পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন প্রশ্ন উত্তর
১) যুদ্ধ জিনিসটা উপভোগ করবার জন্য অপু কি করত ?
উঃ একটা বাখারি অথবা হালকা কোন গাছের ডালকে অস্ত্র স্বরূপ হাতে নিয়ে সে বাড়ির পিছনে বাঁশ বাগানের পথে অথবা বাইরের উঠানে ঘুরে বেড়ায় ও আপন মনে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে আশ মেটাতো।
২) কুঠির মাঠ দেখতে যাবার পথে কি দেখে অপু সবথেকে বেশি অবাক হয়েছিল ?
উঃ খরগোশ
৩) দুর্গা কিসের নোলক পড়তে ভালোবাসে ?
উঃ ওড়কলমি
৪) দুপুরে খাওয়ার পর অপু কি করত ?
উঃ হাতের লেখা ক খ লিখতে লিখতে এক মনে মায়ের মুখের মহাভারত পড়া শুনতো।
৫) হরিহর কার সঙ্গে মৎস্য শিকারের পরামর্শ করেছিল ?
উঃ নবীন পালিত
৬) রাজকৃষ্ণ পালিতের মেয়ের নাম কি ?
উঃ আশালতা
৭) হাসছো কেন খোকা, এটা কি নাট্যশালা?- কার উক্তি ?
উঃ প্রসন্নগুরু মশাই কথাটি বলেছেন অপুকে, উদ্দেশ্য করে।
৮) বেত ছাড়া পাঠশালায় শিক্ষাদানের বিশেষ উপকরণ বাহুল্য ছিল না"।- কার পাঠশালার কথা বলা হয়েছে ?
উঃ প্রসন্ন গুরুমহাশয়ের পাঠশালার কথা বলা হয়েছে।
৯) ওদের তুমি মঙ্গল করো, তুমি ওদের মুখের দিকে চেয়ো"- কে, কার কাছে এই প্রার্থনা করেছেন ?
উঃ অপুর মা সর্বজয়া সন্ধ্যা বেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ দিতে দিতে গলায় আঁচল দিয়ে প্রণাম করে একথা বলেছিল।
১০) হরিহর ও তার পরিবার যে গ্রামে থাকতো তার নাম কি ?
উঃ নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম
১১) তোমার কথার উত্তর দিতে আমি আর পারিনে কথাটি কে বলেছিল ?
উঃ অপুর পিতা হরিহর
১২) খানিক পরে সর্বজয়া পুনরায় আসিয়া বলিল"- সর্বজয়া কি বলেছিল ?
উঃ
১৩) পথের পাঁচালীর রচয়িতা কে ?
উঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
১৪) অপুর গুরুমশাই এর নাম কি ?
উঃ প্রসন্ন
১৫) অপুর পাঠশালা কখন বসতো ? পাঠশালায় কতজন ছেলে মেয়ে পড়তে আসতো ?
উঃ বিকেল বেলায় , আট দশটি ছেলেমেয়ে ।
১৬)" অপমানে দুঃখে সর্বজয়ার চোখে জল আসিল"- কেন সর্বজয়া অপমানিত বোধ করলেন ?
উঃ
১৭) অপুর মায়ের নাম কি ছিল ?
উঃ সর্বজয়া
১৮) আলকুশি কি ?
উঃ আলকুশি হল একপ্রকার বিষ জাতীয় ফল। এর সুমো ফুটলে হাত চুলকায় এবং সুঁয়ো ফুটে রি রি করে জ্বালা করে।
১৯) দুর্গার বয়স কত ?
উঃ ১০-১১ বছর
২০) পথের পাঁচালী গল্পে গোয়ালিনীর নাম কি ছিল ?
উঃ স্বর্ণ গোয়ালিনী
২১) হরিহর কার বাড়িতে কিসের কাজ করে ?
উঃ অন্নদা রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করতো
২২) চিনিবাস কে ?
উঃ চিনিবাস ছিলেন একজন ময়রা, জেনে মাথায় করে খাবার দেরী করে বেড়াতেন। সেই খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মুরগি সন্দেশ বাতাসা ইত্যাদি।
২৩) গাঙ্গুলি মশাই এর জামাই এর নাম কি ?
উঃ সত্যবাবু
১) অপুদের বাড়ি হইতে কিছু দূরে একটি খুব বড় অশ্বত্থ গাছ ছিল।"- গাছটির দিকে তাকিয়ে অপু কী ভাবতো ?
উঃ আলোচ্য অংশটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা পথের পাঁচালী উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। অপু ছিল একজন কল্পনা প্রবণ বালক। তার কল্পনা প্রবণ মন নিয়ে সে অশ্বত্থ গাছের দিকে তাকিয়ে কল্পনার জাল বুনতো।
তাদের বাড়ির পাশে থাকা অশ্বথ্য গাছের মাথাটা তাদের দালানের জানালা থেকে দেখা যেত। অপু মাঝে মাঝে সেই দিকে তাকিয়ে দেখতো। যতবার সে চেয়ে দেখে ততবার তার যেন অনেক অনেক দূরের কোন দেশের কথা মনে হয়। যেন কোথাকার দেশ মায়ের মুখে ওই সব দেশের রাজপুত্রদের কথা সে শোনে। অনেক দূরের কথায় তার শিশু মনে একটা বিস্ময় মাখানো আনন্দের ভাব সৃষ্টি করত।
২) মহাবীর, কিন্তু চিরদিনের কৃপার পাত্র কর্ণ।"- অপু কর্ণকে চিরদিনের কৃপার পাত্র মনে করেছে কেন ?
উঃ মহাভারতের সমস্ত চরিত্রের মধ্যে কর্ণের চরিত্র অপুর বড় ভালো লাগতো। তাই কর্ণের প্রতি তার একটা মমতা তৈরি হয়েছিল।
রথের চাকা মাটিতে পুঁতে গেছে, একহাতে প্রাণপণে সেই চাকা মাটি থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে। সেই নিরস্ত্র, অসহায়, বিপন্ন কর্ণের অনুরোধ, মিনতি উপেক্ষা করে অর্জুন তীর ছুঁড়ে তাকে হত্যা করেছে। এইরূপ অসহায় ভাবে হত্যা করাকে অপু কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। তাই কর্ণ তার কাছে চিরদিনের কৃপার পাত্র বলেই মনে হয়েছে।
৩) বাবার কাছ থেকে দেখিস রথের সময় চারটে পয়সা নেব।- দুর্গা অপুকে সঙ্গে নিয়ে এমন পরিকল্পনা করেছে কেন?
উঃ দুর্গা ও অপু গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল। তৎকালীন চিনিবাস নামে এক ময়রা মাথায় করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মুড়কি, সন্দেশ, বাতাসা প্রভৃতি বিক্রি করতো। ভুবন মুখর্যের ছেলেমেয়ে ও তার নিজের ছেলে সুনীল চিনিবাসের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের জন্য তিনি খাবার কিনেছেন। পরে অপুকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গা শ্রীনিবাসের পিছনে পিছনে উঠানে এসে দাঁড়িয়েছে দেখে সেজ বউ নিজের ছেলে সুনীলের কাঁধে হাত দিয়ে একটু ঠেলে দিয়ে বলে যাও না রোয়াকে উঠে গিয়ে খাও না এখানে ঠাকুরের জিনিস মুখ থেকে ফেলে এঁটো করে বসবে, চিনিবাস তার জিনিসপত্র মাথায় তুলে পুনরায় অন্য বাড়ি গেল। তখন সেজ বউ মুখ ঘুরিয়ে দুর্গা ও অপুকে অপমান করে তখন অপু দুর্গা ভাইকে আশ্বাস দেওয়ার সুরে বলে চিনি বাসের ভারী তো খাবার বাবার কাছ থেকে দেখিস রথের সময় চারটে পয়সা নেব। তুই দুটো আমি দুটো তুই আমি মুড়কি কিনে খাব।
৪) এগুলি তাহার মহামূল্যবান সম্পত্তি"- কিসের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ মহামূল্যবান সম্পত্তি বলতে একটা রং ওঠা কাঠের ঘোড়া, চার পয়সা দামের একটা টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁশি, গোটা কতক করি, একটা দু পয়সা দামের পিস্তল, কিছু শুকনো নাটা ফল, খানকতক খাপরার কুচি প্রভৃতির কথা বলা হয়েছে।
৫) এই দেখো মা আমার সেই মালাটা"- কে কোন মালার কথা বলেছে ?
উঃ আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলো টুনু। এখানে মালাটা বলতে একছড়া পুঁতির মালার কথা বলা হয়েছে। টুনু দুর্গার বাক্স খুলে তার মাকে দেখিয়ে আলোচ্য কথাটি বলেছিল।
৬) মায়ের উপর তাহার অত্যন্ত রাগ হইল ।"-তাহার রাগ হওয়ার কারণ কি ?
উঃ দুর্গা টুনুর পুঁতির মালা চুরি করে এবং সোনামুখী গাছের আম চুরি করে আনার জন্য তার মা তাকে প্রচন্ড প্রহার করে এবং মাথার চুল ছিঁড়ে দেয়। এই কারণে অপু মায়ের ওপর অত্যন্ত রাগ করেছিল।
৭) অপুর দপ্তরে কি কি বই ছিল ?
উঃ অপু তৃতীয় ভাগ পড়ে। কিন্তু তার দপ্তরে দুখানা মোটা ভারী ইংরেজি কি বই, কবিরাজি ঔষধের তালিকা, একখানি পাতা ছেঁড়া দাশুরায়ের পাঁচালী এবং একখানি ১৩০৩ সালের পুরাতন পাঁজি প্রভৃতি।
৮) হরিহর হিরে পরীক্ষার জন্য কোথায় গিয়েছিল ?
উঃ গাঙ্গুলি মশাইয়ের বাড়িতে। তার জামাই সত্যবাবু সেটি দেখে বলেছিলেন, সেটি একরকম বেলোয়ারি কাঁচ-ঝাড় লন্ঠনে ঝুলানো থাকে।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.