তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন মাকু প্রশ্ন উত্তর
১) মাকু কিভাবে কাঁদতে পারল ?
উঃ ঘড়িওয়ালা মাকুর নাকের কল টিপে দিতেই ঘুমিয়ে পড়ল। তারপর দুটি কান ধরে কোষে প্যাঁচালো। ফলে মাকুর খুলি বাক্সের মতো খুলে গেল। তারপর সোনা পুঁটলি খুলে ফুটো জ্যামের টিনের ফোঁদল বারের নল দিয়ে মাথায় খুনের মধ্যে জল ঢেলে দিল তারপর ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভাসিয়ে দিয়েছিল।
২. সোনা ও টিয়া কিভাবে তাদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ঘরে ফিরল ?
উঃ ঘাস জমিতে খেলা শেষ হওয়ার পরে সবাই বটতলার দিকে ছুটে। সেখানে মালিকের জন্মদিনের ভোজের আয়োজন হয়েছিল। টিয়া হঠাৎ মালিকের কোল থেকে নেমে মা মা বলে এদিক ওদিক দৌড়াতে থাকে। শোনাও জাদুকরের কোল থেকে নেমে ছুটতে শুরু করে।
সেই সময়ে বটতলার ভিড়ের মধ্যে গোলাপি শাড়ি পড়া, ওদের মামনি নীচে খুন্তি রেখে ছুটে এসে ঘোড়াদিয়াকে জড়িয়ে ধরেন। তারপরেই তাদের বাবাও হাসিমুখে ওদের কাছে আসেন। এইভাবে পরপর আম্মা, ঠাকুমা, পিসি, পিসেমশাই, পিসির খোকা বটতলাতে আসে। এইভাবে সোনাটিয়া তাদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে মিলিত হয় এবং ঘরে ফেরে।
৩. মালিকের কি দুঃখ ছিল ? পরে তার সুখ এলো কিভাবে ?
উঃ হোটেল ওয়ালা বুঝতে পেরেছিল যে, জিনিসপত্র কিনে দাম না দিয়ে সার্কাস দলের সবাইকেই সে অকূল পাথারে ভাসিয়ে দিয়েছে। আবার তাদের পিছনে পেয়া দাও ঘুরে ফিরছিল এ কথা ভেবেই হোটেল ওয়াল আর দুঃখের অন্ত ছিল না।
তারপরে আর কোন দুঃখ ছিল না কারণ পুলিশের ভয়ে ছদ্মবেশে বহুদিন হোটেল চালিয়ে সে যা অর্থ জমিয়েছে আর জন্মদিনে যে উপহার পায় তা দিয়ে সেসব ধার শোধ করে জিনিসপত্র ছাড়িয়ে এনে নতুন তাবুতে আবার নতুন করে সার্কাসের দল খুলতে পারে এভাবেই তার সুখের দিন আসে।
৪. হোটেলওয়ালাই যে নোটো মাস্টার তা কিভাবে বোঝা গেল ?
উঃ সোনা মাকুকে কাদার কল লাগিয়ে দিলে মাকু খুব কাঁদে। এত কাঁদতে পেরে মাপু শেষে আনন্দের চটে হেসে ওঠে। তারপর ফুরতে চটে মালিকের বাড়ি খামতে এক লাফে সে যেই উঠে দাঁড়ায় সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাসকার টান লেগে মালিকের দাড়ি গোঁফ খুলে মাকুর হাতে চলে আসে। আর মালিকের চাচা তোলা ন্যাড়া মুখটা সবার কাছে প্রকাশিত হয়। এভাবে ভোটের ওয়ালার নকল সাধ খুলে যেতেই সার্কাস দলের সকলেই তাকে চিনে ফেলে এবং তিনি যে নটো মাস্টার তাতে কারো আর সন্দেহ থাকে না।
৫. হোটেলওয়ালার জন্মদিনে ঘাস জমিতে কেমন খেলা দেখানো হয়েছিল ?
উঃ
৬. কেমন ভাবে পরীদের রানীর সঙ্গে মাকুর বিয়ে হয়েছিল ?
উঃ পরীদের রানীর খেলা দেখানো শেষ হলে রানীকে পিঠে নিয়ে দুটি ঘোড়া বড় বড় আলোর নিচে এসে হাঁটু গেড়ে বসে তখন অধিকারী মশাই পরীদের রানীকে হাত ধরে নিচে নামায়। এরপর বাজনার সঙ্গে সঙ্গে মাকুও নাড়তে শুরু করে। সং বেতের ঝুড়িতে দুই গাছি মোটা গোড়ের আর বরের মাথার টোপর নিয়ে আসে। খুব জোরে জোরে বাজনা বাজাতে থাকে । গাছ থেকে থোকা থোকা ফুল ঝরতে থাকে। এইভাবেই মহা ধুম ধাম এর সঙ্গে মাকুর সঙ্গে পরীর রানীর বিয়ে হয়েছিল।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.