ছন্নছাড়া কবিতা -অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত
১) ছন্নছাড়া কবিতার কবির নাম কি ?
উঃ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
২) অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কোন পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন ?
উঃ কল্লোল পত্রিকা
৩) ড্রাইভার বললে, ওদিকে যাব না- কারণ কি ?
উঃ কয়েকজন ছন্নছাড়া বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে, ওখান দিয়ে গেলেই যারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে, বলবে হাওয়া খাওয়ান। তাই ট্যাক্সি ড্রাইভার ওদিক দিয়ে যেতে চায়নি।
৪) কবি গাছ থেকে কেমন অবস্থায় দেখেছিলেন ?
উঃ গলির মোড়ে থাকা গাছটিকে কবে প্রথমে দেখেছিলেম কতগুলি কাঠির কঙ্কাল যেন শূন্যের দিকে এলোমেলো ভাবে অবস্থান করে আছে। লতা- পাতা, ছায়া, ছাল- বাকলহীন অবস্থায় গাছটিকে দেখে তুমি গাছের প্রেতচ্ছায়া বলে মনে করেছিলেন।
৫) ছন্নছাড়া কবিতার দুই শব্দের তিনটি চরণের নাম লেখ।
উঃ কারা ওরা, কেন নেই , সেচহীন ক্ষেত, জিজ্ঞেস করলুম ইত্যাদি ।
৬) গলির মোড়ে একটা গাছ দাঁড়িয়ে/ গাছ না গাছের _________।
উঃ প্রেতচ্ছায়া
৭) কারা ওরা - কাদের সম্পর্কে এই উক্তি ?
উঃ একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের সম্পর্কে এই উক্তি করা হয়েছে ।
৮) পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি - কি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে? তারা কোথায় যেতে চায় ?
উঃ আলোচ্য অংশে ছন্নছাড়া যুবকদের ট্যাক্সি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তারা পানসি বেলঘড়িয়া যেতে চায়।
৯) কে সে লোক ?- এখানে কার কথা বলা হয়েছে ?
হ একটা বেওয়ারিশ ভিখিরি
১০) চেঁচিয়ে উঠলো সমস্বরে - কি বলে কারা চেঁচিয়ে উঠেছিল ?
উঃ প্রাণ আছে, এখনো প্রাণ আছে বলে বেকার ছন্নছাড়া ছোকরারা চেঁচিয়ে উঠেছিল।।
১১) আমি নেমে পড়লাম তাড়াতাড়ি - তাড়াতাড়ি নেমে পড়ার কারণ কি ?
উঃ রক্তের দাগ থেকে কথকের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি ট্যাক্সি থেকে তাড়াতাড়ি নেমে পড়েছিলেন।
১২) ফিরে আসতেই দেখি - ফিরে এসে কবি কি দেখেন ?
উঃ গলির মোড়ে থাকা সেই শুকনো গাছটি কচি পাতায় ভরে গেছে। দেখতে দেখতে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল ফুটেছে আর ঢেলে দিয়েছে তার বুকের সুগন্ধ। নানা রংবেরঙের পাখি সেখানে কূজন শুরু করেছে।
১৩) বেওয়ারিশ ভিখিরির পাত্রটি কেমন ছিল ?
উঃ বেওয়ারিশ ভিখিরির হাতে থাকা ভিক্ষার পাত্রটির মাঝে একটা প্রকাণ্ড ফুটো ছিল।
১৪) ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড় ?- ভিড়ের কারণ কি ?
উঃ একটা বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়েছে।
১৫) তাও দিয়েছে লোপাট করে - কি লোপাট করে দিয়েছে ?
উঃ মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে ফালতু এক রক, যেখানে ছন্নছাড়া যুবকরা আড্ডা দিত। সেই আড্ডার জায়গাটি লোপাট করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশ অনুসারে নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।
১) ওই পথ দিয়ে
জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।- কবির যাত্রা পথের অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।
উঃ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত ছন্নছাড়া কবিতায় কবির যাত্রাপথের যে অভিজ্ঞতা বর্ণিত হয়েছে তা হল- কবি ট্যাক্সি করে তার যাত্রা পথে বেরিয়ে ছিলেন। সময় কম লাগার জন্য কবি গলির ভেতরে রাস্তা দিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তখনই তিনি এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। সেই গলির মোড়ে ছন্নছাড়া একদল বেকার যুবক রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। এরা সর্বহারা। এদের কিছু নেই। এরা যেন নৈরাজ্যের বাসিন্দা। সমাজে তারা উপেক্ষিত ও অবহেলিত। অথচ এরা মানুষের কল্যাণসাধনে তৎপর। নিজেদের জীবন বিকিয়ে দিয়ে এরা নিঃস্ব, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এভাবেই কবি এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন।
২) কারা ওরা ?
----কবিতা অনুসরণে ওদের পরিচয় দাও ।
উঃ কবে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত "ছন্নছাড়া" কবিতার অন্তর্গত , আলোচ্য অংশ অংশে ওরা বলতে একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের কথা বলা হয়েছে।
এই ছন্নছাড়া বেকার যুবকরা যেনো নৈরাজ্যের বাসিন্দা। এদের কিছু নেই। সমাজে এরা অবহেলিত, উপেক্ষিত। দিদি র জন্য কলেজের সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, হাসপাতালে বেড নেই, অনুসরণ করার মতো নেতা নেই, প্রেরণা জাগানো প্রেম নেই। এরা জানো একটা স্ফূলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তুপ। এভাবেই কবিতায় বেকার ছন্নছাড়া যুবকদের পরিচয় পাওয়া যায়।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.