাগীর মত ধন সম্পদের মোহ অবলীলাক্রমে ত্যাগ করেছিলেন।
৩) ওসব হলো এক একটি সুন্দর সুন্দর বঞ্জনা"- ওসবের পরিচয় দাও। তাকে সুন্দর বঞ্চনা বলার কারণ কি ?
উঃ সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পাংশের অন্তর্গত আলোচ্য অংশে ওসব বলতে ধন,জন ও যৌবনের কথা বলা হয়েছে।
এগুলিকে সুন্দর সুন্দর বঞ্চনা বলার কারণ হলো ধন-সম্পদ ও যৌবনের মোহে মানুষ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এসবের কারণেই মানুষ সাময়িক সুখ লাভ করে। সকল জাগতিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্য পেতে চায়। এর মোহেই মানুষ ষড়রিপুর বশবর্তী হয়ে ওঠে। ফলে তারা আর পরমাত্মার সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারে না নিজেদের। তাই তারা চিরন্তন সুখলাভ থেকে বঞ্চিত হয়।
৪) মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশে যাই- কার কোন কথা মনে পড়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করা হয়েছে ? বক্তার মানসিকতার বিশেষত্ব উল্লেখ কর।
উঃ অপূর্বর বিদেশীদের দ্বারা রেল স্টেশনে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হওয়ার কথা মনে পড়ার বিষয়টির প্রতি এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
বক্তা নিজেকে বিদেশিদের শাসনে নিজের ভূমিতে পরবাসী বলে মনে করেছেন। কেননা অপূর্ব যখন নিজ দেশবাসীর সামনে অত্যাচারিত হয়েছে তারা তখন নিরব থেকেছে কিন্তু দেশের জন্য শত রকম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করার জন্য সে মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত। তার এই প্রতিবাদী মানসিকতা অন্তরে তুষের আগুনের মতো জ্বলতে থাকে।
৫) বুড়ো মানুষের কথাটা শোনো - এখানে বুড়ো মানুষটি কে ? তিনি কাকে কোন কথা শুনতে বলেছেন ?
উঃ কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী রচনাংশের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নিমাইবাবু নিজেকে গিরিশ মহাপাত্রের কাছে বুড়ো মানুষ আখ্যা দিয়েছিলেন।
তিনি গিরিশ মহাপাত্রের মধ্যে গাঁজা খাওয়ার সমস্ত লক্ষণ প্রত্যক্ষ করার পর তার রুগ্নদশা লক্ষ্য করে তাকে এরূপ নেশা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.