Posts

Showing posts from February, 2025

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়

  প্রশ্নঃ হায়দার আলী ও টিপু সুলতানের সঙ্গে ইংরেজদের সম্পর্ক আলোচনা কর।                      অথবা  ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের বিবরণ দাও।  উঃ  পূর্ব ভারতে আধিপত্য স্থাপনের পর থেকে ইংরেজ শক্তির দ্রুত বিস্তার ঘটতে থাকে। সেই সময় ভারতে মহীশূর ও মারাঠা রাজ্য দুটি ছিল ইংরেজদের সাম্রাজ্য বিস্তারের পথে প্রধান বাধা। সেই সময় মহীশূর রাজ্যে হায়দার আলী ক্ষমতা বৃদ্ধি ও রাজ্য বিস্তার করতে থাকলে ইংরেজদের অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। প্রথম ইঙ্গ -মহীশূর যুদ্ধঃ                  হায়দার যখন মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যস্ত সেই সময় ইংরেজরা হায়দ্রাবাদের নিজামের সঙ্গে মিলিত হয়ে মহীশূর রাজ্য আক্রমণ করে। ফলে প্রথম ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। পরাজয়ের পর মাদ্রাজের সন্ধি অনুসারে এই যুদ্ধের অবসান হয়। কিন্তু এই সন্ধি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।  দ্বিতীয় ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধঃ              ইংরেজরা হায়দারের রাজ্যের অন্তর্গত ফরাসি উপনিবেশ আক্রমণ করায় হায়দার যুদ্ধ ঘোষণ...

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা: খ্রিস্টীয় সপ্তম দ্বাদশ শতক          ইতিহাস সপ্তম শ্রেণি            (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্নঃ পাল ও সেন যুগে অর্থনীতি কেমন ছিল ?  উঃ পাল ওসেন যুগে বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল কৃষি শিল্প ও বাণিজ্য। এ বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো। কৃষিঃ পাল ও সেন যুগে কৃষি ছিল মানুষের প্রধান জীবিকা। প্রতিটি গ্রামে কৃষিজমি ওগোচরণ জমি ছিল। এই যুগে রাজারা উৎপন্ন ফসলের ১/৬ কৃষকদের কাছ থেকে কর হিসাবে নিতেন। এর পাশাপাশি রাজারা নিজেদের জন্য ফুল ফল কাট প্রভৃতি প্রজাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতেন। বাণিজ্যঃ পালোসেন যুগে বাংলার অর্থনীতিতে বাণিজ্যের গুরুত্ব কমে এসেছিল। বনিকরাও তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য রাজাকে কর দিত। এই যুগে সোনা রুপার ব্যবহার কমে গিয়েছিল। কড়ি ছিল জিনিস কেনাবেচার প্রধান মাধ্যম। শিল্পঃ শিল্প দ্রব্যের মধ্যে কার্পাস বস্তু ছিল প্রধান। এই যুগে হস্তশিল্প ছিল উল্লেখযোগ্য। এই যুগে কাপড়ের খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। অন্যান্য সুবিধাঃ পাল ও সেন যুগে গৃহপালিত ও বন্য পশুদের মধ্যে ছিল গ...

ইতিহাস অষ্টম শ্রেণী তৃতীয় অধ্যায়

  প্রশ্নঃ ওয়ারেন হেস্টিংস এর আমলে ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত গুলি উল্লেখ করো। উঃ ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার, ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। দেওয়ানি লাভের পর রাজস্ব ব্যবস্থার সম্পর্কে ইংরেজ কর্মচারীদের কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় লর্ড ক্লাইভ প্রচলিত রাজস্ব ব্যবস্থা বহাল রেখেছিল এবং দুজন নায়ক দেওয়ানকে রাজস্ব আদায়ের ভার দিয়েছিলেন। হেস্টিংস এর রাজস্ব সংক্রান্ত পদক্ষেপঃ                  ওয়ারেন হেস্টিংস প্রথমে দুই অত্যাচারী রাজস্ব সংগ্রহকারী নায়েব দেওয়ান রেজা খাঁ ও সিতাব রায়কে বরখাস্ত করেন। তার আমলেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে প্রথম ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। এই সময়ে রাজস্ব ব্যবস্থা তত্ত্বাবধানের জন্য একটি বোর্ড অফ রেভিনিউ গঠন করার পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের জন্য নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী নিয়োগ করা হয় এরা কালেক্টর নামে পরিচিত ছিলেন।  ক) পাঁচশালা বন্দোবস্তঃ                    ওয়ারেন হেস্টিংস এর আমলে রাজস্বের পরিমাণ স্থির করার জন্য এব...

সবুজ জামা কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণি

                 সবুজ জামা            বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  ক) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও  ১) তোতাই বাবুর সবুজ জামা চাই কেন ? উঃ তোতাই বাবু গাছের মতো সবুজ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে চায়। তাই তোতাই বাবুর সবুজ জামা চাই।  ২) সবুজ গাছেরা কোন পতঙ্গ পছন্দ করে ? উঃ সবুজ গাছেরা প্রজাপতি পছন্দ করে ।  ৩) সবুজ জামা আসলে কি ?  উঃ গাছের সবুজ জামা বলতে সবুজ পাতাকে বোঝানো হয়েছে। পাতা যেমন তাদের জীবন ধারণের সাহায্য করে তেমনি তোতাই বাবুর সবুজ জামা তার প্রাণশক্তির প্রতীক হয়ে উঠবে। ৪)" এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তো খেলা"- এখানে কোন খেলার কথা বলা হয়েছে ?  উঃ এখানে গাছেদের এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার সঙ্গে শিশুদের এক পায়ে ছুটে ছুটে এক রকমের খেলার কথা বলা হয়েছে। ৫) তোতাই সবুজ জামা পরলে কি কি ঘটনা ঘটবে ?  উঃ তোতাই সবুজ জামা পরলে তার গায়ে প্রজাপতি এসে বসবে। আর তার কোলে ঝড়ে পড়বে একটা দুটো তিনটে লাল নীল ফুল।  আ) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ   ১) সবুজ জামা কবিতায় তোতাইয়ের সবুজ জা...

বনভোজনের ব্যাপার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় অষ্টম শ্রেণী বাংলা

       বনভোজনের ব্যাপার              নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়  নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।  ১) বনভোজনের উদ্যোগ কাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল? উঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত "বনভোজনের ব্যাপার" গল্পে টেনিদা, হাবুল, প্যালারাম আর ক্যাবলার মধ্যে বনভোজনের উদ্যোগ দেখা গিয়েছিল। ২) বনভোজনের জায়গা কোথায় ঠিক হয়েছিল ? উঃ বনভোজনের জায়গা হিসাবে তারা ক্যাবলার মামাবাড়ি ঠিক করে নিয়েছিল। ৩) বনভোজনের জায়গা কিভাবে যাওয়া যাবে ? উঃ শ্যামবাজার থেকে মার্টিনের রেলে চেপে বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরো চারটি স্টেশন পর নামতে হবে ।তারপর পায়ে হেঁটে প্রায় মাইল খানেক গেলে বনভোজনের জায়গায় পৌঁছাতে পারবে। ৪) রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব কে নিয়েছিল ? উঃ রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব নিয়েছিল গল্পের কথক প্যালা। ৫) বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রিক কারা সাবাড় করেছিল ? উঃ বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রী ৫-৬ টি বাঁদরের একটি দল সাবাড় করে দিয়েছিল। ৬) কোন খাবারের কারণে বনভোজন ফলভোজনের পরিণত হলো? উঃ বনভোজনের খাবার হাতছাড়া হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পাকা জলপাই খাওয়ার কারণে বনভোজন ফলভোজন...

চন্দ্রগুপ্ত নাটকের প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণী

  প্রশ্নঃ নাট্যাংশ অবলম্বনে গ্রিক সম্রাট সেকেন্দারের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের পরিচয় দাও।  উঃ প্রখ্যাত নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত চন্দ্রগুপ্ত নামক নাটকে গ্রিক সম্রাট সেকেন্দার সাহার যে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো।                 চন্দ্রগুপ্ত হলো একটি ঐতিহাসিক নাটক।এই নাটকের শুরুতেই দেখা যায়, এক সন্ধ্যাবেলায় সিন্ধু নদীর তীরে সেলুকসের সঙ্গে সম্রাটের কথাবার্তা। তার অনুভূতি থেকে বোঝা যায়, তিনি ভারতের সাম্রাজ্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে আসেননি। তিনি কেবলমাত্র দিক বিজয়ের আকর্ষনেই ভারতে ছুটে এসেছেন। এদেশের প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। রাজ্য বিজয়ের পথে তিনি শতদ্রু নদীর তীরে পুরু রাজার কাছে বাধা পান তবুও তার প্রতি যে ব্যবহার তিনি করেছেন তা একজন যথার্থ বীরের পক্ষেই সম্ভব। সৈন্য সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে তার দেশে ফিরে যেতে চাওয়ার মধ্য দিয়ে তার বিচক্ষণ বাস্তব বুদ্ধি প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া নাটকের শেষে সেলুকাস ও অ্যান্টিগোনসের মধ্যে যে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যা তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে সে...

ইতিহাস সপ্তম শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

      সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস                দ্বিতীয় অধ্যায়   ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা খ্রিস্টীয় সপ্তম দ্বাদশ শতক প্রশ্নঃ গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের কৃতিত্ব আলোচনা কর।  উঃ বাংলার ইতিহাসে শশাঙ্ক ছিলেন এক বিখ্যাত শাসক। তিনি ছিলেন গৌড়ের একজন স্বাধীন রাজা। তার শাসনকালের ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে থেকেই গৌড় ধীরে ধীরে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। শশাঙ্কের আমলে গৌড়ের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। রাজ্য জয়ঃ সমগ্র গৌড় দেশে শশাঙ্ক আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। উত্তর ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তিগুলির দ্বন্দের সঙ্গে তিনি অংশগ্রহণ করেন। উত্তর-পশ্চিম বারানসি পর্যন্ত তার রাজ্য বৃদ্ধি করেন। তিনি সমগ্র গৌড়দেশ, মগধ ও উড়িষ্যার এক অংশ নিজের অধীনে এনেছিলেন। ঐক্য ও সংহতি স্থাপনঃ শশাংকই প্রথম বাংলার ঐক্য ও সংহতি স্থাপন করে সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান তার এই রাজ্য জয় নীতি অনুসরণ করেই পরবর্তীকালে পাল রাজারা এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। বাঙালি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাঃ প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শশাঙ্ক ...

অধীনতা মূলক মিত্রতা নীতি ও স্বত্ববিলোপ নীতি অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস

  ১) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিঃ টীকা লেখ উঃ ইংরেজরা যে শুধুমাত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল তা নয়,তারা অনেক ক্ষেত্রে নানা ছলনার আশ্রয় নিয়েছিল। যেখানে যুদ্ধের মাধ্যমে রাজ্য জয় করতে অসুবিধা হতো সেখানে তারা কূটনীতির আশ্রয় গ্রহণ করতেন। তেমনই একটি নীতি হলো অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি। ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি এই নীতি প্রবর্তন করেছিলেন। নীতির শর্তঃ   কোন দেশীয় রাজা অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করলে তাকে কয়েকটি শর্ত পালন করতে হতো। যেমন- ক) মিত্রতায় আবদ্ধ দেশীয় রাজ্যগুলিকে কোম্পানির বশ্যতা স্বীকার করতে হবে। খ) সংশ্লিষ্ট দেশীয় রাজ্যগুলি নিজেদের খরচে একদল ইংরেজ সৈন্য এবং একজন ইংরেজ রেসিডেন্ট রাখতে হবে। গ) মিত্র রাজ্যগুলির বৈদেশিক নীতি ইন্ডিয়া কোম্পানি ধারণ করবে। ঘ) চুক্তিবদ্ধ রাজ্যে ব্রিটিশ ছাড়া অন্য সমস্ত ইউরোপীয়কে তাড়িয়ে দিতে হবে। ঙ) এইসব বশ্যতার বিনিময় কোম্পানি সেই রাজ্যকে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ বৈদেশিক আক্রমণ ও অন্যান্য বিপদ থেকে রক্ষা করবে। রাজ্য দখলঃ         এই নীতি সর্বপ্রথম গ্রহণ করেন হায়দ্রাবাদের নিজাম। এরপর অযোধ্যা ,...