চন্দ্রগুপ্ত নাটকের প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণী

 প্রশ্নঃ নাট্যাংশ অবলম্বনে গ্রিক সম্রাট সেকেন্দারের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের পরিচয় দাও। 

উঃ প্রখ্যাত নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত চন্দ্রগুপ্ত নামক নাটকে গ্রিক সম্রাট সেকেন্দার সাহার যে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো। 

               চন্দ্রগুপ্ত হলো একটি ঐতিহাসিক নাটক।এই নাটকের শুরুতেই দেখা যায়, এক সন্ধ্যাবেলায় সিন্ধু নদীর তীরে সেলুকসের সঙ্গে সম্রাটের কথাবার্তা। তার অনুভূতি থেকে বোঝা যায়, তিনি ভারতের সাম্রাজ্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে আসেননি। তিনি কেবলমাত্র দিক বিজয়ের আকর্ষনেই ভারতে ছুটে এসেছেন। এদেশের প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। রাজ্য বিজয়ের পথে তিনি শতদ্রু নদীর তীরে পুরু রাজার কাছে বাধা পান তবুও তার প্রতি যে ব্যবহার তিনি করেছেন তা একজন যথার্থ বীরের পক্ষেই সম্ভব। সৈন্য সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে তার দেশে ফিরে যেতে চাওয়ার মধ্য দিয়ে তার বিচক্ষণ বাস্তব বুদ্ধি প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া নাটকের শেষে সেলুকাস ও অ্যান্টিগোনসের মধ্যে যে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যা তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে সেগুলি সমাধান করেন। এর মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের ধীর স্থির পরিচয় পাওয়া যায়। চন্দ্রগুপ্তের পরিচয় পেয়ে তাকে মুক্ত করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে গ্রিক সম্রাটের উদারতা ও যুক্তিশীল মনের পরিচয় পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ  চন্দ্রগুপ্তের প্রতি সেকেন্দার -এর কিরূপ মনোভাব পরিচয় নাট্যদৃশ্যে ফুটে উঠেছে তা উভয়ের সংলাপের আলোকে বিশ্লেষণ কর ।

উঃ প্রখ্যাত নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত "চন্দ্রগুপ্ত" নাট্যাংশে গ্রিক সম্রাট হলেন সেকেন্দার। চন্দ্রগুপ্ত হলো মগধের রাজপুত্র। নাট্যাংশে উভয়ের কথাবার্তার মধ্য দিয়ে চন্দ্রগুপ্তের প্রতি সেকেন্দারের যে মনোভাব ফুটে উঠেছে, তা আলোচনা করা হলো।

             অ্যান্টিগোনস চন্দ্রগুপ্তকে, সেকেন্দারের কাছে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে উপস্থিত করতে চেয়েছেন। তার কথা পুরোপুরি বিশ্বাস না করে সেকেন্দার চন্দ্রগুপ্তের প্রকৃত পরিচয় জানতে চেয়েছেন। তাতে চন্দ্রগুপ্ত স্পষ্টভাবেই তার পরিচয় দিয়েছেন এবং সেখানে আসার কারণ জানিয়েছেন। এই জন্যই চন্দ্রগুপ্তের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হয়েছেন। চন্দ্রগুপ্তকে অ্যান্টিগোনস আক্রমণ করলে সম্রাট তাকে নিরস্ত করেন এবং তার ঔদ্ধত্য প্রকাশের জন্য তাকে সাম্রাজ্য থেকে বহিষ্কার করেন। 

              শেষে সেকেন্দার শত্রুর গুপ্তচর হিসাবে প্রবেশ করেছেন, এই অপরাধে তাকে বন্দী করতে চেয়েছেন। তখন সেকেন্দারকে তিনি বলেছেন -"ভেবেছিলাম যে সেকেন্দার সাহা বীর। দেখছি যে তিনি ভীরু" এই কথার প্রতি তিনি আকৃষ্ট হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন "সম্রাট আমায় বধ না করে বন্দী করতে পারবেন না" এর মধ্য দিয়ে তার সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তখন সেকেন্দার সাহা তাকে বলেন, তিনি শুধুমাত্র তাকে পরীক্ষা করছিলেন। শেষে তিনি তাকে আশীর্বাদ করেন, "তুমি হৃত রাজ্য উদ্ধার করবে। তুমি দুর্জয় দিক বিজয়ী হবে।" এর মধ্য দিয়ে তার উদার মনের পরিচয় পাওয়া যায়।


Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)