আশীর্বাদ

               আশীর্বাদ 

১) "ভাই অমন কথা বলোনা"- কথাটি কে কাকে বলেছিল ?

উঃ "আশীর্বাদ" গল্পে ঘাসের পাতা পিঁপড়েকে একথা বলেছিল। 

২) "শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে ঝরুক"- পৃথিবীর সবারই হোক। উক্তিটি কার ?

উঃ সূর্য 

৩) পাতাটা জলে এলিয়ে পড়ছিল কেন ?

উঃ বৃষ্টির ফোটার আঘাতে ঘাসের পাতা টা জলে এলিয়ে পড়ছিল। 

৪) বৃষ্টি কোথা থেকে পাতা আর পিঁপড়ের কথা শুনছিল ?

উঃ মেঘের আড়াল থেকে 

৫) কে চিরদিন সবুজ হয়ে ওঠে ?

উঃ ঘাস পাতা 

৬) মেঘের ফাঁক দিয়ে কে হেসেছিল ?

উঃ সূর্য 

৭) পিঁপড়ে কে কাজের লোক বলেছে কে ?

উঃ ঘাস 

৮) পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?

উঃ একটি ঘাস পাতার নিচে 

৯) বৃষ্টির সময় গাছের পাতা কাঁপছিল কেন ?

উঃ বৃষ্টির ফোটার আঘাতে 

১০) পিঁপড়ে কখন বাপ বাঁচলেন বলে উঠলো ?

উঃ বৃষ্টি একটু থামতে পিঁপড়ে ঘাসের পাতাকে কামড় থেকে আলগা করে নিঃশ্বাস ছেড়ে একথা বলেছিল। 

১১) জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল ?

উঃ খল খল

১২) বুক ভেঙ্গে নিঃশ্বাস পরলো পিঁপড়ে, কেন এমন হলো ?

উঃ বর্ষায় চারিদিকে থৈ থৈ জল দেখে পিঁপড়ে ভেবেছিল জল আর শুকাবে না মাটি দেখা যাবে না তাই দেখে পিঁপড়ের বুক ভাঙ্গা নিঃশ্বাস পড়ল। 

১৩) বৃষ্টিপাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে ?

উঃ বৃষ্টিপাতাকে সাহসী রুপে পরিচয় দিয়েছে কারণ পাতা কখনো প্রকৃতিকে ভয় পায় না প্রকৃতির সব রকম অবস্থার সঙ্গে সে মানিয়ে চলতে পারে। তাই সে সাহসী। 

১৪) সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কি ভাবলো ?

উঃ সবার কথা শুনে পিঁপড়ের নিজের জন্য একটু কষ্ট হল সে ভাবল পৃথিবী কি আর তার হবে। 

১৫) প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কিভাবে ঝরে পড়ে ?

উঃ শরৎ উপস্থিত হলে প্রকৃতিতে আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায় চারিদিকে রোদ ঝলমলে পরিবেশ বিরাজ করে মাঠে নদী তীরে কাশফুলের সমারো দেখা যায়।

১) বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখ। 

উঃ আমি গ্রামে থাকি। তাই গ্রামে বর্ষার সুন্দর রূপ অতি মনোরম। বৃষ্টির সময়ে ঝমঝম শব্দে মনের মধ্যে গান ভেসে ওঠে। সেই সঙ্গে চারিদিকে ঝাপসা হয়ে ওঠে গাছপালা। চারিদিকে ভেকের দল আনন্দে ডাকে। মাঠ ঘাট জলে থৈ থৈ করে। বর্ষার আনন্দে চাষীরা মাঠে নেমে পড়ে। 

২) পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন ?

উঃ পিঁপড়ে হল অতি ক্ষুদ্র প্রাণী। তারা মাটির নিচে গর্তে বসবাস করে। কিন্তু বৃষ্টির ফলে যখন চারিদিকে জলপূর্ণ হয়ে যায় তখন তাদের মাটির নিচে থাকা সম্ভব হয় না। তাই তারা বাঁচার জন্য গাছের পাতা জলের উপরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকলে সেই পাতাতেই তাদের আশ্রয় নিতে হয়। তাই পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল। 

৩) পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল ?

উঃ গাছ আমাদের তথা প্রাণীজগতে উপকার ছাড়া অপকার করে না। প্রবল বৃষ্টিতে চারিদিক জলে ভেসে যাওয়ায় একটি পিঁপড়ে বাঁচার জন্য একটি ঘাসের পাতার নিচে আশ্রয় নিয়েছিল। বৃষ্টির ফোটার আঘাতে পাতাটি জলের মধ্যে কেঁপে উঠছিল। ফলে পিঁপড়েটি খুব ভয় পেয়ে যায়। তখন পাতাটি পিঁপড়ে কে বলেছিল তাকে কামড়ে ধরতে। তাহলে পিঁপড়ের আর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না এবং পিঁপড়েটি প্রাণে বেঁচে যাবে। 

৪) "পাতা কি বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল ? কাজে আসেনা কোনটাই"- এখানে তার কোন কাজে না আসার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ আশীর্বাদ গল্পে দেখা যায়,পিঁপড়েটি চোখ বুজে পাতাতে দাঁত বসিয়ে কোনোরকমে ঝুলে ছিল। তখন পাতা তাকে প্রবোধ দিয়ে বলেছিল- ভাগ্যে সে জিমন্যাস্টিক জানে। তাছাড়া আরও বলেছিল যে,সে সাঁতার জানে, হাঁটতে ও দৌড়াতে জানে, তাই তার আর জলে বিপদ কিসের। 

                পিঁপড়ে সাঁতার বা দৌড়াতে জানলেও প্রবল বৃষ্টি আর নীচে প্রবাহিত জলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষমতা তার নেই। তাই বর্তমানে বাঁচার ক্ষেত্রে পিঁপড়ের সাঁতার, হাঁটা বা দৌড়ানোর বিদ্যা কোনোটিই কাজে লাগবে না। 


৫) "তাই আজ বেঁচে গেলাম"- বক্তার আজ বেঁচে যাওয়ার কারণ কি ?

উঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচিত "আশীর্বাদ" গল্পাংশে আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হল পিঁপড়ে। 

             বৃষ্টিতে চারিদিকে জল থৈ থৈ করছে। পিঁপড়েটি প্রাণে বাঁচার জন্য একটি ঘাস পাতাকে আশ্রয় করেছে। বৃষ্টির দাপটে পাতাটি বারবার কেঁপে উঠছে ও নুয়ে পড়ছে। সেই ভয়েতে পিঁপড়েটি ঘাস পাতার শিরায় কামড় বসিয়ে তাকে আঁকড়ে ধরে কোনোরকমে প্রাণ বাঁচিয়েছে। সে সাঁতার জানে, দৌড়াতে পারে কিন্তু এমন প্রবল বৃষ্টিতে কোনোটাই তার কাজে আসে না। পাতাটি ছিল বলেই তাকে আঁকড়ে ধরে সে আজ প্রাণে বেঁচে গেছে।

৬) "মাটি সবারই"- পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন সত্য ফুটে উঠেছে ?

উঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচিত "আশীর্বাদ"  গল্পে আলোচ্য সত্যটি উন্মোচিত হয়েছে। 

         গল্পাংশে বর্ণিত পিঁপড়েটি অতি দুঃখের সঙ্গে ঘাস পাতাকে বলেছিল, সে কাজের লোক হলেও দিনের শেষে তাকে মাটির নীচেই আশ্রয় নিতে হয়। তাই মাটি তাদের । সেই কথা শুনেই পাতাটি বলেছিল যে মাটি শুধু তাদেরই নয়। মাটির সকলেরই। তার এই কথার মধ্য দিয়ে সে বোঝাতে চেয়েছে যে, মাটিকে ছোট করে দেখা মোটেই ঠিক নয়। পৃথিবীর সকল জীব মাটির উপর বাসস্থান করেই বেঁচে আছে। মাটি থেকেই প্রাণী খাদ্য রস সংগ্রহ করে, গাছ মাটি থেকে খাদ্যবস্তু গ্রহণ করে, মানুষ শস্যের জন্য মাটির উপর নির্ভরশীল, জল মাটির উপর দিয়েই প্রবাহিত হয়। তাই মাটিই বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন এই সত্য কথাটাই প্রকাশিত হয়েছে।


৭) মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন কথা শুনতে পেয়েছিল ? তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে কি বলেছিল ?

উঃ প্রবল বৃষ্টিতে আশ্রিত পিপড়েটির সঙ্গে ঘাস পাতার যে কথোপকথন হয়েছিল বৃষ্টি তা শুনতে পেয়েছিল। পিঁপড়ে বলেছিল, দিনের শেষে আবার তাকে মাটির গর্তেই আশ্রয় নিতে হয় আর পৃথিবীতে পাতারা মাটির উপরে হাসে, ফুল ফোটায়। পিঁপড়ে শুধু তা দেখে কিন্তু নিজের আনন্দ নেই। তাই পিঁপড়ের জন্য শুধু মাটি আর পাতার জন্য সারা পৃথিবী না থাকলে এমন থৈ থৈ জল কোথায় যেতো। মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি এইসব কথাই শুনেছিল। 

            এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বৃষ্টি পিঁপড়েকে বলেছিল, তার বড্ড ভয়। কিন্তু পাতাকে সে কখনো ভয় পেতে দেখেনি। সে রোদ্দুরে পুড়ে মরে আবার বৃষ্টির ছোঁয়ায় সবুজ হয়ে ওঠে। আর সে তখন সবুজ বন্ধুর হাত ধরে গান গেয়ে ওঠে ।


Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)