শব্দের উৎস নির্ণয় বাংলা ব্যাকরণ

 ১) নীচের কোনটি তদ্ভব শব্দ - ক) কানাই খ) কার্য গ) কেষ্ট ঘ) কৃষ্ণ

উঃ কানাই


২) চা, চিনি, লিচু - শব্দগুলি কোন ভাষা থেকে এসেছে ?

উঃ চিনা


৩) যেসব তৎসম শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হওয়ার পরেও উচ্চারণ বিকৃতির কারণে রূপ বদলেছে তাদের কি বলে ?

উঃ অর্ধতৎসম


৪) বোষ্টম কোন জাতীয় শব্দ ?

উঃ


৫) বঙ্গদেশের বাইরের বিভিন্ন দেশীয় ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করা শব্দকে কি বলে ?

উঃ বিদেশি শব্দ


৬) কোনটি তদ্ভব শব্দ - ক) কাজ খ) কৃষ্ণ গ) কেষ্ট ঘ) চা 

উঃ কাজ 


৭) মৎস্য  >  __________  > মাছ।

উঃ মচ্ছ


৮) ধামা, ঢোল - কি জাতীয় শব্দ ?

উঃ দেশী


৯) একটি দেশি শব্দের উদাহরণ দাও।

উঃ মুড়ি


১০) কোনটি খাঁটি দেশী শব্দ - ক) অস্ট্রিক খ) মারাঠি গ) শ্লাভিক ঘ) আরবি।

উঃ


১১) চিংড়ি কী জাতীয় শব্দ?

উঃ তদ্ভব 


১২) মিশ্রশব্দ হল - ক) ঢেঁকি খ) পাখনাওলা গ) ইমারত ঘ) যন্ত্র।

উঃ পাখনাওলা


১৩) ইতর শব্দ কাকে বলে ?

উঃ যে সকল শব্দ মার্জিত লোকের প্রত্যাশিত নয় , সেই সকল শব্দকে ইতর শব্দ বলে।


১৪) খন্ডিত শব্দ কাকে বলে ?

উঃ কোন শব্দের বিশেষ অংশ বাদ দিয়ে যে শব্দাংশ উচ্চারণ করা হয়, তাদের খন্ডিত শব্দ বলে।

উদাহরণ - টেলিফোন >ফোন 


১৫) মুণ্ডমাল শব্দ কাকে বলে ?

উঃ কোন শব্দ গুচ্ছের প্রথম বর্ণ গুলি নিয়ে যে শব্দগুচ্ছ গঠিত হয় তাকে মুণ্ডমাল শব্দ বলে।

উদাহরণ - VIP - VERY IMPORTANT PERSON 


১৬) তৎসম শব্দ কাকে বলে ?

উঃ যে সমস্ত শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে অপরিবর্তিত আকারে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে তাদের তৎসম শব্দ বলে।

যেমন - মৎস্য,চন্দ্র ইত্যাদি 


১৭) তদ্ভব শব্দ কাকে বলে ?

উঃ যে সমস্ত সংস্কৃত শব্দ দীর্ঘ সময় ধরে নানা স্তরের মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে, বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারে স্থান পেয়েছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলে।

যেমন - হাত,মাছ,চাঁদ ইত্যাদি।


১৮) অর্ধ তৎসম শব্দ কাকে বলে ?

উঃ যে সমস্ত তৎসম শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হওয়ার পরে উচ্চারণ বিকৃতির কারণে রূপ বদলেছে তাদের অর্ধ তৎসময় বা ভগ্ন তৎসম শব্দ বলে।

উদাহরণ - কেষ্ট,বেস্পতিবার ইত্যাদি।


১৯) বিদেশি শব্দ কাকে বলে ?

উঃ বিভিন্ন সময়ে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান বা রাষ্ট্রীয় যোগাযোগের মাধ্যমে আরবি, ফার্সি, ইংরেজি, চিনা ইত্যাদি শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে, এই শব্দগুলিকে বিদেশি শব্দ বলা হয়। 


২০) প্রাদেশিক শব্দ কাকে বলে ?

উঃ বিদেশি ভাষার মতোই অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষারও অনেক শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, তাদের প্রাদেশিক শব্দ বলে।


২১) মিশ্র শব্দ বা সংকর শব্দ কাকে বলে ?

উঃ যে কোনো এক শ্রেণীর শব্দের সঙ্গে অপর শ্রেণীর শব্দ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাদের সংকর শব্দ বা মিশ্র শব্দ বলে।

যেমন - তদ্ভব + তৎসম = কাজললতা।


২২) নিচের শব্দ গুলির উৎস নির্ণয় কর 


১) তুমি একটা স্পাই

উঃ স্পাই - ইংরেজি 


২) ইমারত তৈরি করা কত সোজা।

উঃ ইমারত - আরবি


৩) সুযোগ পেলেই মাটিতে হাত লাগিয়ে ছানাছানি করতাম।

মাটি - তদ্ভব

হাত - তদ্ভব

ছানাছানি - দেশী


৪) মা বলবে, ঠ্যাং দুটো কি কুচ্ছিৎ

ঠ্যাং - দেশি শব্দ 

কুচ্ছিৎ - অর্ধতৎসম 


৫) এই তুফানেতে কেউ গাঙ্ চিল পাড়ি দিও না।

উঃ 


২৪) শূন্যস্থান পূরণ কর ।

__________> তিত > তেতো।

উঃ তিক্ত


মৎস্য > __________ > মাছ।

উঃ মচ্ছ 


খাদ্য > খজ্জ > ___________ ।

উঃ খাজা


রাজপুত্র > ____________  > রাজপুত।

উঃ রাজপুত্তর


____________ > অজ্জ > আজ ।

উঃ অদ্য


২৫) কোনটি কোন শ্রেণীর শব্দ নির্ণয় কর।

দুপুর - চন্দ্র 


খোকা - ওরাওঁ 


ঝান্ডা - হিন্দি 


কলম - তৎসম 


আলমারি - পোর্তুগীজ 


ডাক্তারখানা - বিদেশি প্রত্যয় যুক্ত মিশ্র শব্দ। 


বেকসুর - বিদেশি উপসর্গযুক্ত মিশ্র শব্দ। 


আগোল - 


 ঝিঙে -  খাঁটি দেশি শব্দ


ছা - খাঁটি বাংলা


বৃক্ষ - তৎসম


জামিন - 


ফুল - 


পেরেক -  পর্তুগিজ শব্দ


কাঠ - তদ্ভব


রাজপুত্তুর-  অর্ধতৎসম


মুকুল - আরবি


স্টিমার - ইংরেজি


পিলে - তেলেগু 


চাকা - তদ্ভব


পেত্যয় - অর্ধতৎসম


ফোন - ইংরেজি


অনাছিষ্টি - অর্ধতৎসম


শহর - 


রৌদ্র - তৎসম


গছানো - 


কেষ্ট - অর্ধ তৎসম

২৬) অজ্ঞাতমূল শব্দ কাকে বলে ?

উঃ যে সকল শব্দ এদেশের প্রাচীনতর অধিবাসী দ্রাবিড় বা অস্ট্রিক গোষ্ঠীর ভাষা থেকে এসেছে বলে অনুমান করা হয়, সেইসব শব্দকে দেশি শব্দ বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এইসব শব্দের মূল পাওয়া যায় না বলে, এগুলিকে অজ্ঞাতমূল শব্দ নামে অভিহিত করা হয়।

যেমন- মুড়ি, খোকা, চিংড়ি, কুকুর ইত্যাদি।







Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)