অস্তিত পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণী
অস্থিত পৃথিবী
১) মহীসঞ্চরণ তত্ত্বটি কার ?উঃ আলফ্রেড ওয়েগনার
২) প্যানজিয়া কি ?
উঃ মহীসঞ্চরণ তত্ত্ব থেকে জানা যায়, প্রায় তিরিশ কোটি বছর আগে পৃথিবীর সমস্ত স্থলভাগ একটা বিশাল ভূখণ্ড রূপে অবস্থান করতো একে প্যানজিয়া বলে।
৩) প্যানথালাসা কাকে বলে ?
উঃ মহীসঞ্চরণ তত্ত্ব অনুসারে জানা যায়, প্রায় ৩০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর সমস্ত স্থলভাগ একটা বিশাল ভূখণ্ড রূপে অবস্থান করতো। আর এই স্থলভাগের চারিদিকে যে বিশাল মহাসাগর অবস্থান করতো, তার নাম প্যানথালাসা।
৪) পাত সংস্থান তত্ত্ব কবে আবিষ্কার হয় ?
উঃ ১৯৬০ এর দশকে
৫) পাত সংস্থান তত্ত্বের জনক কে ?
উঃ পিচোঁ
৬) পৃথিবীর পাতগুলো কোন স্তরের ওপর অবস্থান করেছে ?
উঃ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার
৭) পৃথিবীর ভূ অভ্যন্তরের কোন স্তরে পরিচালন স্রোত লক্ষ্য করা যায়?
উঃ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার
৮) পৃথিবীর অভ্যন্তরের পাতগুলি লেখ।
উঃ পৃথিবীতে মোট সাতটি বড় পাত এবং আটটি মাঝারি ও কুড়িটি ছোট পাত আছে।
৯) সাতটি বড় পাত এর নাম লেখ।
উঃ ইউরেশীয় পাত, ভারতীয় পাত, উত্তর আমেরিকা পাত, দক্ষিণ আমেরিকা পাত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত, আফ্রিকা পাত এবং আন্টার্টিকা পাত।
১০) অপসারী বা গঠনকারী পাত সীমানা কাকে বলে ?
উঃ
১১) অভিসারী বা বিনাশকারি পাত সীমানা কাকে বলে ?
উঃ
১২) একটি নবীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ দাও।
উঃ হিমালয়, আন্দিজ, রকি ইত্যাদি।
১৩) প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ আরাবল্লী,উরাল
১৪) নিরপেক্ষ সীমানা কাকে বলে ?
উঃ
১৫) প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত বছরে কত সেন্টিমিটার করে পশ্চিমে সরে যাচ্ছে ?
উঃ ১০ সেমি
অগ্ন্যুদগম
১৬) অগ্ন্যুদগম কাকে বলে ?
উঃ ভূ অভ্যন্তরের গলিত সান্দ্র, ম্যগমা, গ্যাস জলীয়বাষ্প কোন ফাটল বা গহবরের মধ্য দিয়ে বিস্ফোরণ সহ প্রচন্ড জোরে অথবা ধীর শান্তভাবে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে অগ্ন্যুদগম বলে।
১৭) সঞ্চয়জাত আগ্নেয়গিরি কাকে বলে ?
উঃ অগ্ন্যুদগমের সময় ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ফাটল বরাবর ভূপৃষ্ঠে এসে চারিদিকে জমা হয়। এইভাবে বারবার অগ্নুৎপাতের ফলে শঙ্কু আকৃতির পর্বতের আকার ধারণ করে একে সঞ্জয়জাত আগ্নেয় পর্বত বলা হয়।
১৮) দুটি সঞ্চয়জাত আগ্নেয় পর্বতের উদাহরণ দাও।
উঃ জাপানের ফুজিয়ামা, ইতালির ভিসুভিয়াস, ভারতের ব্যারেন, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া ইত্যাদি।
১৯) বিদার অগ্ন্যুদগম কাকে বলে ?
উঃ পাত সংস্থান তত্ত্ব অনুসারে অভিসারী পাত সীমানায় বিস্ফোরণ সহ অগ্ন্যুদগম ঘটে, আর অপসারী ও নিরপেক্ষ পাত সীমানায় বিস্ফোরণ ছাড়া শান্তভাবে অগ্ন্যুদগম ঘটতে দেখা যায়, একে বিদার অগ্ন্যুদগম বলে।
২০) ভূপৃষ্ঠে দুটি বহির্জাত প্রক্রিয়ার উদাহরণ দাও।
উঃ নদী বায়ু হিমবাহ সমুদ্র তরঙ্গ ইত্যাদি।
২১) আগ্নেয়গিরির শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর।
উঃ সক্রিয়তার ভিত্তিতে আগ্নেয়গিরি তিন প্রকারের হয়। যথা- সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সুপ্ত আগ্নেয়গিরি এবং মৃত আগ্নেয়গির।
ক) সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ঃঃ
যে সকল আগ্নেয় গিরিগুলি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অবিরাম ভাবে অথবা প্রায়ই অগ্নুৎপাত ঘটিয়ে চলেছে তাদের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে।
যেমন- হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া, ভারতের ব্যারেন ।
খ) সুপ্ত আগ্নেয়গিরিঃ
যে সকল আগ্নেয়গিরি একবার অগ্নুৎপাতের পর দীর্ঘকাল নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে তাদের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে। এই ধরনের আগ্নেয়গিরগ অত্যন্ত বিপদজনক।
যেমন- জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া।
গ) মৃত আগ্নেয়গিরিঃ
যে সকল আগ্নেয় গিরিগুলি অতি প্রাচীনকালে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই সেগুলিকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে।
যেমন- মায়ানমারের পোপো, মেক্সিকোর পারকুটিন।
২২) আ আ আর পা হো হো কী ?
উঃ
ভূমিকম্প
২৩) ভূমিকম্প বলতে কী বোঝো ?
উঃ কোন কারনে ভূপৃষ্ঠ হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য মৃদু অথবা প্রবল বেগে কেঁপে উঠলে তাকে ভূমিকম্প বলে।
২৪) ভূমিকম্প মাপক যন্ত্রের নাম কি ?
উঃ সিসমোগ্রাফ
২৫) ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপক যন্ত্রের নাম কি ?
উঃ রিখটার স্কেল
২৬) ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলতে কী বোঝো ?
উঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখানে কম্পনের উৎপত্তি হয় তাকে ভূমিকম্পের ফোকাস বা কেন্দ্র বলে সাধারণত কম্পনের কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬ কিলোমিটার এর মধ্যে অবস্থান করে।
২৭) ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলতে কী বোঝো ?
উঃ কম্পনের কেন্দ্র থেকে লম্বভাবে ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত স্থানটিকে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলা হয়।
২৮) ভূকম্পন তরঙ্গ বলতে কী বোঝো ? ভূকম্পন তরঙ্গ গুলি আলোচনা করো।
উঃ
২৯) ভূমিকম্পের কারণগুলি আলোচনা করো।
উঃ ভূমিকম্পের কারণগুলি হলো -
ক) পাত সংস্থান তত্ত্বঃ
পাত সংস্থান তত্ত্বের প্রবক্তাদের মতে ভূত্বকের সঞ্চরণশীল পাতগুলোর গতিশীলতাই ভূমিকম্পের জন্য দায়ী। তাদের মতে সমগ্র ভূত্বক কতগুলো পাত বা প্লেটে বিভক্ত। পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত দুটি নিমজ্জিত পাতের সংকোচন চাপে এবং সমুদ্রখাতের দুপাশে নিমজ্জিত দুটি বিপরীতমুখী পাতের প্রসারণ চাপে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
খ) নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলের ভূ-আন্দোলনঃ
নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে এখনো পর্বত সৃষ্টির কাজ চলছে। এইসব অঞ্চলে কমল পাললিক শিলায় ভাঁজ পড়ার সময় প্রবল পার্শ্বচাপের সৃষ্টি হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
গ) ভূগর্ভে শিলা চ্যুতিঃ
ভূগর্ভে কোন স্থানে শিলাচ্যুতি ঘটলে বা ভূপৃষ্ঠের কোন অংশ চ্যুতির ফলে স্থানচ্যুত হলে ভূগর্ভে চাপের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয় বলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
ঘ) ভূগর্ভে পরিচলন স্রোতের প্রভাবঃ
ক্ষুব্ধমন্ডল থেকে তাপ্রবাহ পরিচলন স্রোতের আকারে উপরে উঠে এসে ভূপৃষ্ঠে প্রবল ধাক্কা দেয়, এর ফলে ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়।
ঙ) ধসনামাঃ
প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে ধস নামলে অথবা হিমবাহের কিছু অংশ হিমানীসম্প্রপাত রূপে ধসে পড়লে অথবা খনিজ পদার্থ উত্তোলনের সময় খনিতে ধস নামলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ভুমি কেঁপে ওঠে।
চ) অগ্নুৎপাতঃ
আগ্নেয়গিরি থেকে প্রবল বেগে অগ্নুৎপাতের সময় প্রচন্ড চাপের মুক্তি ঘটে, এর ফলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়।
৩০) ভূমিকম্পের ফলাফল আলোচনা কর।
উঃ ভূমিকম্পের ফলে ভূপৃষ্ঠে নানা রকম পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়-
ক) কমল পাললিক শিলায় ভাজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বত গঠনে সাহায্য করে।
খ ) কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত ভূপৃষ্ঠে ফাটল ও চ্যুতি সৃষ্টি করে, স্তুপ পর্বত ও গ্রস্থ উপত্যকা গড়ে তোলে।
গ ) কোন কোন নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয় আবার কখনো কোন নদীর প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়ে অন্য নদীর সৃষ্টি হয়।
ঘ ) কখনো উপকূল ভাগ সমুদ্রে নিমজ্জিত হয় আবার কখনো সমুদ্রের তলদেশ উপরে উঠে এসে উপকূলীয় সমভূমি গঠন করে।
ঙ ) ভূমিকম্পের ফলে গ্রাম, নগর, বন্দর, পথঘাট, কৃষিক্ষেত্র ইত্যাদি ধ্বংস হয় এবং মানুষসহ অন্যান্য জীবজন্তুর প্রাণহানি ঘটে।
চ ) প্রবল ভূমিকম্পের ফলে ভূপৃষ্ঠের গাছপালা ভূগর্ভে চাপা পড়ে গিয়ে পৃথিবীতে কয়লার উৎপত্তি হয়েছে।
ছ ) ভূমিকম্পের ফলে পৃথিবী ও জনগণের কেবলমাত্র ক্ষতিই হয় না, মাঝে মাঝে মানুষের উপকার হয়ে থাকে। যেমন ভূমিকম্পের ফলে মূল্যবান খনিজ সম্পদ ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি চলে আসে।
৩১) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয় বলতে কী বোঝো ?
উঃ পৃথিবীর অধিকাংশ জীবন্ত আগ্নেয়গিরি প্রশান্ত মহাসাগরকে বলয়ের মতো ঘিরে রেখেছে। এজন্য প্রশান্ত মহাসাগরের দু দিকের উপকূলের আগ্নেয়গিরি বলয়কে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নি বলয় বলা হয়। পৃথিবীর ৭০ শতাংশ ভূমিকম্প এই অঞ্চলে হয়ে থাকে ।এই বলয়ের প্রধান আগ্নেয়গিরি হল জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট হেলেন্স ইত্যাদি।
৩২) ভূমিকম্প প্রবণতার বিচারে ভারতকে কটি অঞ্চলে ভাগ করা যায় ও কি কি ?
উঃ ভূমিকম্প প্রবণতার বিচারে ভারতকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়।
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.