জীববৈচিত্র

                   জীববৈচিত্র্য 

           বহু বিকল্প প্রশ্ন ও উত্তর 

                                                 পূর্ণমান - ১  

১) জীববৈচিত্র শব্দটি কে প্রথম প্রচলন করেছিলেন ?
উঃ ই ও উইলসন 

২) বাস্তুসংস্থান মাত্রই যে মন্ডলের অংশ তার নাম কি ?
উঃ বায়োস্ফিয়ার 

৩) বসুন্ধরা বৈঠক কত খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উঃ 1992 খ্রিস্টাব্দে 

৪) কনভেনশন অফ বায়োডাইভারসিটি কত খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উঃ 1992 খ্রিস্টাব্দে 

৫) জীবের শ্রেণীবিভাগের ক্ষুদ্রতম এককের নাম কি ?
উঃ প্রজাতি 

৬) জীবের শ্রেণীবিন্যাসের ক্ষুদ্রতম একক কি ?
উঃ প্রজাতি 

৭) জীববৈচিত্র্য বলতে কি বোঝায় ? 
উঃ প্রাণী ও উদ্ভিদের বৈচিত্র্য 

৮) রামসার সম্মেলনের মুখ্য বিষয় কি ছিল ?
উঃ জলাভূমি 

৯) প্রথম বায়োডাইভারসিটি শব্দের ব্যাখ্যা করেন কে ?
উঃWG Rosen, 1985 খ্রিস্টাব্দে 

১০) স্নায়বিক রোগের ঔষধ তৈরিতে কাজে লাগে কোন গাছ ?
উঃ সর্পগন্ধা 

১১) আবাসস্থলের বৈচিত্র্য কথাটির সমার্থক শব্দ লেখ
উঃ বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য 

১২) বাসক পাতার রস কি কাজে লাগে ?
উঃ সর্দি কাশি নিরাময় করতে 

১৩) ভারতের জীববৈচিত্রের মধ্য থেকে ধর্মীয় গুরুত্ব আছে এমন একটি উদ্ভিদের নাম লেখ ।
উঃ জবা 

১৪) কোন একটি অঞ্চলের অন্তর্গত জীবসমূহের  আভ্যন্তরীণ বৈচিত্রকে কি বলে ?
উঃ আলফা বৈচিত্র 

১৫) 



রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর 

                                     পূর্ণমান - ৮

 ১) বসুন্ধরা সম্মেলনে গৃহীত যেকোনো চারটি নীতির উল্লেখ করো। বীজ ভান্ডার কাকে বলে?

উঃ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে 1992 খ্রিস্টাব্দে যে বসুন্ধরা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে 27 টি গুরুত্বপূর্ণ নীতি গৃহীত হয়েছিল। এই সম্মেলনে গৃহীত নীতিগুলি ডিক্লারেশন নামে পরিচিত। বসুন্ধরা সম্মেলনে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ চারটি নীতি এখানে আলোচনা করা হলো ---

ক) প্রতিটি দেশের স্থলজ ও জলজ প্রজাতির নিজস্ব মেলবন্ধনে গঠিত জাতীয় জীববৈচিত্রকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তরে জীববৈচিত্রকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য বায়োডাইভারসিটি বোর্ড গঠন করতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

খ) আর্থিক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশগত উন্নয়নের উপর আলাদাভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ না করে সুস্থায়ী উন্নয়নের উপর বেশী গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন। এই গতিশীল চিন্তাধারার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নকে লক্ষ্য রাখা হয় এবং বর্তমানে সম্পদের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার করা হয়, যাতে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া না পড়ে।

গ) স্বাধীনতা, সমতা এবং উপযুক্ত জীবনযাত্রার মানসহ বিশ্বের প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।

ঘ) পরিবেশ সুরক্ষার তাগিদে একদিকে যেমন যুদ্ধ করার মতো মনোভাব ত্যাগ করতে হবে, তেমনি পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর সকল প্রকার সামগ্রীর উৎপাদন ও ব্যবহার চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

বীজ ভান্ডারঃ

            স্বাভাবিকভাবে উৎপন্ন বা উদ্ভিদ কলা কর্ষণ পদ্ধতিতে সৃষ্ট বীজ, ভ্রূন সমূহকে তরল নাইট্রোজেন এর মধ্যে -196 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষণ করার স্থানকেই বীজ ভান্ডার বলা হয়। ইহা এক প্রকার উন্নত ধরনের এক্স সিটু সংরক্ষণ পদ্ধতি।

 যেমন-- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যাংক।


২) পরিবেশ দূষণের সঙ্গে জীব বৈচিত্রের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

উঃ মানুষ জীব বৈচিত্রের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়া-কলাপের মাধ্যমে জীববৈচিত্রের ক্ষতিসাধন করে থাকে। বায়ু ও জল দূষণ আজ বহু বৈচিত্র্যকে অবলুপ্তির পথে ঠেলে দিয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ব্যাপক হারে ছত্রাকনাশক, পতঙ্গনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এরফলে বায়ু দূষণ, জল দূষণ, মৃত্তিকা দূষণ হচ্ছে । এসব কারণে জীববৈচিত্র যেভাবে ক্ষতিসাধন হচ্ছে তা আলোচনা করা হলো-- 

ক) মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহারঃ

                           কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ঘটার ফলে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে পেস্ট জাতীয় প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র পেস্ট জাতীয় প্রাণী নয়, এই সমস্ত রাসায়নিক পদার্থ খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে তাদের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে বিভিন্ন পুষ্টি স্তরের প্রাণীদের ক্ষতি করে চলেছে। ‌‌

খ) আগাছানাশকের ব্যবহারঃ 

                      কৃষিক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট ফসলের বীজ বপন বা চারা রোপণের আগে মাটি তৈরির সময় জমিতে আগাছা নাশক স্প্রে করে বিভিন্ন প্রজাতির আগাছাকে ধ্বংস করা হয় । এর ফলে কৃষি জমিতে বহু প্রজাতির আগাছা চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে।

গ) পরিবেশ দূষণঃ 

              মানুষ বিভিন্ন উৎস থেকে বায়ু দূষণ, জল দূষণ এবং মাটি দূষণ সৃষ্টিকারী পদার্থ ব্যাপকভাবে পরিবেশের নিক্ষেপ করে চলেছে। এইসব লোকের উপস্থিতিতে বাতাস, জল এবং মাটির গুণগত মান হারাচ্ছে। দূষিত জল, বাতাস এবং মাটিতে বহু প্রজাতির জীব বেঁচে থাকতে না পেরে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিচ্ছে।

 ঘ) দাবানলঃ 

            মানুষ অপ্রয়োজনে অনেক সময় বনভূমির মাটিতে পড়ে থাকা শুকনো পাতায় আগুন ধরিয়ে দেয়। বনভূমিতে বনভোজন করার সময় জ্বলন্ত কয়লা অথবা জ্বলন্ত কাঠ থেকেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে থাকে। এইসব অগ্নিসংযোগ থেকে বনভূমিতে দাবানলের সৃষ্টি হলে, এই অঞ্চলের জীব বৈচিত্রের বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যায়।

ঙ) কৃষিতে GMO ব্যবহারঃ 

                     বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রোগজীবাণু প্রতিরোধকারী রেজিস্ট্যান্ট ভ্যারাইটি এবং জিনগত পরিবর্তিত শস্য চাষের ফলে তাদের আক্রমণকরী বিভিন্ন পোকামাকড়ের খাদ্য ও বাসস্থানের অভাব হচ্ছে। এর ফলে ঐ সমস্ত কীটপতঙ্গ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতে চলেছে।


৩) টিস্যু ভান্ডার কাকে বলে ?

উঃ অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন কোন উদ্ভিদ বা প্রাণী প্রজাতির টোটিপোটেন্ট কোষগুচ্ছ বা কলাকে জৈব প্রযুক্তি বিদ্যা ও টিস্যু কালচারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হলে তাকে টিস্যু ভান্ডার বলা হয়। 


৪) জিন সম্পদ ভান্ডার কাকে বলে ?

উঃ জিন ভান্ডার বলতে কোন মেন্ডেলীয় পপুলেশনের অন্তর্গত নির্দিষ্ট প্রজাতির জীন বৈচিত্রের সামগ্রিক যোগফলকে বোঝানো হয়। কোন প্রজাতির বৃহৎ জীন সম্পদ ভান্ডার পরিবেশগত চাপের দ্বারা উৎপন্ন প্রতিকূলতাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে এবং ইনব্রিডিং প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


৫) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে কী বোঝো ?

উঃ যে পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক জীব থেকে কাঙ্ক্ষিত জিনকে সংগ্রহ করে বাহকের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে অন্যদিকে প্রবেশ করানো হয় ও সেই জীবের ফিনোটাইপিক পরিবর্তন করানো হয় তাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়।


৬) গার্হস্থ্য জৈববৈচিত্র বলতে কী বোঝো ?

উঃ বাগান বা গৃহ পরিবেশে গড়ে ওঠা অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন উদ্ভিদ প্রজাতিসমূহ এবং গৃহ পরিবেশে প্রতিপালিত নির্দিষ্ট প্রাণীদের নিয়ে যে জৈববৈচিত্র গড়ে ওঠে তাকে সাধারণভাবে গার্হস্থ্য জৈববৈচিত্র বলা হয়। 


৭) জীববৈচিত্র্য হটস্পট কাকে বলে ?

উঃ যে অঞ্চলের প্রজাতি বৈচিত্র্য অত্যন্ত বেশি এবং প্রজাতি গুলির বেশিরভাগই সেই অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে কিন্তু বিভিন্ন কারণে জীবগুলি বিপদাপন্ন সেই সকল অঞ্চল গুলিকে জীববৈচিত্র হটস্পট বলে। সমগ্র পৃথিবীতে ৩৬টি বায়োডাইভারসিটি হটস্পট আছে।


অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন 
                                                  পূর্ণমান - ১

১) বায়োম কাকে বলে ?

উঃ একটি নির্দিষ্ট উদ্ভিদ ও প্রাণী গোষ্ঠী ধারা যখন কোনো নির্দিষ্ট জলবায়ু যুক্ত অঞ্চল কে চিহ্নিত করা হয় তখন সেই অঞ্চলকে বায়োম বলে।


২) জিন সমাহার কাকে বলে ?

উঃ কোন প্রজাতির জিনগত বিন্যাস ও সমগ্র জিন তথ্যকে জিন সমাহার বলে ।


৩) জৈব ভূ রাসায়নিক চক্র বলতে কী বোঝো ?

উঃ যে প্রক্রিয়ায় কার্বন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন হাইড্রোজেন ইত্যাদি উপাদানসমূহ শিলামন্ডল ও বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে জীবদেহ ও পরিবেশের মধ্যে চক্রাকারে আবর্তিত হয় তাকে জৈব ভূ রাসায়নিক চক্র বলে।


৪) একটি গাছের নাম করো, যা থেকে জন্ম নিরোধক বড়ি তৈরি করা হয় ?

উঃ ইয়াম নামক গাছ যা ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে পাওয়া যায়। এর থেকে জন্ম নিরোধক বড়ি তৈরি করা হয়।


৫) জিনগত জীব বৈচিত্র কাকে বলে ?

উঃ কোন একটি প্রজাতির অন্তর্গত জীবদের মধ্যে জিনগত প্রভেদকে জিনগত জীব-বৈচিত্র বলে। 

যেমন - আমের কয়েকটি প্রকারভেদ হল- ল্যাংড়া, পেয়ারাফুলি, গোলাপখাস, আম্রপালি প্রভৃতি। 


৬) আবাসস্থল বিভাজন বলতে কী বোঝো ?

উঃ প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে বাস্তুতান্ত্রিক বিভিন্ন উপাদানগুলির ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ওই আবাসস্থলের বিভিন্ন প্রজাতির জীবের বাসস্থানের খন্ডীভবন ঘটনাকেই আবাসস্থল বিভাজন বলা হয়।


৭) ভারতবর্ষে একটি আগন্তুক উদ্ভিদের নাম বলো ?

উঃ ভারতবর্ষে একটি আগন্তুক উদ্ভিদ হল - পার্থেনিয়াম নামক  বিষাক্ত প্রজাতির গুল্ম,যা আমেরিকা থেকে ভারতে গম আমদানির সময়ের সঙ্গে চলে আসে।


৮) আগন্তুক প্রজাতির কাদের বলে ?

উঃ যে সমস্ত প্রজাতি ইচ্ছাকৃতভাবে বা ঘটনাচক্রে কোন অন্য বাস্তুতন্ত্রে এসে উপস্থিত হলে সেই এলাকায় ধীরে ধীরে আধিপত্য বিস্তার করে এবং ওই অঞ্চলের জীব বৈচিত্রের বিভিন্নভাবে ক্ষতিসাধন করে, তাদের আগন্তুক প্রজাতির বলে।

  যেমন - অস্ট্রেলিয়ায় খরগোশের আধিক্য, যা বনসৃজনে বাধা সৃষ্টি করে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে স্থানীয় চাষের বদলে বাগিচা কৃষির প্রসার লক্ষ্য করা যায়।


৯) একটি বিদেশি উদ্ভিদের নাম কর, যা বাস্তুতান্ত্রিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে ?

উঃ একটি বিদেশী উদ্ভিদ, যা বাস্তুতান্ত্রিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে তা হলো- পার্থেনিয়াম।


১০) প্যাসেঞ্জার পায়রার কোথায় দেখা যায় ?

উঃ উত্তর আমেরিকায় 


১১) পৃথিবীতে মোট মেগাডাইভারসিটি দেশের সংখ্যা কত ? 

উঃ ১২ টি 


১২) মহাবৈচিত্র্যময় দেশ কাকে বলে ? 

উঃ ভারতবর্ষকে 


১৩) ভারতে কত উভচর প্রাণী পাওয়া যায় ?

উঃ ভারতে উভচর প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা 204 টি।


১৪) ভারতবর্ষে একটি জৈববৈচিত্র হটস্পটের নাম লেখ।

উঃ পূর্ব হিমালয় 


১৫) বিশ্ব ঐতিহ্যময় স্থান কাকে বলে ?

উঃ প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি দেশের যে বিশেষ স্থানগুলি ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত ও সংরক্ষিত হয়ে থাকে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যময় স্থান বলা হয়।


১৬) ভারতবর্ষের একটি বিশ্ব ঐতিহ্যময় স্থানের উদাহরণ দাও ।

উঃ পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় বদ্বীপের সুন্দরবন অঞ্চল।


১৭) ভারতবর্ষে প্রবাল প্রাচীর কোথায় পাওয়া যায় ?

উঃ ভারতবর্ষে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিকটে প্রবাল প্রাচীর দেখা যায়।


১৮) ভারতবর্ষে একটি বনাঞ্চলের নাম করো, যেখানে গোল্ডেন লেঙ্গুর দেখতে পাওয়া যায়?

উঃ অসম 


১৯) ভারতবর্ষের কোন প্রদেশের নাচুনে হরিণের দেখা মেলে ? 

উঃ মনিপুর 


২০) একটি পাখির নাম বল, যা শুধু ভারতবর্ষের নারকন্ডোম দ্বীপে দেখা যায় ?

উঃ নারকোন্ডাম হর্নবিল 


২১) ভারতবর্ষে হটস্পট গুলির নাম লেখ।

উঃ ভারতবর্ষে হটস্পটগুলি যথাক্রমে পূর্ব হিমালয়, ইন্দোবার্মা, পশ্চিমঘাট পর্বত, সুন্দাল্যান্ড। 


২২) পাটের বিজ্ঞানসম্মত নাম লেখ।

উঃ করকোরাস 


২৩) আমের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি ?

উঃ মঙ্গিফেরা ইন্ডিকা


২৪) গম গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি ?

উঃ ট্রিটিকাম অ্যাসটিভাম 


২৫) শিরিষ গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি ?

উঃ albizia procera 


২৬) সর্পগন্ধা গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি?

উঃ Rauvolfia serpentina 


২৭) কালমেঘ গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি ?

উঃ Andrographis paniculata 


২৮) Ziziphus jujuba-এর সাধারণ নাম কি ?

উঃ কুল 


২৯) এপিকালচার কি ?

উঃ মৌমাছির মধু ও মোম সংগ্রহের জন্য যখন মৌমাছির চাষ করা হয় তাকে এপিকালচার বলে ।


৩০) প্রকৃতিতে মানুষ ও বন্য পশুর সংঘাতের একটি উদাহরণ দাও।

উঃ বিভিন্ন চাষের জন্য জমির প্রসারণ, বনভূমি কেটে ফেলা ইত্যাদি মনুষ্যসৃষ্ট কার্যকলাপের ফলস্বরূপ বুনো হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে ফসল নষ্ট করে এবং তাদের আটকানোর জন্য মানুষ পাল্টা আক্রমণ করে।


৩১) সঞ্জয় গান্ধী ও কানহা ন্যাশনাল পার্ক কোথায় অবস্থিত ?

উঃ সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক মুম্বাই শহরে অবস্থিত এবং কানহা ন্যাশনাল পার্ক অবস্থিত মধ্যপ্রদেশে।


৩২) পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়ায় প্রাপ্ত একশৃঙ্গ গন্ডারের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি ?

উঃ Rhinoceros unicornis 


৩৩) কত সালে ভারতবর্ষে ব্যাঘ্র প্রকল্প চালু হয়েছিল ?

উঃ 1973 খ্রিস্টাব্দে 


৩৪) ভারতবর্ষে হস্তি প্রকল্প কবে চালু হয়েছিল ?

উঃ 1992 খ্রিস্টাব্দে 


৩৫) ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে গির অরণ্য অবস্থিত ?

উঃ গুজরাট 


৩৬) নীল বিপ্লব কি ?

উঃ মৎস্য, চিংড়ি, কাকড়া ,শামুক-ঝিনুক, গুগলি প্রভৃতি প্রাণীকে উন্নত প্রযুক্তির দ্বারা অধিক পরিমাণে উৎপাদন করাকে নীল বিপ্লব বলে।


৩৭) ভারতের দুটি লুপ্তপ্রায় সরীসৃপের নাম লেখ।

উঃ ঘড়িয়াল, লেদারব্যাক টারটেল


৩৮) ভারতের দুটি লুপ্তপ্রায় প্রাণীর নাম লেখ।

উঃ সাদা পালকযুক্ত কাঠঠোকরা ও বাজ পাখি 


৩৯) ভারতের দুটি লুপ্তপ্রায় উভচরের নাম লেখ।

উঃ ইয়োলয়িস গোল্ডেন ব্যাকড ফ্রগ,পার্পেল ফ্রগ 


৪০) সংরক্ষণ কাকে বলে ?

উঃ বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদ সকলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা, প্রাকৃতিক পরিবেশে বাস্তুতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অটুট রাখা, পরিবেশে এদের বিকাশ ও বিবর্তনকে অটুট রাখা ইত্যাদি কার্যকারণকে অব্যাহত রাখার প্রক্রিয়াকে বলে সংরক্ষণ।

 যেমন - ইন সিটু ও এক্স সিটু সংরক্ষণ 


৪১) ইন-সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে ?

উঃ তার নিজস্ব পরিবেশে বেঁচে থাকার এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করে সংরক্ষণ করা হয় তখন তাকে বলে ইনসিটু সংরক্ষণ ।

যেমন - সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ। 


৪২) এক্স সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে ?

উঃ যখন কোন জীবকে সংরক্ষণের জন্য তার নিজস্ব পরিবেশ থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে সুরক্ষিত পরিবেশ দেওয়া হয় তখন তাকে এক্স সিটু সংরক্ষণ বা অস্থানিক সংরক্ষণ বলে।

 যেমন - জিন ব্যাংক, চিড়িয়াখানায় পশু-পাখি সংরক্ষণ


 ৪৩) বায়ো ব্যাংক কী ?

উঃ জৈব চিকিৎসাজনিত গবেষণার কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণকারী বায়ো-ব্যাংক,  যেখানে বিভিন্ন জৈব নমুনা (রক্ত ,লালা,থুতু ) সংরক্ষিত হয়।


৪৪) ভারতের জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের সংখ্যা কত?

উঃ ভারতের জাতীয় উদ্যানের সংখ্যা 99 টি এবং অভয়ারণ্যের সংখ্যা 514 টি।


৪৫) লুপ্ত কোন উদ্ভিদ প্রজাতি কে বোটানিক্যাল গার্ডেনে জীবিত দেখা গেছে ?

উঃ সোফেরা টরোনিরো উদ্ভিদ প্রজাতিকে 


৪৬) ব্ল্যাক ডাটা বুক কাকে বলে ?

উঃ যে পুস্তকে হানিকর বা ধ্বংসাত্মক জীব-প্রজাতি সমূহের উল্লেখ থাকে তাকে বলে ব্ল্যাক ডাটা বুক।


৪৭) বিপন্ন প্রাণী কাদের বলে ?

উঃ যে সকল প্রজাতির প্রাণী অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং তাদের লুপ্ত হওয়ার কারণ কার্যকর থাকলে, তাদের পুনরুদ্ধার সম্ভব নয় তাই তাদের বিপন্ন প্রাণী বলে।

 যেমন - নীলগিরি থর 


৪৮) বিরল প্রজাতির প্রাণী বলতে কী বোঝো ?

উঃ যেসকল প্রজাতির প্রাণীর পরিমাণ পৃথিবীতে কম এবং ভবিষ্যতে বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে, তাদের  বিরল প্রজাতির প্রাণী বলে ।

যেমন - মরু বিড়াল 


৪৯) ভারতের বিপন্ন প্রজাতির মাছের সংখ্যা কত ?

উঃ ভারতে বিপন্ন প্রজাতির মাছের সংখ্যা হল- ২ 


৫০) রেড ডাটা বুক কাকে বলে ?

উঃ 1963 খ্রিস্টাব্দে WWF- এর অর্থানুকূল্যে IUCN পৃথিবীর বিলুপ্ত বা বিপন্নপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণী তথ্য সংবলিত যে গ্রন্থ প্রকাশ করে তাকে রেড ডাটা বুক বলে।


৫১) কত খ্রিস্টাব্দে ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া স্থাপিত হয়েছিল ?

উঃ 1971 খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে 


৫২) টিস্যু কালচার বলতে কি বোঝ ?

উঃ টিস্যু কালচার বলতে বোঝায়, জিনগত গুনমান অপরিবর্তিত রেখে রোগমুক্ত উদ্ভিদের বর্ধনশীল কলা, কোশ হিমায়িত করে রাখা।


৫৩) ইন্টার ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি ডে কবে পালিত হয় ?

উঃ ২২ মে












Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)