ব়্যাগিং বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা কর।
প্রশ্নঃ ব়্যাগিং বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা কর।
উঃ
বিপিনঃ কিরে সৌম্য কেমন আছিস ? অনেকদিন পর তোর সাথে দেখা হল। বাড়ির সবাই ভালো আছেন তো ?
সৌম্যঃ নারে, মনটা তেমন ভালো নেই। এই সমাজটাই যেন কেমন জটিলতার মধ্য দিয়ে চলছে।
বিপিনঃ কেন রে? কি হয়েছে? সামাজিক বিষয়ে পাহাড় প্রমাণ মালপত্র নিজের মনে তুই প্রবেশ করাতে চাইছিস ?
সৌম্যঃ গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট ইয়ারের একটা ছাত্র ব়্যাগিং-এর শিকার হয়ে মারা গেছে, জানিস তো ?
বিপিনঃ হ্যাঁ,এই দুঃসংবাদটা শুনে আমিও খুব মর্মাহত হয়েছি। এটা কারো কাছেই কাম্য নয়।
সৌমঃ আসলে মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পাশবিক শক্তি অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়ে যায়। সেরকমই ব়্যাগিংও একটি পাশবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
বিপিনঃ কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ অপরকে শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন করে আনন্দ উপভোগ করে, আর এটাই ব়্যাগিং।
সৌমঃ যে সকল ছেলে-মেয়ে ধনী পরিবারে জন্মেছে, কোনরূপ অভাব অনটনের সম্মুখীন হয়নি, সেইরূপ অলস মস্তিষ্কেই এসব কুকর্মের চিন্তাভাবনা আসে। নিজ মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিতরাই এমন কার্যে লিপ্ত হয়।
বিপিনঃ র্যাগিং সমাজের বিশেষত ছাত্র সমাজের এক অভিশাপ।পুরানো ছাত্র-ছাত্রীদের যদি নবাগতদের সাথে আলাপ করাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে ব়্যাগিং কখনো তার উপায় হতে পারে না।
সৌম্যঃ আসলে এই সামাজিক ব্যাধি বা অভিশাপ থেকে কি আমরা (ছাত্র-ছাত্রীরা) কোনদিনই মুক্তি পাবো না ? এই ঘৃণ্য উপায়ে ওই ছেলেটির মতো কি আমাদের বা আমাদের ভাই বোনেদেরও আগামী দিনেও ব়্যাগিং-এর শিকার হতে হবে ?
বিপিনঃ ব্যাধি হলে তার ঔষধ নিশ্চয়ই আছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে হবে। হোস্টেল বা ছাত্র আবাসিক স্থানে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সি সি টিভি লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারকেও ব়্যাগিং এর জন্য কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সৌম্যঃ তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও শপথ গ্রহণ করে কর্তব্য পালন করতে হবে। যাতে এ ঘটনা আর কোনদিনও না ঘটে। প্রয়োজনে আলোচনা সভা, প্রতিবাদ, আন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে।
বিপিনঃ ঠিকই বলেছিস। যদি এগুলো বাস্তবায়ন হয়, তাহলে নিশ্চিত রূপে এই অভিশাপ থেকে পৃথিবী মুক্ত হবে।
সৌম্যঃ ঠিক, ঠিক। এখন চলি । এখনই আমাকে একটু কাজে যেতে হবে। পরে আরও কথা হবে, ভালো থাকিস।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.