জয়দেবের গীতগোবিন্দ, একাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় সেমিস্টার সংস্কৃত
প্রশ্নঃ ভক্তিমূলক গীতিকাব্যরূপে গীতগোবিন্দের স্থান নির্ণয় কর।
উঃ সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাসে ভক্তিমূলক গীতিকাব্য হিসাবে গীতগোবিন্দ কাব্যটি অনন্য হয়ে উঠেছে। এই গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন কবি জয়দেব। রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলাকে উপজীব্য করে তিনি এই কাব্যটি রচনা করেছেন।
কবি পরিচয়ঃ
কবি জয়দেব ছিলেন লক্ষণ সেনের সভাকবি। জয়দেবের রাজসভার পঞ্চরত্নের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি বীরভূম জেলার কেন্দুবিল্ব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ভোজদেব এবং মাতার নাম বামা দেবী। তিনি রাধা কৃষ্ণের শাশ্বত প্রেমলীলাকে কাব্যে বর্ণনা দিয়েছেন।
বিষয়বস্তুঃ
গীতগোবিন্দ হল একটি মিলনান্তক ভক্তিমূলক গীতি কাব্য। সমগ্র কাব্যটিতে বারোটি সর্গ আছে এবং আশিটি শ্লোক আছে। এই বারোটি সর্গের কাহিনীই এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু। এর প্রথম সর্গে শ্রীরাধার ব্যাকুলতার বর্ণনা পাওয়া যায়। দ্বিতীয় সর্গে রাধা ও কৃষ্ণের উভয়ের বিরহ ব্যাকুলতা এবং মিলনের জন্য উৎকণ্ঠা বর্ণিত হয়েছে। তৃতীয় সর্গে শ্রীকৃষ্ণের চিন্তা, চতুর্থ স্বর্গে কৃষ্ণের কাছে সখীদের মাধ্যমে রাধার অবস্থা নিবেদন, পঞ্চম সর্গে রাধার জন্য কৃষ্ণের প্রতীক্ষা, ষষ্ঠ ও সপ্তম সর্গে রাধার ব্যাকুলতা, অষ্টম সর্গে রাধার অভিমান, নবম সর্গে রাধার মানভঞ্জনের চিন্তায় কৃষ্ণের ব্যাকুলতা এবং দশম সর্গে রাধার প্রতি কৃষ্ণের অনুনয় , একাদশ সর্গে উভয়ের মিলন সম্ভাবনায় আনন্দ এবং দ্বাদশ সর্গে রাধাকৃষ্ণের মিলন বিলাস বর্ণিত হয়েছে।
উপসংহারঃ
গীতগোবিন্দ কাব্যে কবি জয়দেব সৌন্দর্যের কল্পলোককে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছে। এই কাব্যের মধ্য দিয়ে তিনি মর্ত্য প্রেমকে দিব্য প্রেমে পরিণত করেছেন। সবদিক থেকেই গীতগোবিন্দ কাব্যটি অনন্য হয়ে উঠেছে।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.