বনভোজনের ব্যাপার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় অষ্টম শ্রেণী বাংলা

      বনভোজনের ব্যাপার 

           নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় 

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। 


১) বনভোজনের উদ্যোগ কাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল?

উঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত "বনভোজনের ব্যাপার" গল্পে টেনিদা, হাবুল, প্যালারাম আর ক্যাবলার মধ্যে বনভোজনের উদ্যোগ দেখা গিয়েছিল।

২) বনভোজনের জায়গা কোথায় ঠিক হয়েছিল ?

উঃ বনভোজনের জায়গা হিসাবে তারা ক্যাবলার মামাবাড়ি ঠিক করে নিয়েছিল।

৩) বনভোজনের জায়গা কিভাবে যাওয়া যাবে ?

উঃ শ্যামবাজার থেকে মার্টিনের রেলে চেপে বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরো চারটি স্টেশন পর নামতে হবে ।তারপর পায়ে হেঁটে প্রায় মাইল খানেক গেলে বনভোজনের জায়গায় পৌঁছাতে পারবে।

৪) রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব কে নিয়েছিল ?

উঃ রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব নিয়েছিল গল্পের কথক প্যালা।

৫) বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রিক কারা সাবাড় করেছিল ?

উঃ বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রী ৫-৬ টি বাঁদরের একটি দল সাবাড় করে দিয়েছিল।

৬) কোন খাবারের কারণে বনভোজন ফলভোজনের পরিণত হলো?

উঃ বনভোজনের খাবার হাতছাড়া হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পাকা জলপাই খাওয়ার কারণে বনভোজন ফলভোজনে পরিণত হয়েছিল।

সন্ধি বিচ্ছেদ কর:

মোগলাই -মোগল + আই 

 রান্না - রাঁধ + না

 বৃষ্টি - বৃষ্ + তি

পরীক্ষা - পরি + ঈক্ষা

 আবিষ্কার - আবি: + কার

নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও

১) বনভোজনের প্রথম তালিকায় কি কি খাদ্যের উল্লেখ ছিল ? তা বাতিল হল কেন ?

উঃ প্রখ্যাত সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত "বনভোজন গল্পে" বনভোজনের প্রথম তালিকায় যে যে খাদ্যের উল্লেখ ছিল সেগুলি হল- বিরিয়ানি ,পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, দুরকমের কাবাব ও মাছের চপ।

             এই প্রথম তালিকার খাবারগুলি তৈরি করতে গেলে বাবুর্চি, একটা চাকর, একটা মোটর লরি আর দুশো টাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু চারজন মিলে চাঁদা উঠেছিল দশ টাকা ছয় আনা। যার মধ্যে টেনিদা দিয়েছিল ছ-আনা। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রথম তালিকাটি বাতিল হয়েছিল।

২) বনভোজনের দ্বিতীয় তালিকায় কি কি খাদ্যের উল্লেখ ছিল এবং কে কি কাজের দায়িত্ব নিয়েছিল ? 

উঃ "বনভোজনের ব্যাপার" গল্পে প্রথম তালিকা বাতিল হওয়ার পর দ্বিতীয় তালিকায় যেসকল খাবার ছিল সেগুলি হল- খিচুড়ি, আলুভাজা, পোনা মাছের কালিয়া, আমের আচার, রসগোল্লা, লেডিকেনি এবং শেষে যুক্ত করা হয় রাজহাঁসের ডিমের ডালনা।

             খাবারের দ্বিতীয় তালিকা অনুযায়ী যার যেরকম দায়িত্ব ছিল সেগুলি হল -

  রাজহাঁসের ডিম ( প্যালা জোগাড় করবে) 

 আলুভাজা (ক্যাবলা ভাজবে )

পোনা মাছের কালিয়া (রান্না করবে প্যালা) 

 আমের আচার (হাবুল দিদিমার ঘর থেকে হাত সাফাই করবে) 

 রসগোল্লা, লেডিকেনি (ধারে ম্যানেজ করতে হবে)।

৩) প্যালার রাজহাঁসের ডিম আনার ঘটনাটির বর্ণনা দাও।

উঃ প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনতে গিয়েছিল ভন্টাদের বাড়িতে। সেই রাজহাঁস ডিম পাড়ে কিনা তা জানার জন্য ভন্টাকে দু আনার পাঁঠার ঘুগনি আর ডজন খানেক ফুলুরি ঘুষ দিতে হয়েছিল। তারপর সে বলেছিল, ডিম দিতে পারি তবে নিজের হাতে বাক্স থেকে বের করে নিতে হবে। তারপর যখন দুপুর বেলা ভন্টার বাবা, মেজদা অফিসে চলে গেছে তখন সে প্যালাকে উঠোনে নিয়ে যায়। উঠোনে কাঠের বাক্সের ভেতরে সারি সারি খুপরিতে দুটো রাজহাঁস ডিমে তা দিচ্ছিল। প্যালা ডিমের জন্য বাক্সের ভেতরে হাত ঢোকাতেই রাজহাঁস তার হাতে কামড়ে দিয়েছিল। সেই যন্ত্রণায় প্যালা চিৎকার করলে ভন্টার মা সেখানে চলে আসে। আর হাতে রক্তের ধারা নিয়ে প্যালা কোনরকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচে। এই ভাবেই গল্পে রাজহাঁসের ডিম আনার বর্ণনা পাওয়া যায়।

৪) ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে গিয়ে তাদের কি কি বিপদ ঘটেছিল ?

উঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত বনভোজনের ব্যাপার গল্পে বনভোজনের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে গিয়ে ট্রেন থেকে নেমে হাঁটার সময় টেনিদা ক্যাবলা আবুল ও এলারাম যে বিপদের সম্মুখীন হয়ে ছিল তা আলোচনা করা হলো।

      আগের দিন রাত্রে বৃষ্টি হ ওয়ার ফলে কাঁচা রাস্তা খুবই পিচ্ছিল হয়ে পড়েছিল। সেই পিচ্ছিল রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় প্রথমে আছাড় খেলো হাবুল। তার হাতে ছিল ডিমের পুটলি। ফলে সমস্ত ডিম ফেটে গিয়ে হলদে রস গোড়াতে লাগলো। তারপরেই ক্যাবলা আমের আচার নিয়ে একই ভাবে আছাড় খেলো। সারা গায়ে আমের আচার নিয়ে সে উঠে দাঁড়ালো। সবশেষে টেনিদা পড়ল আর তার সঙ্গে পরল রসগোল্লার হাঁড়ি। কাদায় পড়ে থাকা সাদা ধবধবে রসগোল্লার জন্য বুক ভাঙা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে চারজনে চলতে লাগলো। এই ভাবেই তাদের বনভোজনের আয়োজন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

৫)" মাছের কালিয়ার তিনটে বেজে গেল"- মাছের কালিয়া সম্পর্কে এরকম বলার কারণ কি ?

উঃ টেনিদার নির্দেশে প্যালা মাছের কালিয়া রান্না করতে শুরু করল। ক্যাবলার মা আগেই মাছ কেটে নুন মাখিয়ে দিয়েছিলেন।ক্যাবলা কড়াইতে তেল দিয়েই তার মধ্যে মাছ ফেলে দিল। সঙ্গে সঙ্গে করাই ভর্তি ফেনা হয়ে মাছগুলো তালগোল পাকিয়ে গেল। কাঁচা তেলে মাছ দেওয়ার ফলে মাছের কালিয়া আর হলো না, হয়ে গেল মাছের হালুয়া। মাছের কালিয়ার এই অবস্থা দেখে ক্যাবলা ঘোষণা করেছিল মাছের কালিয়ার তিনটে বেজে গেল। 









Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)