বহুরূপী--- সুবোধ ঘোষ
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক প্রণীত বহুরূপী গল্পটি সুবোধ ঘোষের লেখা এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে।
বহুরূপী
সুবোধ ঘোষ
১) "হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র আছে।"-- হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্রের পরিচয় দাও।
উঃ নাটকীয় কথার অর্থ হল নাটকের মত অর্থাৎ যা বাস্তব জীবনের দুর্লভ। প্রাত্যহিক জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে মানুষের জীবনে এই নাটকীয়তা থাকা একান্ত প্রয়োজন, যা "বহুরূপী" গল্পে হরিদা নামক চরিত্রটি লাভ করেছে। তার জীবনে যে সকল নাটকীয় বৈচিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়, তা গদ্যাংশ অনুসরণে আলোচনা করা হল।
হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র হলো বহুরূপ ধারণ করে বৃত্তি উপার্জন করা। এই পেশায় সামান্য কিছু রোজগার হলেও, তার জীবনে নানা বৈচিত্র্য এনে দেয়। আমরা গল্পাংশ থেকেই প্রত্যক্ষ করতে পারি যে, তিনি একবার পাগল সেজে চকের বাসস্ট্যান্ডে, বাসে থাকা যাত্রীদের দিকে একটি থান ইট নিয়ে তেড়ে আসতে। তাতে যাত্রীরা দু একটা পয়সাও দিয়েছে। আবার একবার বাইজি সেজে মুচকি হাসি দিয়ে পয়সা উপার্জন করেছে। এইভাবে কখনো বাউল, কাপালিক, কখনো কাবুলিওয়ালা, আবার কখনো হ্যাট- কোট- প্যান্টুলুন পরিহিত ফিরিঙ্গি সাজে সজ্জিত হয়ে বৈচিত্রের মধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে। একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে স্কুলের চারটি ছেলেকে ধরে ছিলেন। তাই স্কুলের মাস্টার মশাই তার কাছে ক্ষমা চেয়ে আটা আনা ঘুষ দিয়েছিলেন।
পরিশেষে বলা যায়, হরিদা ছিলেন যথার্থই একজন খাঁটি মানুষ। আমাদের সমাজে বহুরূপের ছদ্মবেশে নানা ভন্ডামি চলছে। কিন্তু হরিদা বহুরূপী হয়ে অন্য মানুষকে আনন্দ দিয়ে এবং নিজে আনন্দ উপভোগ করে, যে সামান্য কর্থ উপার্জন করেছেন তা দিয়েই সংসার চালিয়েছেন। তাই এদিক থেকে বলা যায় তার নাটকীয় বৈচিত্র এক অসাধারণ মাত্রায় পৌঁছে গেছে।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.