বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান

 ১) বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধটি কার রচনা ?

উঃ রাজশেখর বসু 

২) রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম কি ?

উঃ পরশুরাম

৩) যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ লেখা হয় লেখক তাদের কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন ?

উঃ দুটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। প্রথম শ্রেণীতে আছে যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে, এরকম অল্প বয়স্ক ছেলে-মেয়ে এবং অল্প শিক্ষিত বয়স্ক লোক। আর দ্বিতীয় শ্রেণীতে আছেন, যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে।

৪) অনেক স্থুল তথ্য তাদের জানা থাকতে পারে - কি কি স্থূল তথ্যের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ জল আর কর্পূর উড়ে যায়,লাউ,কুমড়ো জাতীয় গাছে দুরকম ফুল হয়।

৫) ছেলেবেলায় লেখক কার লেখা বাংলা জ্যামিতি পড়েছিলেন ?

উঃ ব্রম্ভমোহন মল্লিক 

৬) "তাদের নতুন করে শিখতে হচ্ছে "- কাদের কি শিখতে হচ্ছে ?

উঃ যারা ইংরেজি জানে তাদের নতুন করে বাংলা পরিভাষা শিখতে হচ্ছে। কারণ আমাদের সরকার রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন।

৭) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক পরিভাষা রচনা সফল হয়নি কেন ?

উঃ তারা একযোগে কাজ না করে, স্বতন্ত্রভাবে করেছিলেন। ফলে একই ইংরেজি সংজ্ঞার বিভিন্ন প্রতিশব্দ রচিত হয়েছিল।

৮) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিভাষা সমিতি কবে নিযুক্ত হয়েছিল ?

উঃ ১৯৩৬ সালে 

৯) তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে"- কখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে বলে লেখক মনে করেছেন ?

উঃ জনসাধারণের জন্য যারা বিজ্ঞান লেখেন প্রাথমিক বিজ্ঞানের মত গোড়া থেকে না লিখলে বোধগম্য হয় না। এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হলে তবেই এই অসুবিধা দূর হবে এবং বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।

১০) Sensitized paper এর বাংলা অর্থ কি ?

উঃ সুগ্রাহী কাগজ

১১) এতে রচনা উৎকট হয়"- কেন এমন হয় ?

উঃ অনেক লেখক তাদের বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং যথাযথ বাংলা অনুবাদে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। ফলে রচনা উৎকট হয়ে পড়ে।

১২) এরকম বর্ণনা বাংলা ভাষায় প্রকৃতিবিরুদ্ধ - কিসের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ পরমাণু ইঞ্জিন নীল চিত্রের অবস্থাতেও পৌঁছায়নি।

১৩) পরিভাষার উদ্দেশ্য কি ?

উঃ ভাষার সংক্ষেপ এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।

১৪) আলংকারিকগণ শব্দের কোন ত্রিবিধ কথা বলেছেন ?

উঃ অভিধা,লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা

১৫)" হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদন্ড" - কালিদাসের এই উক্তি কাব্যের উপযুক্ত, কিসের উপযুক্ত নয় ?

উঃ ভূগোলে 

১৬) এই কথাটি সকল লেখকের মনে রাখা উচিত - কোন কথা বলা হয়েছে ?

উঃ বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা অত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক।

১৭) কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় দেখেছি "-লেখক পত্রিকায় কি দেখেছেন ?

উঃ অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তারা জীবের বেঁচে থাকার পক্ষে অপরিহার্য অঙ্গ মাত্র। তবে ওজন গ্যাস স্বাস্থ্যকর।

১৮) সম্পাদকের উচিত - কি উচিতের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ অবিখ্যাত লেখকের বৈজ্ঞানিক রচনা প্রকাশের আগে অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে যাচাই করে নেওয়া।

১৯) দেশের লজ্জা"- এর লক্ষণাগত অর্থ কি ?

উঃ দেশবাসীর লজ্জা 

২০) অরণ্যে রোদন"- এর ব্যঞ্জনা অর্থ কি ?

উঃ নিষ্ফল খেদ



 প্রশ্নঃ" বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চায় নানারকম বাধা আছে"- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার বাধা গুলি আলোচনা করো।

👉 বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু জনপ্রিয় লেখক হিসাবে পরিচিত। তিনি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজনীয়তা আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করেছেন। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার নানা বাধার কথাও বলেছেন।


  প্রথমতঃ যে সকল পাঠক ইংরেজি জানেন এবং ইংরেজিতে বিজ্ঞান পাঠ করেছেন, তাদের পক্ষে ইংরেজি ভাষা প্রভাব মুক্ত হলে বাংলায় বিজ্ঞান চর্চা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।


দ্বিতীয়তঃ বাংলা ভাষায় যথেষ্ট পারিভাষিক শব্দ নেই। অনেক বছর আগে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচেষ্টায় পারিভাষিক শব্দ রচিত হলেও তার অভাব থেকেই গেছে।


তৃতীয়তঃ পাশ্চাত্য দেশগুলির তুলনায় আমাদের দেশের সাধারণ জনগণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান খুবই নগণ্য। তাই যেকোন বিজ্ঞান ভিত্তিক রচনাকে প্রাথমিক বিজ্ঞানের মত গোড়া থেকে না লিখলে তাদের বোধগম্য হয় না।


চতুর্থতঃ অনেক লেখকের ভাষায় আড়ষ্টতা থাকে। তারা ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ করায় বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ তারা বক্তব্যকে ইংরেজিতে ভাবেন এবং তার আক্ষরিক অনুবাদ করেন। ফলে রচনা সাবলীলতা হারায়।


পঞ্চমতঃ আবার অনেকে মনে করে পারিভাষিক শব্দ বাদ দিলে রচনা সহজ হবে। উপমা, রূপক প্রভৃতি অলংকার ছাড়া অন্যান্য অলংকারের ব্যবহার বিজ্ঞান ভিত্তিক রচনাকে লঘু করে তোলে।


ষষ্ঠতঃ বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের অপর একটি দোষ হল, কোনো কোনো লেখক না জেনে বা অল্প জেনে ভুল তথ্য পরিবেশন করেন। তাই এইরকম ভুল লেখা, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে অনিষ্টকর হয়ে পড়ে।

১) হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদন্ড- কালিদাসের এই উক্তি কাব্যেরই উপযুক্ত, কিসের উপযুক্ত নয় ?

👉 ভূগোলের 

২) অরণ্যে রোদন ব্যঞ্জনাটির অর্থ কি ?

👉 নিষ্ফল খেদ 

৩) ছেলেবেলায় লেখক কার লেখা বাংলা জ্যামিতি পড়েছিলেন ?

👉 ব্রম্ভমোহন মল্লিক

৪) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সমিতি কে কবে নিযুক্ত করা হয় ?

👉  ১৯৩৬ খ্রিঃ

৫) আমাদের আলংকারিকন শব্দের কোন ত্রিবিধের কথা বলেছেন ?

👉 অভিধা লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা 

৬) লক্ষণা বলতে কী বোঝো ?

👉 লক্ষণা হল শব্দের বৃত্তিবিশেষ। কোন শব্দের মূল অর্থ বাধাপ্রাপ্ত হলে যে শক্তির দ্বারা অন্য কোন অর্থের জ্ঞান জন্মায় তাকে লক্ষণা বলে।

    যৈমন  - দেশের লজ্জা বললে বোঝায় দেশবাসীর লজ্জা।

৭) Sencitized paper এর বাংলা অর্থ কি ?

👉 সুগ্রাহী কাগজ

৮) অভিধা কাকে বলে ?

👉 অভিধা হল শব্দের আভিধানিক অর্থ। যেমন অরণ্যের আভিধানিক অর্থ বন বা জঙ্গল। অন্য কিছুকে বোঝায় না ।

Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)