পথের পাঁচালী গল্পঃ অষ্টম শ্রেণী
Second summetive evaluation
Class - 8
৯-১৮ পরিচ্ছেদ
পথের পাঁচালী
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
পরিচ্ছেদ -৯
১) যেন কতকালের পুরানো গাছটা - কি গাছ দেখলে? অপুর এরকম মনে হতো ?
উঃ শিমুল গাছ
২) সর্বপ্রথম অপু কার সাথে গ্রামের বাইরে গিয়েছিল ?
উঃ তার পিতা হরিহর এর সঙ্গে
৩) হরিহরের শিষ্যের নাম কি ?
উঃ লক্ষণ মহাজন
৪) লক্ষণ মহাজনের ছোটভাই- এর স্ত্রী অপুকে কি খেতে দিয়েছিল ?
উঃ মোহনভোগ
৫) বাছুর খুঁজতে বেরিয়ে দুর্গা অপু কিভাবে পথ হারিয়ে ফেলেছিল?
উঃ দুর্গা ও অপুদের গাইয়ের বাছুরটিকে দু তিন দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাছুর খুঁজতে এসে তারা দক্ষিণের মাঠে গিয়ে পৌঁছায়। তারপর দুর্গার উৎসাহে তারা রেলের রাস্তা দেখতে যায়। সেই উদ্দেশ্যে তারা মাঠ, বিল, জলা ভেঙে ছুটতে শুরু করে। তারপর একটা বড় জলা হোগলা পাতা আর সোলা গাছের জঙ্গলে সামনে উপস্থিত হয়। তখনই ওরা বুঝতে পারে যে তারা পথ হারিয়ে ফেলেছে।
৬) দুর্গা অপু কিভাবে রেলের রাস্তা দেখার চেষ্টা করেছিল?
উঃ অপু ও দুর্গা বাছুর খুঁজতে গিয়ে দক্ষিণের মাঠে এসে পৌঁছায়। রেলের রাস্তা দেখার জন্য তারা নবাবগঞ্জের লাল রাস্তার ওপারে সোজা দক্ষিণে ছুটতে শুরু করে। তারপর বড় জলা, ধানক্ষেতে এসে পৌঁছায়। ওরা বুঝতে পারে যে বাড়ি ফেরার পথ হারিয়ে ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত অনেক জল ভেঙে ধান ক্ষেত পার হয়ে বহু কষ্টে পাকা রাস্তায় এসে পড়ে। তাদের বাড়ি ফিরতে দুপুর পেরিয়ে যায়।
৭) লক্ষণ মহাজনের বাড়ি থেকে ফিরে এসে অপু যে আশ্চর্য ভ্রমণ কাহিনী শুনিয়েছিল তা নিজের ভাষায় লেখ।
উঃ লক্ষণ মহাজনের বাড়ি থেকে ফিরে এসে অপু প্রায় ১৫ দিন ধরে নিজের অদ্ভুত ভ্রমণ কাহিনী বলে বেড়িয়েছিল। কদিনের মধ্যে সে রেলের রাস্তা, একেবারে আসলের মত দেখতে মাটির তৈরি আতা, পেঁপে, শসা এসব দেখেছিল। এছাড়া একটা পুতুলের কথাও বলেছিল, যেটার পেট টিপলে হঠাৎ খঞ্জনি বাজাতে শুরু করে।
পরিচ্ছেদ -১০
১) অপু ও তার দিদি কিভাবে দোকান ঘর সাজিয়েছিল তা লেখ
উঃ অপু ও তার দিদি দুজনে মিলে ইট দিয়ে একটা বড় দোকান ঘর করেছিল। বন জঙ্গল থেকে তারা দুজনে নোনা পাতার পান, মেটে আলু, ফলের আলু, রাধালতা ফুলের মাছ, তেলাকুচার পটল, চিচ্চিরের বরবটি, মাটির ঢেলার সৈন্ধব লবণ, বালি দিয়ে চিনি এবং মাকাল ফল প্রভৃতি দিয়ে দোকান ঘর সাজিয়েছিল।
২) সতু অপুর চেয়ে কতদিনের বড় ?
উঃ ৩-৪ বছরের।
৩) পাকা মাকাল ফলগুলি কে নিয়ে পালিয়ে ছিল ?
উঃ সতু
৪) দুর্গার ভালোভবে খেলা জমে না কেন ?
উঃ অপুর গ্রামের বাইরে যাওয়ার দিন কতক আগে দেশি কুমড়ার শুকনো খোলার নৌকা নিয়ে ঝগড়া হওয়াতে দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই ঝগড়া করার জন্য তার খেলা ভালোরকম জমে না।
৫) বাড়ি ফিরে অপু কতদিন তার ভ্রমণ কাহিনী বলে বেড়াচ্ছিল ?
উঃ ১৫ দিন
৬) অপু তার মায়ের উপর রাগ করেছিল কেন ?
উঃ টেলিগ্রাফের তার ছিঁড়ে দিয়েছিল বলে।
পরিচ্ছেদ -১১
১) আমি এ গ্রামের বিশালাক্ষী দেবী- তিনি কি আদেশ করেছিলেন?
উঃ চতুর্দশীর রাত্রে পঞ্চানন তলায় ১০৮ টা কুমড়ো বলী দিয়ে কালী পুজো করতে।
পরিচ্ছেদ -১২
১) দুর্গার মন আজ খুব খুশি আছে"-দুর্গার মনে আনন্দ নামার কারণ কি?
উঃ অপুদের বাড়িতে রাত্রিতে রান্না হয় না। ওবেলার বাসি ভাত তরকারি থাকে। কিন্তু সেদিন সন্ধ্যায় ভাত তরকারি রান্না হবে, সেই দেখেই দুর্গার মনে আনন্দ জেগে উঠেছিল।
২)" আজ যেন একটি উৎসবের দিন"- কখন, কেন দুর্গার এরূপ মনে হয়েছিল ?
উঃ দুর্গাপুজো হতে আর ২২ দিন বাকি ছিল। অপু ভেবেছিল যে, তার বাবা বাড়ি আসার সময় তার জন্য, তার মায়ের জন্য কাপড় ,পুতুল, আলতা নিয়ে আসবে। তাছাড়া সন্ধ্যা বেলায় ভাত- তরকারি রান্না হচ্ছে, এসব দেখেই দুর্গার মনে হয়েছে আজ যেন একটি উৎসবের দিন।
পরিচ্ছেদ -১৩
১) অপু কড়ি খেলতে কোথায় গিয়েছিল ?
উঃ জেলেপাড়া
২) "বাঁকা কঞ্চি অপুর জীবনের এক অদ্ভুত জিনিস"- এ কথা বলার কারন কি ? সামান্য উপকরণ নিয়ে খেলার আনন্দ সম্পর্কে লেখো।
উঃ বাঁকা কঞ্চি নিয়ে অপুর মন নানা অদ্ভুত কল্পনায় ভরে উঠতো, তাই এ কথা বলা হয়েছে।
একখানা বাঁকা কঞ্চি হাতে নিয়ে অপু সারা বিকেল নিজের মনে বাঁশবনের পথে কিংবা নদীর ধারে ঘুরে বেড়াতো। কখনো রাজপুত্র, কখনো তামাকের দোকানী, কখনো ভ্রমণকারী, কখনো বা সেনাপতি, কখনো মহাভারতের অর্জুন কল্পনা করে নিজের মনে বিড়বিড় করতো। পঞ্চে যত মনের মত হালকা হবে এবং পরিমাণ মতো বাঁকা হবে তার আনন্দ ও কল্পনা ততই পরিপূর্ণতা লাভ করে।
পরিচ্ছেদ -১৪
১) সর্ব দর্শন সংগ্রহ বইটিতে মানুষ ওড়ার ব্যাপারে কি লেখা ছিল ?
উঃ সর্ব দর্শন সংগ্রহ বইটিতে লেখা ছিল যে পারদ শকুনের ডিমে রেখে দুদিন রোদে দেওয়ার পর তা মুখের মধ্যে রাখলে মানুষ উড়তে পারে।
২) অপু কার কাছ থেকে শকুনের ডিম সংগ্রহ করেছিল ?
উঃ অপু হিরো নাপিতের কাঁঠালতলার এক পাড়ার রাখালের কাছ থেকে দুটো পয়সা ও কড়ি দিয়ে শকুনের ডিম সংগ্রহ করে এনেছিল।
৩) ভুলো কুকুরকে নিয়ে দুর্গা কিভাবে আমোদ উপভোগ করত ?
উঃ দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর এক একদিন দুর্গা এক মুঠো পাতের ভাত নিয়ে বাঁশবাগানে গিয়ে হাঁক দেয়, আয় ভুলো তু-উ-উ। এইভাবে ডাক দিতেই হঠাৎ কোথা থেকে কুকুরটা এসে পড়তো। রোজ রোজ এই কুকুরকে ভাত খাওয়ানোর ব্যাপারে দুর্গার ভারি আমোদ হতো।
পরিচ্ছেদ -১৫
১) আমি মরবার সময় বইখানা তোমাকে দিয়ে যাব দাদু"-কে কাকে কোন বই দিয়ে যাবে ?
উঃ বৃদ্ধ নরোত্তম দাস অপুকে, তার প্রেমভক্তি চন্দ্রিকা বইখানা দিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
২) অপু কাকে দাদু বলে ডাকত ?
উঃ বৃদ্ধ নরোত্তম দাসকে
পরিচ্ছেদ -১৬
১) অপু দুর্গার চড়ুইভাতির আয়োজন সম্পর্কে লেখো।
উঃ একদিন অপু ও দুর্গা নীলমণি রায়ের জঙ্গলে ভরা ভিটের খানিকটা পরিষ্কার করে সত্যিকারের চড়ুইভাতির আয়োজন করেছিল। তাদের আয়োজন ছিল খুবই সামান্য। বাড়ি থেকে চুরি করে আনা তেল, চাল, বনের মেটে আলু ইত্যাদি ছিল তাদের বনভোজনের উপকরণ। তাদের উপকরণ এর মধ্যে লবণ আনতে ভুলে গিয়েছিল। তবুও সত্যিকারের ভাত, মেটে আলু ভাতে, পানসে বেগুন ভাজা দিয়ে চুড়ুইভাতির আনন্দে তাদের লবণের অভাব বোধ হয় না।
পরিচ্ছেদ -১৭
১) ভুবন মুখুজ্জের বাড়িতে কার বিয়ে ছিল ?
উঃ রানুর দিদির
২) দুর্গাকে কে কেন চোর অপবাদ দিয়েছিল ?
উঃ ভুবন মুখোজ্জ্যর বাড়িতে রানুর দিদির বিয়ে শেষ হলে টুনির মায়ের সোনার সিঁদুরকৌটো চুরি হয়ে যায়। সেজঠাকুরন দুর্গাকে সন্দেহ করে। তাকে সিঁদুর কৌটো ফেরত দিতে বলে এবং তাকে চোর অপবাদ দেয়।
,
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.