Swasthya o sharirshiksha,health & physical education class -8
স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
১) সঠিক উত্তর নির্বাচন করোঃ
ক) ছুরির আঘাতে- (কর্তনজনিত / বিদ্ধ / থেতলানো / মিশ্র ) ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
উঃ কর্তনজনিত
খ) বিষধর সাপ হলো - (গোখরো /অজগর /হেলেসাপ/ দাঁড়াশ)
উঃ গোখরো
গ) সাপের খাবার নয়-( ইঁদুর / ব্যাঙ / মাছ / গাছের ফল)
উঃ গাছের ফল
২ শূন্যস্থান পূরণ কর
ক) সাপ শুনতে পায়___________, কম্পন অনুভব করে।
উঃ মাটির
খ) ক্ষতের ফলে __________পাত হয়।
উঃ রক্ত
গ) ক্ষতের বিপদ __________ ও রক্তপাত।
উঃ সংক্রমন
ঘ) বিভিন্ন কারণে মাংসপেশী,ত্বকসহ রক্তবাহী নালিকার সংযোগ ছিন্ন হয় তখনই _____________ সৃষ্টি হয়।
উঃ ক্ষতের
ঙ) পেরেক বা কোন সূচালো অস্ত্রের দ্বারা __________ ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
উঃ বিদ্ধ
চ) __________ প্রথমে রক্ত বন্ধ করতে হবে প্রত্যক্ষ ও
___________ চাপের সাহায্যে।
উঃ ক্ষতস্থানে , পরোক্ষ
ছ) ক্ষতস্থানে যথেষ্ট পরিমাণে তুলো দিয়ে __________ করতে হবে।
উঃ পরিস্কার
জ) ____________ গজ দিয়ে ক্ষতস্থানটি আচ্ছাদিত করতে হবে।
উঃ জীবাণু শূন্য
ঝ) _______ সালে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন পাস হয়।
উঃ ১৯৭২
৩. দু এক কথায় উত্তর দাওঃ
ক) প্রাথমিক চিকিৎসার সংজ্ঞা দাও ।
উঃ কোন ব্যক্তির শারীরিক অক্ষমতা, ক্ষতিগ্রস্ততা বা আঘাতপ্রাপ্তির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে যে অস্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি নেওয়া হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে।
খ) ক্ষতের সংজ্ঞা দাও ।
উঃ কোন আঘাত জনিত কারণে শরীরে রক্তপাত ঘটার ফলে, নানা রকম ব্যাধি সৃষ্টিকারী জীবাণু ও ক্ষতিকারক পদার্থ বিভিন্ন বাহক দ্বারা বাহিত হয়ে শরীরে প্রবেশ করলে তাকে ক্ষত বলে।
গ) দুটি করে বিষধর ও নির্বিষ সাপের নাম লেখ।
উঃ দুটি বিষধর সাপ হলো - গাখরো ,চন্দ্রবোড়া
আর দুটি নির্বিষ সাপ হলো - অজগর , জলঢ়োঁড়া
ঘ) বিষহীন সাপের কামড়ের লক্ষণ লেখ ।
উঃ বিষহীন সাপের লক্ষণ হল - ১) কামড়ের দাগ অনেকটা হালকা হয়। ২) ক্ষতস্থানে দুই বা তার বেশি দাঁতের দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
ঙ) সাপের বিষ কয় প্রকার ও কি কি ?
উঃ সাপের বিষ মূলত দুই প্রকারের হয়- ১) নিউরোটক্সিন ২) হেমাটোটক্সিন
চ) মিশ্র ক্ষত কাকে বলে ?
উঃ একটি ক্ষতের মধ্য একাধিক ক্ষতের লক্ষণ দেখা যায় তাকে মিশ্র ক্ষত বলে। যেমন - বন্দুকের গুলি, বোমার আঘাত ইত্যাদি।
ছ) কার্ডিয়াক ম্যাসাজ কি ?
উঃ হৃদপিন্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপক্রম হলে ম্যাসাজ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক করার কৌশলকে কার্ডিয়াক ম্যাসাজ বলে।
জ) হৃদপিণ্ডের কাজ বন্ধের সম্ভাব্য উপসর্গগুলি কি কি?
উঃ ১) অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ২) হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন শোনা যায় না ৩) শ্বাস নেওয়া বন্ধ হয়ে যায় ৪) হাতে পায়ে খিঁচুনি হতে দেখা যায়।
৪. রচনাধর্মী প্রশ্নঃ
ক) ক্ষত কীভাবে সৃষ্টি হয় ? ক্ষত কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ কোন আঘাত জনিত কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তপাত ঘটলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
ক্ষত প্রকৃতি অনুসারে পাঁচ প্রকার। যথা - ক) কর্তনজনিত ক্ষত খ) ছিন্নভিন্ন ক্ষত গ) থ্যাঁতলানো ক্ষত ঘ) বিদ্ধ ক্ষত ও ঙ) মিশ্র ক্ষত
খ) সাপে কামড়ানোর প্রাথমিক প্রতিবিধান আলোচনা কর।
উঃ সাপের কামড়ানোর প্রাথমিক প্রতিবিধান গুলি হল -
১) সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
২) রোগীকে শান্ত রাখতে হবে এবং উৎসাহ দিয়ে মনোবল বাড়াতে হবে।
৩) পরিষ্কার জল দিয়ে ক্ষতস্থানটা ধুয়ে দিতে হবে।
৪) ক্ষতস্থানটিকে একটি পরিষ্কার কাপড় জড়িয়ে দিতে হবে।
৫) একটা স্প্লিন্ট লাগিয়ে ওই জায়গাটা অনড় রাখতে হবে।
৬) রোগীর দেহে যদি কম্পন অনুভূত হয় তাহলে কম্বল বা চাদর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
৭) রোগী যেন ঘুমিয়ে না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে এবং কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
গ) বিষধর সাপের কামড়ের লক্ষণগুলি লেখ।
উঃ বিষধর সাপের কামড়ের লক্ষণ গুলি হল -
১) ক্ষতস্থানে দুটি দাঁতের দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
২) ক্ষতস্থান গভীর হয় ।
৩) কিছুটা সময়ের মধ্যেই শরীর ঝিমিয়ে আসে এবং প্রচন্ড যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
৪) ঘুম পায় ও চোখের পাতা ঝুলে পড়ে
৫) কথা জড়িয়ে যায় ও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
৬) মুখ থেকে লালা ঝরতে থাকে ।
৭) বমির লক্ষণ দেখা দেয় এবং বমি হতেও পারে।
ঘ) ডুবন্ত মানুষকে জল থেকে তোলার পদ্ধতিগুলি আলোচনা কর।
উঃ ডুবন্ত মানুষকে জল থেকে তোলার পদ্ধতি গুলি হল
১) ডুবন্ত মানুষটির দিকে বাঁশ বা গাছের ডাল জাতীয় শক্ত দন্ড এগিয়ে দিতে হবে।
২) ভেসে থাকে এমন জিনিসও দিতে পারলে ভালো হবে। যেমন- টায়ার, টিউব ইত্যাদি।
৩) সম্ভব হলে নৌকায় লম্বা দড়ির ফাঁস লাগিয়ে তার দেহের দিকে ছুঁড়ে দিতে হবে।
৪) ডুবন্ত মানুষটি শিশু বা হালকা ধরনের হলে সাঁতারে তার পিছনে গিয়ে যাতে সে ধরতে না পারে এই রকম ভাবে তাকে চিত করে শুইয়ে তার চুলের মুঠি ধরে সাঁতারে সাঁতারে জলে ভাসিয়ে এনে ডাঙায় তুলতে হবে।
ঙ) হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়াশীলতা বজায় রাখার পদ্ধতিগুলি ব্যাখ্যাসহ বর্ণনা কর।
উঃ হৃদপিন্ডের ক্রিয়াশীলতা বজায় রাখার পদ্ধতিগুলি হল -
১) কোন মানুষ হঠাৎ জ্ঞান হারালে চিত করে শুইয়ে তার গলার পিছনের দিকে হাত দিয়ে, মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে শ্বাসপথ রাখতে হবে।
২) যদি কৃত্রিম দাঁত থাকে তা বের করতে হবে এবং মুখের ভিতরে আগাছা পদার্থ থাকলে বের করে দিতে হবে।
৩) যদি শ্বাস প্রশ্বাস চালু থাকে অথচ সাড়া না দেয় তবে ডানদিকে /বাঁদিকে পাশ ফিরিয়ে নিরাপদ ভঙ্গিতে শুইয়ে দিতে হবে।
৪) শ্বাস প্রশ্বাস চালু না থাকলে অজ্ঞান মানুষটির মুখ শক্ত কিছু দিয়ে ফাঁক করে একটি বা দুটি আঙুল ঢুকিয়ে মুখের ভেতর যদি রক্ত খাবার বা অন্য কিছু থাকে তা বের করে দিতে হবে।
চ) Airway Breathway Circulation কী ?
উঃ এম সি বি আই এর মতে airway Breathway Circulation (ABC) পদ্ধতি অসুস্থ বা আহত রোগীদের তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন এবং চিকিৎসার জন্য একটি পদ্ধতিগত পদ্ধতি।এই পদ্ধতিটি সমস্ত ক্লিনিকাল জরুরি পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য।

Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.