Class6 History final exam questions answer
ইতিহাস
ষষ্ঠ শ্রেণী
প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
১) বিদ শব্দের অর্থ কি ?
উঃ জ্ঞান
২) সব থেকে পুরনো বৈদিক সাহিত্যের নাম কি ?
উঃ ঋকবেদ
৩) আদি বৈদিক যুগের ইতিহাস জানার একমাত্র উপাদান কোনটি ?
উঃ ঋকবেদ
৪) সংহিতা শব্দের অর্থ কি ?
উঃ সংকলন করা
৫) ঋকবেদে কোন পর্বতের উল্লেখ নেই ?
উঃ বিন্ধ্য পর্বত
৬) ভরত গোষ্ঠীর রাজার নাম কি ?
উঃ সুদাস
৭) বৈদিক যুগের দুটি করের নাম লেখ
উঃ ভাগ ,বলি
৮) বৈদিক যুগের দুটি মুদ্রার নাম লেখ।
উঃ নিষ্ক, শতমান
৯) একটি রাজতান্ত্রিক মহাজনপদ এর নাম লেখ।
উঃ মগধ
১০) দুটি গণরাজ্যের নাম লেখ।
উঃ বৃজি, মল্ল
১১) মগদের বর্তমান রাজধানী কোথায় ?
উঃ পাটলিপুত্র
১২) বজ্জিদের রাজধানী কোথায় ?
উঃ বৈশালী
১৩) মল্লদের দুটি রাজ্য কি কি ?
উঃ পাবা ও কুশিনগর
১৪) মোট কতজন তীর্থঙ্ক করছিলেন ?
উঃ ২৪ জন
১৫) জৈন সন্ন্যাসীদের নেতা কে ছিলেন ?
উঃ ভদ্রবাহু
১৬) গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
উঃ কপিলাবস্তু রাজ্যের শাক্য বংশে
১৭) পঞ্চম বেদ বলা হয় কাকে ?
উঃ মহাভারত
১৮) আলেকজান্ডার কবে ভারত আক্রমণ করেছিলেন ?
উঃ ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
১৯) হাতিগুম্ফা শিলালেখ কার ?
উঃ খারবেল
২০) শিলাদিত্য উপাধি কে নিয়েছিলেন ?
উঃ হর্ষবর্ধন
২১) হর্ষচরিত কার লেখা ?
উঃ বানভট্ট
প্রতিটি প্রশ্নের মান ২
১) অগ্রহার ব্যবস্থা কাকে বলে ?
উঃ গুপ্ত ও গুপ্ত পরবর্তী আমলে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে জমি দান করাকে অগ্রহার ব্যবস্থা বলা হয়।ঐ জমির উৎপাদন থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের খরচ চালাতেন ব্রাম্ভণ ও বৌদ্ধরা।
২) বরাহমিহিরের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম লেখ।
উঃ সূর্যসিদ্ধান্ত ও পঞ্চসিদ্ধান্তিকা।
৩) আটবিক কাদের বলা হত ?
উঃ মৌর্য শাসনকালে যারা বনে থাকতো তাদের আটবিক বলা হত। তারা নাকি মৌর্য সাম্রাজ্যে নানা গোলমাল পাকাতো।
৪) রাজা হর্ষবর্ধনের লেখা দুটি নাটকের নাম লেখ।
উঃ প্রিয়দর্শিকা, নাগানন্দ।
৫) জৈন ধর্মের ত্রিরত্ন বলতে কী বোঝো ?
উঃ জৈন ধর্মে সৎ বিশ্বাস, সৎ জ্ঞান ও সৎ আচরণকে একসঙ্গে ত্রিরত্ন বলা হয়।
৬) তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি কোথায় ও কার আমলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উঃ তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি পাটলিপুত্রে রাজা অশোকের আমলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
৭) কাকে শকারী বলা হয় এবং কেন ?
উঃ শকারি বলা হত দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তকে।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত গুজরাট অঞ্চল থেকে শক ও ক্ষত্রপ শাসকদের উচ্ছেদ করেছিলেন বলে, তাকে শকারি বলা হয়।
৮) হর্ষবর্ধন কোথাকার রাজা ছিলেন ? হর্ষবর্ধনের বাবার নাম কি ছিল ?
উঃ হর্ষবর্ধন থানেশ্বরের পুষ্যভূতি বংশের রাজা ছিলেন। তার বাবার নাম প্রভাকর বর্ধন।
৯) গুরুকুল ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ?
উঃ বৈদিক যুগে গুরু- শিষ্য সম্পর্ক কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে গুরুকুল ব্যবস্থা বলা হত।
১০) প্রাচীন ভারতের দুজন শল্য চিকিৎসকের নাম লেখ।
উঃ চরক ও সুশ্রুত
১১) অষ্টাঙ্গিক মার্গ কাকে বলে ?
উঃ দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গৌতম বুদ্ধ আটটি উপায়ের কথা বলেছিলেন। সেই আটটি উপায়কে একসঙ্গে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলে।
১১) মহাবীর কত বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করেন? তিনি কত বছর ধরে তপস্যা করেন ?
উঃ মহাবীর ৩০ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করেন এবং তিনি টানা ১২ বছর ধরে তপস্যা করেন। তারপর আনুমানিক ৭২ বছর বয়সে পাবানগরীতে মহাবীরের মৃত্যু ঘটে।
১২) খরোষ্ঠী লিপি সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ।
উঃ খরোষ্ঠী লিপি ডান দিক থেকে বাঁ দিকে লেখা হতো। এই লিপি উটের ঠোঁটের মতো দেখতে ছিল।
১৩) কোন কোন নদীর তীরে মেসোপটেমিয়া সভ্যতা গড়ে ওঠে ?
উঃ টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস
১৪) রেশম পথ কি ?
উঃ
১৫) ত্রিপিটক কী ?
উঃ বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল ত্রিপিটক। ইহা তিনটি ভাগে বিভক্ত- সুত্তপিটক, বিনয় পিটক এবং অভিধর্ম পিটক। ইহা পালি ভাষায় রচিত।
১৬) এলাহাবাদ প্রশস্তি কার লেখা? এতে কোন সম্রাটের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ এলাহাবাদ প্রশস্তি সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেনের লেখা।
এতে রাজা সমুদ্রগুপ্তের গুনগান, যুদ্ধযাত্রা, রাজ্যজয় ইত্যাদি সম্পর্কে বলা হয়েছে।
১৭) আইহোল প্রশস্তি কার লেখা? এতে কোন সম্রাটের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ আইহোল প্রশস্তি রবিকীর্তি বর্মনের লেখা। এতে রাজা দ্বিতীয় পুলকেশী সম্পর্কে বলা হয়েছে।
১৮) দুটি বিখ্যাত মহাবিহার এর নাম লেখ।
উঃ নালন্দা মহাবিহার, তক্ষশীলা মহাবিহার, বিক্রমশীল মহাবিহার ইত্যাদি।
১৯) চৈত্য কি ?
উঃ উপাসনার জন্য সরাসরি পাহাড় কেটে লম্বাকৃতির স্তুপকে চৈত্য বলে।
২০) মিশরকে নীলনদের দান বলেছেন কে? মিশরের শাসকদের কি বলা হত ?
উঃ মিশরকে নীলনদের দান বলেছেন গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস।
মিশরের শাসকদের বলা হত ফ্যারাও।
২১) কোন কোন দেশ থেকে পড়ুয়ারা পাঠ গ্রহণ করতে নালন্দা আসত ?
উঃ চীন, তিব্বত, সুমাত্রা, জাভা, কোরিয়া ইত্যাদি।
২২) আর্যভট্ট কে ছিলেন ?
উঃ গুপ্ত যুগের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ। তিনিই শূন্যের ব্যবহার করেন প্রথম।
২৩) সপ্তসিন্ধু অঞ্চল বলতে কী বোঝো ?
উঃ সিন্ধু নদ ও তার পূর্ব দিকের উপনদীগুলি দিয়ে ঘেরা অঞ্চলটিকে সপ্তসিন্ধু অঞ্চল বলে।
২৪) ক্ষত্রপ কাদের বলা হত ?
উঃ কুষাণদের শাসনব্যবস্থার সুবিধার জন্য সাম্রাজ্যকে কতগুলি প্রদেশে ভাগ করে শাসনকার্য চালানো হতো। সেই প্রদেশগুলির শাসকদের ক্ষত্রপ বলা হতো।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ৩
১) পরবর্তী বৈদিক যুগের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন ছিল ?
উঃ পরবর্তী বৈদিক যুগে শিক্ষার সঙ্গে উপনয়নের সম্পর্ক দেখা যায়। ছাত্র শিক্ষা নেওয়ার জন্য গুরুর কাছে আবেদন করত। উপযুক্ত মনে হলে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুরু সেই ছাত্রকে শিষ্য হিসেবে মেনে নিতেন।বেদ পাঠের মধ্য দিয়ে শিক্ষা দান করানো হত। এছাড়া গণিত, ব্যাকরণ, ভাষা শিক্ষার উপরেও জোর দেওয়া হতো। তাছাড়া ছাত্রদের নিজেকে রক্ষা করার জন্য অস্ত্রচালনা শিক্ষা দেওয়া হত।
২) টীকা লেখঃ মেগালিথ
উঃ মেগালিথ হলো বড় পাথরের সমাধি। প্রাচীন ভারতে মৃত ব্যক্তিদের বড় বড় পাথর দিয়ে সমাধি করা হতো। এগুলি নানা আকারের হত। কাশ্মীরের বুরজাহোম, রাজস্থানের ভরতপুর, এনামগাঁও প্রভৃতি হল বিখ্যাত মেগালিথ কেন্দ্র।
৩) কি কি কারণে মগধ শক্তিশালী মহাজনপদে পরিণত হয়েছিল ?
উঃ মগধ রাজ্য নদী ও পাহাড় দিয়ে ঘেরা ছিল। ফলে বাইরে আক্রমণ থেকে মগধ সহজেই রক্ষা পেত । গঙ্গা নদীর পলি মাটি ঐ অঞ্চলের কৃষি জমিতে উর্বর করে তুলেছিল। এই অঞ্চলে বনগুলিতে অনেক হাতি পাওয়া যেত। মগদের রাজারা যুদ্ধের কাজে সেই হাতি ব্যবহার করতেন। তাছাড়া এখানে অনেক লোহা ও তামার খনি ছিল। মগধেরর রাজারা সহজেই লোহার অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করতে পারত। জলপথ ও স্থলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য চলতো। এইসব সুবিধার জন্যই মগধ শক্তিশালী মহা জনপদে পরিণত হয়েছিল।
৪) টীকা লেখঃ সুদর্শন হ্রদ
উঃ মৌর্য আমল থেকে গুপ্ত আমূল পর্যন্ত এই হ্রদের ব্যবহার ছিল। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনকালে কাথিয়াওয়াড় অঞ্চলে এই হ্রদটি বানানো হয়েছিল। এটি একটি নদীভিত্তিক সেচ প্রকল্প। অশোকের শাসনকালে ইহা কয়েকটি সেচ খাল দ্বারা যুক্ত হয়। রুদ্রদামন ওই পদটি সংস্কার করেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতক পর্যন্ত সুদর্শন হ্রদের টানা ব্যবহার হয়েছিল।
৫) তক্ষশীলা মহাবিহার সম্পর্কে লেখো।
উঃ গান্ধার মহাজনপদের রাজধানী ছিল তক্ষশীলা। গ্রীক,পারসিক, শক নানা বিদেশি শক্তি নানা সময়ে তক্ষশীলা দখল করে। ফলে সেখানে নানা মানুষ ও পন্ডিতের আবির্ভাব ঘটে। সেখানে বৌদ্ধধর্ম জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। নানা দেশ থেকে ছাত্ররা সেখানে উচ্চশিক্ষার জন্য যেত। রাজা ও ব্যবসায়ীরা এই মহাবিহার চালানোর জন্য টাকা পয়সা বা জমি দান করত।
৬) জীবক কে ছিলেন ? তার সম্পর্কে লেখ।
উঃ গৌতম বুদ্ধের সময়কালীন একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন জীবক।
তার জন্ম রাজগৃহে। তিনি শিক্ষা লাভ করেছিলেন তক্ষশিলায়। শিক্ষা শেষ করে তিনি একজন বিখ্যাত চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত হন। তিনি রাজা বিম্বিসার ও গৌতম বুদ্ধকে বেশ কয়েকবার কঠিন রোগ থেকে সারিয়ে তুলেছিলেন।
৭) টীকা লেখঃ গান্ধার শিল্প
উঃ বৌদ্ধ ধর্মকে ঘিরে গান্ধার শিল্প গড়ে উঠেছিল। গান্ধার শিল্পীরা বুদ্ধদেবের মূর্তিকে নতুন করে তৈরি করেছিলেন। তার টিকালো নাক, টানা ভুরু ও অর্ধেক বন্ধ চোখ ছিল এখানকার মূর্তিগুলির বৈশিষ্ট্য। পায়ের জুতোগুলিও রোমান জুতোর মতো দেখতে হতো। মূর্তিগুলি সোনালী রঙের করা হতো।
প্রতিটি প্রশ্নের মান -৫
১) অশোকের ধর্ম সম্পর্কে লেখ।
উঃ অশোকের ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্মের মধ্যে কিছু মিল আছে ।তবে অশোকের ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম নয়। তার ধর্মের মূল কথাগুলি হল-
ক) হিংসা না করা।
খ) প্রাণীহত্যা বন্ধ করা।
গ) শিকার ও মাছ ধরার উপরে তিনি নিষেধ জারি করেন।
ঘ) দয়া, দান, সত্য কথা এই সব আচরণের কথাও তার ধর্মে বলা হয়েছে।
ঙ) বাবা- মা গুরুজনদের মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে।
এই উপদেশ গুলি বিশেষ কারো জন্য নয়। সব মানুষের জন্যই অশোক তার ধর্মের কথা বলেছেন। অশোক প্রজাদের নিজের সন্তান বলেছেন-" সবে মুনিষা প্রজাঃ মম"
২) কলিঙ্গ যুদ্ধের ফলাফল লেখ।
উঃ ভারতের ইতিহাসে কলিঙ্গ যুদ্ধ একটি যুগান্তকারী ঘটনা। আনুমানিক ২৬১ খ্রিঃ পূঃ কলিঙ্গ যুদ্ধ হয়েছিল। অশোক সারা জীবনে মাত্র একটি যুদ্ধই করেছিলেন, কলিঙ্গ যুদ্ধ । এই যুদ্ধের ফলে অনেক মানুষ মারা যায়। সেই হিংসার জন্য পরে অশোক দুঃখ পান। তিনি বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উপগুপ্তের কাছে বৌদ্ধ ধর্মের দীক্ষা নেন। কলিঙ্গ যুদ্ধের পর অশোক হিংসা বন্ধ করেন, যুদ্ধ করা ছেড়ে দেন। তিনি পশুহত্যা বন্ধ করে দেন। সব মানুষ যাতে ভালো থাকতে পারে তিনি সেই ব্যবস্থা করেন।
৩) মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর নিয়োগ করতেন কেন ?
উঃ গুপ্তচর হল রাজার চক্ষু বিশেষ। বিশাল সাম্রাজ্যের দেখাশোনা করা রাজার পক্ষে দূরহ ব্যাপার। তাই রাজ্যের খবরা-খবর গুপ্তচরের মাধ্যমেই রাজা পেয়ে থাকেন। মৌর্য সম্রাটরাই প্রথম গুপ্তচর নিয়োগ করেন। কোনো বিদেশী বা অচেনা সন্দেহজনক লোক দেখলে সবার উপরেই গুপ্তচর নজর রাখত। কর্মচারী এমনকি রাজপুত্ররাও গুপ্তচরদের নজরের বাইরে যেতে পারত না। এইসব কাজের সুবিধার জন্য মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর নিয়োগ করতেন।
সপ্তম অধ্যায়
১) প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের জলসেচ ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখ।
উঃ কৃষির উন্নতির জন্য প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে জলসেচ ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল। প্রাচীন ভারতের শাসকরা সেদিকে যথেষ্ট নজর দিতেন। নদীর জল সেচের মাধ্যমে কৃষিক্ষেতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হতো। এই জলসেচ প্রকল্পগুলিকে সেতু বলা হত। এই সেতু ছিল দু ধরনের- এক ধরনের সেতু প্রাকৃতিক জলের উৎসকে ভিত্তি করে থাকতো আর অপরটি কৃত্রিম উপায়ে অন্য এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় জল আনিয়েও সেতু বানানো হতো। সেতুর জল ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের জল কর দিতে হতো। ধনী ব্যক্তিরাও নিজেদের উদ্যোগে জলসেচ প্রকল্প তৈরি করতেন।
২) ফাসিয়ানের লেখায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ কেমন ছিল ?
উঃ ফাসিয়ানের লেখায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ সম্পর্কে জানা যায় যে, ভারতীয় উপমহাদেশে অনেকগুলি নগর ছিল। এদের মধ্যে মধ্য দেশের নগরগুলি ছিল উন্নত। সেখানে জনগণ সুখে বাস করত। চন্ডালরা নগরের বাইরে থাকত। এদেশের লোকেরা অতিথিদের যত্ন করতো। বিদেশিদের যাতে কোন কষ্ট না হয় তার দিকেও তারা খেয়াল রাখত। পাটলি পুত্র ছিল দেশের সেরা নগর সেখানে লোকেরা ছিল সুখী ও সম্পদশালী। ধোনি বৈশ্য রাত নগরের বিভিন্ন স্থানে দাতব্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতেন বিনামূল্যে সেখান থেকে ঔষধ দেয়া হতো গরিবদের খাওয়ার ও থাকার ব্যবস্থাও সেখানে ছিল।
৩) সুয়ান জাং এর লেখায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ সম্পর্কে কি জানা যায় ?
উঃ সুয়ান জাং এর লেখায় ভারতবর্ষ ইন-তু নামে পরিচিত। তার মতে ইন-তু'র লোকেরা নিজেদের দেশকে বিভিন্ন নামে ডাকে। ইন-তু'তে আশিটি রাজ্য আছে। প্রতিটি রাজ্যে নিজস্ব রাজা থাকলেও তারা বড় রাজাদের অনুগত ছিল।
তিনি ইন-তু'কে গরমের দেশ বলেছেন। সেখানে নিয়মিত বৃষ্টি হয়। সেখানকার মাটি খুব উর্বর। দক্ষিণ দিক বনে ঢাকা। পশ্চিম দিকে আছে পাথুরে ও অনুর্বর জমি। সেখানকার জনগণের মধ্যে আছে জাতিভেদ প্রথা। ধান ও গম সেখানকার প্রধান কৃষিজ ফসল। শহরের বাড়িগুলি ইট ও টালি দিয়ে তৈরি হতো। কিন্তু বাড়ির বারান্দা তৈরি করা হতো কাঠ দিয়ে। গ্রামের বাড়িগুলির দেওয়াল ও মেঝে ছিল মাটির। এই ভাবেই ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ সম্পর্কে জানা যায়।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.