Kentum and satam language class eleven and twelve broad question sanskrit ,Bengali class11

 ১) কেন্তুম ও সতম সম্বন্ধে নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করো।

উঃ কেন্তুম শাখার ভাষাঃ

কেল্টিকঃ

           দক্ষিণ ও পশ্চিম ইউরোপে এই ভাষা প্রচলিত থাকলেও ইতালিক ও জার্মানিক ভাষা প্রসারের ফলে এই ভাষা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ড এর কিছু লোক এই ভাষায় কথা বলে। এই ভাষার তিনটি শ্রেণী--ক) গলিক খ) ব্রিটানিয়া ও গ) নব্যগলিক ।

জার্মানিকঃ

              ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর সবচেয়ে বহুল প্রচলিত শাখা হল জার্মানিক ভাষা। এর তিনটি উপগোষ্ঠী আছে--ক) পূর্ব জার্মানিক খ) পশ্চিম জার্মানিক এবং গ) উত্তর জার্মানিক। গথিক হল জার্মান ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন।ইহা পূর্ব জার্মানিক শাখার অন্তর্গত। পশ্চিম জার্মানিক শাখার তিনটি উপশাখা --ক) দক্ষিণ জার্মান খ) উত্তর জার্মান গ) মধ্য জার্মান । 

ইতালিকঃ

           প্রাচীন ইতালিক ভাষার তিনটি উপভাষা ছিল ক) ওস্কান খ) আমব্রিয়ান এবং গ) লাতিন। রোম সাম্রাজ্যের বিস্তার লাভের সঙ্গে সঙ্গে লাতিন ভাষা বিস্তৃত হয়েছিল। এই লাতিন ভাষা থেকেই ইউরোপের আধুনিক ভাষাগুলি যেমন ইতালি, ফরাসি, পর্তুগিজ ভাষার সৃষ্টি হয়েছে ।

 গ্রিকঃ

           মহাকবি হোমারের ইলিয়াড ও ওডিসি কাব্যে প্রাচীন গ্রীসের নিদর্শন পাওয়া যায়। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রিক ও সংস্কৃত ভাষার বেশি সাদৃশ্য দেখা যায় । এই ভাষার চারটি স্তর --- ক) প্রাচীন গ্রিক খ) অন্তর্বর্তীকালীন গ্রিক এবং গ) ধ্রূপদী গ্রিক এবং ঘ) আধুনিক গ্রিক । 

হিট্টাইটঃ

          বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে এশিয়া মাইনরে বোঘাজোকইতে লিখিত শিলালেখ থেকে এই ভাষার নিদর্শন পাওয়া যায়। হুগো উইংকলার এইভাষা প্রথম আবিষ্কার করেন।

  তোখারীয়ঃ

              মধ্য এশিয়ার তুরফান অঞ্চলে এই ভাষার পাণ্ডলিপি উদ্ধার হয়। ইহা অনেকটা ব্রাহ্মীলিপি হরফে লেখা। ইহা গ্রিকদের জনগোষ্ঠীর একটি পরিচিত ভাষা।

সতম গোষ্ঠীর ভাষাঃ 

আলবানীয়ঃ 

              গ্রিসের উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত আলবানীয়র কিছু অধিবাসী এই ভাষা কথা বলে। এই ভাষার লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে প্রধান হল এই ভাষার ধ্বনি ও রূপ তত্ত্বের প্রচুর পরিবর্তন ঘটেছে।

আর্মেনীয়ঃ 

             আর্মেনিয়া ও পশ্চিম এশিয়ার ইরাক এবং অন্যান্য দেশের আর্মেনীয় জাতির ভাষাই হলো আর্মেনীয় ভাষা। আর্মেনিয়া ছাড়াও পশ্চিম এশিয়ার নানা অঞ্চলের বর্তমানে আধুনিক আর্মেনীয় ভাষা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বালতোস্লাভিকঃ 

              বালতোশ্লাভিক শাখা আসলে বাল্টিক ও স্লাভিক এই দুটি উপশাখায় বিভক্ত। বাল্টিক উপশাখার প্রধান ভাষা লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়া। শ্লাভিক উপশাখা দক্ষিণ দেশীয়, পশ্চিম দেশীয় ও পূর্বদেশীয় শাখায় বিভক্ত।

ইন্দো ইরানীয়ঃ 

            সতম শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা হল ইন্দো-ইরানীয়। এই ভাষায় কথা বলা জাতিদের আর্য বলা হতো। ইরানীয় ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হল আবেস্তা।

আবেস্তাঃ 

             ভারতীয় আর্য শাখার প্রাচীনতম সাহিত্যিক নিদর্শন হলো বেদ। ঠিক তেমনি ইরানীয় শাখার প্রাচীনতম সাহিত্যিক নিদর্শন হল আবেস্তা। জরাথুস্ট্র সম্প্রদায়ের পবিত্র গ্রন্থ আবেস্তা। এই ভাষার সঙ্গে বেদের ভাষার ধ্বনি, রূপ সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)