প্রজেক্ট পঞ্চম শ্রেণী পরিবেশ। যেকোন পাঁচটি ঔষধি গাছের সম্বন্ধে লেখা

            প্রজেক্ট 

         পঞ্চম শ্রেণী 

    আমাদের পরিবেশ 

প্রশ্নঃ যেকোনো পাঁচটি ঔষধি গাছের নাম, বিবরণ ও উপকারিতা লেখ

                 ধুতরা 

বিবরণঃ ধুতরা গাছ সাধারণত জঙ্গলে দেখা যায়। এগুলি নানা প্রকারের হয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই এই প্রকার গাছ দেখা যায়। আমাদের দেশে সাধারণত ইহা তিন থেকে চার ফুট লম্বা হয়। এর পাতাগুলো চওড়া বাসক পাতার মতো দেখতে। এর ফুলগুলি অপেক্ষাকৃত লম্বা হয়ে থাকে।
উপকারিতা ঃ ক) প্রচন্ড বাতের ব্যথায় ধুতরা পাতার রসের সাথে সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে ব্যথা স্থানে দিলে ব্যথা কমে যায়।
খ) ধুতরা পাতা ও ফুলের সাথে বাসক পাতা জড়িয়ে সিগারেটের মতো টানলে হাঁপানির কষ্ট কমে।
গ) ধুতরা গাছের পাতা, মূল ও ফল সেদ্ধ করে বুকে সেক দিলে শ্বাস কমে যায়।

             কালমেঘ 

বিবরণঃ কালমেঘ আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছের গড় উচ্চতা প্রায় ১ মিটার। ইহা এক বর্ষজীবী উদ্ভিদ।ইহা লম্বাকৃতির হয়ে থাকে। এটি বিরূৎ জাতীয় উদ্ভিদ। ভেষজ গুণাবলীর জন্য অনেক জায়গায় একে চিরাতার ঔষধ বলে থাকে।
উপকারিতাঃ
ক) কালমেঘ পাতা দিয়ে পচা ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা হয় 
খ) এর রস কৃমিনাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। 
গ) ইহা আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে। 
ঘ) ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে কালমেঘ গুরুত্বপূর্ণ। 
ঙ) কালমেঘের পাতার রস খেলে পেটের হজম শক্তি বাড়ে। 

                  বাসক 

বিবরণঃ এটি ভারতীয় উপমহাদেশে একটি অন্যতম ভেষজ উদ্ভিদ। এখানে প্রায় সর্বত্রই এটি জন্মায়। হালকা হলুদ রঙের ডালপালা থাকে। এই গাছ প্রায় পাঁচ- ছ ফুট লম্বা হয়। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে সাদা ফুল হয় । এর ফুলগুলিও সাদা বর্ণের হয়। আর তার ওপর বেগুনি দাগ দেওয়া থাকে।
উপকারিতাঃ 
ক) তাজা বাসক পাতা ওষুধের কাজে লাগে।
খ) বাসক পাতার রস সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।
গ) জলে থাকা জীবাণু মুক্ত করতে, হাত পা ফুলে গেলে, চামড়ার রঙ উজ্জ্বল করতে বাসক গাছের গুরুত্ব অপরিসীম।

              আকন্দ 

বিবরণঃ  এই গাছ সাধারণত তিন থেকে চার মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। আকন্দ গাছ দুই প্রকারের হয়- শ্বেত আকন্দ ও লাল আকন্দ। শ্বেত আকন্দের ফুলের রং সাদা আর লাল আকন্দের ফুলের রং বেগুনি। এই গাছের পাতা ছিঁড়লে সাদা দুধের মতো আঠা বের হয়। 
উপকারিতাঃ 
ক) আকন্দ গাছের ছাল পাতা ফুল মূল ও আঠা নানা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
খ) ব্রণ, কৃমি, শ্বাসকষ্ট, ব্যথা, খোশ ,দাদ ,অর্শ প্রভৃতি রোগে ইহা বেশ উপকারী।
গ)  এর ফুল বহুমূত্র রোগে বিশেষ উপকারী।

                 তুলসী 

বিবরণঃ  তুলসী হল একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। ইহা অসংখ্য শাখা-প্রশাখাযুক্ত হয়। প্রতিটি শাখা - প্রশাখা ঘন পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে।ইহা সাধারণত ২-৩ ফুট লম্বা হয়।প্রত্যেক প্রশাখায় মঞ্জরী থাকে। বাঙালি হিন্দুরা একে বেদীতে বা মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে দেবতা জ্ঞানে পূজা করে।
উপকারিতাঃ 
ক) সর্দি-কাশিতে তুলসী পাতার রস খুব উপকারী।
খ) মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে তুলসী চিবিয়ে খায়।
গ) পোকামাকড় দূর করতে তুলসী গাছ লাগানো হয়।
ঘ) প্রচন্ড সর্দি হলে মধুর সাথে মিশিয়ে তুলসী পাতা রস খায়।


.

Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)