সুস্থায়ী উন্নয়ন (Sustainable Development)

        সুস্থায়ী উন্নয়ন 

১) সুস্থায়ী উন্নয়নের বাধাগুলি লেখ।

উঃ সুস্থায়ী উন্নয়ন হল এমন একটি ধারণা যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিজস্ব চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতাকে ব্যাহত না করে বর্তমানে চাহিদা পূরণ করতে পারে। এই সুস্থায়ী উন্নয়নের প্রধান বাধাগুলি হল- 

ক) সামাজিক বাধাঃ 

                দারিদ্রতা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি সুস্থায়ী উন্নয়নের প্রধান বাধা। উন্নত দেশগুলির থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলিতেই জনসংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দেশের বিভিন্ন সম্পদ যেমন শেষ হচ্ছে তেমনি জনগণ তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। তাই সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য কোন দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হলো প্রাথমিক কাজ। 

খ) ভোগবাদী মানসিকতাঃ 

                ভোগবাদী মানসিকতার জন্য মানুষ যে শুধু খনিজ সম্পদ দ্রুত আহরণ করছে তাই নয় জ্বালানি বিদ্যুৎ প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ব্যবহার করছে ফলে একদিকে যেমন সম্পদ নিঃশেষিত হচ্ছে অন্যদিকে তেমনি সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন প্রভৃতি দূষক পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ভোগবাদী মানসিকতা সুস্থায়ী উন্নয়নের অন্যতম বাধা।

গ) রাজনৈতিক বাধাঃ 

              রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত ভ্রান্ত নীতি পরিকল্পনা গ্রহণ সুস্থায়ী উন্নয়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক নীতি গ্রহণ করে সুস্থায়ী উন্নয়ন ঘটাতে হবে। 

ঘ) অর্থনৈতিক বাধাঃ 

              বর্তমান যুগে মানুষের সংখ্যাই শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছে না, প্রতিটি মানুষের চাহিদাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একারণে অধিক দ্রব্য ও পরিসেবার যোগান দিতে সব দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। শোষন নীতির ফলে ধনী দেশগুলি আরও ধণী হচ্ছে এবং দরিদ্র দেশগুলি আরো গরিব হচ্ছে। তাই অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন সুস্থায়ী উন্নয়নের পক্ষে প্রধান বাধা।

ঙ) আবিষ্কারগত বাধাঃ 

                একবিংশ শতাব্দীর নতুন ধরনের প্রযুক্তিবিদ্যার অভাবে সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য সঠিক আবিষ্কার হচ্ছে না। এর কারণ আবিষ্কার সম্পর্কিত গবেষণার অভাব।

                এছাড়া নিম্নলিখিত কারণগুলিও সুস্থই উন্নয়নের প্রধান বাধা সৃষ্টি করে-

ক) সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন আমলাদের অসহযোগিতা ও কাজের প্রতি অনীহা।

খ) ব্যক্তিগত উদ্যোগের অভাব।

গ) পরিবেশ সংক্রান্ত আইনগুলি কঠোরভাবে কার্যকরী না হওয়ায় সুস্থায়ী উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না।

ঘ) জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের অভাব।

২) সুস্থায়ী উন্নয়নের নীতিগুলি লেখ।

উঃ সুস্থায়ী উন্নয়নের নীতিগুলি আলোচনা করা হলো -

A) পরিবেশের নীতিসমূহঃ 

ক) জীবনের পক্ষে সহায়ক পদ্ধতি সংরক্ষণ।

খ) জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও সংবর্ধন।

গ) বাস্তুতন্ত্রের সমন্বয় রক্ষা করা ।

ঘ) বিপন্ন বাস্তুতন্ত্রের পুনর্বাসন ও উন্নয়ন ।

ঙ) পরিবেশ রক্ষায় গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন, এই পদ্ধতিগুলির সঠিক রুপায়ন। 

B) সমাজ রাজনৈতিক নীতি সমূহঃ 

ক) মানুষের কাজকর্মের মাত্রা অবশ্যই জীবমণ্ডলের মোট ধারণ ক্ষমতার নিচে থাকতে হবে।

খ) সুস্থায়ী উন্নয়ন চিন্তাভাবনার বিকাশে জনসাধারণের অংশগ্রহণকে যথাসম্ভব অগ্রাধিকার দিতে হবে। 

গ) প্রতিটি অর্থনৈতিক কাজের জন্য বস্তু ও শক্তির ব্যবহার কমানোর পদ্ধতি নির্ণয় করতে হবে।

ঘ) পরিবেশের ক্ষতি করে এমন বিষাক্ত ধোঁয়ার নিষ্ক্রমণ কমাতে হবে।

ঙ) সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা সম্পন্ন বহনযোগ্য সামাজিক পরিবর্তন।

C) সমাজ রাজনৈতিক মাপকাঠিঃ 

ক) জনগণকে চূড়ান্ত অভাব ও অর্থনৈতিক আগ্রাসন থেকে মুক্ত করতে হবে।

খ) স্বেচ্ছায় সৃজনশীল মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। 

গ) ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার দ্বারা সাহায্য করতে হবে। 

ঘ) সামাজিক ন্যায়বিচার উচ্চমানের শিক্ষার সুযোগ ও বাক স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করতে হবে।

৩) জীবাশ্ম জ্বালানির সুস্থায়ী ব্যবহার কি সম্ভব ? উদাহরণ সহ আলোচনা কর।

উঃ জীবাশ্ম জ্বালানি হল এক প্রকার বিশেষ জ্বালানি। ইহা অবাত পচন পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। মৃত উদ্ভিদের বা প্রাণীর দেহাবশেষ হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে এই ধরনের জ্বালানি উৎপন্ন হয়। এই সকল জীবাশ্ম জ্বালানি সুস্থায়ী ব্যবহার করা সম্ভব।

জীবাশ্ম জ্বালানির সুস্থায়ী ব্যবহারঃ 

                জীবাশ্ম জ্বালানির সুস্থায়ী ব্যবহার গুলি হল - 

ক) কয়লাঃ 

          তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান উপাদান হলো কয়লা। কয়লা পুড়িয়ে সরাসরি তাপ পাওয়া যায়। জ্বালানি হিসাবেও কয়লা ব্যবহার করা হয়। কয়লা থেকে অনেক অপ্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যায়। এদের মধ্যে রয়েছে কোলগ্যাস, আলকাতরা, অ্যামোনিয়া, টলুইন প্রভৃতি। এছাড়া রান্না করতে, বাষ্পীয় ইঞ্জিন চালাতে কয়লা ব্যবহার করা হয়।

খ) প্রাকৃতিক গ্যাসঃ 

                প্রাকৃতিক গ্যাস একসময় অপ্রয়োজনীয় পদার্থ হিসাবে চিহ্নিত হতো। কিন্তু বর্তমানে এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদার্থ। বিশ্বের অনেক দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ব্যাপক। ইহা প্রধানত জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হয়। রান্নার কাজে এর ব্যবহার আছে। অনেক সার কারখানায় এর ব্যবহার আছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

গ) খনিজ তেলঃ 

                 খনিজ তেল হল শক্তির একটি অন্যতম উৎস। বর্তমানে এর ব্যাপক ব্যবহার আছে। গ্রামের কুঁড়েঘর থেকে শুরু করে আধুনিক সভ্যতার পরিবহন ব্যবস্থা সর্বত্রই এর অবদান রয়েছে। পেট্রোলিয়াম থেকে পেট্রোল, পিচ, কেরোসিন ও চাষবাসের জন্য এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। পেট্রোলিয়াম থেকে নানা রকম প্রসাধনী দ্রব্য ভেসলিন,ক্রিম ইত্যাদি পাওয়া যায়। 

৪) সুস্থায়ী সমাজ গড়ার প্রয়োজনে প্রধান পদক্ষেপ গুলি বিবৃত কর।

উঃ সুস্থায়ী সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জনসংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের খাদ্য ভান্ডার খনিজ সম্পদ বনজ সম্পদ প্রভৃতি সীমিত পরিমানে থাকে তাই কোন স্থানের জনসংখ্যা যদি বহন ক্ষমতাকে অতিক্রম করে তাহলে যে পদক্ষেপ গুলি গ্রহণ করতে হবে সেগুলি হল 

ক) খাদ্য ও জ্বালানি সংগ্রহের জন্য দ্রুত উদ্ভিদকুলকে ধ্বংস না করে অন্য উপায় বের করতে হবে।

খ) নানা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের তার দ্রুত নিঃশেষিত হয়ে যাবে ফলে জ্বালানির দাম অত্যাধিক বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের ব্যয়বহুল পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক জ্বালানির বিকল্পের সন্ধান করতে হবে। 

গ) খাদ্য ও অর্থের লোভে আমরা নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা করি। এদের জন্মের প্রজনন হারের থেকে মৃত্যুর হার বেশি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। 

ঘ) বসতি নির্মাণ শিল্পায়ন ও সড়ক পথ তৈরীর জন্য নির্বিচারে  গাছ কেটে ফেলা বন্ধ করতে হবে। 

ঙ) উন্নত দেশগুলিতে মানুষেরা প্রচুর পরিমাণে ফ্রিজ, এসি গাড়ি ব্যবহার করে। তাই এই ধরনের যন্ত্র গুলি থেকে নির্গত মিথেন ক্লোরোফ্লুরোকার্বন প্রভৃতি গ্রীন হাউস গ্যাসের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন দেখা দিচ্ছে। তাই। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

চ) বিভিন্ন উৎসের ব্যবহার যথাসম্ভব কম করতে হবে। বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থগুলিকে পুনরুদ্ধার করে তা ব্যবহার করতে হবে।

ছ) অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সৌরশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে, বায়ু শক্তিকে হাওয়া কলের মাধ্যমে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে, জলপ্রবাহের গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে হবে।

জ) পরিবেশের সুরক্ষার জন্য পরিবেশ মিত্র প্রকৃতির শক্তির ব্যবহার করতে হবে। 

৫) সুস্থায়ী উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি ভূমিকাগুলি লেখ।

উঃ ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে ১৬ জুন স্টকহোম শহরে পরিবেশ সংক্রান্ত সম্মেলনটি আয়োজিত হয়। এর আলোচ্য বিষয় ছিল পরিবেশের সুরক্ষা, পুনর্ভব সম্পদের সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্রের সুরক্ষা। পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সরকারি সংস্থাগুলি অগ্রগণ্য ভূমিকা নেয়।

সরকারি ভূমিকাঃ 

                বাসযোগ্য পরিবেশ রক্ষা করার জন্য এবং সুস্থায়ী উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন সরকারি নিয়ম নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংস্থাগুলি আইন মোতাবেক কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পরিবেশ রক্ষার জন্য গঠিত ভারতীয় সরকারি সংস্থা গুলি হল -

ক) NECP - ১৯৭২ সালে ইহা গঠিত হয়। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও সেগুলিকে কার্যকর করা।

খ) MEF - ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইহা গঠিত হয়। আমাদের দেশে পরিবেশ এবং অরণ্য নামে পৃথক মন্ত্রক গঠিত হয়েছে। এর প্রধান কাজ হল দেশব্যাপী জাতীয় পরিবেশ সচেতনতার প্রচার করা।

গ) CPCB -  ইহা ভারতের ভূমিভাগ, জলবায়ু প্রভৃতি দূষণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। এটি কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পরামর্শ দেয়।

বেসরকারি ভূমিকাঃ 

                    ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে WWFI ৮৫০ টি বেসরকারি সংস্থাকে পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে এই সংস্থাগুলির সংখ্যা বেড়ে তিন হাজারেরও বেশি হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলি বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মসংস্থান, বনাঞ্চল গঠন, পতিত জমির উদ্ধার প্রভৃতি গঠনমূলক কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। সুস্থায়ী উন্নয়নে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা হল - 

ক) IUCN - ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে এই সংস্থাটি গড়ে ওঠে। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য এই সংস্থাটির অন্যতম লক্ষ্য হল প্রাকৃতিক সম্পদকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংরক্ষণ করা, আন্তর্জাতিক স্তরে পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্দোলন আয়োজন ও কর্মসূচি গ্রহণ করা।

খ) UNEP - ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রসঙ্ঘের আয়োজিত স্টকহোম সম্মেলনে এই সংস্থাটি গড়ে ওঠে। পৃথিবীর অন্যান্য সরকারি সংস্থা বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা নজর রাখা, মানুষ পরিবেশ অর্থনীতি উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয়ে গড়ে তোলা এর কাজ।

গ) UNESCO - ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে এই সংস্থাটি গঠিত হয়। ইহা বিপন্ন ও বিপদগ্রস্ত বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতিদের অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করে।

ঘ) WWF - ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে এই সংস্থাটি গড়ে ওঠে। এটি মূলত বিশ্ব অর্থ ভান্ডার। সঞ্চিত অর্থকে বিপন্ন, বিলুপ্তপ্রায় ছাড়াও সকল বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষায় ব্যবহার করে।

ঙ) ICSU - ফ্রান্সের প্যারিস শহরে এই সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। আন্তর্জাতিক স্তরে বিজ্ঞান, সমাজ ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য আদান-প্রদান করা এর কাজ। 

৬) পরিবেশ দূষণের সাথে জীববৈচিত্রের সম্পর্ক আলোচনা কর। 

অথবা মানুষের ক্রিয়া-কলাপে জীব-বৈচিত্র ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই রকম কয়েকটি ঘটনার কথা সংক্ষেপে উল্লেখ কর।

উঃ 



...






Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)