Bangla vabmptosaron class -9বাংলা ভাবসম্প্রসারণ
বাংলা ভাব সম্প্রসারণ
নবম শ্রেণী
১) এ জগতে হায় সেই বেশি চায়,
যার আছে ভুরি ভুরি।
ভাবসম্প্রসারণঃ বিধাতা এই বিশ্বপ্রকৃতিকে আপন হাতে সৃষ্টি করেছেন। এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী হল মানুষ। মানুষ সামাজিক জীব। কিন্তু এই বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থায় চলেছে ধন-সম্পদের খেলা। সেখানে সামাজিকতা দূরে রেখে মানুষ সম্পদের মোহে ছুটে চলেছে। ধনী চায় আরো ধনী হতে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ শোষিত হয়ে, নিপীড়িত হয়ে কোনো ক্রমে দিন চালাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ অল্পতেই খুশি। তারা সাধারণ ভাত কাপড়ে দিন কাটায়। তবে জীবন যাপনের জন্য অর্থের প্রয়োজন আছে বইকি, কিন্তু সেটা অতি অল্পই। আর আছে এক শ্রেণীর মানুষ যারা অতি ধনী পরিবারের সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। তাদের চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা গগন চুম্বি। তারা যেন সম্পদ বা টাকা সংগ্রহ করার জন্যই ব্যস্ত। সেখানে ধনী যায় আরো ধনী হতে। এর ফলেই আমাদের সমাজের নিপীড়িত দরিদ্র পীড়িত মানুষ শোষিত -লাঞ্ছিত হয়ে ওই সমস্ত মানুষদের হাতেই ধন-সম্পদ তুলে দিচ্ছে।
২) জীবে প্রেম করে যেই জন সেজন সেবিছে ঈশ্বর।
ভাবসম্প্রসারণঃ জীব হল ঈশ্বরের সৃষ্টি। তাই ঈশ্বরকে পেতে গেলে জীবসেবা অবশ্যই প্রয়োজন। জীবের মধ্যেই ঈশ্বর বিরাজ করেন। তাই জীবসেবার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করা যায়।
হিন্দু ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন মন্দিরেতে পূজা-অর্চনা করার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সাধনা করা যায়। মন্দিরে জাগ-যজ্ঞ সহকারে ধুমধাম করে পূজার জন্য করার মধ্য দিয়েই ঈশ্বরের সেবা করা যায়। কিন্তু তা নয় প্রকৃত ঈশ্বরের সেবা পথ হল জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শন - জীব সেবাই শিব সেবা।
ঈশ্বরের দ্বারাই এই জগতের সবকিছু পরিব্যপ্ত । তাই ঈশ্বরকে পেতে হলে শুধু মন্দিরে পূজা অর্চনা করলেই চলবে না ,তাকে পেতে গেলে সাধারণ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। যারা দীন, দরিদ্র তাদের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। তবেই ভগবানের সেবা করা হবে। একজন ঈশ্বর সন্ধানী মানুষ তিনিই হতে পারেন, যিনি ধর্মস্থানে ঈশ্বরকে খুঁজবেন না,তার চারপাশের দীন, দরিদ্র মানুষদেরকে সেবা করবেন।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.