পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

 পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রণীত অষ্টম শ্রেণীর বাংলা সহায়ক গল্প হিসাবে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাসটি অংশগ্রহণ করা হয়েছে। সেই পথের পাঁচালী উপন্যাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

            পথের পাঁচালী 

             বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় 

পথের পাঁচালী(pather panchali )উপন্যাস, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়(bibhutibhushan bandyopadhyay)বাংলা গল্প (Bengali golpo ),অষ্টম শ্রেণী (Class -8) ,পথের পাঁচালী,pather Panchali Class -8,Bengali suggestion class eight,বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়(bibhutibhusan bandyopadhyay )অষ্টম শ্রেণী পথের পাঁচালী উপন্যাস,Bengali pather Panchali class-8,অষ্টম শ্রেণী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাস প্রশ্ন ও উত্তর,pather Panchali novel question answer class-8, Bengali pather Panchali question answer for class Eight,পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণি, তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন(Third unit test class-8 Bengali suggestion,pather Panchali uponnash)অষ্টম শ্রেণী(class-8) প্রশ্ন উত্তর পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন ও উত্তর pather Panchali uponnash class-8, Bengali suggestion pather Panchali,অষ্টম শ্রেণী বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় পথের পাঁচালী(pather Panchali ),অষ্টম শ্রেণী (class-8)প্রশ্ন ও উত্তর(question answer),পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণী প্রশ্ন ও উত্তর বাংলা গল্প(Bengali golpo question answer class-8,অষ্টম শ্রেণী প্রশ্ন উত্তর বাংলা গল্প পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, Question and answer pather Panchali golpo third unit test class -8,অষ্টম শ্রেণী পথের পাঁচালী গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর,Final exam Bengali question answer pather Panchali,ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর বাংলা অষ্টম শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর, পথের পাঁচালী উপন্যাসের সাজেশন, অষ্টম শ্রেণী, পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর সাজেশন, অষ্টম শ্রেণী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর, পথের পাঁচালী(pather Panchali written by Bibhutibhushan bandyopadhyay)বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর বাংলা সাজেশন অষ্টম শ্রেণী পথের পাঁচালী উপন্যাসের সাজেশন অষ্টম শ্রেণী,third summative evaluation benali story suggestions question class8,wbbse begali suggestions for class eight,তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের বাংলা সাজেশন,west bengal board of secondary education,Bengali suggestion class eight,অষ্টম শ্রেণী পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন পথের পাঁচালী উপন্যাসের সাজেশন অষ্টম শ্রেণী ।

পথের পাঁচালী উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখানে পাবেন।

পথের পাঁচালী(pather panchali )উপন্যাস, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়(bibhutibhushan bandyopadhyay)বাংলা গল্প (Bengali golpo ),অষ্টম শ্রেণী (Class -8) ,পথের পাঁচালী,pather Panchali Class -8,Bengali suggestion class eight,বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়(bibhutibhusan bandyopadhyay )অষ্টম শ্রেণী পথের পাঁচালী উপন্যাস,Bengali pather Panchali class-8,অষ্টম শ্রেণী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাস প্রশ্ন ও উত্তর,pather Panchali novel question answer class-8, Bengali pather Panchali question answer for class Eight,পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণি, তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন(Third unit test class-8 Bengali suggestion,pather Panchali uponnash)অষ্টম শ্রেণী(class-8) প্রশ্ন উত্তর পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন ও উত্তর pather Panchali uponnash class-8, Bengali suggestion pather Panchali,অষ্টম শ্রেণী বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় পথের পাঁচালী(pather Panchali ),অষ্টম শ্রেণী (class-8)প্রশ্ন ও উত্তর(question answer),পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণী প্রশ্ন ও উত্তর বাংলা গল্প(Bengali golpo question answer class-8,অষ্টম শ্রেণী প্রশ্ন উত্তর বাংলা গল্প পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, Question and answer pather Panchali golpo third unit test class -8,অষ্টম শ্রেণী পথের পাঁচালী গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর,Final exam Bengali question answer pather Panchali,ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর বাংলা অষ্টম শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর, পথের পাঁচালী উপন্যাসের সাজেশন, অষ্টম শ্রেণী, পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর সাজেশন, অষ্টম শ্রেণী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর, পথের পাঁচালী(pather Panchali written by Bibhutibhushan bandyopadhyay)বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর বাংলা সাজেশন অষ্টম শ্রেণী পথের পাঁচালী উপন্যাসের সাজেশন অষ্টম শ্রেণী,third summative evaluation benali story suggestions question class8,wbbse begali suggestions for class eight,তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের বাংলা সাজেশন,west bengal board of secondary education,Bengali suggestion class eight,অষ্টম শ্রেণী পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন পথের পাঁচালী উপন্যাসের সাজেশন অষ্টম শ্রেণী ।

তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের পথের পাঁচালী উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর এখানে দেওয়া হয়েছে।


১) সন্ন্যাসীরা দূর্গাদের বাড়ি আসে না কেন ?

উঃ সন্ন্যাসীরা দূর্গাদের বাড়ি আসে না কারণ গাজনের নাচ দেখিয়ে সন্ন্যাসীরা গৃহস্থের বাড়ি থেকে চাল, কাপড়, পয়সা ইত্যাদি সংগ্রহ করে। দুর্গারা খুব গরীব। তারা কিছু চাল ছাড়া সন্ন্যাসীদের দিতে পারে না, সেই কারণেই সন্ন্যাসীরা দুর্গাদের বাড়িতে আসে না।

২) রাজকুমার অজয়ের পরিচয় দাও। তার প্রকৃত নাম কি ?

উঃ রাজকুমার অজয় অপুর সমবয়সী টুকটাক সুদর্শন এক বালক। তার গানের গলাও খুব সুন্দর। সে ব্রাহ্মণের ছেলে এবং তার পরিবারে আর কেউই নেই। এক মাসি ছিল সে তাকে মানুষ করেছে কিন্তু সেও মারা গিয়েছে। অজয় যাত্রা দলে অভিনয় করে রোজগার করে।

        তার প্রকৃত নাম কি তা আমরা জানতে পারি না। যেহেতু সে যাত্রাপালায় রাজকুমার অজয়ের চরিত্রে অভিনয় করছিল ।তাই তাকে সকলেই অজয় নামেই সম্বোধন করে।

৩) দিনরাত সর্বজয়া কি স্বপ্ন দেখে ?

উঃ সর্বজয়া স্বপ্ন দেখে যে, তার স্বামী হরিহর একটা ভালো চাকরি পাবে। তাদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসবে। তাদের দুঃখ- দুর্দশা একদিন সব দূর হবে।

৪) "একদিন মার কাছে ধরা পড়ে যায়"- কে, কোন কাজের জন্য ধরা পড়েছিল ?

উঃ আলোচ্য অংশে অপুর ধরা পড়ার কথা বলা হয়েছে।

        অপু কালি বানানোর জন্য মায়ের পান খাওয়ার উপকরণ খয়ের চুরি করতো মাঝে মাঝেই। এই খয়ের চুরি করতে গিয়েই একদিন সে মায়ের কাছে ধরা পড়েছিল।

৫) আকাশের ডাক অপুর মনে কি প্রভাব ফেলে ?

উঃ আকাশের ডাক অর্থাৎ মেঘ গর্জনকে অপু খুব ভয় পায়। বিদ্যুৎ চমকালে সে মনে মনে ভাবে দেবতা তোড়পাচ্ছে। এবার থেকে আকাশ ডাকলেই সে চোখ বুজে কানে আঙুল চাপা দিয়ে মেঘের গর্জন শোনা থেকে বিরত থাকতে চায়।

৬)" কোত্থেকে আনলে? উঃ কত" -কে, কখন এই উক্তিটি করেছে ?

উঃ এক বর্ষার দিনে পিয়নের অপেক্ষায় অনেকক্ষণ বসে থাকার পরে অপু যখন বাড়ি ফিরে আসে তখন সে দেখতে পায় যে, তার মা আর দিদি, বিকেলে ভিজতে ভিজতে রাশিকৃত কচুশাক তুলেছে। রান্না ঘরের দাওয়ায় জড়ো করেছে। তখনই অপু আলোচ্য উক্তিটি করেছে।

 ১) অপুর গায়ে কাঁটা দিয়া উঠিল"- কেন এমন হয়েছিল ?

উঃ আলোচ্য অংশটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী উপন্যাসের অন্তর্গত। 

               অপুর গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠিল কারণ নীল পূজার দিন সন্ধ্যাবেলায় অপু চড়কতলা থেকে ছাতিমতলা হয়ে বাড়ি আসছিল। সেই সময় সে শুনেছে এই দিন চড়কের সন্ন্যাসীরা শ্মশান জাগায়। ব্যাপারটা নিয়ে আগ্রহ থাকলেও তার ভয়ও ছিল। মেঘ করেছে, সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনীভূত হয়ে উঠেছে। কোথাও কোনো জনপ্রাণী নেই। শ্মশানের আর মরার মুন্ডুর গল্প শুনে অপুর বেশ ভয় করছিল। মোড়ের বাঁশ বনের কাছে আসতেই কিসের যেন কটু গন্ধ তার নাকে আসতে লাগলো। সে দ্রুত হাঁটতে লাগলো। একটু পরেই সে ন্যাড়ার ঠাকুরমাকে দেখতে পেল। তিনি নীল পূজার নৈবেদ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পূজার স্থানে। গন্ধের কথা জিজ্ঞেস করতে তিনি বলেন-তেনারা সব বেরিয়েছেন অর্থাৎ ভূতপ্রেত। সব মিলিয়ে অপুর মন ভয়ে বিষ্ময় ও আতঙ্ক তৈরি করেছিল। তাই অপুর গা কাঁটা দিয়ে উঠেছিল। 

২) অপু সেখানে মাছ ধরতে যেত -সেই স্থানের পরিচয় দাও। এই প্রসঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে অপু কি করতো তা লেখ ।

উঃ আলোচ্য অংশটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী উপন্যাসের অন্তর্গত। 

           সোনাডাঙ্গা মাঠের নিচে ইছামতির ধারে খালের মুখে একটি ছাতিম গাছের তলায় অপু মাছ ধরতে যেত। স্থানটি ছিল খুবই নির্জন। দুই ধারে নদীর পাড়ে নানা গাছপালা নদীর জলে ঝুঁকে পড়েছিল। ওপারে ঘন সবুজ উলুবন, কদম, শিমুল গাছ, বেগুনি রঙের বনকলমি ফুলে ছাওয়া, দূরে মাধবপুর গ্রামের বাঁশবন পাখির ডাক, বনের ছায়ায় উলুবনের শ্যামলতার স্নিগ্ধতা বিরাজমান- এমনই এক মনোহর স্থান ছিল।

                অপু বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকতে পারেনা তাই ঠিক জলে ফেলে সে এদিক ওদিক ছটফট করে বেড়ায় ঝোপের মধ্যে পাখির বাসা খোঁজে ফিরে এসে দেখে ফাতনা একটু একটু ঠোকড়াচ্ছে । এক একদিন সে একখানা বই নিয়ে আসে এবং ছিপ ফেলে বই খুলে বসে। সুরেশদার কাছ থেকে ছবিযুক্ত ইংরেজি বই ও তার অর্থের বই চেয়ে নেয়। সে দেশের কথা, মাতৃত্বের কাহিনী, ভ্রমণ বিষয়ক নানা রচনা মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ে আর মনে মনে কল্পনার জাল বুনে। মাছ ধরতে গিয়ে অপু এমনই আচরণ করে।

৩) অপু ও পটুর নৌকা ভ্রমণের পরিচয় নিজের ভাষায় লেখ। 

উঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী উপন্যাসে অপু ও পটু নামক দুই কিশোরের নৌকা ভ্রমণের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো। 

             তেঁতুল তলার ঘাট থেকে একটা ছোট ডিঙে খুলে তাতে অপু আর পটু চড়ে বসে। নদীজলের ঠান্ডা- আর্দ্র গন্ধ উঠেছে, চড়ের ধারের পটল ক্ষেত নিড়াচ্ছে চাষিরা, কেউবা ঘাস কেটে আঁটি বাঁধছে। পড়ন্তবেলায় পুব আকাশে নানা রঙের মেঘের খেলা চলছে। এরই মাঝে দুই বালক নদীর বুকে দিঙিতে ভেসে চলেছে। খানিক পরে গান ধরে অপু। পটু বাঁশের চটায় বৈঠাখানা তুলে নিয়ে নৌকার গলুইয়ে চুপ করে বসে একমনে গান শুনে। স্রোতের টানে ঘুরতে ঘুরতে নৌকা ডাঙার বড়ো কাঁকের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে দূরে শোঁ শোঁ শব্দ উঠে, অস্পষ্ট পাখির কলরব ভেসে আসে, ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে ভিজে মাটির গন্ধ উড়ে আসতে থাকে। দেখতে দেখতে গাছপালা মাথা দুলিয়ে ভীষণ কালবৈশাখী ধেয়ে আসে। নদীর জল কালো হয়ে ওঠে। ভয়ের বদলে অপুর বুক আনন্দে ফুলে উঠে। পটু অপুকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, নৌকা আর নিয়ে যাওয়া যাবে না উল্টে যেতে পারে। কিন্তু অপুর সে কোথায় মন নেই। সে গলুইয়ে বসে নদী ও আকাশের দিকে তাকিয়ে চারিদিকে প্রাকৃতিক ঘটনা উপভোগ করতে থাকে ।এই অবস্থায় তার যেন মনে হয়, সে সাগর- দ্বীপ পিছনে ফেলে, কত অজানা দ্বীপ পার হয়ে নতুন দেশের নতুন দৃশ্য দেখতে দেখতে চলেছে। একসময় নৌকা তেঁতুল তলার ঘাটে ভেড়ে। চমক ভাঙ্গে অপুর । নৌকা বেঁধে পটু যাওয়ার আগেই বাঁশবনের পথ দিয়ে অপু বাইরের দিকে রওনা হয়। এমনই চিত্রাকর্ষক নৌকা ভ্রমণের সাথী হয়েছিল অপু আর পটু।

৪) সুরেশ কে ? অপু তাকে ভয় পায় কেন ?

উঃ সুরেশ হলো নীলমনি রায়ের বড় ছেলে। 

             সুরেশ শহরের ইংরেজি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। চালচলন ও কথাবার্তায় সে এমন একটা ভাব দেখাতে চায় যেন গ্রামের ছেলেদের তুলনায় সে অনেক বেশি উঁচু। সুরেশের এমন আচরণের জন্যই অপু সুরেশকে ভয় পায়।

৫) মা যে আমাদের ফাঁকি দিয়ে চলে গিয়েছে - কে কখন উক্তিটি করেছে? উক্তিটির মাধ্যমে বক্তার কোন মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে ?

উঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী উপন্যাসের অন্তর্গত আলোচ্য উক্তিটি অপু ও দুর্গার মা- সর্বজয়া।

               দুর্গাপূজার প্রাক্কালে হরিহর স্ত্রী ,পুত্র ও কন্যার জন্য উপহার নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। পরিবারের সকলের জন্য কিছু কিছু জিনিস কিনতে পারায় তার মনে আজ অপার আনন্দ ।সে মনে মনে কল্পনার জাল বুনেছে যে ছেলেমেয়ে দুটো তার আগমনে এবং উপহার সামগ্রী দেখে খুব আনন্দ পাবে। বাড়িতে প্রবেশ করেই হরিহর বাচ্চাদের ডেকেও তাদের সাড়া পায়নি। তবুও তার মনে কোন সংশয় দেখা দেয়নি। ভেবেছে বাচ্চারা হয়তো বাইরে রয়েছে, খেলছে। সর্বজয়া নীরব ছিল প্রথমে কিন্তু শেষে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। উচ্ছ্বসিত কন্ঠে কেঁদে উঠে দুর্গার মৃত্যুর কথা স্বামীর কাছে প্রকাশ করতে গিয়ে আলোচ্য উক্তিটি করেছে।

                আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে বক্তার মনোবেদনার প্রকাশ ঘটেছে। দারিদ্র পীড়িত সংসারে অপু দুর্গাকে কত কষ্টে সে মানুষ করেছিল। সেই দুর্গা তাকে ছেড়ে আকাশের নীলিমায় হারিয়ে গিয়েছে। আর কোনদিনও সে ফিরে আসবেনা। দুর্গাপূজার আগেই তার দুর্গার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। এই বেদনাভার সর্বজয়াকে মর্মে মর্মে দগ্ধ করছিল। তাই প্রশ্নোত্তর মন্তব্যটির মাধ্যমে সর্বজয়ার মাতৃহৃদয়ের হৃদয়বিদারক বেদনারই প্রকাশ ঘটেছে।

৬) অজয় কেন নীলমণি হাজরার দল ছাড়তে চায়?

উঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী উপন্যাসে যাত্রা দলের একজন সদস্য অজয়ের কথা জানতে পারা যায়। সে ছিল ব্রাহ্মণ পুত্র কিন্তু তার কেউ ছিল না। সে মানুষ হয়েছে তার এক মাসির কাছে এবং সে প্রায় বছরখানেক আগে নীলমণে হাজরার যাত্রা দলে ঢুকেছিল কিন্তু এখন এই দল ছাড়তে চায় কারণ তাকে অধিকারী মশাই মারধর করে এবং খাওয়া র তেমন বন্দোবস্ত নেই তাই সে এ দল ছেড়ে দিয়ে আশুতোষ পালের দলে যাবে বলে ঠিক করেছে। 

৭) সন্ন্যাসীরা দুর্গাদের বাড়ি আসে না কেন ?

উঃ আলোচ্য অংশটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা পথের পাঁচালী উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। 

           সন্ন্যাসীরা দুর্গাদের বাড়ি আসে না কারণ গাজনের নাচ দেখিয়ে সন্ন্যাসীরা গৃহস্থের বাড়ি থেকে চাল, কাপড়, পয়সা ইত্যাদি সংগ্রহ করে। দূর্গারা খুব গরিব। তারা কিছু চাল ছাড়া সন্ন্যাসীদের আর কিছু দিতে পারে না। এই কারণেই সন্ন্যাসীরা দূর্গাদের বাড়িতে আসে না।

৮) শরৎ ডাক্তার কখন এসেছিলেন ? তিনি দুর্গার জন্য কি ব্যবস্থা করেন ?

উঃ শরৎ ডাক্তার একটু বেলায় এসেছিলেন। 

           তিনি দুর্গাকে দেখে শুনে ঔষধের ব্যবস্থা করেন দুর্গার মাথায় নিয়মিত জলপট্টি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং বলেন ভয়ের বিশেষ কারণ নেই। 

৯) হরিহর কয়েকদিন বাহিরের বারান্দায় শুইয়া কাটাইলো- এর কারণ কি ?

উঃ হরিহর যখন হরিসভায় স্থান পেয়েছিলেন তখন তিনি শহরের উকিল ও ধনী ব্যক্তির বাড়িতে বাড়িতে কাজের আশায় ঘুরে ঘুরে অনেক রাত্রিতে ফিরে আসতেন। এক একদিন তিনি দেখবেন কোন কোন অজানা ব্যক্তি তার বিছানাটা নিজের দখলে নিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন এই অবস্থায় শুতে বাধ্য হন।

১০) গাঙ্গুলি বাড়ির পুজোর বন্দোবস্ত কেমন হতো ?

উঃ গাঙ্গুলি বাড়ির পুজো অনেক কালের এবং সকল বন্দোবস্ত ছিল বনেয়াদিয়ানার লক্ষণ। নির্দিষ্ট সময়ে কুমড় এসে প্রতিমা গড়তো, ফটো চালচিত্র করত মালাকার সাজসজ্জার জোগান দিত বারাসে মধুখালীর দ থেকে বাউরীরা রাশি রাশি পদ্মফুল তুলে আনত আর পুজোর কয়েকদিন গ্রামের সকলকেই গাঙ্গুলীদের বাড়িতে পথপেরে মধ্যাহ্ন ভোজের সুযোগ দেওয়া হতো। 

১১) খবরের কাগজে ওপর আগ্রহের কারণ কী ?

উঃ অপু পড়তে ভালোবাসে। কাগজের মধ্যে নানা প্রকার অজানা তথ্য প্রকাশিত হয়। বহু নতুন খবর থাকে যা অপুর জানা হয়নি। সে সবগুলি জানতে চায়। এই কারণে খবরে কাগজের প্রতি অপুর খুব আগ্রহ ছিল। 

১২) অপু অসমাপ্ত খাতা রানুদিদিকে ফেরত দিয়েছিল কেন ?

উঃ অপু রানুর খাতায় যে গল্পটি লিখে দিয়েছিল সেটার শেষটায় কেমন হবে তা নিজেই স্থির করতে পারছিল না। অথচ বেশিদিন তার কাছে খাতা থাকলে রানী দিদি, অতসী দিদি তার কবি প্রতিভা সম্পর্কে সন্দিহান হতে পারে- এই আশঙ্কাতেই সে অসমাপ্ত খাতা ফেরত দিয়েছিল।










Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)